আজঃ শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম
বেশিরভাগ কর্মকর্তায় অনুপস্থিত

সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ে অফিসে আসেন না কর্মকর্তারা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ আগস্ট ২০২২ | ১৪২৫জন দেখেছেন


Image

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বুধবার (২৪ আগস্ট) থেকে সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান সকাল আটটায় অফিস শুরুর নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। তবে পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও নতুন সময় সূচী মানছেন না কর্মকর্তারা।

সরজমিনে মহেশপুর উপজেলা পরিষদে গিয়ে দেখা গেল বেশ কিছু দপ্তর তালা বন্ধ, কিছু দপ্তর খোলা থাকলেও উপস্থিত নেই কর্মকর্তারা।

সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের প্রায় ১৫টি দপ্তর ঘুরে দেখা গেল, বেশি ভাগ দপ্তরের কর্মকর্তারায় নতুন সময়সূচিতে অফিসে আসেননি। এর মধ্যে দুই-এক দপ্তরের কর্মকর্তা যথাসময়ে অফিসে আসতে দেখা গেছে। সকাল নয়টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের বেশি ভাগ দপ্তরের কর্মকর্তারায় অফিসে হাজির হননি।  

সকাল আটটা পয়তাল্লিশে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা গেল, পাঁচ কর্মকর্তার একজনও অফিসে আসেননি। একজন অফিস সহাকারী অফিস খলে বসে আছেন। তিনি জানান, এখনো কেউ আসেননি। তবে স্যারদের বাহিরে কোন কাজ আছে কি না আমার জানা নেই।

সকাল সাড়ে আটটায় মহেশপুর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা হাসান আলীকে অফিসে আসতে দেখা যায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত শনিবার ছুটির দিনেও আমরা অফিস করেছি। অফিস ছুটির পরেও কাজের চাঁপে অফিস করতে হয়। এমনকি রাত আটটা-নয়টা পর্যন্তও অফিস করতে হচ্ছে।

সকাল সোয়া আটটায় গিয়ে দেখা গেল উপজেলা ভূমি অফিসের তালাবন্ধ। ততক্ষনে কোন কর্মকর্তায় অফিসে আসেননি।

এলজিইডি অফিসে পঞ্চাশে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা প্রোকৌশলীর চেয়ার ফাঁকা। নতুন সময় সূচিতে অফিসে আসেননি প্রোকৌশলী শাহারিয়ার আকাশ। একই সময়ে তালাবন্ধ প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানের কক্ষ। অফিসে আসেননি আইসিটি অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার ওহিদুল ইসলাম।     

একই সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে গেলে দেখা যায় নতুন সময়ে অফিসে আসেনি উপ-সহকারী প্রোকৌশলী বেনজামিন বিশ্বাস।

সকাল আটটা বিশে সমবায় অফিসে গেলে দেখা যায়, অফিসে আসেননি সমবায় অফিসার শ ম রাশিদুল আলম।

আটটা পঞ্চাশে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারখালি অফিসে আসেননি নির্বাচন অফিসার সৈয়দ আলম এমরান।

সকাল আটটা পঞ্চান্নে তালাবদ্ধ দেখা যায় আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের অফিস।

আটটা পয়ত্রিশে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য কর্মকর্তারা আসলেও অফিসে আসেননি একাডেমি সুপারভাইজার অবিনাশ কর্মকার।   

নতুন সময় সূচীতে অফিসে আসেননি উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার বাহাউল ইসলাম। অফিসে আসেননি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

সকাল নয়টার পর উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা গেল সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম উপস্থিত থাকলেও নাজির হুমায়ুন কবির ও অফিস সহকারী মতিয়ার রহমান অফিসে আসেননি।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, নতুন সময় সূচিতে অফিসে আসতে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে।    এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, সরকার প্রজ্ঞাপণ জারির পরপরই চিঠির মাধ্যমে সকল দপ্তরকে জানানো হয়েছে। যদি সঠিক সময়ে অফিসে হাজির না হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর