বগুড়া দুপচাঁচিয়ার উনাহত সিংড়া উচচ বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে পাঠদান ব্যহত হচেছ। ফলে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের মাঝে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সমস্যাটি দ্রুত সমাধানে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জানা যায় ১৯৭৬ সালে এলাকার শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক ব্যক্তিদের উদ্যোগে ৭২ শতক জমির উপর টিনশেড মাটির তৈরী ঘরে গড়ে তোলা হয়েছে বিদ্যালয়টি। ৬ষ্ঠ শ্রেণি-১০ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী ৪৭৬ জন। শিক্ষক রয়েছেন মোট ১২ জন। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আরেকটি ক্লাস শেষ হলেই তারা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের সুযোগ পায়।
নিয়মিত পাঠদান চালু থাকলেও অবকাঠামো বলতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্মাণ করা তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি ভবন। ওই ভবনের দুইটিতে ক্লাস রুম অপরটিতে শিক্ষকদের অফিস কক্ষ। আর জরার্জীণ কয়েকটি টিনশেড মাটির তৈরী ঘর যা বর্তমান পরিত্যাক্ত। ফলে পাঠদান ব্যাহত হওয়াসহ নানা সমস্যায় ভুগছে বিদ্যালয়টি। এমপিও ভুক্ত হলেও সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে বিদ্যালয়টির কোমলমতি শিক্ষার্থী।
৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাথি রানী জানায়, শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকায় বিদ্যালয়ে এসে অপর ক্লাসের ছুটির অপেক্ষায় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ওই ক্লাসের ছুটি হলে শ্রেণিকক্ষে বসতে পারে তারা। র্দীঘদিন ধরে এভাবেই চলে আসছে। ফলে শ্রেণিকক্ষে বসে পাঠগ্রহণে মনোযোগ দেয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল ভাল হওয়ায় দিনদিন বৃদ্ধি পাচেছ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী বৃদ্ধির কারণে আমরা শ্রেণিকক্ষের সংকটে ভুগছি। সমস্যাগুলো উপজেলা শিক্ষা অফিসে অবগত করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুশীল চন্দ্র বর্মণ বলেন, আমরা দাবি জানাচ্ছি, সরকার যেন এখানে শিশুদের কথা চিন্তা করে একটি বহুতলবিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবন স্থাপনের আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি আরও বলেন সেইসাথে বিদ্যালয় এর অবকাঠামো উন্নয়নে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও সহযোগিত কামনা করছি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হযরত আলী বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকটের বিষয় আমার জানা নেই তবে খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবসাথা গ্রহণ করা হবে।
আজকের দর্পণ/এমদাদুল হক/বগুড়া