আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

স্ত্রী ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে নওয়াজউদ্দিনের মানহানির মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সিনেমার বাইরে পারিবারিক কোন্দল নিয়েই সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। একদিকে স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকী, অন্যদিকে ভাই শামসুদ্দিন- নওয়াজকে নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনছেন তারা। এবার তাদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও মানহানির ১০০ কোটি রুপির মামলা দায়ের করলেন নওয়াজ। 

নওয়াজউদ্দিনের পক্ষে এই মামলা দায়ের করেছেন তার আইনজীবী সুনীল কুমার। আগামী ৩০ মার্চ বিচারপতি রিয়াজ ছাগলার বেঞ্চে এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। মামলায় বলা হয়েছে, মানহানির জন্য লিখিতভাবে দ জনকে ক্ষমা চাইতে হবে সেই সঙ্গে তারা যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু প্রকাশ আর না করেন যা তার জন্য মানহানিকর।

মামলায় দাবি করা হয়েছে, অভিনেতার ভাই শামসুদ্দিন কর্মহীন ছিলেন তাই তাকে নিজের ম্যানেজার হিসেবে চাকরি দেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। সেই সুযোগে অভিনেতার সঙ্গে প্রতারণা করেন শামসুদ্দিন। অভিনেতার অর্থ দিয়ে যৌথ মালিকানায় একের পর এক সম্পত্তি কেনেন। তারই প্রতিবাদ করায় বিরক্ত হন অভিনেতার ভাই। এরপর আলিয়াকে অভিনেতার বিরুদ্ধে উত্যক্ত করে তোলেন।


আরও খবর



বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকা সাত নম্বরে

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। অন্যদিকে, রাজধানী ঢাকা রয়েছে সাত নম্বরে। বুধবার (১৩ মার্চ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৩৩ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

তালিকার শীর্ষে থাকা লাহোরের স্কোর ২৯৪ অর্থাৎ সেখানকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর। এরপর রয়েছে ভারতের দিল্লি। শহরটির স্কোর ১৯৮ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ। এই শহরটির স্কোর ১৭১ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়। পঞ্চমে ইরানের তেহরান এবং ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন। সপ্তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা এবং এই শহরটির স্কোর ১৬০ অর্থাৎ এখানকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর
ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে জুড়ি উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে মখলিছ মিয়ার বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। একই পরিবারের শিশুসহ পাঁচ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়ায় গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

নিহতরা হলেন- ফয়জুর রহমান (৫২), শিরি বেগম (৪৫), সামিয়া (১৬), সাবিনা (১৩) ও সায়েম উদ্দিন (৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বসতঘরের ওপর পরলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোনিয়া আক্তার (৬) নামে এক শিশু আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইনুদ্দিন বলেন, মরদেহগুলো জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



যে যুগে ওজন কমাতে ফিতা কৃমি খেতেন নারীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

যুগে যুগে ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন অদ্ভুত ডায়েট অনুসরণ করেন নারীরা। তেমনি একটি হলো টেপওয়ার্ম ডায়েট বা ফিতা কৃমির ডায়েট! উনিশ শতকের শুরুতে এই ডায়েট নিয়ে বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হতো।

এই ডায়েটে ফিতা কৃমির ডিম ভর্তি একটি বড়ি খাওয়া হতো। এই ডায়েটের তত্ত্ব ছিল, পেটে গিয়ে ডিমগুলো ফুটে কৃমি জন্মাবে। অন্ত্রের ভেতর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিয়ে ধীরে ধীরে বড় হবে কৃমিগুলো, একপর্যায়ে বংশ বিস্তারও করবে। আর যারা এই ডায়েটে রয়েছেন তাঁরা যত খুশি খেতে পারবেন, কিন্তু মোটা হবেন না। এই ডায়েট করলে ওজন কমতো, কিন্তু ডায়রিয়া ও প্রচুর বমি হতো।

তখনকার নারীরা কাঙ্ক্ষিত ওজনে পৌঁছে গেলে কৃমিনাশক ওষুধ খেতেন। কিন্তু তার আগেই পেট ও মলদ্বারের ক্ষতি হয়ে যেত, ফলে পরবর্তীতে নানা জটিলতা দেখা দিত।

এই ডায়েট অনেক দিক দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ। একটি ফিতা কৃমি দৈর্ঘ্যে ৩০ ফুট (৯ মিটার) পর্যন্ত বাড়তে পারে। এই ডায়েট মাথাব্যথা, চোখের সমস্যা, মেনিনজাইটিস, মৃগীরোগ এবং ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রষ্ট)সহ অনেক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

এই কৃমি মস্তিষ্কে পৌঁছে গেলে স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও। কৃমির কারণে মস্তিষ্কে পানিও জমতে পারে ও সিস্ট (জলকোষ) হতে পারে। সিস্ট হলে অপারেশনও করতে হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে শুধু কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে কাজ হয় না। প্রদাহ বা খিঁচুনি কমানোর ওষুধও দিতে হয়।

এ ছাড়া কৃমি হলে কিছু মানুষের কার্বোহাইড্রেট (শর্করা) আসক্তি অনেক বেড়ে যায়। অন্ত্রের কৃমিগুলোর জন্য পুষ্টি সরবরাহ করার পরও প্রচুর শর্করা উদ্বৃত্ত থাকে। ফলে ওজন বাড়ে।

খাদ্য ইতিহাসবিদ অ্যানি গ্রে বলেন, উনিশ শতকের সময় ডায়েটিং একটি বড় বাণিজ্যে পরিণত হয়েছিল। ব্যাপক বিজ্ঞাপন ডায়েট পণ্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছিল। প্রচুর ডায়েট পণ্য বিক্রি হচ্ছিল। সেলিব্রিটি ও গণমাধ্যমের প্রসার সেসময় ডায়েট শিল্পের উন্নতিতে ভূমিকা রাখে।

অনেক বছর পর বিশ শতকের জনপ্রিয় মার্কিন অপেরা গায়িকা মারিয়া ক্যালাস ওজন কমানোর জন্য এ ধরনের পরজীবী খেয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীতে অনেকে বলেছেন, এটি শুধুই গুজব!

মেঝে থেকে ভাঙা কাচের টুকরো পরিষ্কারের সহজ উপায়

কাচের কোনো জিনিস মেঝেতে পড়ে গেলে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে যায়। এসব ছোট ছোট টুকরো খালি চোখে দেখতে পাওয়া কঠিন। এগুলো পুরোপুরি সরিয়ে না ফেললে পায়ের তালুতে বিঁধে যেতে পারে। শিশুদের গায়েও বিঁধতে পারে। টর্চ জ্বালিয়ে খুব সহজেই এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাচের টুকরাগুলো শনাক্ত করে সরিয়ে ফেলা যায়।

কাচের টুকরো শনাক্তে টর্চ

কাচের জিনিস মেঝেতে পড়ে ভেঙে গেলে সাবধানে নড়াচড়া করতে হবে। ঘরে অন্য কাউকে প্রবেশ করতে না দেওয়াই ভালো। এরপর প্রথমে ঘরটিকে অন্ধকার করতে হবে। অন্ধকার করার পর মেঝের দিকে টর্চ তাক করলে কাচের টুকরাগুলো জ্বলজ্বল করবে। সেই সঙ্গে মেঝেতে টুকরোগুলোর বিপরীতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছায়া পড়বে। কাচের টুকরাগুলো ভালোমতো দেখতে সাবধানতার সঙ্গে মেঝের দিকে যতটা সম্ভব ঝুঁকতে হবে।

ভাঙা কাচের টুকরো নিরাপদে পরিষ্কার করতে

হাতে রাবার অথবা মোটা চামড়ার গ্লাভস পরে নিতে হবে। টর্চ ব্যবহার করে ছোট ছোট কাচের টুকরো শনাক্ত করার আগে সাবধানে বড় টুকরোগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। ঝাড়ু ব্যবহার না করাই ভালো। এতে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম টুকরোগুলো ঝাড়ুতে লেগে যাবে এবং পরে ঝাড়ুটি ব্যবহারের সময় মেঝেতে আবার কাচের টুকরা ছড়িয়ে যাবে।

