মামুনুল হক তার
বাবার শেষ স্ত্রীকেও বিয়ে করেছিল, তথ্যটি জানাচ্ছেন কমরেড ডা. এম এ সামাদ। তিনি কমিউনিস্ট
পার্টি অব বাংলাদেশ-এর (মার্কসিস্ট) জেনারেল সেক্রেটারি এবং দৈনিক ‘সিপিবিএ’
পত্রিকার
সম্পাদক। তিনি প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ হাতে নিয়েই ফেসবুক লাইভে এসে এমন তথ্য জানান।
ডা. এম এ সামাদ
তার ফেসবুক লাইভে বিস্তারিত তুলে ধরে জানান, মামুনুল হকের সেই সৎ মা এবং পরবর্তীতে
স্ত্রীর নাম ফারহানা। তিনি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী। সেখান থেকে মামুনুল
হকের গ্রেপ্তারের খবরে উতলা হয়ে বিভিন্ন ধরণের গুজব অপপ্রচার চালাচ্ছেন, সেই সাথে উসকানি
দিচ্ছেন মামুনুল হকের অনুসারীদের রাস্তায় নেমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে
আন্দোলন এবং জ্বালাও পোড়াও শুরু করার জন্য।
ডা. এম এ সামাদ
এর সাথে মামুনুল হকের পিতা স্বঘোষিত স্বাধীনতাবিরোধী শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের
অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতা ছিল। ডা. সামাদ সেই পরিচয় এবং পারিবারিক সম্পর্কের সুবাদে বিভিন্ন
তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, মামুনুল
হকের পিতার স্ত্রীর সংখ্যা অনেক, যাদের অনেকেই ছিলেন তার বাড়ির গৃহ পরিচারিকা। তাদেরকে
একে একে বিয়ে করেন আজিজুল হক। এসব বিয়ের কোনো রেজিষ্ট্রি বা কাবিন নাই। শুধুমাত্র মুখে
কলেমা পড়ে বিয়ে এবং ‘ছেড়ে দিলাম’বলে ডিভোর্স দেয়া হয়। এই স্ত্রীদের গর্ভে
মোট সন্তানের সংখ্যা ১৪ জন।
মামুনুল হক যাকে
বিয়ে করেছেন সেই ফারহানা তার পিতা আজিজুল হকের শেষ বয়সে করা বিয়ের অতি অল্প বয়সী এক
স্ত্রী। বয়সের বিস্তর ব্যবধানের কারণে এ নিয়ে মাদ্রাসায় এবং ধর্মীয় অঙ্গনে বেশ রসালো
আলাপ হতো। এ নিয়ে ১৯৯১ সালে এক আলোচনায় তিনি খোদ মহানবী (স.) এর ৬ বছর বয়সী হযরত আয়েশা
(রা.) কে বিয়ের উদাহরণ দিয়ে নিজের বিয়ের বৈধতা দান করেন।
এমনকি আব্দুর
রাজ্জাক বিন ইউসুফের সাথে এক আলোচনায় আজিজুল হক দেশের প্রচলিত আইনকে মুরতাদদের আইন
আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, বিয়ের সংখ্যা এবং বয়স নির্ধারণ করা এই মুরতাদদের আইন আমরা মানি
না। বরং ১৩টি পর্যন্ত বিয়ের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।
ডা. এম এ সামাদ
জানান, মামুনুল হকের সেই সৎ মা এবং পরবর্তীতে স্ত্রী হওয়া নারী ফারহানা এখনও তার ফেসবুক
প্রোফাইলে মামুনুল হকের এক্স স্ত্রী হিসেবে নিজের পরিচিতি বহন করেন।