বিএনপিকে পরবর্তী নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে সেইফ এক্সিট নিতে বলেছে। আমি বলতে চাই, সেইফ এক্সিট বা নিরাপদ প্রস্থানের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনেই প্রমাণ হবে, কারা বিজয়ী হবে আর কাদের পতন হবে। সরকার পতনের হাঁকডাক দিয়ে কোনো লাভ নেই। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের
বলেন, হাওয়া ভবনের আরেক নাম খাওয়া ভবন। তারেক রহমান ওয়ান ইলেভেনের জরুরি সরকারের কাছে
মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার অঙ্গীকার করে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছে। অর্থ পাচার
করে এফবিআইএ’র কাছে ধরা খেয়েছে। এফবিআই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে অনেক অর্থ
পাওয়া গেছে। নগদ কিছু আমরা ফেরতও পেয়েছি। তারেক আর কোকো সেই অর্থ পাচারকারী। সুইচ ব্যাংক
ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিলাসবহুল মার্কেট যার নামে আছে। সেই লন্ডনে বসে বসে শেখ হাসিনার
বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
তারেক রহমান
ও হাওয়া ভবনের অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে উল্লেখ করে কাদের বলেন, তারা বাংলাদেশের
কত টাকা পাচার করেছে সব শেখ হাসিনা খতিয়ে দেখছেন। এই টাকা উদ্ধার করা হবে। তারেক রহমানসহ
টাকা পাচারকারী যারাই আছে প্রত্যেকের টাকা উদ্ধার করা হবে।
গোপালগঞ্জ জেলা
আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হকের সভাতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি
ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর অন্যতম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
জেলা আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয়
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি
মন্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মেদ,
সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও সংরক্ষিত নারী আসনের
এমপি নার্গিস রহমান।
সম্মেলনে মাহাবুব
আলী খানকে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জিএম সাহাবুদ্দিন আজমকে সাধারণ সম্পাদক
ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ
৭ বছর পরে গোপালগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ২০১৫ সালের
১১ নভেম্বর গোপালগঞ্জ জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।