তাই সাবধানতার সঙ্গে বড় টুকরোগুলো হাত দিয়ে সরিয়ে ফেলাই ভালো। এরপর বাকি ক্ষুদ্র টুকরোগুলো শনাক্ত করে সরিয়ে ফেলতে হবে।

পাউরুটি ব্যবহার করে

পাউরুটির একটি স্লাইস ব্যবহার করে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কাচগুলো পরিষ্কার করা যায়। এ জন্য টর্চ জ্বালায়ে রাখা অবস্থায় হাতে গ্লাভস পরে কাচের টুকরোগুলোর ওপরে পাউরুটির টুকরো চেপে ধরতে হবে। এতে পাউরুটিতে কাচের টুকরোগুলো লেগে যাবে।

আলু ব্যবহার করে

ঘরে পাউরুটি না থাকলে বড় আকারের আলু ব্যবহার করেও কাচের টুকরো পরিষ্কার করা যায়। এ জন্য একটি আলু অর্ধেক করে কাটতে হবে। সেই আলুর অর্ধেক কাটা অংশ কাচের ওপরে চেপে ধরতে হবে। এতে কাচগুলো আলুর সঙ্গে উঠে যাবে।

ভেজা টিস্যু

টাওয়েল বা টয়লেট টিস্যু ভিজিয়ে কাচের টুকরোগুলোর ওপর রাখলে সেগুলো টিস্যুতে লেগে যাবে। আর এভাবে কাচের টুকরোগুলো সহজেই পরিষ্কার করা যাবে।

টেপ ও লিন্ট রোলার

টেপ (স্কচ টেপও হতে পারে) ও লিন্ট রোলার ব্যবহার করেও মেঝে থেকে কাচের টুকরো পরিষ্কার করা যায়। লিন্ট রোলার হলো একধরনের আঠালো টুল যা বিভিন্ন স্থানে ঝরে পড়া পোষা প্রাণীর লোম পরিষ্কারে ব্যবহার করা হয়।

এসব পদ্ধতি ব্যবহার করার পরেও দ্বিতীয়বার টর্চ জ্বালিয়ে নিশ্চিত হতে হবে, যেন কোনো কাচের টুকরো বাদ না পড়ে।

সতর্কতা: এসব পদ্ধতি ব্যবহার করার সময় অবশ্যই পায়ে জুতা বা স্যান্ডেল ও হাতে গ্লাভস পরতে হবে। আর কাচসহ পাউরুটি বা আলুর টুকরাগুলো এমন স্থানে ফেলতে হবে যেন শিশু ও পোষা প্রাণীর নাগালের বাইরে থাকে।


নিউজ ট্যাগ: ফিতা কৃমি

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




সাংবাদিক হয়রানির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

প্রশাস‌নিক ক্ষমতার অপব‌্যবহার ক‌রে শেরপু‌রের নকলার পর লালম‌নিরহা‌টে সাংবা‌দিক‌দের হয়রা‌নির প্রতিবা‌দে কু‌ড়িগ্রা‌মে মানববন্ধন অনু‌ষ্ঠিত হ‌য়ে‌ছে। শুক্রবার সকা‌লে জেলা শহ‌রের ক‌লেজ‌ মো‌ড়ে কু‌ড়িগ্রাম সাংবা‌দিক ফোরাম এ মানববন্ধ‌নের আ‌য়োজন ক‌রে।

সাংবা‌দিক আব্দুল কা‌দে‌রের সভাপ‌তি‌ত্বে মানববন্ধ‌নে বক্তব‌্য রা‌খেন সাংবা‌দিক তাম‌জিদ হাসান তুরাগ, আরিফুল ইসলাম রিগান, বুলবুল আহ‌মেদ, রাজু আহ‌মেদ, রাশেদুজ্জামান তৌ‌হিদ, আব্দুল্লাহ মুজা‌হিদ সা‌হেদ, মাসুদ রানা, ক‌ল্লোল রায় প্রমুখ।

বক্তারা দে‌শের বি‌ভিন্ন স্থা‌নে সাংবা‌দিক হয়রা‌নির প্রতিবাদ জা‌নি‌য়ে ব‌লেন, গণমাধ‌্যম জনগ‌ণের মুখপাত্র। সাংবা‌দিকরা জনগ‌ণের প‌ক্ষে ক্ষমতাসীন‌দের জবাব‌দি‌হি নি‌শ্চিত কর‌তে কাজ ক‌রেন। কিন্তু কিছু সরকা‌রি কর্মচা‌রি নি‌জে‌দের জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে ম‌নে ক‌রেন। তারা নি‌জে‌দের অপকর্ম প্রকাশ হওয়ার ভ‌য়ে সাংবা‌দিক দেখ‌লেই ক্ষে‌পে যান। ক্ষমতার অপব‌্যবহার ক‌রে বি‌ভিন্ন ভা‌বে হয়রা‌নি করার চেষ্টা ক‌রেন। বক্তরা সাংবা‌দিক‌দের সকল ধর‌ণের হয়রা‌নি ব‌ন্ধের দা‌বি জানান।

বক্তরা আরও ব‌লেন, যখনই কোনও সরকা‌রি কর্মচা‌রির বিরু‌দ্ধে সাংবা‌দিক হয়রা‌নি ও নির্যাত‌নের অভি‌যোগ ওঠে তখন ব‌্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস, বদ‌লি বা প্রত‌্যাহার ক‌রে প‌রি‌স্থি‌তি সাম‌লে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত কর্মচা‌রি‌দের অইনের আওতায় আনা হয় না। সম্প্রতি শেরপু‌রের নকলা ও লালম‌নিরহা‌টে সাংবা‌দিক হয়রা‌নি তারই সর্বশেষ দৃষ্টান্ত। বক্তরা হয়রা‌নি বন্ধ ক‌রে স্বাধীন সাংবা‌দিকতার প‌রি‌বেশ নি‌শ্চিত করার দা‌বি জানান।

কু‌ড়িগ্রাম সাংবা‌দিক ফোরা‌মের আহ্বায়ক আব্দুল কা‌দের ব‌লেন, হয়রা‌নির বন্ধ ক‌রে সাংবা‌দিক সুরক্ষা আইন তৈ‌রি কর‌তে হ‌বে। এজন‌্য সারা দে‌শের সাংবা‌দিক‌দের ঐক‌্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তি‌নি।


আরও খবর



পটুয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১২নং বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু জাফর হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন সাত ইউপি সদস্য।

সোমবার (২৫ মার্চ) জেলা প্রশাসক কার্যালয় বিঘাই ইউনিয়নের সদস্য মাঈনুল আহসান জিয়া, মো. জামাল হোসেন মিন্টু মৃধা, মো. মিজানুর রহমান, মো. জামাল হোসেন হাওলাদার, মো. কাওসার আকন, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মোসা. বিউটি বেগম ও মোসা. মনিরা আক্তার মিলে অনাস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জেলেদের ৮০ কেজির পরিবর্তে ৬০ কেজি চাল দেয়া, টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ বেশ কিছু প্রকল্প সম্পর্কে ইউপি সদস্যদের অবহিত না করাসহ বেশকিছু বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে আবেদনে। অভিযোগের বিষয় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের উপস্থিতিতে প্রতি জেলেকে ৮০ কেজি করেই চাল বিতরণ করছেন চেয়ারম্যান আবু জাফর হাওলাদার।

তবে এ বিষয় কথা হলে উপস্থিত জেলেরা বলেন, আসলে ওই সকল ইউপি সদস্যরা তাদের নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই আমাদের ৮০ কেজির পরিবর্তে ৬০ কেজি চাল বিতরণ করতে বলেছিলো। কিন্তু চেয়ারম্যান বিষয়টি না মানায় তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়েই মূলত তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে কতিপয় স্বার্থলোভী ইউপি সদস্য।

বড়বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু জাফর হাওলাদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আসলে টিসিবির মালামাল প্রকৃত কার্ড ধারিরা পেতো না কারন ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন লোকের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে ছাড়িয়ে নিতো। যা তারা বাহিরে বিক্রি করত। আর এসবে বাঁধা দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনেন তারা।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর