
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী
ট্যাংকার জাহাজে বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া আটটার দিকে সুগন্ধা
নদীর তীরবর্তী পদ্মা অয়েল কোম্পানির দক্ষিণপাড়ে সাগর নন্দিনী-৩ নামের ওই জাহাজে বিস্ফোরণ
ঘটে। পরে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. কামরুজ্জামান
(৪৫)। তিনি ওই জাহাজের সুকানি ছিলেন। নিহত কামরুজ্জামানের বাড়ি গোপালগঞ্জে। এ ঘটনায়
ওই জাহাজের আরও সাত কর্মী দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বরিশাল
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝালকাঠি পদ্মা অয়েল কোম্পানি সূত্রে জানা
যায়, ১০ নভেম্বর সাগর নন্দিনী-৩ নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানি তেল বোঝাই করে
ঝালকাঠি পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপোতে আসে। জাহাজটি ওই ডিপোতে পেট্রল খালাস করার পর
ডিজেল খালাস করার জন্য সুগন্ধা নদীর দক্ষিণপাড়ে অবস্থান করছিল। এ সময় ওই জাহাজে ১৩
জন কর্মী অবস্থান করছিলেন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রুবেল হোসেন জানান,
আজ সকালে জাহাজের ইঞ্জিনকক্ষের জেনারেটর চালু করতে গিয়ে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে
যায়। এতে জাহাজে অবস্থান করা অধিকাংশ কর্মী দগ্ধ হন। এরপর আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক সুকানি কামরুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত অন্য কর্মীদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এদিকে ঘটনার খবর শুনে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক
মো. জোহর আলী, পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনসহ পদ্মা অয়েল কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ
বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি পরিদর্শন করেন।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, আহত
ব্যক্তিদের বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তবে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটি
গঠন করা হবে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স
স্টেশনের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, আজ সকালে জাহাজের ইঞ্জিনকক্ষের জেনারেটর চালু
করতে গিয়ে বিকট শব্দে আগুন লাগে। আগুন দ্রুত পুরো জাহাজে ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পর
জাহাজের তলা ফেটে যাওয়ায় জাহাজটি ক্রমেই নদীতে ডুবে যাচ্ছে। ওই জাহাজে সাড়ে আট লাখ
লিটার ডিজেল ছিল বলে জানা যায়।