আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সুখী দেশের তালিকায় ৭ ধাপ এগোলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় আরও এগোলো বাংলাদেশ। ২০২২ সালের তালিকায় সাত ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৯৪তম। গত বছর এ তালিকায় ১০১তম ছিল দেশটি। তার আগের বছর ছিল ১০৭তম আর ২০১৯ সালে ১২৫তম। অর্থাৎ, মাত্র তিন বছরে ৩১ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সহযোগিতায় প্রস্তুত ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট থেকে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে ১৪৬টি দেশের নাম রয়েছে। তালিকায় টানা পঞ্চমবার সবচেয়ে সুখী দেশ নির্বাচিত হয়েছে ফিনল্যান্ড, আর সবচেয়ে কম সুখী আফগানিস্তান।

বার্ষিক প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে বিভিন্ন দেশের মানুষের মানসিক সুখের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ও সামাজিক তথ্যাদির ভিত্তিতে। এতে শূন্য থেকে ১০ পর্যন্ত পয়েন্ট দিয়ে সুখের পরিমাণ বোঝানো হয়েছে। তালিকায় ৫ দশমিক ১৫৫ পয়েন্ট নিয়ে ৯৪তম হয়েছে বাংলাদেশ। ভারত রয়েছে ১৩৬তম অবস্থানে, পাকিস্তান ১২১তম, শ্রীলঙ্কা ১২৭তম ও নেপাল রয়েছে ৮৪তম স্থানে।

তালিকার একেবারে তলানিতে রয়েছে আফগানিস্তান। তাদের পয়েন্ট ২ দশমিক ৪০৪। কম সুখী দেশ হিসেবে আফগানদের ওপরে ঠাঁই হয়েছে লেবানন, জিম্বাবুয়ে, রুয়ান্ডা, বতসোয়ানা প্রভৃতি দেশের।

২০১৮ সাল থেকেই সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষস্থানটি দখলে রেখেছে নরডিক দেশ ফিনল্যান্ড। এ বছর তাদের পয়েন্ট ৭ দশমিক ৮২১। শীর্ষ দশে থাকা বাকি দেশগুলো হলো যথাক্রমে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ, সুইডেন, নরওয়ে, ইসরায়েল ও নিউজিল্যান্ড।

এ বছর তালিকা প্রণয়নের জরিপ শেষ হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে। তাই সুখী দেশের তালিকায় এর কোনো প্রভাব পড়েনি। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২২-এ ইউক্রেন রয়েছে ৯৮তম এবং রাশিয়া ৮০তম স্থানে। গতবারের চেয়ে তিন ধাপ এগিয়ে এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৬তম। তাদের আগে রয়েছে কানাডা ও পরে যুক্তরাজ্য।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (১০ মার্চ) রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে হয়েছে, প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৫ সাল থেকে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করছিলেন ইহসানুল করিম। ২০২২ সালের ১৯ জুন দুই বছরের জন্য নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি।

ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।


আরও খবর



চীন-রাশিয়ার সাথে ইরানের যৌথ নৌমহড়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সাথে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মহড়ায় নামছে রাশিয়া আর চীন। এই যৌথ নৌমহড়া চলবে ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে।

মহড়ায় যুদ্ধের নানা কৌশল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে ইরানের মিত্ররা। এতে ইরানের নৌবাহিনীর বিমান ইউনিটও অংশ নিচ্ছে। চীন রাশিয়াও হাজির হবে তাদের ভারী বহর নিয়ে। এছাড়াও আজারবাইজান, কাজাখস্তান, ওমান, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকাও প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে। মেরিটাইম সিকিউরিট বেল্ট ২০২৪ নামের এই মহড়ায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা সুরক্ষা জোরদারের ওপরই বেশি নজর দিচ্ছে ইরান।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নৌরুট আরো সুরক্ষিত করা, সমুদ্রপথে ডাকাতি, সমুদ্র সন্ত্রাস ও বহুপাক্ষিক তথ্য আদান প্রদানের এক সুরক্ষিত বলয় গড়তে চায় ইরান। আর সেই লক্ষ্যেই এই নৌমহড়া আয়োজন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান।

আন্তর্জাতিক নৌপথ নিরাপদ করতে ও সমুদ্র বাণিজ্যের বিস্তার ঘটাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান ও রাশিয়া বেশ কয়েকটি নৌমহড়া চালিয়েছে। সমুদ্র সন্ত্রাস রুখতেও এক সাথে কাজ করছে দুই দেশ। চীনের সাথে দিনে দিনে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে ইরানের। ২০২৩ সালে ইরানের সাথে নৌমহড়ায় অংশ নিয়েছিলো চীন।


আরও খবর



ভালো প্রস্তাব পেলে ফেরাবেন না মাহিয়া মাহি

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রাকিব সরকার বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন। কারণ কিছুদিন আগে ভিডিওতে এসে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন এই নায়িকা। গেল ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পর অবশ্য ফুরফুরে মেজাজেই আছেন তিনি। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে আলাদাই থাকছেন এই নায়িকা। মাঝেমধ্যে অবশ্য ফেসবুকে নানা রকম ছবি শেয়ার করছেন তিনি।

বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পর ফের কাজে মনোযোগ দিয়েছেন মাহি। সম্প্রতি বেশ কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্তই আছেন তিনি। এর মাঝেই জানিয়েছেন, ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেবেন না।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাহি বলেন, অনেক প্রস্তাব ছিল আমার কাছে। বড় নির্মাতা ও ভালো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমার সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিল। আমি রাজি হলে অন্তত পাঁচটি ভালো সিনেমা করতে পারতাম। কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি আমার কারণেই। বাছবিচার ছাড়াই সবাইকে ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম। এখন ঘোর থেকে বাস্তবে ফিরেছি। ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেব না। এখন একের পর এক কাজ করতে চাই।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালের মে মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান তিনি। পরে ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি।


আরও খবর



ডিসি সম্মেলন শুরু কাল, আলোচনায় ৩৫৬ প্রস্তাব

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমান সরকারের আমলে প্রথম জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার (৩ মার্চ)। চারদিনের এ সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৩৫৬টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেওয়াজ অনুযায়ী তাঁর কার্যালয়ের শাপলা হলে ডিসি সম্মেলন-২০২৪-এর উদ্বোধন করবেন।

আজ শনিবার (২ মার্চ)  সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবারের ডিসি সম্মেলন ৩ মার্চ শুরু হয়ে ৬ মার্চ শেষ হবে। সবগুলো কার্যঅধিবেশন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হবে। এছাড়াও স্পিকার ও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সাথে জেলা প্রশাসকরা সৌজন্য সাক্ষাৎ, সদয় নির্দেশনা গ্রহণ ও মতবিনিময় করবেন। এবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় বিষয়ক অধিবেশন সংযুক্ত করা হয়েছে।

সচিব বলেন, প্রস্তাবগুলোর মধ্যে জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ হ্রাস করা, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো রয়েছে। বেশি সংখ্যক প্রস্তাব পড়েছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে। এছাড়াও ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্ন্যান্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবারকল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হবে।


আরও খবর



২১১ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখল লঙ্কানরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিকেলের সোনা রোদে সিলেটের সবুজ গালিচা চিকচিক করছিল। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষের অপেক্ষায়। হঠাৎ-ই মাঠে শোনা গেল জোর গলার উচ্চ হাসি। ফিল্ডিংয়ে থাকা বাংলাদেশ শিবিরের একজনকে ঘিরে আনন্দের হাসি। শরিফুল ইসলামের ক্রস সিমের ভয়ংকর বাউন্সারে দিমুথ করুণারত্নে পুল করলেন। নিরাপদ শট। কিন্তু শরীরে ভারসাম্য না থাকায় বল চলে যায় ফাইন লেগে। ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন নাহিদ রানা। বল ঠিকঠাক তালুবন্দি করলেন।

বাংলাদেশ করুণারত্নের আউটে যতটা না খুশি তারচেয়েও বেশি খুশি নাহিদ রানা বল তালুবন্দি করায়! কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে টেস্ট শুরুর আগের দিনের চিত্র সামনে আনা জরুরী। প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পাওয়া নাহিদ রানা বোলিংয়ের পর ফিল্ডিংয়ে নামলেন। তাকে একের পর এক ক্যাচ দিয়ে যাচ্ছিলেন কোচ। কিন্তু বল জমাতেই পারছিলেন না। সংখ্যাটা এমন, ১০ বলে ৭-৮টি ক্যাচই ফেলে দিচ্ছেন। ২-৩টি ধরছেন।

মোটামুটি দলের ভেতরে চাওড় হয়েছে, ফিল্ডিংটা নাহিদ রানার সিলেবাসের বাইরে! তাইতো করুণারত্নের ক্যাচ নেওয়ার পর বাংলাদেশ শিবিরে বাড়তি উল্লাস। লিটন তো মাথায় হাত গিয়ে মুখ ভরা হাসি নিয়ে অবাক। পাশে থাকা মিরাজ, দিপুরাও একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আনন্দ করছিলেন। ওই হাসি, ওই আনন্দ অবশ্য দিন শেষের স্কোরবোর্ড দেখার পর টিকেছে কি না সেটা বিরাট প্রশ্ন। কেননা হাতে ৫ উইকেট নিয়েও শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের লিড ২১১ রান। ব্যাটিং ব্যর্থতায় চড়ে বসেছে লঙ্কানরা তা বলতে দ্বিধা নেই।

শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানের জবাবে বাংলাদেশ আজ ১৮৮ রানে অল আউট। ৯২ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে ১১৯ রানে দিন শেষ করেছে। তাতে স্বস্তির পরশ অতিথি শিবিরে। পিছিয়ে থেকে অস্বস্তিতে স্বাতিকেরা। বাংলাদেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ছিল সকালের সেশনের ব্যাটিং। বিশেষ করে মাহমুদুল হাসান জয় কিভাবে লঙ্কান আক্রমণ সামলে নেন তা ছিল দেখার। নাইটওয়াচম্যান তাইজুল টুকটাক ব্যাটিং পারেন তা তো সবারই জানা।

দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শুরুর আক্রমণ সামলে নিয়েছিলেন। ৫ ওভারে কোনো বিপর্যয় হয়নি। এ সময়ে রান যোগ হয়েছে ২১। তাতে আশা বেড়েছিল। কিন্তু ওই আশায় গুড়েবালি হতে সময় নেননি। তাইজুল যেখানে চূড়ান্ত মনোযোগ দেখিয়েছেন। থিতু হয়ে উইকেটের মূল্য বুঝেছেন। সেখানে জয় উল্টোপথে হেঁটেছেন। পেসার লাহিরু কুমারার অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ১২ রানে। এরপর কেবলই মন খারাপের গল্প।

পরীক্ষিত ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে এসেছেন। দুয়েকটি শট খেলেছেন। আউট হয়েছেন। আগের তিন ব্যাটসম্যান যা করেছেন শাহাদাত হোসেন দিপু, লিটন দাশ, মেহেদী হাসান মিরাজ সেই পথেরই অনুসারী। টিকে থাকার তাড়না, লড়াই করার মানসিকতা, দলকে এগিয়ে নেওয়ার জেদ চোখে পড়েনি। তাতে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। অল্পতেই অলআউট বাংলাদেশ।

শাহাদাত হোসেন দিপু লেগ সাইডে ফ্লিক ও অফ সাইডে দারুণ এক স্ট্রেইট ড্রাইভে ভালো কিছুর আভাস দেন। কিন্ত লাহিরুর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট সরাতে পারেননি। লিটনও নিজের উইকেট বিলিয়ে এসেছেন আলগা মনোভাবে। লাহিরুর ভেতরে ঢোকানো বলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে গিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। ৪৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৫ রানে শেষ তার ইনিংস।

এই আসা-যাওয়ার মিছিলে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে তাইজুল লড়াই করেন। তার একার লড়াইয়ে সঙ্গী পাননি কাউকে। তাই ঝুঁকি নিয়ে খেলতে হয়েছে শট। তাতেই নেমে আসে বিপদ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করা তাইজুল ৮০ বল খেলেন। বাউন্ডারি পেয়েছেন ৬টি। আগের দিন ১০ মিনিট ব্যাটিং করা তাইজুল আজ মাটি কামড়ে ৭২ মিনিট টিকে ছিলেন। ৮২ মিনিটের লড়াই দিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলে গেছেন। পরীক্ষিত ব্যাটসম্যানরা কেন দায়সারা ব্যাটিং করলেন? টেস্ট খেলার ধৈর্য্য কেন দেখালেন না?

শরিফুলের ১৫ ও খালেদের শেষের ২২ রানে বাংলাদেশের লাভই হয়েছে। লিড নেমে এসেছে শতরানের নিচে। লিডের বোঝা মাথায় নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের বোলিংও ভালো হয়েছে। অভিষিক্তি নাহিদ রানা ১২ ওভারের ভেতরেই নিশান মাদুশঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দেন। দুই স্পিনার তাইজুল ও মিরাজও দায়িত্ব সামলে নেন ঠিকঠাক মতো। তাইজুল ম্যাথুজসকে এবং মিরাজ চান্দিমালকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান।

এরপর শরিফুলের বাউন্সারে করুণারত্নে পড়ন্ত বেলায় ফিরলে কিছুটা স্বস্তি ফেরে। কিন্তু লিডের বোঝা দুইশর বেশি চলে যাওয়াতে বিপদমুক্ত নয় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার চড়ে বসার আরেকটি দিনে ব্যাকফুটেই রয়েছে শান্তর দল। হাতে ৫ উইকেট রেখে তারা আর কতদূর যেতে পারে সেটিই দেখার।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