আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

শ্রমিক সংকটে মালয়েশিয়া, বাতিল হচ্ছে বিদেশি অর্ডার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পাম তেলের বাগানে তীব্র শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে মালয়েশিয়ায়। এর ফলে উৎপাদন কমে গেছে কারখানাগুলোতে। যার কারণে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অর্ডার ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি। মালয়েশিয়ায় বর্তমানে ১০ লাখের বেশি শ্রমিক সংকট রয়েছে। এতে তাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার চেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে বিদেশিকর্মী নিয়োগের বিধিনিষেধ ফেব্রুয়ারিতেই উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি অনুমোদনের ধীরগতির কারণে প্রবাসীদের একটি বড় অংশ মালয়েশিয়ায় ফিরতে পারছে না।

বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী, কোম্পানি ও কূটনীতিকরা বলছেন, শ্রমিক সুরক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও আলোচনা দীর্ঘবিলম্বিত হচ্ছে। যে কারণে তাৎক্ষণিক শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার অর্থনীতি রফতানি-নির্ভর। বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের সঙ্গে এটির গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। পামচাষ, কারখানা ও সেবাখাত সচল রাখতে লাখো বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল তারা। বিপজ্জনক, কঠিন ও নোংরা আখ্যা দিয়ে এসব কাজ থেকে দূরে থাকেন স্থানীয়রা। কারখানায় যোগ দিলেও তারা বেশি দিন স্থায়ী হন না।

প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ক্রেতাদের হারাচ্ছে শিল্পখাতের উৎপাদন। মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে এক-চতুর্থাংশ অবদান এই খাতের। দেশটির প্রস্তুতকারক ফেডারেশনের সভাপতি সোহ থিয়ান বলেন, বিক্রি বেড়েছে। নতুন আশাও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ক্রয়াদেশ অনুসারে বিভিন্ন কোম্পানি উৎপাদন করতে পারছে না। তাদের কার্যক্রম বাধার মুখে পড়ছে।

৩৫০০টিরও বেশি কোম্পানির প্রতিনিধিত্বকারী ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারার্সের প্রেসিডেন্ট সোহ থিয়ান লাই বলেন, বিক্রি বেড়েছে। নতুন আশাও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ক্রয়াদেশ অনুসারে বিভিন্ন কোম্পানি উৎপাদন করতে পারছে না। তাদের কার্যক্রম বাধার মুখে পড়ছে।

বিশেষ করে পাম তেল কোম্পানিগুলো খাদের কিনারে পৌঁছে গেছে বলে ইউনাইটেড প্ল্যান্টেশনের প্রধান নির্বাহী পরিচালক কার্ল বেক-নিলসেনের ভাষ্য।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি ভয়ানক। বিষয়টা অনেকটা এরকম, আপনাকে ১১ জনের বিরুদ্ধে ফুটবল খেলতে হবে, কিন্তু আপনার দলে মাঠে নামার মত আছে কেবল সাতজন।

এ মুহূর্তে মালয়েশিয়ায় উৎপাদন, পাম প্ল্যান্টেশন এবং নির্মাণ খাতে অন্তত ১২ লাখ শ্রমিকের ঘাটতিতে রয়েছে। সরকারি তথ্যে দেখা যাচ্ছে, মহামারির বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় পরিস্থিতি যত স্বাভাবিক হচ্ছে, কর্মী সংকট আরও প্রকট হচ্ছে।

বর্তমানে কারখানাগুলোতে দরকার অন্তত ৬ লাখ শ্রমিক। নির্মাণ শিল্পে সাড়ে ৫ লাখ, পাম তেল শিল্পে এক লাখ ২০ হাজার, চিপ উৎপাদন শিল্পে ১৫ হাজার কর্মী প্রয়োজন। বিশ্বব্যাপী চিপের ঘাটতি থাকার পরও মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলো যোগান বাড়াতে পারছে না। এমনকি মেডিকেল গ্লাভ তৈরির কারখানাগুলোও উৎপাদন বাড়াতে পারছে না, এ খাতে অন্তত ১২ হাজার শ্রমিক প্রয়োজন।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স এপ্রিলের ৫১.৬ পয়েন্ট থেকে মে মাসে ৫০.১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ২০২০ সালের আগাস্টের পর সেখানে কর্মী কমেছে সবচেয়ে বেশি, ফলে উৎপাদন বৃদ্ধির গতি থমকে গেছে।

মালয়েশিয়া সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওং সিউ হাই বলেছেন, চিপমেকাররা গ্রাহকদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন, স্থানীয়রা শিল্পে কাজ করতে আগ্রহী নয় এবং অনেকেই যারা অর্ধ বছরেরও কম সময়ে ছুটিতে যোগ দেন।

পাম অয়েল শিল্প মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ৫ শতাংশ অবদান রাখে। কিন্তু শ্রমিকের সংকটের কারণে সময়মত তুলতে না পারায় অনেক ফল এবার গাছেই পঁচেছে। তাতে এ বছর উৎপাদন ৩০ লাখ টন কমে যেতে পারে, তাতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। শ্রমিক সংকট অব্যাহত থাকলে রাবার গ্লাভ শিল্প এ বছর ৭০ কোটি টাকার আয় হারাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর



৮ ঘণ্টা পর নিভল খুলনার জুট মিলে লাগা আগুন, চলছে ডাম্পিং

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

প্রায় ৮ ঘণ্টা পর খুলনার রূপসা উপজেলার জাবুসায় সালাম জুট মিলে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ও নৌবাহিনীর দুইটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত ২টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন চলছে ডার্মিংয়ের কাজ চলছে। এ ঘটনায় জুট মিলের চারটি গোডাউনে থাকা কাঁচা পাট ছাড়াও প্রক্রিয়াজাত করা সব পাটই পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন লাগা জুট মিলে কোনো ধরনের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। বারবার এ বিষয়ে নোটিশ দেয়া হলেও মালিকপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যদিকে, পাটের আগুন হওয়ায় নিয়ন্ত্রণে আসতে এত সময় লেগেছে।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, আমার স্টেশনের ১১টা ইউনিট কাজ করেছে। আমারও একটি গাড়ি আছে, তবে সেটি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার গাড়ি না। সেটা না ধরলে ১০টা ইউনিট হবে। আর প্রতিটি গাড়িতে দুইটি করে পাম্প থাকে। আমরা ২০টা পাম্প সেট করেছি, কমপক্ষে ২২-২৩ লাইন খুলেছি। পরে দেখলাম আমরা একটা প্রান্তে ঢুকতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত আমার একটি ইউনিট রয়েছে, যেটা কোথাও কাটাকাটি করা লাগলে আমরা ব্যবহার করি। সেটিকে রেসকিউ ইউনিট বলা হয়। পরে ওই ইউনিট দিয়ে আমরা পেছন থেকে দুইটা দেয়াল কাটি।

তিনি বলেন, জুট মিলের দেয়ালগুলো ১২ ইঞ্চির। আর এটা একটা জেলখানার মতো জায়গা। ১২ থেকে ১৫ ফুট উঁচু করছে যেন মানুষ অপরপাশ দিয়ে না আসতে পারে। একটা করিডোরও তো রাখা যেতো। ২টা মানুষ যে এক্সিট হবে সে পথ রাখে নাই। দুইটা গেট রাখতো।

এর আগে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খুলনার এই জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে খবর পেয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। এরপর একে একে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয় ১১টি ইউনিট। সেই সঙ্গে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় নৌবাহিনীর ২টি ইউনিট।

এদিকে, জুট মিলের মালিক এম এম এ সালাম জানিয়েছেন, আগুনে প্রায় ৭৫০ টন রপ্তানি উপযোগী পাটজাত পণ্য ছাড়াও প্রায় ৩৫ হাজার মণ কাঁচা পাট এবং মিলের যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্সে তার ৫০ কোটি টাকার ইনস্যুরেন্স করা ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: খুলনা জুট মিল

আরও খবর



আনোয়ারায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নুরজাহান বেগম (৬৩) নামে এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটায় দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নুরজাহান বেগম হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকার মো. শাহ আলমের স্ত্রী।

নিহতের ফুফাতো ভাই তৌহিদুল হক জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন আমার ফুফি, এমন সময় দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস এসে তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। এক পা ভেঙে যায় তার। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমার ফুফিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে একই জায়গায় বার বার দুর্ঘটনা ঘটনার পর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় উত্তেজিত জনতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। কিছুক্ষণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ এসে যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেন।

জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ বলেন, দুর্ঘটনার খবরে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। সড়ক দুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পুলিশ মাইক্রোবাস উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের যানবাহনের চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এবং কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশেও যানজট রয়েছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিন শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া পাখির মোড় এবং তেতৈতলা হাস পয়েন্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঢাকামুখী লেনে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও কুমিল্লামুখী লেনে যান চলাচল প্রায় বন্ধ। গজারিয়া অংশের ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজট রয়েছে। এ ছাড়া কুমিল্লার দাউদকান্দি এবং নারায়ণগঞ্জের অংশেও যানজট রয়েছে।

ফেনীগামী প্রাইভেটকারচালক বলেন, কাঁচপুর থেকেই জ্যামে পড়ি আমরা। কাঁচপুর থেকে গজারিয়ার ভবেরচরে আসতে ২ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গেল। রাস্তায় কোথাও এক্সিডেন্ট হয়েছে বা গাড়ি নষ্ট হয়েছে এ রকম কিছু দেখলাম না, কিন্তু রাস্তায় প্রচুর যানবাহন।

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, যানজট নয়; তবে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। মহাসড়কে একটি গাড়ি বিকল হয়েছিল তা আমরা সরিয়ে দিয়েছি। মূলত ঈদযাত্রা শুরু হওয়ায় যানবাহনের অত্যাধিক চাপই ধীরগতির কারণ। পাশাপাশি কুমিল্লার দাউদকান্দির বলদাখাল এলাকায় মহাসড়কের এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে, সে জন্যও গাড়ি চলাচলের সময় লাগছে। হাইওয়ে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


আরও খবর



মাথাপিছু ঋণ বেড়ে দেড় লাখ টাকা: সিপিডি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

গত তিন বছরে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ প্রায় ৫০ হাজার টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলেছে, তিন বছর আগে মানুষের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় লাখ টাকা। শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেও স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়ছে, ফলে বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার মতোই বিপজ্জনক পথে আছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি ও এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান, সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য; মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান বলেছেন, আশির দশকে অনেক আফ্রিকান ও লাতিন আমেরিকান দেশ স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে বিপদে পড়েছিল। সম্প্রতি এর বড় উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশেও স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়ছে, শ্রীলঙ্কার মতোই বিপজ্জনক পথে আছে এ দেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঋণের বড় বাধা এখন ঋণগুলোর শর্ত এবং এর সঠিক বাস্তবায়ন।

আমরা যদি আশির দশকে ওপেকের সময় ঋণের সংকটের দিকে তাকাই, সেখানে দুটি পরিস্থিতি ছিল। একটি, লাতিন আমেরিকায় খুব বেশি ঋণ নিয়ে বিপদে পড়া। তারা বিপদে পড়েছিল স্বল্পমেয়াদি ঋণে, সেগুলো তাদের খুব সস্তায় দেওয়া হয়েছিল। ফলে তারা একসময় গিয়ে ঋণসংকটে পড়েছিল। একই ঘটনা শ্রীলঙ্কার ঋণ সংকটের। শ্রীলঙ্কার অনেক ঋণ স্বল্পমেয়াদি। শ্রীলঙ্কার একই সময় অনেক আফ্রিকান দেশেও একই সমস্যা তৈরি হয়েছে।’

ড. রেহমান সোবহান বলেন, একইভাবে বাংলাদেশও স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে সংকটের পথেই আছে। এটা খুবই উল্লেখ করার মতো, এ ধরনের ঋণ এখন বাড়ছে। যেহেতু আমাদের রপ্তানি আফ্রিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো, তাই এ জায়গায় তেমন সংকট নেই।’

মূল প্রবন্ধে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত আমাদের বিদেশি ঋণ ছিল সহনীয় পর্যায়ে। আমরা এখন যদি সতর্ক না হই, তাহলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে সরকার যে সতর্ক তা আইএমএফের কাছে ৪.৭ বিলিয়নের জন্য যে গেল সেটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।’

প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি বলেন, বিদেশি ঋণ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না, ১৯৮০ সালের দিকে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো বিদেশি ঋণ নিয়ে এ ধরনের বড় সমস্যায় পড়েছিল। সাম্প্রতিক ঋণ নিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়া গ্রিস বড় উদাহরণ। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা ও ঘানার মতো দেশের উদাহরণ তো আছেই।’

আন্তর্জাতিকভাবে এ প্রভাব পড়ার বৈশ্বিক কারণগুলো হলো—কভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব, বিশ্বে মালামাল ও সেবার চাহিদা কমে যাওয়া। দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ কারণ—ঋণ ব্যবস্থাপনা অনেক দুর্বল, অনেক দেশ অদূরদর্শী ঋণ নিয়েছে। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কঠিন শর্তে ঋণ নেওয়া হয়েছে, মুদ্রার ওঠানামাও অনেক দেশে হয়েছে। এসব কারণ অভ্যন্তরীণ।’

গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়, জাতিসংঘের গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ বলেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশের তুলনায় অনেক দ্রুত ও বেশি বিদেশি ঋণ নিয়েছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশেই এ কারণে তা উদ্বেগের কারণ হয়েছে। ঋণের চাপে অনেকে আছে, অনেকে খেলাপি হয়েছে।

উন্নয়নশীল এসব দেশের সরকারি ঋণ ২০১০ সালে জিডিপির তুলনায় ৩৫ শতাংশ ছিল, ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে। এর মধ্যে একই সময় দেশগুলোর বিদেশি ঋণ ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৯ শতাংশ হয়েছে। এসব বিদেশি ঋণের মধ্যে ব্যক্তি খাতের ঋণও একইভাবে বেড়েছে। একই সময় ব্যক্তি খাতের ঋণ ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬২ শতাংশ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এই অর্থনীতিবিদ।

বিশ্বব্যাংকের গবেষণার একটি অংশ তুলে ধরে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ১০৯ শতাংশ, যেটি দেশগুলোর জিডিপির ৩৩ শতাংশ। পাবলিক অ্যান্ড পাবলিকলি গ্যারান্টেড (পিপিজি) ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

আইএমএফের সতর্কবাণী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইএমএফ এসব দেশকে সতর্ক করে একটি প্রতিবেদন বানিয়েছে। আমরা কি আরেকটি ঋণ সংকটের দিকে যাচ্ছি?

তার মতে, বাংলাদেশের ঋণ ও পরিশোধের বাধ্যবাধকতা বাড়ছে, যা সরকারকে অপর্যাপ্ত রাজস্ব আদায়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের জন্য ক্রমাগত নতুন ঋণ নিতে বাধ্য করছে।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমরা পাকলিক ও পাবলিকলি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণের দায়বদ্ধতার একটি বড় অংশ পরিশোধের জন্য ঋণ নিচ্ছি। তাই দ্রুত অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

সিপিডি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণ এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার হার বেড়েছে। ২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদেশি ঋণ ছিল ৯৮.৯ বিলিয়ন ডলার, যা একই বছরের সেপ্টেম্বরে ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

অনুষ্ঠানে সিপিডি জানিয়েছে, ঋণ পোর্টফোলিওর গঠন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। রেয়াতি ঋণের অনুপাত কমছে, অন্যদিকে রেয়াতি ও বাজারভিত্তিক ঋণের অংশ বাড়ছে। ঋণের শর্তাবলিও আরো কঠোর হচ্ছে।

বিশেষ করে জিডিপি, রাজস্ব আয়, রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্গে তুলনা করলে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের দায়বদ্ধতা দ্রুত বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এর সঙ্গে ঋণ বহনের সক্ষমতা ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা উদ্বেগ তৈরি করেছে। দিন শেষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ, যা অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি উভয় ঋণ পরিশোধের জন্য বিবেচনা করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদের একটি ক্রমবর্ধমান অংশ দেশি ও বিদেশি ঋণের মূল ও সুদ পরিশোধে ব্যবহার করা হচ্ছে।

মেগাপ্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অর্থপাচারের সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বড় আকারের অনেক প্রকল্পই অতিমূল্যায়িত করে খরচ বাড়ানো হয়েছে। আবার প্রকল্পের ভেতরে বাস্তবায়ন পর্যায়ে কোনো না কোনো স্বার্থগোষ্ঠীকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, অন্যান্য দেশে জনগণের প্রাথমিক সঞ্চয়ের মাধ্যমে পুঁজি গড়ে উঠলেও বাংলাদেশে ব্যাংকের টাকা ফেরত না দিয়ে ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে জনসাধারণের টাকা লুটের মাধ্যমে পুঁজি গড়ে উঠেছে। বিদেশি ঋণ নেওয়া প্রকল্পগুলোর মাধ্যমেও ব্যক্তি খাতে পুঁজি গড়ে উঠেছে। এটা বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতের জন্যই প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পুঁজি সঞ্চয়কারী অলিগার্ক তৈরি হয়েছে। এর ফলে রাজনৈতিক নেতারা যে আশায় এই প্রকল্পগুলো নিয়েছিলেন, সেটায় সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

দেশি-বিদেশি ঋণ থেকে সরকারের দায় বৃদ্ধির প্রবণতা তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের মাথাপিছু বিদেশি ঋণ তিন হাজার ১০ ডলার। আর অভ্যন্তরীণ উৎসর ঋণ মিলে সরকারের মোট ঋণ দাঁড়ায় আট হাজার ৫০ ডলারে। স্বাধীনতার এত বছর পরে সরকারের মাথাপিছু ঋণ এক লাখ টাকায় উঠেছিল অথচ তা পরের তিন বছরেই দেড়গুণ হয়ে গেছে।

কভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার কারণে ঋণ বেড়েছে বলে অনেকে দাবি করলেও প্রকৃত কারণ ভিন্ন বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। ঋণ পরিশোধের চাপের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ সালেও সরকারের আদায় হওয়া রাজস্বের ২৬ শতাংশ ঋণ পরিশোধে ব্যয় হতো। অথচ এই হার এখন ৩৪ শতাংশে উঠেছে, যেখানে অভ্যন্তরীণ ঋণ যাচ্ছে ২৮ শতাংশ আর বিদেশি ঋণ সাড়ে ৫ শতাংশ।

বিদেশি ঋণ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে অনেকেই দাবি করলেও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মোডি বা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস হিসেবে বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং কমছে বলে দাবি করেন ড. দেবপ্রিয়। সামষ্টিক অর্থনীতির অস্থিরতাসহ বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক ফলাফলের মধ্যেও বিপুল পরিমাণ ঋণে নেওয়া মেগাপ্রকল্প প্রকৃত সুফল দিতে পারছে না বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, বিনিয়োগ না বাড়লে প্রকল্পের ফলাফল পাওয়া যাবে না।

ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির ২৩.৪ থেকে ২৩.৮ শতাংশে আটকে আছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। গত দেড় দশকের সাফল্য কেন বিনিয়োগে প্রতিফলিত হয়নি? এফডিআই কেন জিডিপির ১ শতাংশে আটকে আছে? প্রশ্ন রেখে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ২০২৩ সালের ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাতে সরকারের হিসেবেই কমেছে। এ ছাড়া শিক্ষা, ট্রেনিং বা কর্মে নেই এমন মানুষের হার বেড়েছে, বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাহীন পরিবারের সংখ্যাও বেড়েছে। ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ দৈনন্দিন প্রয়োজনে ঋণ করে চলে।

বড় প্রকল্পে অর্থায়ন করতে গিয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের ক্ষতি হয়েছে মন্তব্য করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, শিক্ষায় গত ১৫ বছরে কোনোভাবেই জিডিপির ২ শতাংশের বেশি এবং স্বাস্থ্যে ১ শতাংশের বেশি বরাদ্দ হয়নি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে অবহেলার প্রতিফলন এই এসভিআরএস প্রতিবেদনেও এসেছে বলে তিনি জানান। এই ধরনের সমস্যা সমাধানে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি যথাযথ কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।

তিনি বলেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য তিন মাস পর আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী বিবৃতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না। এ ছাড়া অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কেবিনেটের সাব কমিটি ক্রয় কমিটিতে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর



দুইশোর আগেই গুটিয়ে গেলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রাম টেস্টে তৃতীয় দিনে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। তবে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে ধস নামে টাইগার ব্যাটিং লাইনে। ৭৩ রান যোগ করতেই আরও ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ফলোঅনে পড়ে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে ৩৫৩ রানের বিশাল লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে শ্রীলঙ্কা।  

তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে দিনের শুরুটা ভালোই করেছিল ওপেনার জাকির হাসান। প্রথম ঘন্টায় মাত্র ৩০ রান তুললেও হারাননি কোনো উইকেট। জাকিরের হাফ সেঞ্চুরির পরই টাইগার শিবিরে আঘাত হানে বিশ্ব ফার্নান্ডো। তার ভেতরে ঢোকা বল ডিফেন্স করতে ব্যর্থ হন জাকির। উপড়ে যায় তার লেগ স্টাম্প। এর আগে তিনি করেন ৫৪ রান।

এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। প্রবাত জয়াসুরিয়া ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন স্টাম্পের ওপর। ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে দিমুত করুনারত্নের হাতে ক্যাচ তুলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার আগে তিনি করেন মাত্র ১ রান। পরের ওভারে বিশ্ব ফার্নান্ডোর শিকার হন গতকাল নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাইজুল।

বাংলাদেশের নাইটওয়াচম্যানও হয়েছেন জাকিরের মতো বোল্ড। আবার ভেতরের দিকে ঢোকা বল ছিল, সেটি ভেদ করে তাইজুলের রক্ষণ। ১০৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতি থেকে ফিরেই ২৩ বলে ১৫ রান করে আউট হন সাকিব। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস। সিলেটের পর চট্টগ্রামেও ব্যর্থ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৩ বলে ৪ রান করেছেন তিনি।

এরপর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি শাহদাত হোসেন দিপু। দলীয় ১৫৫ রানে ৩৬ বলে ৮ রান করে ফিরে যান তিনি। দিপুর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন মুমিনুল হক।

তবে একবার জীবন পেয়েও ব্যর্থ হন মিরাজ। ৩১ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপর একাই লড়াই চালিয়ে যান মুমিনুল। তবে দলীয় ১৭৫ রানে ৮৪ বলে ৩৩ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

শেষ ব্যাটার হিসেবে খালেদ আহমেদ আউট হলে ১৭৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পক্ষে আসিথা ফার্নান্দো নিয়েছেন ৪টি উইকেট।


আরও খবর