আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সঠিক উপায়ে ইনডোর প্লান্টের যত্ন নিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শহুরে জীবনে একটু সবুজের ছোঁয়া পেতে ঘরের কোণে অনেকেই ইনডোর প্লান্ট লাগান। জায়গার স্বল্পতায় শহরের সবুজপ্রেমীরা বাগান করার স্বাদ ইনডোর প্লান্টের মাধ্যমেই মিটিয়ে থাকেন। এতে ঘরের ভেতর বা বেলকনিই একমাত্র জাগয়া হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্লান্ট পাওয়া যায়। তাই ঘর সাজাতে ইনডোর প্লান্টের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সঠিক যত্নের অভাবে সেগুলো বেড়ে উঠতে পারছে না।

ইনডোর প্লান্ট ভালো রাখার জন্য সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন। যেহেতু ইনডোর প্লান্ট ঘরের ভেতরে থাকে, তাই বাগানে বেড়ে ওঠা গাছের পরিচর্যার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এসব বিষয় জানা থাকলে আপনার ঘর বা বেলকনিই হয়ে উঠতে পারে এক টুকরো সবুজ বাগান। যা আপনার মনে আনন্দ এনে দেবে। ইনডোর প্লান্ট ভালো রাখতে প্রথমে পানি দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়ম মেনে গাছে নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি দিতে হবে। বেশি পানি গাছের ক্ষতি করে। খেয়াল রাখতে হবে, অনেক সময় ধরে গাছের গোড়ায় যেন পানি জমে না থাকে। এতে গোড়ায় পচন ধরতে পারে। প্রতিদিন পানি না দিলেও চলবে। বিশেষ করে বর্ষাকালে পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সতর্ক থাকতে হবে।

প্লান্টের টবের মাটি দেখে বুঝতে হবে গাছে পানির আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা। গাছে পানি দেওয়ার আগে হাত দিয়ে মাটি চেপে চেপে দেখুন। ভেজা ভাব থাকলে পানি দেওয়ার দরকার নেই। আরও একটি সহজ উপায় আছে, একটা লম্বা সুচ টবের মাটিতে ঢুকিয়ে তুলে আনুন। যদি সুচের গায়ে ভেজা মাটি লেগে থাকে তাহলে বুঝবেন আর পানি দেওয়ার দরকার নেই। ইনডোর প্লান্টে পানি দেওয়ার সঠিক সময় সকাল ও বিকেল বেলা। এই সময় রোদের তেজ কম থাকে। গ্রীষ্মকালে গাছে বেশি পানি দিতে হয়। তবে পানি খুবই ধীর গতিতে দিতে হবে। সবসময় খেয়াল রাখতে হবে টবের মাটি যেন কখোনোই শুকিয়ে না যায়।

ঘরের যেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস রয়েছে, তেমন জায়গায় গাছ রাখুন। খুব অন্ধকার ঘর কিংবা যেখানে বেশি রোদ আসে, তেমন জায়গায় না রাখাই ভালো। গাছের নতুন চারা অবশ্যই বারান্দায় বা যেখানে আলো-বাতাস আসে, সেখানে রাখুন। এতে চারা ঠিকমতো বাড়বে। গাছে ফাঙ্গাসও হবে না। যেখানে এসি চলে এমন ঘরে গাছ না রাখাই ভালো। এতে সহজে গাছের পাতা ঝরে পড়ে। গাছ অতিরিক্ত রোদ পেলে অনেক সময় পাতার সামনের অংশ শুকিয়ে কুঁকড়ে যায়।

এছাড়া গাছের ফুল বা পাতার রং হালকা হয়ে যেতে পারে। এ রকম হলে গাছ সরাসরি রোদে না রেখে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় সরিয়ে রাখুন। অনেক সময় বেশি সার দেওয়ার ফলে গাছের চারা খুব তাড়াতাড়ি বাড়লেও কাণ্ড হলুদ হয়ে যায়। হঠাৎ করে গাছ নেতিয়ে পড়ে। এ রকম ক্ষেত্রে দিনে কয়েকবার গাছের গোড়ায় পানি দিন। সার ধুয়ে বেরিয়ে গেলে সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। ঝরে পড়া ফুল, শুকনো পাতা টবের মধ্যে যেন জমে না থাকে। টব সব সময় পরিষ্কার রাখুন। এতে গাছ ভালো থাকবে। গাছের পাতায় ধুলো বা ঝুল জমলে শুকনো সুতির নরম কাপড় বা স্পঞ্জ দিয়ে হালকা হাতে পাতাগুলো মুছে দিন। গাছে ছোটছোট অনেক পাতা থাকলে স্প্রে বোতলে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে দিতে হবে। এসব নিয়ম মেনে চললে ইনডোর প্লান্ট অনেক দিন ভালো থাকবে।

নিউজ ট্যাগ: ইনডোর প্লান্ট

আরও খবর
লম্বা ছুটির পর আজ ব্যাংক খোলা

সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪




বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেলো চারজনের

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটের জৈন্তাপুরে পিকআপ ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দরবস্তে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলেন উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি গ্রামের সন্তোষ পাত্রের মেয়ে মঙ্গলী পাত্র (৫০), নন্দ পাত্রের স্ত্রী সাবিতি পাত্র, কৃষ্ণ পাত্রের স্ত্রী সুষ্মিতা পাত্র, সুকেন্দু পাত্রের ছেলে ঋতু পাত্র।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দরবস্ত এলাকায় সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পিকআপ ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।

নিহতের স্বজনরা জানান, পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চিকনাগুল থেকে উপজেলার মোকামপুঞ্জি যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পর সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয়রা। পরে প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে স্থানীয় জনতা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।


আরও খবর



ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক নিতে (আমদানি) ব্রাজিলকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (এপ্রিল ৮) সকালে গণভবনে সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমিত আকারে তৈরি পোশাক রফতানি করছে। ব্রাজিল যদি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক আমদানি করে সেটা তাদের জন্য আরও সাশ্রয়ী হবে। দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্কে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য বিশেষ করে পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য আমদানি করতে ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

আসন্ন জি টুয়েন্টি সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।

ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা দেশটির প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ব্রাজিল সফরে সম্মত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ব্রাজিল তার আর্থ-সমাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ব্রাজিল উভয় দেশই ক্ষুধা-দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফরমে বিভিন্ন ইস্যুতে একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

বৈঠকে প্যালেস্টাইন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে নৃশংসতা চালাচ্ছে সেটা গণহত্যা।

বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ব্রাজিলের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম সংবলিত ব্রাজিলের একটি জার্সি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সাক্ষাতকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

আরও খবর



অস্থির আলুর বাজার, কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর অস্থির হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। কেজিতে ১২-১৫ টাকা বেড়ে আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরিতে ঠেকেছে। এর নেপথ্যে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে অভিযোগ করেছেন দোকানদার ও ক্রেতারা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ক্রেতারা বলছেন, আলুর বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই সময় সাধারণত আলু ২০ টাকা কেজি থাকার কথা। কিন্তু সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। অথচ সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ২৯ টাকা। 

কচুক্ষেত্র বাজারের আলু বিক্রেতা আমিনুল বলেন, রমজানের আগে থেকে বাড়তি দামে আলু বিক্রি করছি। এখন আলুর মৌসুম। তারপরও আলু বিক্রি করছি ৪৫-৪৮ টাকা। কোথাও ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি করছে। তিনি বলেন, শুধু ঈদের ছুটিতে প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। বাজারের এই অস্থিরতার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ তার।

আলু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মৌসুমের শুরুতেই দাম ৫০ টাকা হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মজুতদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিতিশীল করছেন বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবিও করেন তারা।

জয়নাল নামের এক ক্রেতার অভিযোগ, ঈদের আগে ৩৮ টাকার আলু এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা ছাড়িয়ে। হঠাৎ করে আলুর দাম ১২ টাকা কেজিতে বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।

আলুর দরে অস্থির হলেও অন্যান্য সবজির দাম বাড়েনি। বরং ঈদের পর কিছু সবজির দাম কমেছে। বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, চিচিংগা ৫০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁচা পেপে ৫৫ টাকা, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া ৩২ টাকা কেজি, সব ধরনের বেগুন ৫৫-৬০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক আগে দরে ১০ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে। লেবু ৪০-৪৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে স্বস্তি টমোটতে। শেষ সিজনে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। গাজর ৮০-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা বান্ডিল, কচুর মুখি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

ঈদের পর মাছের দাম একটু চড়া। ঈদের ছুটি ও সরবরাহ কম থাকার সব ধরনের মাছের দাম কেজি ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। দেশি রুই ঈদের পর ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩৫০-৩৬০ (মিডিয়াম) টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই কেজির বেশি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। একইভাবে কাতলা মিডিয়াম ৩৮০-৩৯০, পাংগাস ২২০ টাকা, সরপুঁটি ২৪০, তেলাপিয়া ২৪০, টেংরা দেশি ৫৫০-৫৭০ টাকা, দেশি মিক্স মাছ ৩৮০-৩৯০ টাকা, কই মাছ ৩৯০, পাবদা ৪৩০ টাকা, গলদা চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, ছোট ও মাঝারি বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর মলা মাছ ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর
লম্বা ছুটির পর আজ ব্যাংক খোলা

সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪




সেপটিক ট্যাংকে নেমে প্রাণ হারালেন ৩ শ্রমিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) নাসিরনগর গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে একজনের নাম আলম মিয়া। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গুটমা বাজারের পাশে আহাদ মিয়া নামের এক ব্যক্তির ভবনে কাজ করতেন ওই শ্রমিকরা। সকালে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের কাঠের মাচা খুলতে ট্যাংকে নামেন ওই তিন জন। পরে তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। এ সময় শ্রমিকদের নিথর দেহ দেখতে পান তারা।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা জানান, আমরা ধারণা করছি গ্যাসের কারণে এমনটা হতে পারে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা পরবর্তীতে বলা যাবে।


আরও খবর



ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবোল-তাবোল বলছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি। তাই এখন তারা আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে 'স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর বেগম জিয়া এবং তার পুত্রসহ পাকিস্তানে ক্যান্টনমেন্টে আরাম-আয়েশে থাকে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর। এটি যখন আজকে পরিষ্কার হয়ে গেছে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিধায় তারা এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। জিয়াউর রহমানের মতো খলনায়ককে আজকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর মিথ্যাচার করেছে। ৭৫-এর পরের প্রজন্মকে তারা (বিএনপি) স্বাধীনতার আসল ইতিহাস জানতে দেয়নি। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ নতুন ইতিহাস জানতে পেরেছে।

জিয়াউর রহমান যে প্রকৃতপক্ষে একজন খলনায়ক ছিল সেটিও মানুষ জানতে পেরেছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ এনে তিনি আরও বলেন, সারা দেশে প্রতিদিন চোর, ডাকাত, পকেটমার, হাইজাকারসহ তিন-চার হাজার আসামি ধরা পড়ে। ওসব আসামিকে বিএনপির মহাসচিব বিএনপিকর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে চান কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তিনি এখন অনেক লম্বা লম্বা কথা বলেন অথচ তার পিতা মুমিন খান '৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন; তিনি (মুমিন খান) চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খাদ্যভর্তি জাহাজ ফিরিয়ে দিয়ে দেশে দুর্ভিক্ষ লাগাতে সহায়তা করেছেন। পরবর্তীতে তাকে জিয়াউর রহমান উপদেষ্টা নিযুক্ত করে সেই পুরস্কার দিয়েছিল।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকারী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ ও চিকিৎসক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর