আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

সড়ক-মহাসড়কে পশুর হাট বসানো যাবে না: সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়ক-মহাসড়কের উপর কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না। তিনি বলেন, কোনভাবেই সড়ক ও মহাসড়কের উপর কোরবানির পশুর হাট বসানো এবং ফিটনেসবিহীন গাড়িতে পশু পরিবহন করা যাবে না।

সেতুমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় এ নির্দেশনা দেন। ওবায়দুল কাদের তাঁর বাসভবন থেকে প্রস্তুতি সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

ফিটনেসবিহীন গাড়িতে যাতে কোরবানির পশু পরিবহন না করতে পারে, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে উৎসমুখে কড়া নজরদারি বাড়াতে হবে এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশকে সক্রিয় থাকতে হবে।

পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় অনেক পশুবাহী যানবাহন এ পথে ঢাকায় আসবে, বিষয়টি বিবেচনায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এছাড়াও এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের চাপ বাড়বে তাই চাপ সামলাতে এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা, পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু সেতু এবং মেঘনা ও গোমতি সেতুর টোল প্লাজায় বুথ সংখ্যা বাড়াতে হবে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, এবারের ঈদে চ্যালেঞ্জ হিসেবে বৃষ্টি, ধীরগতির পশুবাহী যানবাহন, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে পশু পরিবহন, সড়কের পাশে পশুর হাট এবং করোনা সংক্রমণ- এসকল চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সকল অংশীজনের মাঝে সমন্বয় সাধন করতে হবে। অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সবাইকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে, তাই ঘরমুখো মানুষকে পরিবহনে যাতায়াতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়তে হবে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আরো সতর্ক থাকতে হবে। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে একটি মহল তৎপর, তাদের থেকেও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে  শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারবো।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী পরিবহন সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেন, যানবাহন চলাচলে সতর্ক থাকতে হবে, সড়কে গাড়ি যাতে বিকল না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী। এ সময়ে মন্ত্রী ঈদ উপলক্ষে  ২৪ ঘন্টা সিএনজি স্টেশনগুলো খোলা রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি  অনুরোধ জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের আগে যতটা সতর্ক থাকা হয়, ঈদের পরে ততটা সতর্ক না থাকায়- সড়কে দুর্ঘটনা বেশি হয়, তাই এবিষয়েও নজর দিতে হবে।

বৈঠকে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরিসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকতারা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
মহান মে দিবস আজ

বুধবার ০১ মে ২০২৪




ফরিদপুরে বাস-পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফরিদপুর সদরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই পিকআপ ভ্যানের আরোহী বলে জানা গেছে। এ দুর্ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে অ্যাবলুম ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। সকাল ৮টার দিকে কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। ওই পিকআপ ভ্যানটি ভাড়া করে কয়েকজন ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এতে পিকআপ ভ্যানে থাকা ১১ জন যাত্রী ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আরও চারজন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: ফরিদপুর

আরও খবর



৭ দশমিক চার মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। স্বায়ত্বশাসিত এই দ্বীপভূখণ্ডের ভূতত্ত্ববিদদের মতে, বিগত ২৫ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প।

বুধবার স্থানী সময় সকাল ৭ টা ৫৮ মিনিটের দিকে ঘটা এই ভূমিকম্পের কম্পন তাইওয়ানের পাশাপাশি অনুভূত হয়েছে চীন, ফিলিপাইন এবং জাপানেও। এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বিশাল মাত্রার এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে তাইওয়ান ও তার প্রতিবেশী এই তিন দেশে। সুনামির সময় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (৯ ফুট) ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্র এপিসেন্টার তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র বা এপিসেন্টার এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পণটির উৎপত্তিস্থল। ৭ টা ৫৮ থেকে পরবর্তী কয়েক মিনিটে অন্তত ৯ দফা কম্পণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

তাইওয়ানের ভূকম্পণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা তাইপে সিসমোলজি সেন্টারের পরিচালক উ শিয়েন ফু বিবিসিকে বলেন, পূর্ব উপকূলে সাগর তীর বা ডাঙ্গা থেকে অল্প খানিক দূরত্বে, অর্থাৎ সাগরের অগভীর অংশে এই এপিসেন্টারের অবস্থান। এ কারণে তাইওয়ান এবং তার প্রতিবেশি দেশগুলোতে পূর্ণমাত্রার কম্পণ অনুভূত হয়েছেগত ২৫ বছরে তাইওয়ানে যত ভূমিকম্প ঘটেছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

তাইওয়ানের টেলিভিশন চ্যানেল টিভিবিএস ও অন্যান্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে ধসে ও হেলে পড়া অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ও স্কুলগুলো থেকে লোকজন-শিক্ষার্থীদের সরানো হচ্ছে। বাড়িঘরের ধংসাবশেষের আঘাতে বেশ কয়েকটি যানবাহন ধ্বংস হওয়া এবং বাড়িঘর-দোকানপাটের আসবাব ও অন্যান্য জিনিসপত্রের ছড়ানো ছিটানো অবস্থার ফুটেজ প্রকাশ করেছে টিভিবিএস।

ভূমিকম্পের জেরে তাইওয়ানের পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক ভূমিধস হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে টিভিবিএস। তবে এখনও হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায় নি।

এর আগে ১৯৯৯ সারের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল তাইওয়ানে। সেই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, সেই সঙ্গে ধ্বংস হয়েছিল অন্তত ৫ হাজার ভবন।


আরও খবর



কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। 

সম্মেলনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে আলোচনা এবং তাদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।

এ সময় সাংবাদিকদের সামনে তিনি লিখিত একটি বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় কেএনএফ কর্তৃক পবিত্র রমজান মাসে তারাবি নামাজীদের ওপর হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি, অর্থ লুটের উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া। ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় স্থানীয়দের জিম্মি করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও দুটি ব্যাংক লুট করার মতো হীন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরের ২৯ মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে জেলার অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৯ জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের মধ্যে কয়েক দফা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সরাসরি সংলাপে বসার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ  দুদফা সরাসরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উভয় সংলাপে কেএনএফ এর সশস্ত্র কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়। কিন্তু তারা সম্পূর্ণভাবে চুক্তি ভঙ্গ করে বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। কমিটির তরফ থেকে এ ব্যাপারে বারবার অবগতি করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। বরং বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়বাসীদের ওপর হামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি চালিয়ে যায়। অতি সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি তীব্রভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চলমান সব ধরনের প্রচেষ্টা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এমতাবস্থায় এ কমিটি মনে করে, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

বিধায় আগামীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা জোরদারকরণ, রাষ্ট্রের সম্পত্তির সুরক্ষা প্রদান এবং অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে নিঃশর্তভাবে সুস্থ ও নিরাপদে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

শান্তি আলোচনা চলাকালে কেএনএফ এর এ ধরনের অবস্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির গৃহীত উদ্যোগ ও কার্যক্রম ব্যর্থ হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার। এর মধ্যে সাধারণ বম জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ গ্রামে ফিরতে প্রশাসনিকভাবে সকল সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাদের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরেও এ ধরনের ঘটনায় আমরা বিস্মিত।

পুনরায় কি এই শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঘটনার পর কেএনএফ এর লিয়াজোঁ কমিটির সব সদস্যের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে কেএনএফের অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১৮ জুন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্যোগে গঠিত হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ নভেম্বর বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের অনুষ্ঠিত হয় এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) উচ্চ পর্যায়ের নেতারা।

তবে শান্তি আলোচনা, সমঝোতা হওয়ার পরেও পাহাড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের বিরত না রেখে একের পর এক হামলা, চাঁদাবাজি, গুম, খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।


আরও খবর



ঈদের আগে এলো না জিম্মি নাবিকদের মুক্তির প্রহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের দিনও কাটাতে হবে জাহাজেই জিম্মি অবস্থায়। বিষণ্নতা, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তাই আরও জেঁকে বসেছে জিম্মি নাবিক ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। উল্লেখ্য ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের ঈদের আগেও মুক্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে জিম্মি পরিবারের সদস্যরা কাঁদছেন স্বজনদের ঈদের আগেও ফিরে না পেয়ে। আর জিম্মিরা মন খারাপ করে আছেন এক মাসেও মুক্তি না পেয়ে।

জিম্মি নাবিক ও স্বজনদের মন খারাপ করা ঈদের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, এমনটি চায়নি এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ। নাবিকদের জিম্মিদশা শুরুর ৯ দিন পর জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করার পর থেকেই মালিকপক্ষ ঈদের আগেই এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষ করার আশা নিয়ে তৎপর হয়েছিল। বিভিন্ন সময় জাহাজ মালিকপক্ষ এবং সরকারপক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবারও চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুনরায় বলেন, এম ভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে আলোচনার বেশ অগগ্রতি হয়েছে।

রাষ্ট্র এবং জাহাজ মালিকপক্ষ আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেও তা কতদূর হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই জানানো হচ্ছে না। জাহাজ মালিকপক্ষ জানাচ্ছে, মুক্তিপণের টাকা দিয়ে নাবিক ও জাহাজ মুক্তি করতে হবে। কিন্তু মুক্তিপণ কত? কোথায়, কীভাবে তা দিতে হবে? এ ধরনের প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর মিলছে না। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। ফলে একধরনের তথ্য ঘাটতির মধ্যে রয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের পারিবারিক সদস্যরা

তবে ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজ মুক্ত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হচ্ছে না। এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে ঈদের পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কোম্পানি।

এখন আলোচনা কত দূর গিয়ে আটকে গেছে? যার কারণে ঈদের আগেই মুক্তি মিলছে না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা আটকে নেই। থেমে যায়নি। চলছে। বেশ অগ্রগতিও ঘটেছে। কিন্তু এখানে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। তিনি বলেন, জাহাজে নাবিকরা ভালো আছে। কিছুটা পানির সংকট থাকলেও তা ক্যাপ্টেন রেশনিং পদ্ধতিতে ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। নাবিকদের সঙ্গে পরিবার ও জাহাজ মালিকপক্ষের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।

সাধারণ সময়ে নাবিকরা জাহাজ নিয়ে ঈদের সময়ে গভীর সমুদ্রে থাকলে ঈদের নামাজ কীভাবে পড়েন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে কর্মরত ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বলেন, গভীর সমুদ্রে নামাজ কসর পড়লে হয়। নাবিকরা সেভাবেই পড়েন। তবে ঈদের সময়ে সাধারণত নিজেদের মধ্যে একজন খুতবা পড়েন এবং জামায়াতে নামাজ আদায় করেন। জাহাজের সহকর্মীরা কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। আর সুযোগ থাকলে পার্টির আয়োজন হয়। জিম্মি জাহাজে বন্দি নাবিকদের ঈদ কেমন হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলদস্যুরা সদয় হয়ে যদি তাদের ঈদের নামাজ পড়তে দেয়, তাহলে তো ভালো কথা। তবে জিম্মি অবস্থায় জাহাজে তো পার্টি করার সুযোগ নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে না। নিজেরা কোলাকুলি করে আনন্দ ভাগাভাগি হয়তো করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মুক্তিই আমাদের কাছে প্রধান বিষয়।

জিম্মি নাবিকদের একজনের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, এখন দুই-তিন দিন পরপরই নাবিকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। তারা ভালো আছেন। জলদস্যুরা সশস্ত্র পাহারা দিচ্ছে। নাবিকরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েক দিনের মধ্যে জাহাজটির নোঙর আর তোলা হয়নি। একই স্থানে আছে। তিনি বলেন, নাবিকরা বুঝতে পারছেন, মালিকপক্ষ জলদস্যুদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অর্থ লেনদেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মিলবে না সেটাও তারা বোঝেন। তাই মানসিকভাবে শক্ত থেকে জিম্মিজীবন শেষ করার প্রহর গুনছেন তারা।


আরও খবর
মহান মে দিবস আজ

বুধবার ০১ মে ২০২৪




যেভাবে মুক্তিপণের অর্থ পেল সোমালিয়ার জলদস্যুরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশে সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে এ খবর নিশ্চিত করেছে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন। এরপরই জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় এমভি আবদুল্লাহর দুই পাশে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাহারা দিয়ে সোমালিয়া উপকূল ত্যাগ করতে থাকে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা ২৩ নাবিককেই অক্ষত অবস্থায় ফেরত পেয়েছি।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

এদিকে রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে মিন্টু রোডে প্রতিমন্ত্রীর বাসায় জিম্মি অবস্থার অবসান বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেছেন, জলদস্যুরদের মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের উদ্ধারের তথ্য সরকারের কাছে নেই। শনিবার (১৩ এপ্রিল) নাবিক মুক্ত হবার সময় জলদস্যুরা নিরাপত্তার জন্য কয়েকজন নাবিককে জাহাজ থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু সরকারের দৃঢ়তায় নাবিকদের নিরাপদ রেখেছে। আমার ধারণা, নাবিকদের দেশে ফিরতে ২০ দিনের মতও  সময় লাগতে পারে।

গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর
মহান মে দিবস আজ

বুধবার ০১ মে ২০২৪