আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

স্থানীয় নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image
২০০৮ এর নির্বাচনে জোটবদ্ধ আওয়ামী লীগের ভূমিধ্বস বিজয়ের পর দলটি টানা তিনটি মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এতটা দীর্ঘ সময় কোন ব্যক্তি বা দল রাষ্ট্র পরিচালনা করে নাই

১৩ অক্টোবর তারিখে বাংলা ট্রিবিউনের একটি খবরে চোখ আটকে গেল। শিরোনাম: নৌকা পেল বিতর্কিত অনেকে, তৃণমূলের ক্ষোভ।এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার এটাই মোক্ষম সময়। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন। এখন চলছে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি। নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতিতে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যেহেতু এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলীয় প্রতীকের ব্যবহার শুরু হয়েছে। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন আগামী সাধারণ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করবে।

সাধারণ দৃষ্টিতে ভোটের মাধ্যামে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের মতো সাংগঠনিক সক্ষমতা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ব্যতীত আর কোন দলের নাই। ২০০৮ এর নির্বাচনের পর বিএনপিও তার সাংগঠনিক শক্তি অনেকাংশেই হারিয়ে ফেলেছে। ১৩ বছরে তাদের কর্মকাণ্ডই মূলত তাদের এই অবস্থার জন্য দায়ী। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া বন্ধ রেখে তারা রক্ষণাত্মক রাজনীতির পথে হাঁটছে। তাই আমরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে পারি।

২০০৮ এর নির্বাচনে জোটবদ্ধ আওয়ামী লীগের ভূমিধ্বস বিজয়ের পর দলটি টানা তিনটি মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এতটা দীর্ঘ সময় কোন ব্যক্তি বা দল রাষ্ট্র পরিচালনা করে নাই। আগামী নির্বাচনেও জয়ী হয়ে দলটি আবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চাইছে, এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু বর্তমান স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে দলটির ভূল, আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সক্ষমতায় হয়তো কোন চিড় ধরাতে পারে।

টানা তের বছর ক্ষমতায় থাকায় তৃণমূলের নেতৃত্বে একটা ঢিলেমী ভাব এসে যাওয়া স্বাভাবিক। বৃহৎ দল হিসাবে দলটির ভেতরে সাংগঠনিক গ্রুপিং তো রয়েছেই। এছাড়াও যুক্ত হয়েছে সুবিধালোভী ব্যক্তিদের অণুপ্রবেশ। এই সুবিধালোভী ব্যক্তিরা নিজেদের আখের গোছাতেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে দলটির সাংগঠনিক সক্ষমতায় চিড় ধরাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি সংগঠন ও জনগনের ওপর নির্ভর করে জয়ী হতে চায়, তবে বর্তমানের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলটির উচিত হবে যোগ্য সাংগঠনিক ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়া। কিন্তু অনেকাংশেই সেই কাজটি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিদিনের খবর দেখলেই বোঝা যায় সুবিধালোভী বিতর্কিত ব্যক্তিরা অনেক জায়গাতেই মনোনয়ন পেয়ে যাচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজপথের কর্মীরা। যারা শুধু রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন আওয়ামী লীগের কর্মী নয়, বরং আওয়ামী লীগের বিপদের দিনে রাজপথের কর্মী। পাঠক, আসুন, কিছু খবরের শিরোনামে চোখ বোলানো যাক।“বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নৌকার প্রার্থী, নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ” (প্রথম আলো-১১.১১.২০২১), নাটোরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে পদত্যাগের হুমকি” (প্রথম আলো-১০.১১.২০২১), ঘোড়াশালে তৃণমূলের তালিকায় নাম না থাকা মুজাহিদ পেলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন” (প্রথম আলো-৮-১০-২০২১), কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম পাঠানোয় অনিয়ম করলে ব্যবস্থা: কাদের” (বাংলা ট্রিবিউন-৮-১০-২০২১)। এইসব খবরে আশংকা জাগে সাধারণ নির্বাচনের দুই বছর আগের এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের শক্তি দুর্বল করে দেয় কিনা।

দেশজুড়ে ইউপি নির্বাচনের পাশাপাশি কিছু পৌরসভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর দশটি পৌরসভার দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড, যার মধ্যে নীলফামারী জেলার ডোমার পৌরসভাও রয়েছে। ডোমার পৌরসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে গনেশ কুমার আগরওয়ালকে, যার নাম তৃণমূল থেকে পাঠানো প্রার্থী তালিকায় ছিল না। ডোমারের আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো এই মনোনয়নে বিষ্মিত। গনেশ কুমার আগরওয়ালা তার দলীয় পরিচয়ে উল্লেখ করেছেন তিনি উপজেলা যুবলীগের নেতা এবং উপজেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সহ-সভাপতি। কিন্তু তার সময়ের ডোমার ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীই তাকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে চেনেন না। ডোমারের রাজনৈতিক ইতিহাসে তার কিংবা তার পরিবারের কারোরই আওয়ামী লীগের সাথে কোন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা কখনোই ছিল না। বরং বরাবরই তার পরিবার আওয়ামী লীগের বিরোধীপক্ষ হিসাবেই পরিচিত। গণেশ কুমার আগরওয়ালার পিতা বানোয়ারি লাল আগরওয়ালা ডোমারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত।

২৩.০৬.১৯৯২ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরী ডোমারে গেলে ডোমার বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় মন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে বওয়ারি লাল আগরওয়ালা বিএনপিতে যোগদান করেন এবং মন্ত্রী তার বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মন্ত্রী, জামায়াত নেতা যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী ডোমার গেলে তার বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করেন।

এছাড়াও ১৯৯৬ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় তৎকালীন ডোমার ছাত্রদল নেতা আসাদুজ্জামান চয়ন ও আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বিএনপির সমর্থকরা আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করে এবং বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবির অবমাননা করে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ (বর্তমান ডোমার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৬, তারিখ: ২৯.০৭.১৯৯৬, জি আর নং- ৪৬/৯৬)। এই মামলার অন্যতম আসামী গণেশ কুমার আগরওয়ারের বড় ভাই গোবিন্দ কুমার আগরওয়ালা।  কথিত আছে, গণেশ কুমার আগরওয়ালা টাকার বিনিময়ে ডোমার উপজেলা যুবলীগের কমিটিতে নিজের নাম লেখান।

ডোমার পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন ডোমার আওয়ামীলীগের দুইজন ত্যাগী নেতা। এনায়েত হোসেন রতন নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ময়নুল হক মনু ডোমার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দুইজনই ৮৯’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ৯৫’র সারের দাবিতে আন্দোলন, ৯৬’র অসহযোগ আন্দোলন সহ গত ৩৫ বছরে আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলন-সংগ্রামের প্রথম সারির কর্মী। ১৯৯৫ সালে সারের দাবিতে কৃষকদের সাথে আন্দোলন করতে গিয়ে তৎকালীন বিএনপি সরকারের রোষানলে পড়ে ময়নুল কারাবরণও করেন। এমন ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামীবিরোধী হিসাবে পরিচিত ও অবাঙালি সংস্কৃতির পরিবারের সদস্য একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার পুরো উপজেলাজুড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলো সাধারণ নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি। আওয়ামী লীগ যদি দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচনে সত্যিকার অর্থেই জয়ী হয়ে আবার সরকার গঠন করতে চায়, তবে তাদের উচিত হবে এইসব বিতর্কিত ব্যক্তিদের মনোনয়ন বাতিল করে দল থেকেও বহিষ্কার করা। নইলে পরবর্তীতে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক রূপ অনেকবেশি লুপ্ত হবে। রাজনৈতিক ক্ষমতা রাজনীতিবিদের চেয়ে আমলা ও ব্যবসায়ীদের হাতে বেশি চলে যাবে। যা কোনভাবেই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে না।

লেখকঃ সৈয়দ এরশাদুল হক মিলন

লিটলম্যাগ সম্পাদক ও

সাবেক যুগ্ম আহবায়ক

ডোমার উপজেলা ছাত্রলীগ।


আরও খবর



অর্থ আত্মসাতের মামলায় কারাগারে মেজর মান্নান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

এ সময় তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। অপরদিকে, দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ মার্চ এ মামলায় মেজর মান্নানের স্ত্রী বিআইএফসির চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক তাজরিনা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। তবে ওইদিন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রোপাইটর উম্মে কুলসুম, মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. আব্দুল মাজেদ ঢাকা-১ প্রধান কার্যালয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন।

এ মামলায় উপরোক্ত আসামিরা ছাড়াও বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, সাবেক পরিচালক মেজর মান্নানের মেয়ে তানজিলা মান্নান, বিআইএফসির সাবেক এভিপি অ্যান্ড ইউনিট হেড আহমেদ করিম চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র অফিসার (বিজনেস) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র অফিসার ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার এস, এম মোস্তাফিজুর রহমানও আসামি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে। এই ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদাসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




আগামী বছর থেকে শনিবারও স্কুল খোলা থাকতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এর আগে রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এতে করে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিন ও মাধ্যমিক রমজানে ১৫ দিন খোলা থাকে।

অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্র জানায়, সারাদেশের কলেজগুলো রমজানে ২৪ মার্চ পর্যন্ত খোলা রাখা হয়েছিল।

এছাড়া রমজান উপলক্ষে মাদরাসার ছুটির তালিকাও সংশোধন করেছে সরকার। এতে ১৫ দিন ছুটি কমানো হয়।


আরও খবর



দীর্ঘ ছুটিতে ঈদযাত্রা, বাস ট্রেন লঞ্চে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অফিস ছুটি হয়নি এখনো। পরিবার নিয়ে যেতে হবে গ্রামে। ঈদের ছুটি শুরু হলে একসঙ্গে সবাই বাড়ির পথ ধরবে। এতে বাড়বে চাপ। এজন্য পরিবার-পরিজনকে আগেভাগেই বাড়িতে পাঠাতে শুরু করেছেন অনেকে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন।

শনিবারও রাজধানী ছাড়বেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ। ঈদের লম্বা ছুটি ঘিরে মানুষ শহর ছাড়তে শুরু করায় সড়ক, নৌ ও ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যাত্রী বেড়েছে আকাশপথেও।  তবে এখনো ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়নি। যারা ঢাকা ছাড়ছেন তাদের ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার মসজিদে মসজিদে এসব নির্দেশনা জানানো হয়েছে।

ডিএমপির উপকমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এর পাশাপাশি ছুটির সময়ে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছি। এজন্য ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো মসজিদে খতিবরা এবং কোথাও পুলিশ সদস্যরা এই নির্দেশনা প্রচার করেছে। আমরা চাই মানুষ যেন নিরাপদে গ্রামে গিয়ে নিশ্চিন্ত মনে আবার শহরে ফিরতে পারে।

ঈদে বাসযাত্রা : ফজরের নামাজের পর থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীর প্রচুর ভিড় দেখা যায়। ঈদযাত্রায় পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়েই বাসগুলো একের পর এক স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রীরা যাত্রাবাড়ী মোড়, শনির আখড়া, রায়েরবাগ ও সাইনবোর্ড বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় করছেন। বাস সংকটে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এতে প্রচণ্ড গরমে নারী ও শিশুরা ভোগান্তিতে পড়ে।

ঢাকা-চাঁদপুর রুটের পদ্মা পরিবহণের সুপারভাইজার মকবুল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে। শনিবার সাহরির পর তা আরও বেড়েছে।

ঢাকা-সিলেট রুটের মিতালী পরিবহণের যাত্রী আবুল কালাম বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিনশ টাকা বাড়তি দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। খুলনাগামী যাত্রী মৌসুমী বলেন, আমার স্বামী চাকরি করেন। তাকে ঢাকায় রেখেই ছেলেমেয়ে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। পরে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। সে কারণে আমরা আগেভাগে চলে যাচ্ছি।

ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে সড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি।

গাবতলী বাস টার্মিনাল : গাবতলী বাস টার্মিনালের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। সেখানে শুক্রবার যাত্রীর তেমন একটা চাপ ছিল না। বেশিরভাগ কাউন্টার ছিল ফাঁকা। ঢাকা-বরিশাল রুটের দর্শনা পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার আল আমিন বলেন, গাবতলীতে রানিং (এসেই টিকিট কাটবেন এমন) কোনো যাত্রী নেই। যারা অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছেন তারাই শুধু আসছেন।

সদরঘাট নৌটার্মিনাল : সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চযাত্রী ছিল অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। তবে খুব বেশি চাপ ছিল না। ফলে নৌপথের যাত্রায় এখনো অনেকটা স্বস্তি রয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিআইডব্লিউটিএ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। সদরঘাট নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী ও টার্মিনালে নৌপুলিশের একাধিক টিম টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার যাত্রী আমিনুল ইসলাম। তিনি ঢাকায় অর্থঋণ আদালতের পেশকার। পরিবার নিয়ে থাকেন পুরান ঢাকায়। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি বেশি থাকায় আগেভাগেই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসতে যাচ্ছি।

ট্রেনযাত্রা : এদিকে ঘরমুখো মানুষের ট্রেনযাত্রা ছিল স্বস্তির। ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্য কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে। বিনা টিকিটে ভ্রমণ রোধেও কাজ করছি। আমরা অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ সিটবিহীন টিকিট বিক্রি করছি।


আরও খবর



ড. ইউনূসের স্থায়ী জামিন হয়নি, মেয়াদ বাড়িয়েছেন ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। তবে ওই মামলায় ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। আগামী ২৩ মে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এসময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর বেলা ১১টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন ড. ইউনূস।

এর আগে গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজ (১৬ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য আসে।

এই মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




বঙ্গোপসাগরে ভাসতে থাকা ১২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

ইঞ্জিন বিকল হয়ে ৪ দিন ধরে সাগরে ভাসতে থাকা ১২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার সময় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে জেলেরা সহায়তা চাইলে রাতে কোস্টগার্ড জেলেদের উদ্ধার করে।

কোস্টগার্ড জানায়, পাথরঘাটা থেকে হানিফ মুন্সি নামক একটি ফিশিং বোট গত ১৫ মার্চ মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে যাত্রা করে। এরপরে গত ১৯ মার্চ বোটের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসতে থাকে। পরবর্তীতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়া বোটের মাঝি মাসুম মৌলভি এর মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে কোস্ট গার্ড। এরপর আজ রাতে ওইসব জেলেদের জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের দুবলা ও কচিখালী যৌথ অভিযানিক দল।

উদ্ধার হওয়া জেলেদের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকায় বলে জানায় কোস্ট গার্ড।


আরও খবর