সিলেটে কোটা
সংস্কার আন্দোলনে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, এমন নির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই সিলেট এমএজি ওসমানী
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে সেটি ১০ জনের মতো হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষ এবং সব'কটি লাশের ময়নাতদন্তও সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দাবি, সিলেটে অন্তত ১৩-১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে
শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সাধারণ জনতাও রয়েছেন।
ওসমানী হাসপাতালের
তথ্যমতে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে
১০ জনের মৃত্যুর তথ্য রয়েছে। এরমধ্যে ৯ জনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। আর একজন চিকিৎসাধীন
অবস্থায় মারা গেছেন।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম আনাস
(১৯)। সে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার আবুল হোসেনের ছেলে।
অন্যদিকে, আন্দোলনে
আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ২২৬ জন। এখনো ভর্তি রয়েছেন ৪৭জন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে
রয়েছেন ৩জন। তাছাড়া গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন ১জন।
সিলেট এমএজি
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, যাদেরকে মৃত
অবস্থায় আনা হয়েছে তারা গুলিবিদ্ধ কী না উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সনাক্ত করা যায়নি। তবে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তারা গুলিবিদ্ধ ছিলেন। এখনও যারা ভর্তি রয়েছেন
তারা সবাই শটগানের গুলিবিদ্ধ। শুধু একজন আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছেন। বাকিরা সবাই গুলিবিদ্ধ।
তিনি বলেন,
শেষ মুহুর্তে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় কয়েকটি মরদেহ ময়নাতদন্ত
ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে হয়েছে। ৫ আগস্টের পরে দুইটি মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া
হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের সিলেটের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, আমাদের তথ্যমতে অন্তত ১৩-১৪
জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করছি। মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান তুলে
ধরা হবে।