শারদীয় দূর্গাৎসবকে সামনে রেখে সরকার প্রতিশ্রুত
প্রায় ৪ হাজার টন ইলিশের প্রথম চালানে ১২টি ট্রাকে ৪৫ টন সুস্বাদু রুপালি ইলিশ বেনাপোল
বন্দর দিয়ে ভারতে রফতানির অপেক্ষায় সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে। শুল্কমুক্ত কোটায় রফতানি
করা হবে ইলিশের চালান। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজির
অনুমতি না পাওয়ায় চালান ছাড় হয়নি। আজই হবে ছাড়।
বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমসের কার্গো সুপার
কলিম উল্লাহ ও বেনাপোল সিএডএফ এজেন্ট এম ই ইন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি আলমঙ্গীর হোসেন
জানান, বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি অনুমোদন পত্র আমদানি
ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে চিঠি মারফত জানা যায় দেশের ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের
অনূকুলে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি প্রদান করা হয়। পাবনার সেভেন স্টার ও
প্যাসিফিকসহ দেশের বিভিন্ন মাছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের সংগ্রহে রাখা ইলিশ বেনাপোলে
পাঠায়। বৃহস্পতিবার বেনাপোলে রপ্তানি সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্রের কাযর্ক্রম শেষে মাছ
ভারতে রপ্তানি করা হবে। পর্যায়ক্রমে যাবে ইলিশের
চালান।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার
শাফায়াত হোসেন জানান প্রতিটি পণ্যচালান রপ্তানিকালে শুল্ক কর্তৃপক্ষ এস আই ওয়ার্ল্ড
সিস্টেম পরীক্ষা করে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত
করা হবে। অনুমোতির মেয়াদ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে সরকার মৎস্য
আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে
সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদনের আবেদন মন্ত্রণালয়ে
যাচাই-বাছাই করে শর্ত সাপেক্ষে দেশের ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে ৩৯ হাজার ৯শ ৫০ মেঃ টন ইলিশ
ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয় বলে জানান উপজেলা মৎস কর্মকর্তা।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত ১ সেপ্টেম্বর
কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে আবেদন করে। এতে
পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানায় ব্যবসায়ীরা। পরে ৪ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছালে যাচাই বাছাই করে প্রায় ৪ হাজার টনের অনুমতি দেয়া
হয়েছে।