বাংলাদেশে দুটি বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন
ও ষাটগম্বুজ মসজিদসহ বাগেরহাটের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের জাদুঘর ও ঘোড়াদীঘি ঘুরে দেখলেন
বিভিন্ন দূতাবাস ও হাইকমিশনে কর্মরত ৭টি দেশের সামরিক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া,
তুরস্ক ও ফিলিস্তিনের ৮ সামরিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সোমবার সকাল ১১টার
দিকে বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে করে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই করমজল বন্যপ্রাণী
প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছান। এসময়ে কেন্দ্রটি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার
মো. আজাদ কবির তাদের স্বাগত জানান।
বার্ষিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ
বিমান বাহিনীর এয়ার কমোডর রাফির নেতৃত্বে বিদেশি এই সামরিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের
সদস্যরা সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রে এক ঘণ্টা অবস্থান করেন।
এসময় তারা হরিণ, কুমির, বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের সেড, ফুডট্রেল
ঘুরে দেখেন। ওয়াচ টাওয়ারে উঠে সুন্দরবনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
এরপর প্রতিনিধিদলটি সুন্দরবনে ৫ ঘণ্টা অবস্থান করেন। ঘুরে দেখেন হাড়বাড়ীয়া পর্যটন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন এলাকা।
এর আগে রবিবার বিকালে এ প্রতিনিধি দলটি
বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ, জাদুঘর ও ঘোড়াদীঘি পরিদর্শন করেন।
সুন্দরবন পরিদর্শনে আসা সামরিক প্রতিনিধি
দলে ছিলেন ভারতের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মানমতি সিং সাবারওয়াল, স্কোয়াড্রন লিডার অমিতোষ
শর্মা, মিয়ানমারের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোয়ে নিয়াত, পাকিস্তানের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
আলী এজাজ, নেপালের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রোশান শমসের রানা, অস্ট্রেলিয়ার লে. কর্নেল
ডেমসি চেরলি সিনক্লেয়ার, তুরস্কের কর্নেল এরদাল সাহিন ও ফিলিন্তিনের কর্নেল মাহমুদ এম জে শারাওনাহ।