আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

শ্রমিক বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার সবাই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শ্রমিক বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার সবাই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পোশাক খাতে অস্থিতিশীলতার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা দায়ী। ভিডিও ফুটেজে সেই প্রমাণ পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট। তারাই শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার বিএনপির একজন নেতা কোণাবাড়ীতে এসে শ্রমিকদের উৎসাহ দিচ্ছিল, ঐক্যবদ্ধ করছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা শ্রমিকদের জড়ো করছেন। 

আরও পড়ুন>> নির্বাচনী অ্যাপ মনোনয়ন জমা সহজ করবে, আচরণবিধি ভঙ্গ ঠেকাবে: ইসি

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শ্রমিকদের মজুরি আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার করা হয়েছে। তবে আমরা শুনতে পাচ্ছি, অনেক শ্রমিকের মনে গ্রেড নিয়ে সংশয় রয়েছে। এসব নিশ্চয় আমাদের গার্মেন্টসের মালিকপক্ষ অবশ্যই সমাধান করবে। তবে সমাধানের ক্ষেত্রটি আগুন-ভাঙচুর বা রাস্তা অবরোধ নয়।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলনে রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। বিএনপির ইন্ধন রয়েছে, অবশ্যই ইন্ধন আছে। আমরা সেটিই বলতে চেয়েছি।


আরও খবর



শ্রীলংকার ইনিংস ঘোষণা, জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ৫১১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে লংকানরা। জিততে হলে বাংলাদেশকে ৫১১ রান করতে হবে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফিফটি করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে দিনের শুরুতে বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান। ম্যাথিউস ৭৪ বলে ৫টি চারে ৫৬ রান করেছেন।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল শ্রীলংকা। তাতে গতকালই লংকানদের লিড দাঁড়িয়েছিল ৪৫৫ রান।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাটিংয়ে নিজেদের হতশ্রী অবস্থা দেখিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকার করা ৫৩১ রানের জবাবে মাত্র ১৭৮ রানে হয়েছে অলআউট।


আরও খবর



বদলা নেওয়ার ‘ঘোষণা দিয়েই’ বান্দরবানে হামলা চালালো কেএনএফ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা ও লুটের ১৬ ঘণ্টার মাথায় থানচি উপজেলার দুটি ব্যাংক থেকে টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে এ হামলার পেছনে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হাত রয়েছে। ব্যাংকে হামলার তিন সপ্তাহ আগে এক ফেসবুক পেজ থেকে বদলা নেওয়ার’ ঘোষণা দেয় পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী এ সংগঠন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক তাদের দুই সদস্যকে আটকের ফিডব্যাক’ হিসেবে তারা এ ঘোষণা দিয়েছিল।

‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি- কেএনএফ’ নামের এক ফেসবুক পেজ থেকে গত ১২ মার্চ এক পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চুক্তি ভঙ্গ করে বম সম্প্রদায়ের নিরীহ জনগণ লালমুয়ানওম বম (গিলগাল বা অবচলিত পাড়া) এবং রামনুয়াম বমকে (দুনিবার পাড়া) আটক করেছে। এর ফল খুব সুন্দরভাবে ফিডব্যাক দেওয়া হবে। নিরীহ জনগণকে হয়রানি বন্ধ করা না হলে।’

সংগঠনটির ইনফরমেশন অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের দায়িত্বে থাকা ক্যাপ্টেন ফ্লেমিংয়ের বরাতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনটির এ ঘোষণার ২১ দিনের মাথায় গতকাল বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে, বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় থানচিতে সোনালী ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় ব্যাংক দুটি থেকে নগদ টাকা লুট করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

থানচির শাহজাহানপুরের দিক থেকে তিনটি চাঁদের গাড়িতে করে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে বাজার এলাকায় প্রবেশ করে। এরপর থানচি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন দুটি ব্যাংকে লুটতরাজ চালিয়ে আবার ওই তিন গাড়িতে করে শাহজাহানপুরের দিকে চলে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আবদুল করিম বলেন, থানচি সদরের সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় সন্ত্রাসীরা ব্যাংকে ঢুকে কর্মকর্তাদের জিম্মি করে নগদ টাকা নিয়ে গেছে।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, থানচির শাহজাহানপুরের দিক থেকে তিনটি চাঁদের গাড়িতে করে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে বাজার এলাকায় প্রবেশ করে। এরপর থানচি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন দুটি ব্যাংকে লুটতরাজ চালিয়ে আবার ওই তিন গাড়িতে শাহজাহানপুরের দিকে চলে যায়।

টানা দুদিনের হামলায় বান্দরবানজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিভিন্ন উপজেলায় সেনাবাহিনী এবং পুলিশের টহল বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়েছে।

বিচ্ছিন্নতাবাদী এ সংগঠনটির সামরিক শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি বা কেএনএফ নামে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।

গত ৫ মার্চ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির দ্বিতীয় দফায় মুখোমুখি সংলাপ হয়। রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। চলতি (এপ্রিল) মাসের মাঝামাঝি আবারও বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় সেই সংলাপের এক মাসের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার স্থান রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে একেবারে হাঁটা দূরত্বে।

বেথেলপাড়ায় গত ৫ মার্চ কেএনএফের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা’ কমিটির বৈঠকে আর সন্ত্রাসী তৎপরতা না চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেএনএফ। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই বৈঠকের পরও রুমা উপজেলা সদরসংলগ্ন বম জনগোষ্ঠীর বেথেলপাড়া, মুনলাইপাড়া, এডেনপাড়াসহ বিভিন্ন পাড়ায় কেএনএফ সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছিল।

কেএনএফের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির দ্বিতীয় দফায় সংলাপের এক মাসের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ব্যাংকের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা রক্ষীসহ অন্তত ২০ জনকে মারধর করা হয়। অপহরণ করা হয় ওই শাখার ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। লুট করা হয় ৮টি চায়নিজ রাইফেল, দুটি এসএমজি, চারটি শটগান, ৪১৫টি গুলি এবং ব্যাংকের নগদ অর্থ।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আবদুল করিম বলেন, গতকাল রাত ৯টার দিকে কেএনএফের প্রায় ১০০ অস্ত্রধারী সদস্য এই হামলায় অংশ নিয়েছে। হামলাকারী অনেকের গায়ে কেএনএফের লোগোসহ পোশাক ছিল। হামলার শুরুতে সন্ত্রাসীরা উপজেলা পরিষদের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মারধর করে অস্ত্র ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।’

তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকের ওই শাখার ম্যানেজার মো. নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছে। গত ১৬ ঘণ্টা ধরে অভিযান পরিচালনা করেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’

পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ জনগণের নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈ বং মারমা বলেন, ব্যাংককর্মীরা যখন নামাজ পড়ছিলেন, ঠিক তখনই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ম্যানেজারকে অপহরণের পাশাপাশি নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু অস্ত্র ও মোবাইল ফোন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা নিয়ে গেছে।’

ওই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, সন্ত্রাসীরা উপজেলা কমপ্লেক্সের বাউন্ডারির ভেতরে থাকা মসজিদে ঢুকে প্রথমে দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন তারাবি নামাজের জন্য অনেক কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। শুরুতেই নামাজরত সবাইকে বন্দি করে সন্ত্রাসীরা প্রচণ্ড মারধর করে। সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা অস্ত্র হাতে ব্যাংক ম্যানেজারকে জিম্মি করে ব্যাংকে নিয়ে যায় এবং লকার খুলে ব্যাংক লুট করে।’

অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বলে জানা গেছে।

সন্ত্রাসীরা উপজেলা কমপ্লেক্সের বাউন্ডারির ভেতরে থাকা মসজিদে ঢুকে প্রথমে দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন তারাবি নামাজের জন্য অনেক কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। শুরুতেই নামাজরত সবাইকে বন্দি করে সন্ত্রাসীরা প্রচণ্ড মারধর করে। সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনা তদন্তে কক্সবাজার থেকে পিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি টিম আজ দুপুরে রুমা পরিদর্শন করেছে। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান এবং বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. সৈকত শাহীন। তারা সোনালী ব্যাংকের ভল্ট দেখেন। তবে কোনো টাকা খোয়া গেছে কি না- এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানাননি তারা।

জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, পিবিআই ও ব্যাংকের তদন্ত টিমের কাজ শেষে বলা যাবে ভল্ট থেকে টাকা খোয়া গেছে কি না। অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম অভিযান পরিচালনা করছে।’

এদিকে, নিরাপত্তার কারণে সদর উপজেলা বাদে জেলার ছয় উপজেলার সব ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওসমান গণি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

একই সঙ্গে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে সোনালী ব্যাংকের ১৯টি এবং খাগড়াছড়ির ৯টি শাখায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সতর্কভাবে লেনদেন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বান্দরবানে নতুন সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে তৎপরতা শুরু করে। পাহাড়ে তাদের আস্তানায় সমতলের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যরা সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিল বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এর আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।

ওই আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত বছর অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া ও কেএনএফের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করে।

কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমার নেতৃত্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা’ কমিটি গঠন করা হয় গত বছরের মে মাসে। এরপর থেকে কমিটি কেএনএফের সদস্যদের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে আসছে।


আরও খবর



বিয়ে না দেওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যা করলেন ছেলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

বিয়ে না দেওয়ায় চাঁদপুরে মা রানু বেগমকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রাসেল খানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রানু বেগম ওই গ্রামের আতর খানের স্ত্রী।

নিহতের স্বামী আতর খান বলেন, আমার ৩ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন যাবত তাকে বিয়ে করানোর জন্য আমাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। সে আমাকেও মেরেছে। স্থানীয় একটি মাদরাসায় রান্নার কাজ করি। আমার ছেলে দুপুর ২ টা ৪৯ মিনিটে আমাকে ফোন দিয়ে বলে তার মাকে কে যেন ঘরে জবাই করে রাখছে। তখন আমি নিশ্চিত হয়েছি, আমার স্ত্রী তার সন্তানের হাতেই খুন হয়েছে। ফোন কেটে সাথে সাথে আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী রানু বেগমের মরদেহ বিছানয় পড়ে আছে। আমার ছেলে রাসেল পালিয়ে গেছে। পরে আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন আহমেদ রাজন শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। আমি জানতে পেরেছি, নিহতের ৫ সন্তানের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন যাবত সে তাঁর বাবা-মাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে তাকে বিয়ে করানোর জন্য। যদি তাকে বিয়ে না করায়, সে বাবা-মাকে খুন করে ফেলবে।


আরও খবর



ঈদের ছুটি বাড়াতে সম্মত হয়নি মন্ত্রিসভা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতরের আগে ৯ এপ্রিল ছুটি অনুমোদন করেনি মন্ত্রিসভা। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ঈদের আগে ৯ এপ্রিল ছুটির সুপারিশ করলেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (০১ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভা বলেছে, এমনিতেই এবার বেশ অনেক দিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ‌্যে ৯ এপ্রিল ছুটি দেওয়া হলে ছুটি দীর্ঘ হয়ে যাবে। এতে কাজে স্থবিরতা নামতে পারে। তবে যারা দূরে ঈদ করতে যাবেন তারা তো চাইলে ছুটি নিতে পারেন। তাদের সে অধিকার আছে।


আরও খবর



বিদ্রোহীদের দখলে এবার মিয়ানমারের মায়াবতী শহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কয়েক সপ্তাহের তুমুল লড়াই শেষে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মায়াবতী শহরের দখল নিতে চলেছে দেশটির জান্তা শাসনবিরোধী বিদ্রোহী জোট।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আদিবাসী কারেন বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানবিরোধী বাহিনী কয়েক সপ্তাহ আগে মায়াবতী শহর আক্রমণ করে। তারা একটু একটু করে শহরের ভেতর প্রবেশ করে এবং শহরটির পাহারায় থাকা মিয়নমারের শতাধিক সেনাসদস্য শেষ পর্যন্ত তাদের কাছে পরাস্ত হয়ে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছে।

শুক্রবার কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন-কেএনইউ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়, থাঙ্গানিনাং শহরে থাকা এক ব্যাটেলিয়ন সেনাসদস্য তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। শহরটি মায়াবতী থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে। আর মায়াবতীতে থেকে যাওয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শেষ ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে এ সপ্তাহান্তে তাদের আলোচনা চলছে এবং খুব সম্ভবত সেনাবাহিনীর ওই ব্যাটেলিয়ন আত্মসমর্পণে রাজি হয়েছে।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্যে মায়াবতী শহরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুই দেশের স্থলপথে আমদানি-রপ্তানির অধিকাংশই হয় এই শহর দিয়ে।

তিন বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের শাসনভার দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। অভ্যুত্থান রক্তপাতহীনভাবে বিনা বাধায় হলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলে যায়। সাধারণ মানুষ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করে।

যে বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমন করে জান্তা বাহিনী। তাদের দমন নিপীড়নে বহু বিক্ষোভকারী প্রাণ হারায়। প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভ দমন হলেও অভ্যুত্থান বিরোধীরা মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকাগুলোতে আগে থেকেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত বিভিন্ন আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করে গত বছর শেষদিক থেকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

বিদ্রোহী জোট একের পর এক সীমান্ত এলাকা ও শহরে আক্রমণ করে সেগুলো দখল করতে শুরু করে। এ বছরের শুরু থেকে তাদের আক্রমণের তেজ বেড়ে যায়। মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ও শহর এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্য এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের অনেকটাই এখন বিদ্রোহীদের দখলে।

বিবিসি জানায়, গত তিন বছরে জান্তা বাহিনীকে এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে আর পড়তে হয়নি। মায়াবতী শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানো তাদের জন্য আরও একটি বড় ধাক্কা।

দ্য কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন আদিবাসী কারেন জনগোষ্ঠীর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সেই ১৯৪৮ সালে মিয়ানমারের স্বাধীনতা লাভের পর থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে।

গত শতাব্দীর ৯০ এর দশকে সামরিক বাহিনী তাদের অনেকটাই পরাস্ত করে এবং ২০১৫ সালের পর তারা একটি জাতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে লড়াই বন্ধ করেছিল। কিন্তু ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সবকিছু পাল্টে যায়। কেএনইউ থেকে বলা হয়, নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করায় ওই চুক্তি অকার্যকর হয়ে গেছে।

কেএনইউ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শুধু লড়াই করছে না। বরং সারা দেশ থেকে যারা স্বোচ্ছায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আসছে তাদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে।

এছাড়া সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা দেশের অন্যান্য প্রান্তের বড় বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোকে তারা এক জোট করার চেষ্টাও করছে।


আরও খবর