আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এম সোহায়েল

প্রকাশিত:বুধবার ২১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) এ পুরস্কার প্রদান করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল।

রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল গৌরবময় কর্মজীবনের বিভিন্ন স্তরে কর্মদক্ষতার পরিচয় রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্বাহী শাখায় ১ জানুয়ারি ১৯৮৮ সালে কমিশন লাভ করেন।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের ২ বনদস্যু গ্রেফতার, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

কমিশন পাওয়ার পর তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কোর্সে অংশ নেন। একজন অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার স্পেশালিস্ট অফিসার হিসেবে তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অপরিসীম অবদান রেখেছেন।

তিনি কানাডা থেকে ওয়ার গেম সিমুলেশন কোর্সে, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, ঢাকা থেকে নেভাল স্টাফ কোর্সে এবং ভারতের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ থেকে নেভাল স্টাফ কোর্সে অংশ নেন।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন পেশাদার কর্মকর্তা হিসেবে তিনি বিভিন্ন স্তরে স্টাফ এবং নির্দেশনামূলক দায়িত্ব পালন করেছেন। যেমন- সদর দপ্তর এবং এরিয়া সদর দফতরের স্টাফ অফিসার, পরিচালক, জুনিয়র স্টাফ কোর্স, ওয়ারফেয়ার ইনস্ট্রাক্টর ইন স্কুল অব মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিকস, ডাইরেক্টিং স্টাফ এবং সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (নৌ), ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ। তিনি সুদানে জাতিসংঘ মিশনেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সেবায় অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য তিনি নৌবাহিনী থেকে ওএসপি ও এনইউপি পদক লাভ করেন।

আরও পড়ুন: স্বরূপকাঠিতে গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন শীর্ষক কর্মশালা

রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এলিট ফোর্স র‍্যাবে র‍্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। অসামান্য কর্মক্ষমতার জন্য তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত হন। তিনি কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি), ডিজিএফআই সদর দফতরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক ব্যুরো (আইএবি) এবং নৌ সদর দফতরের পরিচালক সাবমেরিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর তিনি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে যোগ দেন এবং পায়রা বন্দরের চ্যানেল ড্রেজিংসহ বন্দরের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন।

সর্বশেষ রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল গত ২ মে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন।


আরও খবর



দুই জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এর আগে বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।

দেশের পশ্চিমাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



টিসিবি পণ্য বিক্রির জন্য স্থায়ী দোকান করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

টিসিবি পণ্য বিক্রির জটিলতা কাটাতে স্থায়ী দোকান করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির আয়োজনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, টিসিবির পণ্যগুলো এতদিন বিভিন্ন জায়গায় টেম্পোরারিভাবে বিক্রি হতো। আমরা চেষ্টা করছি আগামী দুই এক মাসের মধ্যে টিসিবির দোকানগুলোকে একটি স্থায়ী জায়গায় নিয়ে আসার। যাতে মানুষের একটি দিন নষ্ট না হয়। তারা যাতে সেখানে যেয়ে ন্যায্যমূল্যে তাদের পণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে, সেটার একটা কার্যক্রম আমরা চলমান রেখেছি।

ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।

টিটু বলেন, টিসিবি সাধারণত একত্রে চার থেকে পাঁচটি পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে একটি পণ্য পৌঁছাতে দেরি হলে ডিসি সাহেবরা বাকি পণ্যগুলোকেও আটকে রাখেন। সবগুলো পণ্য একত্রে দেবেন বলে। কিন্তু আমি যখন ফিক্সড দোকান করে দেব তখন যে মাল যখনই দোকানে চলে যাবে তখনই সেই মাল বিক্রি শুরু হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাফার স্টক না থাকায় আমাদের পণ্য কিনেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বিভাগীয় পর্যায়েও আমাদের বাফার স্টক নেই। এছাড়া আমাদের যেসব ডিলার রয়েছে তাদেরও পণ্য এক মাস সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। আমাদের পর্যাপ্ত স্টোরেজ না থাকাটাই প্রধান সমস্যা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে পণ্য সরবরাহ ও সেবা নিশ্চিত করতে টিসিবি শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটাকে একটা কাঠামোতে নিয়ে আসতে আমরা কাজ করতেছি। আমাদের নিজস্ব কোনো গুদাম ছিল না। যেকোনো পণ্যের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখতে সেটার বাফার স্টক থাকা দরকার। বাফার স্টকের জন্য আমাদের গুদাম দরকার। চট্টগ্রামে আমরা ৪০ হাজার স্কয়ারফিটের একটি নতুন গুদাম করেছি। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গুদাম করছি। আমরা চেষ্টা করব অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাফার স্টক তৈরি করতে পারি।

সারা বছর টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এক কোটি পরিবারকে টিসিবিব মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য দিয়েছি। সেটা ১২ মাসই দেওয়ার করব। এতদিন জরুরি ভিত্তিতে ট্রাক সেলের মাধ্যমে করেছি। টিসিবির পণ্য স্থায়ী দোকানে নিয়ে এসেছি।


আরও খবর



মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ জেনে নিন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ক্যান্সার এমন একটি রোগ যে শরীরে বাসা বাঁধলেও শুরুতে কিছুই টের পাওয়া যায় না। যখন বুঝতে পারা যায়, ততক্ষণে দেরি হয়ে যায় অনেকটাই। তাই সুস্থ অবস্থায়ও শরীরের বিভিন্ন লক্ষণের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ বুঝতে হলে আপনাকে আগেভাগেই খেয়াল রাখতে হবে কিছু বিষয়ের প্রতি। নিয়মিতভাবে খেয়াল রাখলে লক্ষণ থাকলে তা বুঝতে পারা সহজ হবে। এই অসুখ যত আগে বোঝা যায় তত দ্রুতই সুস্থতা লাভের আশা করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখবেন-

মুখে অস্বাভাবিক ক্ষত : আপনার মুখে যদি কদিন পরপরই ঘা হতে থাকে তবে সতর্ক হোন। কারণ এটি হতে পারে উদ্বেগের বিষয়। এমনিতে মুখে ঘা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে সেই ঘা আবার দ্রুত সেরেও যায়। যদি মুখে ঘা হওয়ার তিন সপ্তাহ পরও ঘা না সারে তবে হতে পারে তা আপনার জন্য সতর্ক সংকেত। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

দাঁত পড়ে যাওয়া : বড় হওয়ার পর কোনো কারণ ছাড়া দাঁত পড়বে না। যদি আপনার দাঁত এভাবে কোনো কারণ ছাড়াই পড়ে যায় বিশেষ করে মাড়ির দাঁত, তাহলে সতর্ক হোন। হতে পারে এটি মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ। আবার যদি মুখ খুলতে সমস্যা হয় তাহলে দ্রুত পরীক্ষা করিয়ে নিন। সাবধানতার বিকল্প নেই।

গলার স্বর বদলে গেলে : গলার স্বর বদলে গেলে তা আপনার জন্য দুঃসংবাদ বয়ে আনতে পারে। কারণ সুস্থ মানুষের গলার স্বর হঠাৎ করে পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার কথা নয়। এক্ষেত্রে এটি আপনার কণ্ঠনালীতে বড় কোনো সমস্যার সংকেত হতে পারে। এর পাশাপাশি যদি খাবার খেতে অসুবিধা হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব।

মুখে ফোলাভাব দেখা দিলে : মুখের ভেতরে মাঝে মাঝে আঙুল দিয়ে পরীক্ষা করে দেখবেন। যদি কখনো মুখের ভেতরে কোনো পিণ্ড বা ফোলাভাব দেখা দেয় তাহলে সতর্ক হোন। দাঁত এবং মাড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝার চেষ্টা করুন কোনো সমস্যা রয়েছে কি না। এছাড়াও মাড়ি দিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই রক্ত পড়লে বা দাঁতের ভেতরে ফাঁকা হতে শুরু করলে তা আপনার জন্য হতে পারে সতর্ক সংকেত। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও খবর



ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় কেন্দ্রে ভোটার কম এসেছে: সিইসি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বৃষ্টি ও ধান কাটার মৌসুম হওয়ার কারণে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেছেন, প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। বর্ষা ও ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় অপেক্ষাকৃত কম ভোট পড়েছে।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সিইসি বলেন, বর্ষার কারণে অনেকে ভোট সেন্টারে আসতে পারেননি। এছাড়া এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে। এ কারণেও ভোট কম পড়েছে। আমাদের কাছে এটাই মনে হয়।

তিনি বলেন, কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। তেমন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মোটামুটিভাবে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।


আরও খবর



হবিগঞ্জে হাওরে ধান কাটা শেষের পর সরকারিভাবে সংগ্রহ শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে শুরু হয়েছে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান। তবে হাওরের প্রায় ৯৯ শতাংশ ধান কাটা-মাড়াই শেষ হওয়ার পর অভিযান শুরু হওয়ায় লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ধান সংগ্রহে সরকারের কালক্ষেপণের কারণে কৃষকরা যেমন সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন, তেমনি দৌড়াত্ব বাড়বে মধ্যসত্বভোগীদের।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি বোরো মৌসুমে ৩২ টাকা কেজি (১২৮০ টাকা) দরে ধান, ৪৫ টাকায় সিদ্ধ চাল এবং ৪৪ টাকায় আতপ চাল কিনবে সরকার। সেই হিসেবে হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলা থেকে ১৪ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন ধান ৪ হাজার ১৬৬ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ১৪ হাজার ৯৬৬ মেট্রিক টন সেদ্ধচাল কেনার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। তবে জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। এদিকে, কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, পুরো জেলায় সার্বিকভাবে ধান কাটা শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। হাওরের কাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ।

কৃষকরা বলছেন, জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয় হাওরে। সেই ক্ষেত্রে হাওরের ধান কাটা-মাড়াই শেষে কৃষক কম দামে পাইকার ও ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বাকি ধান বছরের খাবার জন্য গোলায় তুলছেন। এরপর ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হওয়ায় হাওরের কৃষকরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবেন। একই সাথে বাড়বে মধ্যসত্বভোগীদের দৌড়াত্ব।

বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা এলাকার কৃষক সুমন মিয়া বলেন, সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করেছে ১২৮০ টাকা মণ। আর আমরা পাইকারের কাছে বিক্রি করছি ৭৭০ টাকা মণ। অনেক অপেক্ষা করছি কখন সরকার ধান কিনবে। আমরা ঋণ পরিশোধ করতে ধান কেটে বিক্রি করে ফেলেছি। এখন সরকার ধান কিনলেও আমাদের কোন লাভ নেই।

একই এলাকার কৃষক আনুয়ার মিয়া বলেন, একেতো সরকার ধান কিনতে দেরি করে ফেলছে। তার উপর আবার মাত্র ১২৮০ টাকায় ধান কিনছে। সরকারকে ধান দিতে হলে ট্রাক ভরে খাদ্য গুদামে নিয়ে যেতে হয়। যে কয়টা টাকা লাভ হওয়ার কথা, সেটি গাড়ি ভাড়া আর শ্রমিকের মজুরিতেই চলে যাবে। এরপর দেখা যাবে খাদ্য কর্মকর্তা বলতেছেন, ধান পরিস্কার না, ভালোভাবে শুকানো হইছে না। নানা অজুহাত।

এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা চাই থোয়াই প্রু মার্মা বলেন, অন্য বছর কৃষকরা যে অভিযোগ করেন এবার তা পারবেন না। কারণ এ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ধান বিক্রি করতে হবে। এছাড়া ধান বিক্রির টাকা কৃষক তার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে পাবেন।

চলতি বছর জেলা ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৩৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন।

নিউজ ট্যাগ: হবিগঞ্জ

আরও খবর