আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

স্ত্রীর পরকীয়ায় প্রেমিককে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে হত্যার এক দিন পরই গ্রেফতার করা হয়েছে স্বামী শরিফ মিয়াকে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহারকৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায়, নবীনগর উপজেলার বাঘাউড়া গ্রামে আতিকুর রহমান সুমন (২৮) নামের এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী গত সোমবার (৪ এপ্রিল) সেহরি খেয়ে নামাজ পড়তে ঘর থেকে বের হওয়ার পরপরই ধারাল ছুরি দিয়ে তার বুকে আঘাত করে পালিয়ে যায় খুনি। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর আসামি গ্রেফতারে অভিযানে নামে পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামের মারফত আলীর ছেলে শরিফ মিয়া (২২) নামের এক যুবককে নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের ব্রাক অফিসের সামনে থেকে গতকাল বুধবার (৬ এপ্রিল) রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ জানান, গতকাল তিনি চট্টগ্রাম ছিলেন। কৌশলে তাকে নবীনগর এনে প্রযুক্তির কল্যানে গ্রেফতার করা হয়েছে, গুলি করে সুমনকে হত্যার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও পোস্টমর্টেম রিপোর্টে এসেছে ছুরিকাঘাত।

গ্রেফতার হওয়া আসামি নিজে স্বীকার করেছেন, নবীনগর বাজার থেকে ৮০ টাকা দিয়ে ছুরিটি কিনেছেন। ওই ছুরি দিয়ে সুমনকে আঘাত করে পালিয়ে যান তিনি। বুধবার রাতেই আসামিকে সাথে নিয়ে বাঘাউড়া গ্রাম থেকে ছুরিটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ওসি আমিনুর রশিদ আরো জানান, নিহত সুমন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আলিপুর গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে। গত কয়েক বছর যাবৎ বাঘাউড়া গ্রামের হাসান মিয়ার বড় বাড়িতে ভাড়া থেকে বাঘাউড়া বাজারে একটি ফার্নিচার দোকান দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছিলেন। এরই সুবাদে স্থানীয় শরিফ মিয়ার স্ত্রী সাথীর সাথে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে তার স্ত্রীর মনোমালিন্য চলছিল। একপর্যায়ে সাথী তার বাবার বাড়ি চলে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফ এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। শরীফ পেশায় চোর বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

নিউজ ট্যাগ: স্বামী গ্রেফতার

আরও খবর



ঈদে ট্রেন যাত্রার তৃতীয় দিনের টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৩য় দিনের মতো ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ঈদ উপলক্ষ্যে ট্রেনে যাত্রা শুরু হবে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এদিন বিক্রি করা হবে আগামী ৫ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট।

এসময় পাওয়া যাবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। পরে দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে বহির্গামী টিকিট সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি।

সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেওয়া কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখী মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল ২৪ মার্চ। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট এবার অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। এর আগে ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৪ মার্চ; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।

নিউজ ট্যাগ: বাংলাদেশ রেলওয়ে

আরও খবর



মজাদার ফুলকপির বিরিয়ানি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ফুলকপি খাওয়ার মজাই আলাদা। ফুলকপি দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবারই বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে। তাই আজকের আয়োজনে থাকছে ফুলকপির বিরিয়ানি রান্নার রেসিপি। বাসায় বসে খুব সহজে তৈরি করতে জেনে নিন, কী কী উপকরণ লাগবে এই রেসিপিতে এবং কীভাবে তৈরি করবেন মজাদার ফুলকপির বিরিয়ানি।

উপকরণ : ছোট করে কাটা ফুলকপি দুই কাপ, বাসমতি বা পোলাওয়ের চাল দুই কাপ, মটরশুটি আধা কাপ, কাঁচামরিচ পাঁচটি, জিরা সামান্য, আদা-রসুন বাটা আধা চা চামচ, হলুদের গুঁড়া সামান্য, গরম মসলা সামান্য, ধনেপাতা কুচি সামান্য, তেল পরিমাণমতো এবং লবণ স্বাদমতো।

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে চাল পানিতে সেদ্ধ করে নিন। এবার একটি প্যানে পানির মধ্যে হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে ফুলকপি দিয়ে দিন। ১০ মিনিট সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে ফুলকপি ধুয়ে ডুবো তেলে বাদামি করে ভেজে নিন। এখন অন্য একটি প্যানে তেল দিয়ে তাতে জিরা, আদা-রসুন বাটা, কাঁচামরিচ ও মটরশুটি দিয়ে ভাজতে থাকুন। এবার এতে ভাজা ফুলকপিগুলো ও সেদ্ধ ভাত দিয়ে দিন। এর ওপরে গরম মসলা ও লবণ ছড়িয়ে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। দুই মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে প্লেটে ঢেলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন দারুণ সুস্বাদু ফুলকপির বিরিয়ানি।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




যে ১০টি বিষয় দেখে বোঝা যাবে ভবন নিরাপদ কিনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে আগুন লেগে প্রায় অর্ধশত মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে বহু। গতবছরও ঢাকায় একাধিক বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ঈদের আগে আগে রাজধানীর বঙ্গবাজারের সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যাতে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এবং অনেক ব্যবসায়ী সর্বশান্ত হয়। এই ঘটনার কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার এবং বছর শেষে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে দেশে ৭৭টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে এবং তাতে কয়েকশত মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন।

আগুন নেভানোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমূহ কী কী বা, নিজের প্রিয়জনদের নিয়ে কোনও ভবনে প্রবেশের আগে একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে বুঝবেন যে ভবনটি তাদের জন্য নিরাপদ কি-না; এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা শহরের অন্তত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং আগুন নেভানোর জন্য সেসব ভবনে কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। তাই, খাওয়া-দাওয়া বা ঘোরাঘুরি, যে কোনও প্রয়োজনেই কোনও ভবনে প্রবেশ করার আগে ঐ ভবনটি কতটা নিরাপদ, তা যতটা সম্ভব যাচাই করে নেয়ার পরামর্শ দেন তারা। যেসব বিষয় যাচাই করে ভবনে প্রবেশ করবেন।

১. একটা ভবন কতটা নিরাপদ সহজ বোঝার জন্য ভবনের সামনে নিরাপত্তা সনদ বা সার্টিফিকেট প্রদর্শন করা আছে কি-না, তা দেখে ওই ভবনে প্রবেশ করা।

২. কোনো জনাকীর্ণ ভবনের প্রবেশদ্বার যদি তিন মিটারের কম হয়, তাহলে সেখানে প্রবেশ করার আগে ভাবা উচিৎ। জনাকীর্ণ স্থানসমূহের মাঝে আছেরেস্টুরেন্ট, মসজিদ, গীর্জা, হাসপাতাল, এমনকি স্কুলও। এই ধরনের স্থানে একসঙ্গে অনেক মানুষ প্রবেশ করে এবং বের হয়। এছাড়া, বাণিজ্যিক ভবনে বিভিন্ন অফিস থাকায় সেসব স্থানও সবসময় লোকে লোকারণ্য থাকে।

৩. আগুন লাগার পর একটা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য ভবনে মূলত দুইটা জিনিস থাকা দরকার। পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং অ্যালার্ম সিস্টেম। আর কিছুর দরকার নাই। কোনও শপিংমল, হাসপাতাল বা রেস্টুরেন্টে পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং ফায়ার অ্যালার্ম না থাকলে সেখানে যাবেন না।

৪. একটি আদর্শ ভবনে দুই ধরনের সিঁড়ি থাকে। একটি দিয়ে সবসময় চলাচল করা হয়। অন্যটি দিয়ে জরুরি অবস্থায় আত্মরক্ষার জন্য বের হওয়া যায়। সেজন্য একে বলা হয় জরুরি বহির্গমন পথ। আগুন লাগলে একে অগ্নি নির্গমন পথও বলা হয়। আবাসিক ভবন ছাড়া অন্য কিছু হলে সেই ভবনের প্রত্যেক তলায় অগ্নি নির্গমন পথ থাকতে হবে।

৫. কোনো ভবনে আগুন লেগেছে এবং সেই ভবনে পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং আলাদা অগ্নি নির্গমন পথও রয়েছে। কিন্তু সব থাকার পরও আগুনের মাঝে পড়লে সাধারণত মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়। তাড়াহুড়োর কারণে ঘটনাস্থল থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পায় না। সেজন্য ভবনে আগুন লাগলে (বিদ্যুৎ থাকুক বা না থাকুক) জরুরি বহির্গমনের দিকে যাওয়ার পথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলো জ্বলে ওঠার ব্যবস্থা থাকতে হবে। অগ্নি চলাকালীন সময়ে জ্বলে উঠে, এমন এক্সিট সাইন এবং ডিরেকশন থাকতে হবে।

৬. আগুন নেভানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেটিকে ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বলা হয়। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোতে উচ্চচাপে রক্ষিত তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকে। আগুন লাগলে এই যন্ত্র থেকে স্প্রে আকারে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে আগুন নেভানো হয়। একটি নিরাপদ ভবনে অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে অগ্নি নির্বাপন সিলিণ্ডার বা ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।

৭. একই ভবনকে একাধিক কাজে ব্যবহার করাকে ভবনের মিশ্র ব্যবহার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন, একটি ভবনে যদি মানুষের বাসাবাড়ি, অফিস, এমনকি রেস্টুরেন্ট থাকে; তাহলে সেটিকে বহু কাজে ব্যবহৃত ভবন হিসেবে ধরা হয়। এসব ভবন নিরাপদ নয়।

৮. উপরের বিষয়গুলো সাদা চোখে দেখে বুঝে নেয়া যায় যে ভবনটি নিরাপদ কি-না। কিন্তু কিছু বিষয় আছে, যা সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে পড়বে না। কিন্তু ভবনের নিরাপত্তার জন্য সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ। অগ্নি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব) আলী আহমেদ খান বলেন, ভবনের ডাক্ট লাইন ও ক্যাবল হোল সিল করা গুরুপূর্ণ।

৯. আগুন নেভানোর জন্য একটা প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা হচ্ছে স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম। এটি একটি ভবনের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকে। কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৫৭ ডিগ্রির বেশি হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিস্ফোরিত হয়ে পানি ছিটিয়ে দেয়। ফলে আগুন নিভে যায়। সাধারণত বড় বড় বাণিজ্যিক বা কারখানা ভবনে সাধারণত এগুলো ব্যবহার করা হয়। তবে বর্তমানে কিছু কিছু আবাসিক ভবনেও এগুলোর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

ভবনে আগুন লাগার পর মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য সেখানে সিঁড়ি এবং অ্যালার্ম সিস্টেম সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু সম্পত্তি রক্ষার জন্য সেখানে পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে বা স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম থাকা লাগবে।

১০. কোনও ভবনে গ্লাস দিতে হলে সেটার ড্রয়িং এবং ডিজাইন পরিবর্তন করতে হবে। স্মোক এলে যেন তা অটোমেটিক্যালি বের হতে যেতে পারে। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ওই গ্লাসের জন্য ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। ধোঁয়া ভেতরে ঢুকে গেছে, আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। সেখানে কোনো ভেন্টিলেশন ছিলো না। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের নকশা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা একদমই আলাদা। তাই কোনো ভবনে প্রবেশের আগে তার শুরুর ইতিহাস এবং উদ্দেশ্য জেনে নেয়া গেলে নিজেকে অনেকাংশে নিরাপদে রাখা সম্ভব।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




চলতি বছরে পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালাবে ইরান

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছরের শেষের দিকে পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালাতে পারে ইরান বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষদের সাবেক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই দাবি করা হয়।

রবার্ট গ্রিনওয়ে নামের সাবেক ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, এ বছর এক বা একাধিক পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালাবে ইরান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবার্ট গ্রিনওয়ে বর্তমানে ওয়াশিংটনের হেরিটেজ ফাউন্ডেশনে সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত।

তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে যথেষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে না। এই সুযোগে ইরানের রায়িসি প্রশাসন তাদের পরমাণু বোমা তৈরির উদ্দেশ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইরান সফলতা থেকে মাত্র এক চুল দূরে রয়েছে।

ফক্স নিউজের লাইফ, লিবার্টি অ্যান্ড লেভিন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তার সঙ্গে সম্মতি প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানের হোস্ট মার্ক লেভিন। তিনি বলেন, এ নিয়ে গণমাধ্যম ও কেন্দ্রীয় কর্মকর্তাদের মধ্যেও উদ্বেগ জাগ্রত হওয়া উচিত।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইরানের এখন সাতটি পরমাণু বোমা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। এখন এই বোমা কি করে আইসিবিএম-এর মাথায় বসিয়ে নিক্ষেপ করা যায় তার উপর তাদের সফলতা নির্ভর করছে।

লেভিন বলেন, একদিন আমরা হঠাৎ জেগে উঠব আর বলব হায় হায় ইরানের দেখি সাতটি পরমাণু বোমা আছে! কিন্তু এ নিয়ে হোয়াইট হাউস থেকে আমি কিছু শুনতে পাচ্ছি না।

সেখানে কাজ করেন কোট-আনকোট এডমিরাল জন কিরবি। তার উচিত মার্কিন জনগণকে জানানো আসলে তাদের সামনে কি অপেক্ষা করছে।

গ্রিনওয়ে বলেন, কিছু বিশ্লেষক মনে করেন- ইরান এরইমধ্যে এই পরমাণু বোমা দিয়ে কীভাবে ইসরায়েলসহ ইউরোপে আঘাত হানা যায়, তা নিয়ে কাজ করছে। উত্তর কোরিয়ার কোনও মিসাইল দিয়ে ইরান এই পরমাণু বোমা হামলা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।


আরও খবর



গাজায় ইসরায়েলি হামলা: এক বাড়িতেই নিহত ৩৬

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের কাছে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এক বাড়িতেই ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, শনিবার (১৬ মার্চ) মধ্য গাজার পশ্চিমাঞ্চলে নুসিরাত শরণার্থী ক্যাস্পের কাছে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নারী ও শিশুসহ এক বাড়িতেই ৩৬ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তঃস্বত্তা নারীও রয়েছেন।

ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এই গণহত্যার জন্য মার্কিন প্রশাসন, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দায়ী।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসরায়েলের অব্যাহত আক্রমণ ঠেকাতে বিরল বৈঠক করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠি হুতি ও গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গত সপ্তাহে এ দুটি সংগঠনের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্র এএফপিকে বলেছে, বৈঠকে গাজা যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কীভাবে সমন্বিত আক্রমণ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে কোথায় এ বৈঠক হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বৈঠকে রাফায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য অভিযান নিয়েও ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর সঙ্গে হুতিদের আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতাহিয়হু জানান, তিনি রাফাহতে অভিযানের জন্য সামরিক বাহিনেকে অনুমোদন দিয়েছেন।

গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। নির্বিচার হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছে ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আর ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দারা প্রায় সবাই ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে রোজা। তাতেও হামলা কমেনি।


আরও খবর