নবম পে-স্কেল
বাস্তবায়নসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ। জাতীয় প্রেসক্লাবে
আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে
সাত দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির মহাসচিব আমজাদ আলী খান।
একই সঙ্গে প্রাথমিক
শিক্ষা অধিদপ্তরের মতো সব দপ্তরে পোষ্য কোটা চালুর দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এ ছাড়া দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১১ মে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে
স্মারকলিপি দেবেন বলেও জানানো হয়।
সংহতি পরিষদের
সভাপতি মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা
মহিউদ্দিন, বরকত খান, কার্যকরী সভাপতি আসকার ইবনে শায়েখ খাজা ও সহ সভাপতি মো. ইব্রাহীম।
সংগঠনটির অন্য
দাবিগুলো হলো, নবম পে-স্কেল দেওয়ার আগ পর্যন্ত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা
করে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, আগের মতো তিনটি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও বেতন
সমতাকরণ পুনর্বহাল করা এবং জীবনযাত্রার মান সমুন্নত রাখার স্বার্থে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির
বিষয় বিবেচনা করে পেনশনের হার ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ ও গ্র্যাচুইটির হার টাকায় ১ হাজার
২৩০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৪০০ টাকায় উন্নীত করা।
এ ছাড়া এক ও অভিন্ন
নিয়োগ বিধি চালুসহ সচিবালয়ের মতো সচিবালয়ের বাইরে সকল সরকারি কর্মচারীদের সিলেকশন গ্রেডসহ
পদবি ও বেতন বৈষম্য দূর করা ও ব্লক পোস্টধারীদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি।
আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের হয়রানিমূলক বদলি আদেশ, অত্যাচার-নির্যাতনমূলক ও মিথ্যা মামলা বন্ধ প্রত্যাহার করা, ক্যাডারে কর্মরত কর্মচারীদের মতো প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মচারীদের বিনা সুদে ৩০-৫০ লাখ টাকা গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর এবং অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করার দাবি জানানো হয়।