আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

সরকারের দেয়া দশটি মুরগী দিয়ে ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে বেবী আক্তারের

প্রকাশিত:শনিবার ০১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি:

ঢাকার সাভারে অবস্থিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর দেয়া দেশীয় জাতের দশটি মুরগি পালন করে, জীবনের মোড় ঘুরে দাঁড়িয়েছে, ধামরাই উপজেলার শরিফবাগ ইউনিয়নের বেবি আক্তারের।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় সৃষ্টি 'মাল্টি কালার টেবিল চিকেন' উন্নত জাতের দেশীয় মুরগি পালন শুরু করে বেবি আক্তার। দেশে মহামারী করোনা দেখা দিলে, এই দশটি মুরগি দিয়েই ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে তার।

বেবি আক্তার বলেন ২০১৯ সালে পার্শ্ববর্তী একটি খামার পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর রাজিয়া আপা। এ সময় আমি আপার কাছে আবদার করে বলি, আপনারা অনেককেই অনেক কিছু দিচ্ছেন আমাকেও কিছু দিন।

তার আবদার শুনে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ফার্নিং সিস্টেম রিসার্চ ডিভিশনের বিভাগীয় প্রধান ডঃ রাজিয়া খাতুন তার বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বেবি আক্তারের বাড়ির পরিস্থিতি দেখে, সিলেক্টিভ ব্রিডিং এর মাধ্যমে ইমপ্রুভমেন্ট করা, দেশীয় উন্নত জাতের ১০ টি মুরগি ও কিছু মুরগির খাবার প্রদান করেন তাকে। যত্ন সহকারে আটটি মুরগি ও দুটি মোরগ লালন পালন করতে থাকেন বেবি আক্তার। এই মুরগির ডিম বিক্রি করে সঞ্চয় করেন কিছু টাকা। ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ ডিম বিক্রি করে জমানো ২৩০০ টাকা দিয়ে, নিজ বাড়ির আঙিনায় শুরু করেন একটি চিপসের দোকান।

দোকান করার চিন্তা ও ইচ্ছে কেন হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে বেবি আক্তার বলেন, বাড়ির পাশেই নতুন একটি বড় মহিলা মাদ্রাসা চালু হয়েছে। মাদ্রাসার ছাত্রীদের কেনাকাটার জন্য অনেক দূরে যেতে হয়, কোন কোন সময় ছোট মেয়েরা কান্না করত চিপস খাওয়ার জন্য, যা দেখে একদিন আমার মাথায় চিপসের দোকান দেয়ার বুদ্ধি আসে। তখন আমার ডিম বিক্রি করে জমানো তেইশ শত টাকা দিয়ে কিছু চিপস এনে বাড়ির বারান্দায় ঝুলিয়ে দেই। এভাবে কিছুদিন যেতে না যেতে ২০২০ সালের করোনা মহামারীতে চলে যায় আমার স্বামীর চাকুরী। চাকুরী হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পরি স্বামী ও ২ সন্তান নিয়ে। বন্ধ হয়ে যায় ইনকামের সব রাস্তা।

তবে বন্ধ হয়নি বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে দেয়া সেই ১০টি মুরগির ডিম পাড়া। মুরগিগুলো বিশেষ উন্নত জাতের হওয়ায় প্রতিদিন নিয়মিত ডিম পেরেই যেত। সেই ডিম বিক্রি করে সাংসারিক খরচের পাশাপাশি অল্প অল্প করে সঞ্চয় করে দোকানের ব্যবসা বৃদ্ধি করতে থাকি। এভাবেই জানাচ্ছিলেন বেবি আক্তার, তার সংগ্রাম করা জীবনের ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকার গল্পে ।

এখন তার বাড়িতে ছোট্ট একটি চিপস, চকলেটের দোকানের পাশাপাশি রয়েছে মেয়েদের সকল প্রকার কসমেটিকস আইটেমসহ থ্রি পিসের একটি বড় দোকান। বর্তমানে তার এই ব্যবসায় আড়াই লক্ষ টাকার পুজি রয়েছে বলে জানান তিনি।

বেবি আক্তারের এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, আশেপাশের প্রতিবেশিসহ দূর-দূরান্তের নিয়মিত কাস্টমারদের আসা-যাওয়া রয়েছে তার দোকানে।

