প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট সাজেন মূল প্রতারক। তাকে
ঘিরে জাল বোনেন আত্মীয়-স্বজন। এরপর বিদেশ যেতে ইচ্ছুক তরুণ-যুবাদের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে
নেন লাখ লাখ টাকা। এই চক্রের নেটওয়ার্ক পৌঁছে গেছে বিদেশেও। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ইউরোপে
ভাল বেতনে চাকরির টোপ ফেলে প্রবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনছে দেশে। তারপর পাসপোর্ট আটকে
রেখে দফায় দফায় টাকা আদায় করে বহুজনকে সর্বস্বান্ত করেছে চক্রটি।
অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার
আশায় সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান বাংলাদেশসহ বহু দেশের মানুষ। এই তরুণ-যুবকরাও ভাগ্য গড়তে
গিয়েছিলেন দ্বীপরাষ্ট্রটিতে। প্রতি মাসে আয় করতেন চল্লিশ থেকে ষাট হাজার টাকা। হঠাৎ
করেই গেল বছরের শুরুতে একসঙ্গে কাজ করা এক বন্ধুর মাধ্যমে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে
দেশে চলে আসেন তারা।
ঢাকার মতিঝিলসহ
বিভিন্ন স্থানে দেখা করে এই আটজনের পাসপোর্ট নিয়ে নেয় প্রতারকরা। ক্রোয়েশিয়া নেয়ার
কথা বলে দফায় দফায় হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। পরে কৌশলে দুই প্রতারককে নোয়াখালীর চাটখিলে
একটি পুলিশ ফাঁড়িতে হাজির করেন ভুক্তভোগীরা। সালিশে তিন মাসের মধ্যে টাকা ফেরৎ দেয়ার
প্রতিশ্রুতিতে ব্যাংক চেক দেয় প্রতারকরা।
কিন্তু, চেক দিয়ে
টাকা উত্তোলনে ব্যর্থ হয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। গ্রেপ্তার হন কখনও প্রধানমন্ত্রী
কার্যালয়ের সচিব, কখনও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ম্যাজিস্ট্রেট সেজে প্রতারণা করা
কাওসার আলম সুমন। তার অপর দুই সহযোগী- মামা শ্বশুর খলিলুর রহমান ও নিজের শ্বশুর নজরুল
ইসলাম এখনও পলাতক। জিজ্ঞাসাবাদে, আত্মীয়-স্বজন মিলে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করার কথা
স্বীকার করেছেন প্রতারক চক্রের প্রধান কাওসার আলম সুমন।