আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

সরিয়ে নেওয়া হবে আফগানিস্তানে মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তালেবান সৈন্যরা স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় দুটি শহরের দখল নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আফগানিস্তানে তাদের দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নিতে সাহায্য করতে কয়েক হাজার সেনা পাঠাবে বলে জানিয়েছে।

গত মে মাস থেকে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করার পর সর্বশেষ আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও হেরাত দখলকে তালেবানের দুটি বড় সামরিক বিজয় হিসেবে ধরা হচ্ছে।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিকটবর্তী একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলসহ সে দেশজুড়ে তালেবানের নিয়ন্ত্রণের অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে থাকা মার্কিনিদের যত দ্রুত সম্ভব আফগানিস্তান ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

কাবুলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটে গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে আফগানিস্তানে বসবাসরত মার্কিনিদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, যেভাবে সম্ভব দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করুন।

আর্থিক সংকট বা অন্য যেকোনো কারণে কেউ দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করতে অসুবিধায় পড়লে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে। তবে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার অবস্থা এবং লোকবলের কমতি থাকায় কাবুলসহ আফগানিস্তানে খুব কম সংখ্যক মার্কিনিকেই সহায়তা করতে পারবে দূতাবাস।

গতকাল বৃহস্পতিবার কাবুলের ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর গজনি দখল করেছে তালেবান। মে মাসে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে এটি তালেবানের বড় অর্জন। চলতি মাসের শেষ নাগাদ মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান থেকে ফিরে আসবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সরিয়ে নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে ইসলামপন্থি তালেবান গোষ্ঠীর সঙ্গে একাই লড়তে হবে আফগান সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীকে।

কাবুলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করে গত ২৭ এপ্রিল আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কর্মকর্তাদের যতটা সম্ভব দূতাবাসের বাইরে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রলায়য়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস এ সপ্তাহের শুরুর দিকে বলেছিলেন, দূতাবাসের কর্মসূচির কোনো পরিবর্তন হয়নি, তবে প্রতিদিন নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।


আরও খবর



কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে তিনি কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বের হন। এসময় কারা ফটকের সামনে হেফাজত ইসলামের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার (২ মে) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে জামিনের সব কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে কাজ শেষ হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।


আরও খবর



র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে যা বললেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয় নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

মঙ্গলবার সালমান এফ রহমানের বাসভবনে নৈশভোজে ঢাকা সফররত ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। নৈশভোজ শেষে ব্রিফিংয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়টি বলেছি। তারা বলেছে, এ দুটি বিষয় আইন দপ্তরে রয়েছে।

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ডোনাল্ড লু আগেরবার এসে জানিয়েছিলেন, র‍্যাব বিষয়ে উন্নতি হয়েছে। ফলে পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। র‍্যাব বিষয়ে উন্নতি হয়েছে, তা আইন দপ্তরকে জানিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর।

সালমান এফ রহমান আরও জানান, এই বৈঠকে ডলার সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশও তাদের এ চাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে।

ফিলিস্তিন নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। মার্কিনিরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায়। এটি স্থায়ী সমাধানের দিকে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা। যদিও সমাধানের বিস্তারিত জানাননি তিনি।


আরও খবর



খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডলারের দাম ১১০ থেকে ১১৭ টাকা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনাবেচা হবে। এই পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। এর সঙ্গে এক টাকা যোগ বা বিয়োগ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। সেক্ষেত্রে ডলারের দাম আরও বেড়ে হতে পারে ১১৮ টাকা।

অন্যদিকে ডলারের দাম ব্যাংকে ৭ টাকা বাড়লেও মানি এক্সচেঞ্জলোতে বেড়েছে ৯ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। ডলারের সঙ্গে অন্য মুদ্রায়ও এর প্রভাব পড়েছে কার্ব মার্কেটে (খোলাবাজার)। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর ফকিরাপুল, পল্টন, মতিঝিল এলাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলো ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

খোলাবাজারের পাশাপাশি ব্যাংকের এলসি খোলার দামও বেড়েছে। বুধবার (৮ মে) ১১৫ টাকায় এলসি খুলেছিল যেসব ব্যাংক তারাও আজ বৃহস্পতিবার ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা দর নিচ্ছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

