আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে তেঁতুলিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

Image

৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে তেঁতুলিয়া। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এ অঞ্চলে। আজ শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গত কয়েকদিন তাপমাত্রা বাড়লেও আজ তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রিতে। গতকাল শুক্রবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

এদিন সকাল থেকেই দেখা গেছে সূর্যের মুখ। তবে অনুভূত হচ্ছে প্রচণ্ড কনকনে শীত। সূর্যের মুখ দেখা গেলেও মিলছে না রোদের উষ্ণতা। এতে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী-কর্মজীবী গরীব অসহায় মানুষ। পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে শুরু করে ছোটখাটো যানবাহনের চালকরা পড়েছেন বিপাকে। তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকে। তবে জীবিকার তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।

চা শ্রমিক রাজু, কামাল ও জামাল উদ্দিন বলেন, সকালে কনকনে শীত। রোদ দেখা গেলেও বাগানে কাজ করতে গেলে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। এখন বাগানের পরিচর্যা চলছে। শীতের কারণে গাছের ফ্লাইং, কাটিং করতে খুব কষ্ট হয়। কিন্তু খিদে আর পরিবারের কথা চিন্তা করে কাজে বের হতে হয়।

পাথর শ্রমিক ইমরান, আরশেদ আলী ও আবু তাহের বলেন, ঠাণ্ডায় নদীর পানি বরফের মতো মনে হয়। তারপরেও পাথর তোলা আমাদের জীবিকা। তাই কাজে বেরিয়েছি। কদিন ধরে নদীর ঠাণ্ডা পানিতে কাজ করে জ্বর-সর্দিতে ভুগলাম। তবুও পরিবারের কথা চিন্তা করে সকালেই পাথর তোলার সরঞ্জাম নিয়ে বেরিয়ে পড়েছি। একই কথা জানান কয়েকজন দিনমজুর ও নারী পাথর শ্রমিক।

নারী পাথর শ্রমিকরা বলছেন, তীব্র শীতের কারণে তাদেরও কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে। ঘর-সংসার সামলে তাদের জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে হয়। শীতের কারণে অনেক সময় কাজে যেতে দেরি হয়। তখন মহাজনরা কাজে নিতে চান না।

অপরদিকে বীজতলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তারা জানান, ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের কারণে ক্ষেতখামারে কাজ করতে পারছেন না। অনেক দেরিতে মাঠে যেতে হচ্ছে। এখন বোরো মৌসুম, ভুট্টা, মরিচ, গমসহ বিভিন্ন ফসলের বীজ বপন করতে হচ্ছে। শীতের কারণে বেলা করে ক্ষেতে গিয়ে কাজ এগোচ্ছে না বলে জানান তারা।

শীতের কারণে পড়ালেখা স্থবির হয়ে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও। সকালে স্কুল শিক্ষার্থী তানিয়া, কাজল ও নাইমা খাতুন জানায়, কনকনে শীতে রাতে পড়তে কষ্ট হয়। তখন যেন তাপমাত্রা শূন্যতে চলে যায়। আর সকালে কুয়াশা আর বাতাসের কারণে প্রাইভেট এবং স্কুলে যেতে কষ্ট হয়।

এদিকে শীতের প্রকোপে বেড়েছে নানান শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল জানান, তেঁতুলিয়ায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১০ জানুয়ারি এ জেলায় ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বর্তমানে উপজেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হচ্ছে।


আরও খবর



রূপগঞ্জে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের ভুলতা-মুড়াপাড়া সড়কের রাস্তার পাশে লাগানো সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২১ মার্চ শুক্রবার উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের ছোনাবো এলাকার জয়নালের ছেলে নাসিরের নেতৃত্বে ১ লক্ষাধিক টাকার ৪টি কড়ই গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

গাছ কাটার খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে আসলে গাছ কাটার লোকজন দ্রুত পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, সরকারি বনায়ণের অংশ হিসেবে এ উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে গাছ রোপণ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ৩০ বছর পূর্বে ভুলতা-মুড়াপাড়া এ সড়কের উভয় পাশে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের গাছ রোপণ করা হয়েছিল। নাসির মিয়া জোরপূর্বকভাবে সড়কের পাশে লাগানো ওই গাছ কাটতে শুরু করে। আমরা সাংবাদিকদের খবর দিলে গাছ কাটার লোকজন ২টি গাছ কেটে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এর একদিন আগে রাস্তা সংস্কারের বরাত দিয়ে একইস্থানে রোপন করা অর্ধ শতাধিক কলা গাছ জোরপূর্বক কেটে ফেলেছে ওই নাসির।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাসির মিয়া তার আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো সরকারি গাছ কাটিনি। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে আমি অবগত না। তবে যারা সরকারি গাছ কেটে নিচ্ছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ঈদের আনন্দ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপ্রধান বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেশবাসীকে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ মিলেমিশে উপভোগের অনুরোধ জানান।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিনি দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। এই ঈদের মধ্যেও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি ফিলিস্তিনের নির্মমতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করা।

মনে রাখতে হবে দুঃখ একলা ভোগ করা যায়, কিন্তু আনন্দ একলা ভোগ করা যায় না-সকলকে নিয়ে আনন্দ করতে হয়, বলেন রাষ্ট্রপতি।

মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তুলুক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম উল্লেখ করে রাষ্ট্র প্রধান বলেন, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সহযোগিতা- ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদের আনন্দ থেকে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার ও তাগিদ দেন।

তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্মাট বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এর আগে রাষ্ট্রপতি এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাষ্ট্রপতি রাজনীতিবিদ, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, কূটনৈতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



হাইকোর্টে আগাম জামিন পেলেন নাহিদ সুলতানা যুথী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২০ মার্চ) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে যুথীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।


আরও খবর



‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, নির্বাচনে আমি ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ করেছি, এটা তুলবো। এটা যেভাবেই হোক আমি তুলবো। এটুকু অন্যায় করবো, আর করবো না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে সংসদ সদস্য আজাদকে এমন বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। ভিডিওটি গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) লালপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের। এ নিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা হচ্ছে।

সংসদ সদস্য আবুল কালাম বলেন, আপনার টাকা আমার প্রকল্প থেকে দিয়েছি। আমি তো বাড়ির জমি বিক্রি করে দেইনি। আমার বেতন-ভাতার টাকাটাও দেইনি। আমার ৫ বছরের বেতন-ভাতার ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না। আগামীতেও থাকবে না। তবে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা আমি খরচ করেছি, এটা তুলবো। এটা আমি যেভাবেই হোক তুলবো। এটুকু অন্যায় করবো, আর করবো না।’

তিনি বলেন, ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি। ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি কিনেছিলাম ২৭ লাখ টাকা দিয়ে। আমি চাইলে ১ কোটি টাকা দিয়ে কিনতে পারতাম। যেহেতু আমার টাকা নেই, আমি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এবার আমি ওই টাকা দিয়ে কিনব। ওই টাকা, আমি তুলে নেবো এবার। নিয়ে আর কিছু করবো না। খালি এই এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলব। আমার প্রকল্প থেকে আগে সাইকেল দিয়েছি, দরকার হলে মোটরসাইকেল দেবো, অসুবিধা নেই। আমি অন্যায় করবো না। যার টাকা তাকে দেবো।’

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতারকে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি তো তা বলিনি। আমি বলেছি, মানুষের তো নির্বাচনে খরচ হয়। সেই খরচের কথা এমনিতে যুক্তি হিসেবে বলেছি। আমি মানুষের উন্নয়নে ও কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছি।’


আরও খবর



ফের বাংলাদেশে তিন মিয়ানমার সেনা সদস্যের অনুপ্রবেশ

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে ফের দেশটির সেনাবাহিনীর তিন সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে তারা। তাদের সঙ্গে থাকা অস্ত্র জমা নেওয়ার পর বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তিন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত খবর নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিজিবির দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজনকে হেফাজতে নেওয়ার পর বিজিবি সদর দপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

এর আগে ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিল ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা। তারাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছে। তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

প্রসঙ্গত, ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসে বিজিপিসহ ৩৩০ জন। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক। তাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।


আরও খবর