আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

সুদের উচ্চ হারে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ব্যাংকগুলো

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মন্দার মুখে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। আর এর প্রভাব বেশ ভালোভাবে পড়েছে ব্যাংক অব আমেরিকা, সিটিগ্রুপ, গোল্ডম্যান স্যাকস, জেপিমরগান চেজ, মরগান স্ট্যানলি ও ওয়েলস ফার্গোর মতো আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ব্যাংকগুলোর ওপরে। আর্থিক মন্দার মুখে এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখন উচ্চ সুদের হারের সঙ্গে লড়ছে।

বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, এ ছয়টি ব্যাংকের মুনাফা ২০২১ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিক থেকে ২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসি পর্যন্ত সময়ে ২০ শতাংশ কমে ৩ হাজার ৪০০ কোটি থেকে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে নেমে গেছে।

তবে মুনাফা কমে যাওয়ার হার ছয়টি প্রতিষ্ঠানেই একরকম নয়। যেমন জেপিমরগান ও ব্যাংক অব আমেরিকার মুনাফা কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে, গোল্ডম্যান স্যাকসের আয় দুই-তৃতীয়াংশ কমেছে। এ ব্যবধানের কারণ বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। সাধারণত, ব্যাংক অব আমেরিকা ও জেপিমরগানের মতো বড় ব্যাংকগুলো যখন সুদের হার বাড়তি থাকে, তখন ভালো করে। আর ব্যাংকগুলো আমানতের বিপরীতে গ্রাহকদের কী দিচ্ছে ও ঋণের মাধ্যমে কী পরিমাণ উপার্জন করছে তার মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয় ক্রমবর্ধমান সুদের হার, যাকে নিট সুদের আয় ব্যবধান বলা হয়।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, ২০২২ সালে ব্যাংকগুলোর মধ্যে নিট সুদ থেকে আয়ের ব্যবধান আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়। ২০২১ ও ২০২২ সালের শেষে বিশ্বের বড় ছয়টি বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে এ ব্যবধান ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার বেড়ে ৬ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে পৌঁছে। অনেকের মতে, উচ্চ সুদের হার গ্রাহকদের ও কোম্পানিগুলোর জন্য ঋণ পরিশোধ করা কঠিন করে তুলবে। তাছাড়া, ২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ঋণের ক্ষতি কাটিয়ে তুলতে ব্যাংকগুলো এরই মধ্যে ৭২০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।

এদিকে, জেপিমরগানের চেয়ারম্যান জেমি ডিমন ও ব্যাংক অব আমেরিকার চেয়ারম্যান ব্রায়ান ময়নিহান দুজনই এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে মৃদু মন্দার পূর্বাভাস দিয়েছেন। যদিও এ মুহূর্তে মুনাফা অর্জনের ওপর উচ্চ সুদের হারের প্রভাব ইতিবাচকই রয়েছে। তবে শেয়ার বাজারে ধস নামার কারণে গোল্ডম্যান স্যাকস ও মরগান স্ট্যানলির শেয়ারমূল্য প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, এ ছয়টি ব্যাংকের মধ্যে লাভের পার্থক্যকে কেবল বিনিয়োগ ও আলাদা কর্মক্ষমতা দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। শুধু একটি কারণে মর্গান স্ট্যানলির মুনাফা গোল্ডম্যান স্যাকসের তুলনায় বেশ কম গতিতে হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, বড় ভোক্তা ব্যাংক থাকা সত্ত্বেও ওয়েলস ফার্গো জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি আরেকটি বাজে প্রান্তিকের মুখে পড়তে চলেছে। ওয়েলস ফার্গোর এমন বাজে অবস্থার বড় কারণ হলো, ত্রুটিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংকটি যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা আর্থিক সুরক্ষা ব্যুরোকে ১৭০ কোটি ডলার জরিমানা দিতে রাজি হয়। কারণ, এটির বিরুদ্ধে লাখ লাখ গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ভুলভাবে পরিচালনার অভিযোগ ওঠে। তবে গোল্ডম্যান স্যাকসের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা কিছুটা কঠিন। ফার্মটি তার ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যে একটি ভোক্তা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। তবে ঋণজনিত ক্ষতির মুখে পড়ে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন এটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।

গোল্ডম্যানের ভুল সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ার‌ম্যান ডেভিড সলোমন যুক্তি দেখান, ফার্মটি অল্প সময়ের মধ্যে বেশি ভালো করার চেষ্টা করেছিল। তবে প্রয়োজনীয় প্রতিভা বা পরিকল্পনার অভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলো অর্জন করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি তার ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ব্যাংকগুলোর উপার্জন অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেশটির অর্থনৈতিক অস্থিরতার ওপর নির্ভর করে। অর্থনীতি ত্বরান্বিত হলে ঋণের চাহিদা কমে যায়। আর ঋণের চাহিদা কমে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই আলাদাভাবে চিন্তা করতে হয়। কারণ ব্যাংকের অধিকাংশ মুনাফা আসে ঋণের মাধ্যমে।  মূলত, বিনিয়োগ ব্যাংকগুলো অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার সময়ে ভালো উপার্জন করার প্রবণতা রাখে। অন্যদিকে, অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকলে তাদের পরামর্শমূলক সেবাগুলো সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। ব্যাংক কর্তাদের এসব বিষয় ও তাদের লক্ষ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়।

সবশেষে বলা যায়, গত তিন বছরে মার্কিন অর্থনীতি যে অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে, তা ব্যাংক কর্মকর্তাদের ভারসাম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টায় সফলতা ও ব্যর্থতার একটি সাধারণ চিত্র তুলে ধরেছে। তাছাড়া, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক ধাক্কা প্রকাশ করেছে, ব্যাংকগুলোর নির্বাহীরা কর্মদক্ষতা ও তাদের লক্ষ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ: বিশ্ব অর্থনীতি

আরও খবর



ইরাকে সমকামী সম্পর্কে জড়ালেই ১৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সমকামী সম্পর্কে জড়ালে হবে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড। এমনই এক আইন পাশ হয়ে গেল ইরাকের পার্লামেন্টে। দেশটির সরকারের দাবি, ধর্মীয় মূল্যবোধকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এই নতুন আইন পাশ করা হলো।

ইরাকে আগে প্রস্তাব আনা হয়েছিল, সমকামীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো ও আমেরিকার বিরোধিতায় সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছরের কারাদণ্ডই রাখা হয়েছে। কেবল সমকামী সম্পর্ক নয়, আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে রূপান্তরকামীদের জন্যও। বলা হয়েছে, লিঙ্গ বদলকারী কিংবা নারীদের বেশ ধারণকারীদের এক থেকে তিন বছরের কারাবাস বা ৭৭০০ ইউরো জরিমানা হবে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইরাকের সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া সমকামিতা থেকে রক্ষা করতেই এই আইন আনা হয়েছে। সমকামিতা ও দেহব্যবসা রুখতে আনা এই আইনে জানানো হয়েছে, কেউ সমকামী সম্পর্কে জড়ালে সর্বোচ্চ ১৫ ও সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হবে তার। সমকামিতা কিংবা দেহ ব্যবসার প্রচার করলে কমপক্ষে ৭ বছরের জন্য যেতে হবে কারাগারে।

এতদিন পর্যন্ত ইরাকের আইনে সমকামিতাকে অপরাধ বলা হয়নি। কেবলমাত্র দণ্ডবিধির উল্লেখে অল্প করে নৈতিকতার দিকটি আনা হয়েছিল। সেটাকেই অস্ত্র করে এলজিবিটি মানুষদের আক্রমণ করত সশস্ত্র দলগুলো। এবার সমকামিতাকে অপরাধ ঘোষণা করে শাস্তির বিধান দিল নতুন আইন।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিন মামলা, রিমান্ডের আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আশ্রমে দুস্থদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি, মানবপাচার, অর্থ আত্মসাৎ, শিশুদের ওপর হামলা, টর্চার সেল গঠনের মতো গুরুতর সব অভিযোগের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এরমধ্যে প্রতারণা, মানবপাচার, নির্যাতনসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে দু‌টি মামলা করা হয়েছে মিরপুর ম‌ডেল থানায়। এর মধ্যে এক‌টি মামলার বাদী হয়েছে পু‌লিশ।

আর এসব অভিযোগে বিষয়ে আরো তথ্য বের করতে মিল্টনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে তোলা হবে দুপুর আড়াইটায়।

নিজেকে দাতব্য কাজে জড়িত থাকার প্রচারণা চালানো মিল্টনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। এসব নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বুধবার রাতে তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

গ্রেপ্তারে পর তাৎক্ষণিকভাবে গোয়েন্দা প্রধান হারুন সাংবাদিকদের বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে অনেকগুলো সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে, এরপর রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

বরিশালের উজিরপুরের মিল্টন নিজের বাবাকে পিটিয়ে এলাকা ছাড়েন মিল্টন। ঢাকায় এসে একটি দোকানে ওষুধ বিক্রি করতেন। সেখান থেকেই তার উত্থান।

এক নার্সকে বিয়ের পর মিল্টন বৃদ্ধাশ্রমের স্বপ্ন দেখেন এবং এরপরই তিনি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার গড়ে তোলেন বলে জানান ডিবির হারুন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মিরপুরের সেই চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের কার্যালয় থেকে আটক করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে।

মিল্টনের বিরুদ্ধে অসহায় মানুষের নামে সংগ্রহ করা অর্থ আত্মসাৎ এবং তাদের কিডনিসহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি করে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এছাড়া জাল মৃত্যু সনদ তৈরি এবং জমি দখলের মতো গুরুতর সব অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রচারণার জন্য বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন মিল্টন। ফেইসবুকে তার তার দুই কোটি ফলোয়ার। প্রায় দেড় ডজন লোকবলের একটি দক্ষ টিম মিল্টনের দাতব্য কাজের গুণকীর্তন গেয়ে কনটেন্ট তৈরি করতো। আর সেসব কনটেন্ট মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে সংগ্রহ করা হতো কোটি কোটি টাকার তহবিল।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামের বৃদ্ধাশ্রম ঘিরে তার অপকর্মের ফিরিস্তি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত ২৮ এপ্রিল মানবাধিকার কমিশন থেকে মিল্টনের অভিযোগের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে বলা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশু ও বৃদ্ধদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করার অভিযোগ আছে। এগুলো আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখবো।

এছাড়া তিনি যে অনুদানের টাকা পেতেন তা যথাযথভাবে খরচ করা হতো কি না, তার শেল্টার হোমে শিশু ও বৃদ্ধ যারা আশ্রিত থাকতেন তাদের অভিভাবকরা এলে তাদের যে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

একইসঙ্গে মিল্টন যে ৯০০ লাশ দাফন করার কথা প্রচার করেছিলেন এবং ডেথ সার্টিফিকেটে নিজেই সিল বানিয়ে চিকিৎসকের স্বাক্ষর দিতেন এসব অভিযোগও বিস্তারিত তদন্ত করা হবে বলে জানান হারুন।


আরও খবর



পটুয়াখালীতে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান মৃধাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান মৃধাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে মনির রহমান মৃধাকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেনি।

উল্লেখ, আগামী ২৮ এপ্রিল পটুয়াখালী সদর উপজেলার ৫ নং কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মনির রহমান মৃধা।


আরও খবর



মেরিন ড্রাইভ প্রকল্প পরিদর্শনে চউক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক অর্থাৎ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।

রবিবার (১২ মে) পরিদর্শনের সময় তিনি চাক্তাই খালের ওপর নির্মাণাধীন স্লুইস গেটের কাজ গুণগতমান ঠিক রেখে দ্রুত সমাপ্তির নির্দেশনা দেন।

এ ছাড়া নির্মাণাধীন বাঁধের স্লোপ অংশে বৃক্ষরোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পরিদর্শনকালে চউকের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ এ এম হাবিবুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক রাজিব দাশ, ডিসিটিপি আবু ঈসা আনসারী, নির্বাহী প্রকৌশলী-২ মোহাম্মদ শামিম এবং প্রকল্প পরিচালক এফ এম মমতাজ উদ্দিন এবং ডিপিএম কনসালটেন্টের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মুক্তি পেতে যাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মুক্তি পেতে যাচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর অন্তত ১১টিতে জামিন পেয়েছেন তিনি। বাকি মামলাগুলোতেও জামিন আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। মামুনুল হক যেন এসব মামলায় জামিন পান সে বিষয়ে সহযোগিতা করতে সরকারও ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই মামুনুল হক মুক্তি পাবেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, ঈদের আগে আগে মাওলানা মামুনুল হকের জামিন ও মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু এবার যদি এই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমরা কর্মসূচি দেব বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি।

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ওই মাদ্রাসা থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরির একটি মামলায় মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৮ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কারাগারেই রয়েছেন মামুনুল হক।


আরও খবর