উল্লিখিত এলাকাগুলোতে বুধবার প্রতি ডলার কেনার রেট ছিল ১১৪ টাকা ৫০ পয়সা, বিক্রি হয়েছে ১১৬ টাকায়। বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। আর কেনার ক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো যে যার মতো করে দর ঠিক করে দিচ্ছে।

এদিন পল্টন এলাকায় মিলন নামে একজনের সঙ্গে কথা হয়। একটি মানি এক্সচেঞ্জের নির্বাহী হিসেবে আছেন তিনি। ক্রেতা সেজে মিলনের কাছে ডলার কিনতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত হয়েছে বিকেলে। এখনো সিদ্ধান্তই নিতে পারিনি কত দামে বিক্রি করবো। বিকেলের দিকে ভিসা-পাসপোর্ট নিয়ে আসেন দেখি কী করা যায়।

পরে চলে আসার সময় পেছন থেকে ডাক দেন তিনি। বলেন, মামা যদি কিনতে চান এক দাম লাগবে ১২৫ টাকা। যদি নিতে চান তাহলে ওই চায়ের দোকানে আসেন।

সাইদুল নামে অন্য একজন বলেন, মামা এখন গোয়েন্দা-এনএসআই-ডিজিএফআই আছে। আপনি সত্যিকারের ক্রেতা নাকি গোয়েন্দা বুঝি কেমনে। এখনো বিক্রি শুরু করিনি, অল্প পরিমাণ আছে, সন্ধ্যায় কল দিয়ে আসবেন। দোকানের বাইরে গিয়ে দিয়ে আসবো।

তবে দাম কত নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আসেন, তারপর বাধবে না (দাম নিয়ে)। তবে ১২৫ টাকার নিচে দেওয়া যাবে না।

এদিকে ডলারের সঙ্গে অন্য মুদ্রা বিনিময় দামও বেশি চাওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ মানি একচেঞ্জের কর্মকর্তারা বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্য মুদ্রার দামও বেড়েছে। বুধবার পর্যন্ত ভারতীয় মুদ্রা এক টাকা ৪০ পয়সা ছিল, আজ (বৃহস্পতিবার) এক টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। অন্য দেশের মুদ্রার দামও বাড়িয়েছেন তারা।


আরও খবর



চসিকের নগর ভবনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

নতুন নগর ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এর মধ্য দিয়ে ১৪ বছর ধরে লালিত চসিকের আইকনিক' নগর ভবন নির্মাণ হতে চলেছে।

আজ সোমবার দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লায় চসিকের নিজস্ব জমির উপর এই ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, পুরাতন নগর ভবনের স্থানে পার্শ্ববর্তী আরো দু'টি ভবনের স্থান সংযুক্ত করে এই আইকনিক নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। তিনটি বেইসমেন্টসহ পুরো নগর ভবন হবে ২১ তলা। এ ভবনের প্রথম ধাপের কাজ উদ্বোধন করা হলো। আমাদের লক্ষ্য ২৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের প্রথম ধাপের কাজের অংশ হিসেবে ৫-৬ তলা আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করে টাইগারপাস থেকে আন্দরকিল্লায় চলে আসা বাকী অংশ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, স্থায়ী নগর ভবন না থাকায় বিদেশি অতিথিরা আসলে আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হত, নাগরিকদেরও সেবা প্রদান বিঘ্নিত হত৷ এজন্য নিজস্ব ফান্ডে নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি৷ এ ভবনে নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দে সেবা নিতে পারবেন৷ এছাড়া এ ভবনের একটি ফ্লোরে চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে গড়ে তোলা হবে জাদুঘর।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ জানায়, ৩৮ হাজার ৪৯০ বর্গফুট বা ৫৩ দশমিক ৪৫ কাঠা জায়গায় নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রণয়ন নামে একটি কনসালটেন্ট ফার্ম আইকনিক এ ভবনের নকশা করেছে। ভবনের উপরে থাকবে সিটি ক্লক। ভবনের তিন পাশে সাজানো বাগান থাকবে। নির্মাণ করা হবে ফোয়ারা। থাকবে মাল্টিপারপাস হল, কনফারেন্স হল ও ব্যাংকুয়েট হল। তবে পুরো নগর ভবন নির্মাণ করা হবে ধাপে ধাপে। শুরুতে বেইসমেন্টসহ তিনটি ফ্লোর নির্মাণ করা হবে।

জানা গেছে, নগরীর আন্দরকিল্লায় ১৯৬৪ সালে নির্মিত একটি ভবন চসিকের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হতো। ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে উঠায় ২০১০ সালের ১১ মার্চ নতুন নগর ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তবে নানা জটিলতায় এই কাজ আটকে যায়। এরপর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ মনজুর আলম ও আ জ ম নাছির উদ্দীনও নতুন নগর ভবন নির্মাণকাজ শুরুর উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২০ জুন চসিকের প্রধান কার্যালয় টাইগারপাসের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। তবে অর্থছাড় না পাওয়ায় নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি।

বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর ফের নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। জটিলতা এড়াতে তিনি চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে নতুন নগর ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে বহুতল নগর ভবন নির্মাণ হচ্ছে। চসিকের একসাথে ৩০ কোটি টাকার বেশি কাজ করার সুযোগ নেই। তাই ধাপে ধাপে নগর ভবন নির্মাণকাজ শেষ করব। প্রথমে তিনটি ফ্লোর করব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লা চৌধুরী, রুমকি সেনগুপ্ত, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এস্টেট অফিসার মোঃ রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তা, রেজাউল বারী ভূইঁয়া, মীর্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, রিফাতুল করিম, তাসমিয়া তাহসীন, তৌহিদুল ইসলাম, সালমা খাতুন, সহকারী প্রকৌশলী আসীর হামীম।


আরও খবর



চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেছেন, কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক।

কোরিয়ার ৫ম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানকার ম্যানুফ্যাকচারার, অটোমোবাইল, মোবাইল ও হোম ইলেক্ট্রনিক্স খাতে বিনিয়োগ রয়েছে কোরিয়ান কোম্পানীর। এছাড়াও বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্পে দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে কোরিয়ান কোম্পানীগুলো।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক সাথে  চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালকদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তোরণ করবে। তাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে গুণগত অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈচিত্রতা আনতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বে পোশাক শিল্পের ৭৫ শতাংশ কটনবেইজড পোশাক রপ্তানি হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ম্যান মেইড ফাইবার পোশাকের  কদর রয়েছে। বাংলাদেশে ব্লু ইকোনমি, ট্যুরিজম, এগ্রো ও ফুড প্রসেসিং সেক্টরে অনেক উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে কোরিয়ার। বর্তমানে বাংলাদেশের কোরিয়ান কোম্পানীগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানির উপর উচ্চ ট্যারিফ, ভিসা জটিলতা এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স বিলম্বজনিত সমস্যা একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। বিনিয়োগের এসব বাধাসমূহ সমাধান প্রয়োজন।

চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, বাংলাদেশের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরিপোশাক খাত আজকের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে কোরিয়ার অবদান। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নেও রয়েছে কোরিয়ার অবদান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ৮০ শতাংশ হচ্ছে কোরিয়ার বিনিয়োগ। বর্তমানে বৈশ্বিক বাজারে ম্যান মেইড ফাইবার তৈরিপোশাকের চাহিদা বাড়ছে। তাই এই সেক্টরে কোরিয়ার বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি প্রত্যাশা করছি। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্লু ইকোনমি, শিপ বিল্ডিং ও শিপিং খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে বাংলাদেশে এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য অপচয় হচ্ছে। তাই আধুনিক এগ্রো প্রসেসিং সেক্টরে প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ করতে পারে। বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে কোরিয়ার অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন মেঘনা নদী থেকে পানি সরবরাহ লাইন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড তথা চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে হবে।

চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ান ফুডের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এছাড়া কোরিয়ার কসমেটিক্স, প্রসাধন ও ফুটওয়্যারের কদর রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বাজার এবং বিদেশের চাহিদা মাথায় রেখে বাংলাদেশের কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

 এসময় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, আখতার উদ্দিন মাহমুদ ও দূতাবাসের কনসুল কিম জেয়ং কি, চট্টগ্রামে কোরিয়ান এসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট জিন হুক পিক, কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান তাইয়ং প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), বেনাজির চৌধুরী নিশান, আলমগীর পারভেজ, মাহবুবুল হক মিয়া ও মোঃ রেজাউল করিম আজাদ উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর