আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সুকুমার মৃধার মেয়ের ফোনের সূত্র ধরে মেলে পিকে হালদারের খোঁজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের পর ভারতে পালিয়েও রেহাই পেলেন না বহুল আলোচিত পিকে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার।

পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমান জেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রনালয়ের তদন্তকারি সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট-ইডি।

শিবশঙ্কর হালদার নামের ছদ্ম পরিচয়ে তিনি বর্ধমানের কাটোয়া এলাকায় পালিয়ে ছিলেন। একই অভিযানে আটক হয়েছে তার বড় ভাই প্রাণেশ হালদারও।

বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানসহ দশটি এলাকায় অভিযান শুরু করে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রণালয়ের তদন্তকারি সংস্থা-ইডি।

শুক্রবারের অভিযানে আটক হন পিকে হালদারের ক্যাশিয়ার হিসাবে পরিচিত সুকুমার মৃধার মেয়ে অতশী। সুকুমার মৃধা এরিমধ্যে বাংলাদেশের কারাগারে আটক রয়েছেন।

অতশীর ফোনে তল্লাশি চালিয়ে শিব শঙ্কর হালদারের ফোন নম্বর পান ভারতীয় গোয়েন্দারা। তাদের কাছে তথ্য ছিলো এই শিব শঙ্করই মূলত পিকে হালদার।

যিনি জালিয়াতি করে ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, রেশন কার্ড ও আঁধার কার্ড নিয়েছেন। আর এভাবেই মেলে দেশের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের হোতা পিকে হালদারের সন্ধান।

তার সাথে আরও আটক হয়েছেন পিকে হালদারের বড় ভাই প্রাণেশ কুমার হালদার, ছোট ভাই প্রিতীশ কুমার হালদার।

এছাড়াও আটক হয়েছে স্বপন ও উত্তম মৈত্র নামের আরও দুই ভাই। এর আগে স্বপনের সঙ্গে সাথে পিকের টাকা পাচারের যোগসূত্র পায় বাংলাদেশে ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স।

পিকে হালদারের অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত কমপক্ষে ৭০ জনের একটি তালিকা করেছিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ইউনিট এবং দুর্নীতি দমন সংস্থা- ও দুদক।

যাদের অনেকেই ছদ্ম পরিচয়ে ভারতে অবস্থান করছিলো। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় তারা নামে বেনামে প্রচুর সম্পদের মালিক হয়েছেন।

তাদের সন্ধানেই শুক্রবার দিনভর বর্ধমানসহ ১০টি এলাকায় অভিযানে নামে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রনালয়ের তদন্তকারি সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট।

আর এই অভিযানেই নিশ্চিত হওয়া যায় শিব শঙ্কর হালদার ওরফে পিকে হালদারের অবস্থান। জানা গেছে ২০১৯ সালে কানাডায় পালিয়ে গিয়েও নিয়মিত ভারতে যাতায়াত করতেন পিকে।

স্থায়ীভাবে সেখানে আত্মগোপনের জন্যই জালিয়াতি করে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব নেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে পিকে হালদার তার সহযোগীদের দিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা পাচার করেছে।

এই টাকায় বর্ধমান, চব্বিশ পরগনা ও কলকাতার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল বাড়ি ও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন। নামে বেনামে খুলেছেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যা নিয়ে তদন্ত করছে ভারতের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁও ডিসি অফিসের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

টিসিবির পণ্য প্যাকেটজাত করণে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে গেল বুধবার (৬ মার্চ) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সোলেমান আলীর বরাবরে অভিযোগ করেন ডিলাররা। অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে একটি মামলাও চলমান রয়েছে।

ডিলারদের এমন অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলায় ৬১জন ডিলারের মাধ্যমে ৯২ হাজার ছয়শত আটাশি জন স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে কম দামে টিসিবি পণ্য নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল ও তেল বিক্রি শুরু করছে। তবে টিসিবি পণ্য প্যাকেটজাতকরণে এক টাকা ও শ্রমিক মজুরি এক টাকা করে ডিলারদের কাছে আদায় করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম ও মিন্টু। ফলে প্রতি বার ডিলারদের কাছ থেকে শুধু প্যাকেজিং বাবদ ৯২,৬৮৮ টাকা করে। এভাবে গেল সাত মাসে আদায় করা হয়েছে ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৮১৬ টাকা। আর শ্রমিকদের খরচেও নেয়া হয়েছে এক টাকা করে। সবমিলে ডিলারদের কাছ থেকে আদায় করা হয় প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা।

অথচ প্যাকেজিং ও আনলোডিং বাবদ ৩,৯৭,৩৩২ টাকা খরচ হয়েছে বলে টিসিবির ক্যাম্প অফিস দিনাজপুরে পত্র পাঠান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সোলেমান আলী। পরবর্তীতে ভ্যাট ও আয়কর কর্তন করে প্যাকেট প্রতি ২ টাকা ৬১ পয়সা হারে ২,৪১,৯১৬ টাকার একটি চেক প্রদান করেন টিসিবি ক্যাম্প অফিসের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান।

তাহলে প্রশ্ন ওঠে ডিলারদের কাছ থেকে যে অর্থ আদায় করা হয়েছে সেগুলো গেলো কোথায়?

অনুসন্ধানের সময় ডিলাররা অভিযোগ করে বলেন, অফিস সহকারী শহিদুল প্যাকেটজাত ও শ্রমিক খরচের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সাত মাসে শহিদুল ও মিন্টু প্রায় ১০ লাখ টাকা আদায় ডিলারের কাছ থেকে। বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কে টাকা নেয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেছি। তিনি টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান তারা।

মেসার্স স্বর্গ সমুদ্র টের্ডাসের সুব্রত সরকার, মেসার্স শিফা ট্রেডার্স'র সাইফুল ইসলাম, মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ'র আনোয়ার হোসেন ও মেসার্স সাহেদী মুদি স্টোর'র রোকনুজ্জামান সাহেদী জানান, শহিদুলের নির্দেশে মিন্টু শ্রমিক খরচ এক টাকা ও প্যাকেতজাতকরণে এক টাকা করে নিয়েছে। টাকা দিতে না চাইলে তারা চাপ দিতো। আটকে দেয়া হত গাড়ি। পরবর্তিতে টাকা ফেরত চেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে অভিযোগ করেন ডিলাররা।

তবে টাকা নেয়ার বিষয়টি শুরুতে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে বলেন, টাকা উত্তোলনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক অবগত রয়েছেন। তবে সাত মাস নয় কয়েক মাস দায়িত্বে ছিলেন। আর একা এই কাজটি করেননি বলে দাবি তার।

আর এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সোলেমান আলী জানান, টিসিবি পণ্য প্যাকেটজাতে টাকা নেওয়ার কথা জানা ছিল না। অফিসের কর্মচারির বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার বিষয়টি জানিয়েছে ডিলাররা। লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আয়ের অভিযোগ উঠেছিলো। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। তিনি গ্রামের সহজ সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে জমি ক্রয় করেন। এরপর সেই জমি সরকারি প্রকল্পে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেন। এভাবে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। হঠাৎ করেই এত সম্পদের মালিক হওয়ায় শহরজুড়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।

ডিসি অফিসে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী এখন ঠাকুরগাঁও শহরের বড় মাঠের পাশে নির্মাণ করছেন ছয় তলাবিশিষ্ট আলিশান বাড়ি। বাড়িটিতে রয়েছে লিফটের ব্যবস্থাও। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে একটি মামলা চলমান রয়েছে।


আরও খবর



রাজধানীর ওয়ারীতে রেস্টুরেন্টে আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ওয়ারীতে একটি রেস্টুরেন্টে আগুন লেগেছে। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে ওয়ারীর একটি ভবনের দোতলার রেস্টুরেন্টটিতে আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেন স্থানীয়রা।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত সোয়া ১০ টায় আগুনের সংবাদ পেয়ে রেস্টুরেন্টটিতে যায় ফায়ার সার্ভিস। ১৬ মিনিটের মাথায় রেস্টুরেন্টে পৌঁছে ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করে আগুন নেভানো হয়েছে।

রেস্টুরেন্টটির কিচেনে আগুন লেগেছিল। এপর্যন্ত হতাহতের কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে রেস্টুরেন্টের নাম জানা যায়নি।


আরও খবর



দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নিহত ২

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা আলু বোঝাই ট্রাকের পেছনে একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দিলে দুই যাত্রী নিহত এবং চালকসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দিনগত রাত আনুমানিক ১২টার দিকে কালাই উপজেলার জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের পৌরসভার নরওয়েস্ট হিমাগারের ফটকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদিকে দাঁড়িয়ে থাকা আলু বোঝাই ট্রাকটি জব্দ করা হলেও ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।

কালাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত দুজন হলেন বগুড়ার শিবগঞ্জের রাঙ্গামাটি গ্রামের হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী ফাহিমা খাতুন (৩৮) এবং একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে রোকন (১৪)। আর আহতরা হলেন মাইক্রোবাসের চালক আব্দুর রশিদ, পাপিয়া, ফারিয়া, রোহান ও নিশাদ। সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।

নিহত ফাহিমার স্বামী রাতে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। তিনি বলেন, মাইক্রোবাসের চালক রশিদের এক আত্মীয়র বাড়ি জয়পুরহাটের খঞ্জনপুরে। গত রাতে তাদের সঙ্গে আমার স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সেখানে দাওয়াত খেতে গিয়েছিল। আসার পথে এ দুঘর্টনা ঘটে। আমার ছেলে-মেয়েও গুরুত্বর আহত। তারা এখন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


আরও খবর



স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এ সময় ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকও বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) প্রথম প্রহরে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা।

প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও ভুটানের রাজা জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। শেখ হাসিনা পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আরও একবার জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে সই করেন ভুটানের রাজা ও তার স্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



কলকাতায় ‍ভোটের আগে মুরগির দাম ৩০০!

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচন এলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই বাড়তে শুরু করেছে দ্রব্যমূল্য। নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মুরগির মাংস।

আর কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রচার। নির্বাচনি উত্তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামও বাড়ছে। দৌড়ে সবার আগে ছুটছে মুরগি।

মুরগির ট্রিপল সেঞ্চুরি!

ঘরে-বাইরে মুরগির মাংস এখন প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাবার। বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে স্ট্রিট ফুড বা নামিদামি রেস্তোরাঁয় সবচেয়ে বেশি চাহিদা মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি খাদ্য সামগ্রীর। সেই মুরগির মাংসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে নজির সৃষ্টি করেছে কলকাতায়।

সাধারণভাবে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ রুপির মধ্যেই থাকে। কলকাতা ও তার লাগোয়া এলাকায় প্রতি কেজিতে এই দাম ২০ রুপির মতো বেশি দেখা যায়। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই দাম বাড়তে শুরু করেছে।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে কলকাতায় এক কেজি মুরগির দাম ছিল ২৩০ রুপির আশপাশে। গত সাত দিনে মুরগির দাম পৌঁছে গিয়েছে তিন শতকের দোরগোড়ায়। অর্থাৎ প্রায় তিনশ রুপিতে।

গত এক সপ্তাহে ধরে প্রায় রোজই মুরগির মাংসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। কলকাতার অভিজাত বাজারে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ রুপি দরে। কোথাও আবার একেবারে ৩০০ রুপি। জেলায় দাম একটু কম হলেও তা ২৫০ রুপি পার হয়েছে।

মাংসের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছের দামও। রুই, কাতলা, ভেটকি, চিংড়িসহ নানা মাছের দাম বিয়ের মরশুম চলায় এমনিতেই চড়া। বিভিন্ন বাজারে এই মাছের দাম প্রতি কেজিতে ২৫০ রুপি থেকে হাজার রুপি পর্যন্ত হয়েছে।

দাম বাড়ার এই বিষয়টির সঙ্গে সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিচ্ছেন উত্তর দিনাজপুরের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সন্দীপ তরফদার। তিনি বলেন, এই সময়টা মুরগিতে মড়ক লাগে। মুরগি মরে যায়। ফলে যোগান কমে। ভোট সামনে এলে আবার চাহিদা অনেকটা বাড়ে। রাজনৈতিক দলের সভা থাকলে অনেক বেশি অর্ডার আসে। এছাড়া সামনে দোলযাত্রা, সব উৎসবের মুখে দাম বাড়ে।

মুরগি পালনের খরচও বেড়েছে বলে দাবি পোল্ট্রি সংগঠনের। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মদন মাইতি বলেন, মুরগির খাবার হিসেবে ভুট্টার দানা লাগে। এই দানা ইথানল শিল্পেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে দানার দাম বেড়েছে। এতে মুরগি পালনের খরচও বেড়ে গিয়েছে।

সবজির দাম

পশ্চিমবঙ্গের মাঠে মাঠে এখন আলু চাষিদের ফসল তোলার সময়। হিমঘরগুলোর দরজা খোলা, বাজারেও আলুর যোগান পর্যাপ্ত। কিন্তু চলতি সপ্তাহ থেকে আলুর দাম একটু একটু করে বাড়ছে। আলু যেখানে প্রতি কেজিতে ১০-১৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছিল, তা গত কয়েকদিনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ রুপি।

গত মাসে রসুনের দাম কেজি প্রতি ৫০০ রুপিতে পৌঁছেছিল। যদিও তা এখন কমতে কমতে ২০০ রুপিতে এসে দাঁড়িয়েছে। পেঁয়াজ, টমেটো ৩০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য শাক সবজির দাম অবশ্য নাগালের মধ্যে আছে।

এই দামের উল্লেখ করে ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, গত মাসে কাঁচা সবজির দাম বেড়েছিল। কিন্তু এখন তা কমে এসেছে। মুরগির মাংসের দাম অনেকটা বেড়েছে। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি যাতে, এই দামও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

বাজারে নতুন ওঠা সবজি যেমন ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা এখনো মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এই প্রবণতা গ্রীষ্মের মুখে স্বাভাবিক বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, যোগান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে।

ভোটের থাবা

প্রতি নির্বাচনের আগেই জিনিসপত্রের দামে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও এই দাম বাড়ার পিছনে অন্যান্য কারণও থাকে।

ফোরাম ফর ইনডিজেনাস এগ্রিকালচারাল মুভমেন্ট-এর সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় দাস বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কোনো একটি জায়গায় এলে পণ্যের চাহিদা বাড়ে। তারা অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ফলে স্থানীয়ভাবে কোনো বাজারে দাম বৃদ্ধি হতে পারে।’ এর সঙ্গে থাকে মজুতদারির মাধ্যমে তৈরি করা কৃত্রিম সংকট। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে পণ্য মজুত করেন।

চিন্ময় বলেন, এখন পণ্য মজুত করার ফলে বাজারে কৃত্রিম অভাব তৈরি হয়। এর ফলে দাম বাড়ে। ব্যবসায়ীরা মজুত করে রাখেন ভোটের পরে বিক্রি করবেন বলে। সেই সময় বেশি দাম পাওয়া যায়।


আরও খবর