তার কাছে থ্রি পিস কিনতে আসা প্রতিবেশী আসমা জানান, বাজার মূল্যে আমরা ঘরের পাশ থেকে মেয়েদের যে কোন প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারি, এছাড়াও বেবি আপা টাকার স্বল্পতা থাকলে বাকিতে দিয়ে সহযোগিতাও করেন। বাচ্চাদের টুকিটাকি কেনাকাটার জন্য হাত বাড়ালেই বেবি আপার দোকানে পাওয়া যায় সব। এজন্য নিয়মিত বেবি আপার কাছ থেকেই কেনাকাটা করি।

বেবি আক্তার জানান, বন্ধের দিনগুলোতে একটু কম বেচাকেনা হলেও, অন্যান্য দিনে তিন থেকে চার হাজার এবং প্রতিমাসে সব মিলিয়ে ৮০ হাজার থেকে  ৯০ হাজার টাকার বিক্রি হয় দোকানে। এতে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ থাকে বলে জানান তিনি।

বেবি আক্তার আবেগ ভরা কন্ঠে বলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের দেয়া দশটি মুরগি থেকে আমার শুরু, এখন আমার ৪০ টির বেশি মুরগি আছে, দুইটি দোকান আছে এছাড়াও আমার ইনকাম দিয়ে আমি সংসার চালাতে পারি। আমার বড় ছেলে আল্লাহর রহমতে ১৩ পাড়া কোরআনের হাফেজ, আর ছোট ছেলে একটি কিন্ডারগার্ডেনে পড়ছে। দুই ছেলের পড়াশুনার খরচ আল্লাহর রহমতে আমিই চালাই। স্বামীর সিএনজি চালানো ইনকামের টাকা খরচ না করলেও হয় আমার।

আপনাদের দোয়ায়, আমার স্বামীর টাকা ও আমার ইনকামের টাকা জমিয়ে ১৪ লক্ষ টাকার জায়গা কিনেছি। দোয়া করবেন, ইচ্ছা আছে খুব তাড়াতাড়ি পাকা বাড়ির কাজে হাত দিবো।

বেবি আক্তারের কঠোর পরিশ্রম, ইচ্ছাশক্তি, ও কর্মদক্ষতা থাকায় বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট তাকে বিভিন্ন মেয়াদে পাঁচটি ফ্রী প্রশিক্ষণ করিয়েছে। এ সকল প্রশিক্ষণ করে তিনি এখন মুরগি ছাগলসহ গরুর প্রাথমিক চিকিৎসা নিজেই দিতে পারেন। যে কারণে এলাকার মুরগি ছাগল ও গরু পালনকারী নারীরা বিভিন্ন সময় সহযোগিতা নিতে ছুটে আসে বেবি আক্তারের কাছে। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় বেবি আক্তার ৪৪ জন নারী সদস্য নিয়ে শরীফবাগ ইউনিয়নে 'শরীফবাগ প্রযুক্তি পল্লী মহিলা সমবায় সমিতি' নামক একটি সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি বর্তমানে সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি করছেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মাঠ সহকারী বোরহানউদ্দিন।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ফার্নিং সিস্টেম রিসার্চ ডিভিশনের বিভাগীয় প্রধান ডঃ রাজিয়া খাতুন বলেন, ধামরাই উপজেলার শরীফবাগ ইউনিয়নে নিয়মিত পরিদর্শনে গেলে, বেবি আক্তার আমার কাছে কিছু একটা করে দেয়ার জন্য সহযোগিতা চায়। এ সময় আমি তার বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই তার ছোট্ট ছোট্ট দুটি ছেলে আছে এবং তার স্বামী তেমন কিছু করতেন না একজন শ্রমিক ছিলেন, কোনরকম জরাজীর্ণ অবস্থায় একটি ছোট রুমে থাকতেন তারা।

তখন তাকে আমরা ০৮টি মুরগি ও ০২টি মোরগ, সাথে মুরগির প্রোডাকশনে আসার আগ পর্যন্ত ১৬ থেকে ২০ সপ্তাহের জন্য মুরগির খাবার দেই।

আমাদের তিনটি নেটি চিকেন জাম প্লাজম আছে যেগুলোকে আমরা গবেষণা করে, আমাদের আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওইয়ে, দেশি মুরগির সাথে সিলেক্টিভ ব্রিডিং এর মাধ্যমে ইমপ্রুভমেন্ট করিয়েছি। যার ফলে এই জাতগুলো সাধারণ দেশি মুরগির তুলনায় বছরে অনেক ডিম দিয়ে থাকে। যেখানে সাধারণ মুরগি বছরে ৩০ থেকে ৪০ টি ডিম দেয়, সেখানে আমাদের ইমপ্রুভমেন্ট করা এই দেশি মুরগিগুলো ১৮০ থেকে ২৫০টি করে ডিম দিয়ে থাকে। এই উন্নত জাতের মুরগিগুলোই বেবি আক্তারকে দেয়া হয়েছিল। আপনারা জানেন সাধারণত দেশীয় মুরগির ডিম ৫৫ থেকে ৬০টাকা হালিতে বিক্রি হয়। সে ক্ষেত্রে খামারির লাভের পরিমাণ বেশি হয়। এভাবে যখন বেবি আক্তারকে দেয়া মুরগিগুলোর প্রোডাকশন শুরু হয়।

বেবি আক্তারের সফলতা দেখে গ্রামের অন্যান্য মেয়েরাও অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে আগ্রহী হয়।  তখন তাদেরকে আমি একটি ৪৩ জনের সমিতি গঠন করে দেই। যেখানে প্রত্যেক সদস্যকে, পশু লালন-পালনে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া হয়েছে। এখন তারা প্রত্যেকেই ভ্যাকসিনেশন থেকে শুরু করে প্রাথমিক সব ধরনের চিকিৎসা নিজেরাই করতে পারেন। এবং গ্রামের অন্যান্য মহিলা খামারীদেরকেও এ কাজে সাহায্য করেন।

ডঃ রাজিয়া আরো বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মহোদয় কমিউনিটিতে যারা ক্ষুদ্র খামারি আছেন তাদের সহযোগিতায় এলডিডিপি ও এনএডিপি প্রোগ্রাম থেকে সহযোগিতা করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

যার আওতায়, সরকারি সহযোগিতায় বেবি আক্তারদের সমিতিকে একটি ছাগলের খাদ্য (পিলেট-ফিট) তৈরির মেশিন কিনে দেয়া হবে। এতে করে ছাগলের খাদ্য বিক্রি করে সমিতির মেয়েদের একটি রেগুলার ইনকাম এর ব্যবস্থা হবে।

এভাবেই বেবি আক্তারের পরিশ্রম ও আগ্রহে তার নিজের উন্নয়নের পাশাপাশি ওই গ্রামের অন্যান্য মেয়েদেরও উন্নতি হচ্ছে। যে কারণে আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি।


আরও খবর



ভারতের কাছে হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গত বছর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালোই প্রতিরোধ দেখিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। তবে এবার প্রথম ম্যাচে হারমানপ্রীত কৌরদের সামনে কোনো পাত্তাই পেল না টাইগ্রেসরা। বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ শুরু করল নিগার সুলতানার দল।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলকে ৪৫ রানে হারিয়েছে ভারতীয় নারী দল। ভারতের দেয়া ১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করেছে টাইগ্রেসরা।    

লক্ষ্যতাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে চার মেরে গোড়াপত্তন করেন দিলারা আক্তার। তবে পরের বলেই তাকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফেরান রেণুকা সিং ঠাকুর। শুরুতেই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন সোবাহানা মোস্তারি এবং মুর্শিদা খাতুন। তবে সেই সুযোগ দেননি রেণুকা। পঞ্চম ওভারে সোবাহানাকে বোল্ড করেন তিনি।

১৮ বলে ১৩ রান করে দীপ্তি শর্মার বলে আউট হন মুর্শিদা। বিপর্যয় সামাল দিতে এসে ১ রান করে আউট হয়ে ফেরেন ফাহিমা। ৩০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নিগার। তবে রান এগিয়েছে খুব ধীরগতিতে।

১১ রান করে রাধার বলে স্বর্ণা আউট হওয়ার পর লড়াই থেকে একদমই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। উইকেটের একপ্রান্তে নিগার লড়াই করে গেলেও হারটা তখন সময়ের ব্যবধান হয়ে দাঁড়ায়।

৪৮ বলে ৫১ রান করে শেষ ওভারে আউট হন নিগার। তবে এই রান হার এড়ানো তো দূরের কথা, লড়াইটাকে কাছাকাছিও নিয়ে যেতে পারেনি। ১০০ রানে থামে বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারে সুলতানা খাতুনের বলে স্মৃতি মান্ধানার সহজ ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন ফারিহা তৃষ্ণা। তবে মান্ধানাকে বড় রান করতে দেননি তৃষ্ণা। পরের ওভারে নিজে বোলিংয়ে এসে তুলে নেন মান্ধানার উইকেট।

মান্ধানা না পারলেও ব্যাট হাতে ভালো শুরু পেয়েছিলেন আরেক ওপেনার শেফালী ভার্মা। ২২ বলে ৩১ রান করেন তিনি। তাকে মুর্শিদার ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রাবেয়া খাতুন। তৃতীয় উইকেটে হারমানপ্রীত কৌরের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ইয়াস্তিকা ভাটিয়া।

বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল ভারত, এমন সময় এসে জুটি ভাঙেন ফাহিমা। ২২ বলে ৩০ রান করে ফিরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। পরের ওভারে ইয়াস্তিকাকে ফেরান রাবেয়া। ২৯ বলে ৬ চারে ৩৬ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

শেষদিকে ভারতীয় ব্যাটারদের হাত খুলে খেলতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। রিচা ঘোষের ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বায়েজিদ বস্তিতে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে বায়েজিদের শ্যামল ছায়া এলাকায় এ আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করেছে। এরইমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে আগ্রাবাদ কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন। এ দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদ শ্যামল ছায়া এলাকার ওই বস্তিতে প্রায় ১৫টি কাঁচা বসতঘর ছিল। দুপুরে ওই বস্তিতে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন বলেন,  রোববার ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। এ মুহুর্তে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই বস্তিতে ১৪-১৫টি এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘর রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।


আরও খবর



লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও আমল

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ রজনী লাইলাতুল কদর। ফারসি ভাষায় যা শবে কদর নামে খ্যাত। লাইলাতুল কদর এমন এক মহিমান্বিত রজনী যে রজনীতে আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় হাবিব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পবিত্র কুরআন নাজিল করেছেন। মূলত এজন্যই এই রজনী এত ফজিলতপূর্ণ আর এই রজনীর কারণেই মাহে রমজান এত সম্মানিত।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এই রজনীর গুরুত্ব বুঝাতে কদর নামে একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন। তিনি ইরশাদ করেন: নিশ্চয়ই আমি এই কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি লাইলাতুল কদরে। আর আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর অর্থাৎ কদরের রজনী হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। এই রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। শান্তিময় সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত। সুরা কদর: ১-৫

পবিত্র কুরআনে লাইলাতুল কদরকে আল্লাহ তাআলা হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। অর্থাৎ আল্লাহর কোন বান্দা যদি এই রাতে ইবাদত-বন্দেগী করে তবে সে হাজার মাস ইবাদত-বন্দেগী করার সাওয়াব লাভ করবে। এক হাজার মাসে ৩০ হাজার রাত্রি হয়। অর্থাৎ এই রাতের মর্যাদা ৩০ হাজারগুণ অপেক্ষাও বেশী!

সুতরাং বলা যায় এ রাতের একটি তাসবিহ অন্যান্য রাতের ৩০ হাজার তাসবিহ অপেক্ষা উত্তম। অনুরূপভাবে, এই রাতের এক রাকাত নামাজ অন্যান্য রাতের ৩০ হাজার রাকাতের চেয়েও উত্তম। বলা বাহুল্য, এই রাতের আমল লাইলাতুল কদর বিহীন অন্যান্য ৩০ হাজার রাতের আমল অপেক্ষা অধিক শ্রেষ্ঠ। তাই যে ব্যক্তি এই রাতে ইবাদত করল, মূলত সে যেন ৮৩ বছর ৪ মাস অপেক্ষা বেশি সময় ধরে ইবাদত করল।

এছাড়াও লাইলাতুল কদরের রাতের অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। কদর রজনীর ইবাদত, সালাত আদায়ের ফলে পূর্ববর্তী জীবনের গুণাহসমূহ মাফ হয়ে যায়। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় সিয়াম পালন করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয় এবং যে ব্যক্তি ইমানের সাথে, সাওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়। সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০১৪।

এই ফজিলতপূর্ণ রাতটি কখন? কোন সময় আসে? এ সম্পর্কে রসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমরা রমজানের শেষ-দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। বুখারী: ২০২০

তাহলে শেষ-দশক মানে কি রমজানের শেষ দশকে প্রতিদিন লাইলাতুল কদর তালাশ করতে হবে? এই প্রসঙ্গে নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: তোমরা রমজানের শেষ-দশকের বেজোড় রাতসমূহে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। বুখারী : ২০১৭

অর্থাৎ মাহে রমজানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ এ পাঁচটি রাতের মধ্যে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর তালাশ করতে হবে। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে আমরা যে ২৭ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে লাইলাতুল কদর পালন করি এর ভিত্তি কী? প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের জন্য এ রাতের ব্যাপারে আরও নির্দিষ্ট করে বলছেন: তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অক্ষম হয় বা দুর্বল থাকে তাহলে সে যেন ২৭ রমজানের রজনীকে লাইলাতুল কদর বলে বিবেচনা করে ইবাদত করে। মুসলিম: ১১৬৫

হযরত উবাই ইবনে কাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ২৭ রমজানকে লাইলাতুল কদর বিবেচনা করে ইবাদত করতে বলেছেন।

এছাড়াও মুহাক্কিক ইমামগণ বলেন, আরবিতে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয়ে নয়টি হরফ বা আরবি বর্ণ রয়েছে; আর সুরা কদরে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয় তিনবার রয়েছে; নয়কে তিন দিয়ে গুণ করলে সাতাশ হয়, তাই সাতাশে রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাফসিরে মাযহারি

যে রাতে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর হবে তার কিছু আলামত হাদিস শরিফে এসেছে:

১. আকাশ মেঘমুক্ত ও উজ্জ্বল থাকবে। তিরমিজি

২. ঠাণ্ডা ও গরমের মাঝামাঝি তথা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকবে। তিরমিজি

৩. রাতগত দিনে সূর্য উদিত হবে আলোক-রশ্মীহীন অবস্থায়, অর্থাৎ সূর্যের চিরচেনা তেজবিহীন অবস্থায়। মুসলিম, সহিহ ইবনে খুযায়মা

মহিমান্বিত এ রাত পেলে মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে কী প্রার্থনা করবে? কী চাইবে? এ সম্পর্কে হাদিস শরিফে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। তিনি বলেন: একবার আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, যদি আমি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী দোয়া পড়বো? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নী। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। সুনানুত তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩

সুতরাং, লাইলাতুল কদরে আমাদেরকে আমল ও দোয়ার মাধ্যমে রাত অতিবাহিত করা জরুরি। আর কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে এই রাতের কতিপয় আমল হলো-

১. নফল নামাজ পড়া।

২. মসজিদে প্রবেশ করে ২ রাকাত (দুখুলিল মাসজিদ) নামাজ পড়া।

৩. দুই রাকাত করে (মাগরিবের পর ৬ রাকাত) আউওয়াবিনের নামাজ পড়া।

৪. রাতে তারাবির নামাজ পড়া।

৫. শেষ রাতে সাহরির আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।

৬. সম্ভব হলে সালাতুত তাসবিহ পড়া।

৬. তাওবার নামাজ পড়া।

৭. সালাতুল হাজাত পড়া।

৮. সালাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল নামাজ বেশি বেশি পড়া।

৯. কুরআন তেলাওয়াত করা। সুরা কদর, সুরা দুখান, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসির, সুরা ইয়াসিন, সুরা ত্বহা, সুরা আর-রাহমান, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক, সুরা কুরাইশ, সুরা ইখলাস ইত্যাদি সুরা তিলাওয়াত করা।

১০. অধিক পরিমাণে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাম ও দরূদ শরিফ পাঠ করা।

১১. তাওবাহ-ইসতেগফার পড়া। সাইয়্যেদুল ইসতেগফার পড়া।

১১. জিকির-আজকার করা।

১২. কুরআন-সুন্নাহ বর্ণিত দোয়া পাঠ করা।

১৩. পরিবার পরিজন, বাবা-মা ও মৃতদের জন্য দোয়া করা,

১৪. কবর জেয়ারত করা।

১৫. বেশি বেশি দান-সদকাহ করা।

এছাড়াও এই রাতে নিজেকে নানাবিধ ইবাদতে ব্যস্ত রাখা। কারণ এই রাতের ইবাদতের দ্বারা আমাদের জীবনের গুণাহসমূহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। তাই আমাদের উচিত এই রাতকে অবহেলায় না কাটিয়ে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল রাখা। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে লাইলাতুল কদর পালন করে কল্যাণ লাভ করার তাওফিক দান করুক। আমিন বিজাহিন নাবিয়্যিল কারিম রাউফুর রাহিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বোনকে সামলান, সামনে পড়লে থাবড়ায়ে দেবনে: পরীমণি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দুই চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী আর পরীমণির কথার লড়াই যেন থামছেই না। গেল ২১ মার্চ শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনে একটি আবেগঘন ভিডিওবার্তা দেন বুবলী। একই ধরনের ভিডিও মাস কয়েক আগে পরীও প্রকাশ করেছিলেন তার ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের জন্মদিনে। আর এই কপি’ ভিডিও নিয়েই তাদের যত ভার্চ্যুয়াল যুদ্ধ।

সম্প্রতি কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেকে বেয়াদব’ বলে মন্তব্য করেন পরীমণি। তার কথায়, সবসময় এমন হয়েই থাকতে চান তিনি। বদলাতে চান না বেয়াদবি’র তকমা।’

পরীমণির এমন বক্তব্যের পর শুক্রবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন বুবলী। যেখানে পরীর নাম না নিলেও পরোক্ষভাবে নায়িকার ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি। বুবলীর কথায়, কেউ যদি কারোর সঙ্গে অসভ্যতা করেন, কাউকে হার্ট করেন, সেটি যদি তার কাছে মনে হয় বা তিনি প্রমাণ করতে চান আমি স্পষ্টবাদী’, তাহলে তো একসময় বড়দেরও অসম্মান করা হবে।”

এটাকে বেয়াদবিও আখ্যা দেন বুবলী। যা দেখে বেজায় চটেছেন পরী। কারও নাম উল্লেখ না করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনিও বার্তা দিয়েছেন।

পরী কথায়, আপনার বড় বোনকে আগে সভ্য হতে বলেন আপা। গালিগালাজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দেয় কেন বিদেশ বসে। সামনে আসতে বলেন। আগে নিজে এবং নিজের পরিবারের সভ্যতা নিশ্চিত করেন। দল পাকায়েন না এত।’

তিনি আরও বলেন, আমি তাও তো আপনাকে আপা বলে কথা বলি। আপনি বলি। কারণ আমি সভ্য তাই। আপনার বোন আর আপনার মতো তুই-তোকারি গালিগালাজ তো করি নাই। সামনে পরলে এবার থাবড়ায়ে দিবনে তাইলে। বেয়াদবি না করেই এত কথা আপনার আমাকে নিয়ে। এবার এটা করলে কী যায় আসে আর।’


আরও খবর



নাবিকরা ভালো আছেন, আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সর্বমুখী প্রচেষ্টা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং নাবিকরা ভালো আছে। তাদের খাবার-দাবারেরও কোনো অসুবিধা নেই। তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি, সহসা তাদের মুক্ত করা সম্ভব হবে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সেই জাহাজের আশপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের ওপর নানামুখি চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি, সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। সেইজন্য দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়। তবে, এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজে যারা চাকরি করে ঈদের আগে-পরে হিসেব করে তাদের কোনো ছুটি হয় না। তারা যায় ছয়মাস কিংবা একবছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার কথা ছিল না।


আরও খবর