শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট-শিমুলিয়া নৌপথে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় একজন মুক্তিযোদ্ধার
লাশ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। এছাড়াও শিশুসহ চারজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার(২৭
মে) জাজিরার পালের চর থেকে ইঞ্জিন চালিত একটি ট্রলার ১৮ জন যাত্রী নিয়ে পৈলানমোল্লার
কান্দি নামক স্থানে পদ্মা নদীতে ডুবে যায়।
জাজিরা উপজেলা
প্রসাশন ও পুলিশ জানায়, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মঙ্গলমাঝির ঘাট ও শিমুলিয়া নৌপথে সকল ধরণের
নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। একারণে কয়েকজন ব্যক্তি জাজিরার পালেরচর এলাকা থেকে বিকাল ৪
টার দিকে মাছ শিকারের একটি ট্রলারে করে পদ্মা পাড়ি দিয়েছিলেন। ৫ টার দিকে পদ্মার প্রবল
ঢেউ ও ¯্রােতের আক্রমণে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। স্থানীয় বিভিন্ন নৌযানে ১৩ জন যাত্রীকে
জীবিত উদ্ধার করে তাদের মধ্যে ৬ জনকে চিকিৎসার জন্য জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে
ভর্তি করা হয়েছে। নৌপুলিশ সন্ধ্যার দিকে বাবুরচর
এলাকা থেকে যাত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান আকনের(৭০) লাশ উদ্ধার করেছে। বীর
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান আকন জাজিরার আকনকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
নৌপুলিশের মাঝিরঘাট
ফাড়ির উপ-পরিদর্শক মৃদুল চন্দ্র কপালিক বলেন, রাত ৮টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো
হয়েছিল। অন্ধকার নদীতে কাজ করা যাচ্ছে না তাই শুক্রবার সকালে আবার উদ্ধার কাজ শুরু
হবে। আমরা মাঝিরঘাটে দায়িত্ব পালন করছিলাম, নৌপুলিশের দৃষ্টি এড়িয়ে একটি চর থেকে ট্রলারটি
শিমুলিয়া যাচ্ছিল।
জাজিরা উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আশরাফুজ্জান ভূঁইয়া বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুই দিন
যাবত সকল নৌযান বন্ধ, কিন্তু প্রসাশনের দৃষ্টি এড়িয়ে পদ্মার একটি চর থেকে মাছ শিকারের
ট্রলারে করে যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিয়েছিলেন। যে ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাকে
তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ ৪ জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার
পর থেকেই নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত
৪ মে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে স্পিডবোটের সাথে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায়
২৬ জন ব্যক্তি প্রাণ হারান। এরপর থেকে ঐ নৌপথসহ মাঝিরঘাট-শিমুলিয়া নৌপথে স্পিডবোট ও
ট্রলারে যাত্রী পাড়াপাড় নিষিদ্ধ করেছিল স্থানীয় প্রসাশন। কিন্তু ঈদের ৪ দিন আগে থেকে
ট্রলারে করে যাত্রী পাড়াপাড় করা হচ্ছে বলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন অনেকেই।