বাজারে বেশকিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। এর
মধ্যে চিনির দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া চড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দা, মসলাসহ প্রায়
সব নিত্যপণ্যের দাম।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রামপুরা মালিবাগ
কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ও মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। তবে বাজারে সবজির
দাম কিছুটা কম দেখা গেছে। নিম্নমুখী আছে মুরগি ও ডিমের দাম।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা বাজারে খোলা
সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। আর প্যাকেজাত সাদা চিনি ১৬৫ থেকে
১৭০ টাকায়। এসব চিনির দাম কয়েক সপ্তাহ আগে ১৪০ টাকার মধ্যে ছিল। রামপুরা এবি স্টোরের কালাম হোসেন বলেন,
কোম্পানি তারপরও চিনি দিচ্ছে না। তারাই সংকট লাগিয়ে রেখে দাম বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন>> ভারত থেকে ১৫৫ টাকা লিটার সয়াবিন তেল কিনছে সরকার
এদিকে, মুদি দোকানে চলতি মাসের শুরুতে
মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছিল। মাঝে কয়েক দিন কমে আবার বেড়েছে এখন। বর্তমানে
মোটা দানার ডালের কেজি ১১০ থেকে ১২০ এবং ছোট দানার ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া খোলা আটা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা আর খোলা ময়দা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা বেশি।
অন্যদিকে, খুচরা বাজারে আলু এখনও ৫০ টাকা
কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় আর আমদানি
করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। পাশাপাশি মানভেদে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজি
২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়, আমদানি রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। আমদানি করা আদা ২২০ বিক্রি হচ্ছে।
মসলা জাতীয় পণ্য বিক্রেতা ফারুক আহমেদ
বলেন, আদা রসুনের দাম বেড়েছে। তবে পেঁয়াজ আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারভেদে ফার্মের
মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১২০ থেকে ১৩৫ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০-১৯০ টাকা।
এছাড়া মানভেদে বিআর আটাশের চাল ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, মানভেদে মিনিকেট চাল ৭০ থেকে ৭২ টাকায়
বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চালের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বুলু
রাইস স্টোরের স্বত্তাধিকারী বুলু মিয়া বলেন, বিআর আটাশ চালের দাম কেজিতে চার টাকা বাড়ছে।
নাজিরেও বাড়ছে চার টাকা আর মিনিকেটে বাড়ছে দুই টাকা। কয়েক বছর থেকে ধান কাটা-মারির
মৌসুমে আর চালের দাম কমে না। এখন অব সিজনে দাম কমে। সিজন সময়ে আগে কমতো।
তবে বাজারের সবজির দাম কমে প্রায় অধিকাংশ
সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে।