আজঃ রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াবে যোগ ব্যায়াম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গগুলো ঘিরে থাকে মাংসপেশি। সেগুলি আদপে স্পঞ্জের মতো। শরীর যদি অত্যাধিক স্ট্রেসে থাকে, মাংসপেশিগুলিও তাই শুষে নেবে। তাই মাঝে মাঝে স্ট্রেচ করা প্রয়োজন। তবেই আপনার শরীর আরও নমনীয় হবে। আর চাই রক্তনালীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন। যাতে শরীর সুস্থ থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়বে। এই দুটি কাজেই সাহায্য করতে পারে যোগা এবং প্রাণায়াম। কোন আসনগুলি করলে এই উপকারিতা পাবেন, জেনে নিন।

শিশুআসন

পা পিছন দিকে মুড়ে গোঁড়ালির উপর ভর দিয়ে বসুন। সামনে ঝুঁকে কপাল মাটিতে ঠেকান। হাত দুটো মাটিতে রাখুন শরীর বরাবর। তালু উপর দিকে থাকবে। উরুর উপর বুকের ভার দিন আলতো ভাবে। এভাবে কিছুক্ষণ থেকে আবার উঠে পড়ুন ধীরে ধীরে।

ভুজাঙ্গাসন

পেটের উপর ভর দিয়ে শুয়ে পড়ুন। কপাল মাটিতে ঠেকবে। পায়ের আঙুল থাকবে বাইরের দিকে। গোঁড়ালি দুটো কাছাকাছি রাখুন। ধীরে ধীরে হাত তুলুন। তালু মাটিতে রাখুন কাঁধ বরাবর। কনুই শরীরের কাছাকাছি থাকবে। একটা বড় নিঃশ্বাস নিয়ে নাভি মাটিতে রেখে শরীরের উপর অংশ তুলুন। দুই তালুতে সমান ভার দিয়ে উপরে অংশের শরীরের ভার সামলে নিন। স্বাভাবিক ভাবে নিঃশ্বাস নিতে নিতে শরীর পিছনে দিকে বেকিয়ে দিন। যাতে শিরদাঁড়ার এক্সারসাইজ হয়। নিঃশ্বাস ছাড়া কালীন আবার শুয়ে পড়ুন। হাত সোজা হচ্ছে কিনা এবং পা মাটিতেই থাকছে কিনা এগুলি খেয়াল করতে হবে।

ধনুরাসন

পেটের উপর ভর দিয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত থাকবে শরীরের দুপাশে এবং দুপায়ের মধ্যে দূরত্ব থাকবে। হাঁটু মুড়ে গোড়ালি দুটো ধরুন। বড় নিঃশ্বাস টেনে শরীর উচু করুন, গোড়ালিও উচু করুন। সামনাসামনি দেখার চেষ্টা করুন। শরীরের আকার ধনুকের মতো হবে। এ ভাবে কিছুক্ষণ ধরে রেখে নিঃশ্বাস নিন। ধীরে ধীরে শরীর শুরুর মতো করে নিন। লম্বা লম্বা নিঃশ্বাস নেবেন। একদম শেষে রিল্যাক্স করুন।

নিউজ ট্যাগ: যোগ ব্যায়াম

আরও খবর
সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ পর্যায়ে যেতে পারে ডেঙ্গু

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পানির নিচে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ৪৫ কিমি যানজট

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় কবলিত হয়েছে দেশের ১১টি জেলা। বন্যার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এখন পানির নিচে। ফলে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে ৪৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজট শনিবার (২৪ আগস্ট) প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিরসন হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের মুহুরীগঞ্জ থেকে লালপোল পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেন তলিয়ে গেছে। পানির স্রোত দেখা গেছে সড়কে। এ কারণে ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে হাজার হাজার গাড়ি। যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগের শেষ নেই। তবে সড়কে কোথাও থানা, ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশ চোখে পড়েনি।

লরিচালক আসিফ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে রওনা দিয়েছি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। শুক্রবার ভোরে সোনাপাহাড় এসে পৌঁছাই। রাস্তায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছি। কোনো দিকে যাওয়ার অবস্থা নেই।

ট্রাকচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২০ ঘণ্টা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে, কোথাও খাবারের দোকান খোলা পাচ্ছি না। ক্ষুধায় প্রাণ যায় যায় অবস্থা।

রাসেল আহম্মেদ নামে এক যাত্রী বলেন, ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাসে উঠছিলাম বৃহস্পতিবার ভোরে। শুক্রবার দুপুরে ঠাকুরদিঘি এলাকায় নেমে আবার চট্টগ্রাম শহরে চলে আসছি। যদিও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, পুলিশ রাস্তায় দায়িত্ব পালন করে লাভ হবে না। কারণ, পানির কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। পানি নেমে গেলে যানজট নিরসন হয়ে যাবে।


আরও খবর



আবারও মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এলো ৫০০ রোহিঙ্গা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

সীমান্ত অতিক্রম করে এক দিনেই বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে অন্তত ৫০০ রোহিঙ্গা। এর আগে শুক্রবার কক্সবাজারের সীমান্ত দিয়ে এসেছে আরও দুই শতাধিক। গত দুই সপ্তাহে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে এসেছে কমপক্ষে আট হাজার রোহিঙ্গা।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে।

সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, রাখাইনের মংডু টাউনশিপের বিপরীতে (পশ্চিমে) চার কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদ পেরোলেই বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলা। রাতের অন্ধকারে মংডু টাউনশিপের সুদাপাড়া, ফয়েজীপাড়া, সিকদারপাড়া ও নুরুল্লাপাড়া গ্রাম থেকে রোহিঙ্গারা নৌকা নিয়ে নাফ নদ অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। বেশির ভাগ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকছে জাদিমোরা, দমদমিয়া, কেরুনতলি, বরইতলি, নাইট্যংপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, নয়াপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ঘোলারচর, খুরেরমুখ, আলীর ডেইল, মহেষখালীয়াপাড়া, লম্বরী, তুলাতলি, রাজারছড়া, বাহারছড়া সীমান্ত এবং উপকূল দিয়ে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। অনুপ্রবেশের সময় বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে নাফ নদ থেকে পুনরায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।

টেকনাফে আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মাইন উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ঢুকে পড়েছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা যেন ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে আশ্রয়শিবিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যার মুখে ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট রাখাইন (আরাকান) রাজ্য থেকে বাংলাদেশে স্রোতের মত ঢুকতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। কয়েক মাসের মধ্যে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। যেখানে আগে থেকেই ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ওই বছরের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমারের অং সান সু চি সরকার। ওই বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিও করে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে দুই দফায় প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি রোহিঙ্গারা, ভেস্তে যায় আলোচনা।


আরও খবর
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




১০ জেলায় বন্যাকবলিত ৩৬ লাখ মানুষ, নিহত ৮

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ১০ জেলায় বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩৬ লাখ মানুষ। মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দুর্গত অনেক এলাকায়। গত দুই দিনে ৪ জেলায় মারা গেছেন অন্তত ৮ জন। তবে কতজন নিখোঁজ হয়েছেন তা এখনোও জানা যায়নি। তলিয়ে গেছে কয়েক লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম জানান, আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কেবিনেট সভা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন।

মৃতরা হলেন, নাঙ্গলকোট পৌরসভার দাউদপুর এলাকার কেরামত আলী (৪৫), কুমিল্লা শহরের ছোট এলাকার কিশোর রাফি (১৫), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সোনাকাটিয়া গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন (৩৪) এবং লাকসামে পানিতে তলিয়ে মারা যাওয়া শিশুর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী জানান, বুধবার রাতে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় একটি সেতুর নিচে তলিয়ে যান নাঙ্গলকোটের দাউদপুর এলাকার কেরামত আলী। প্রবল স্রোতে হারিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাফি (১৫) নামে কুমিল্লা নগরের এক কিশোর মারা যায়। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক যোবায়ের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বুধবার সকালে চৌদ্দগ্রামে বন্যার পানিতে মাছ ধরার সময় গাছ পড়ে শাহাদাত হোসেন (৩৪) নামের এক প্রবাসী মারা যান। চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত সোমবার বিকেলে সোহরাব হোসেন নামে এক আইনজীবী বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। কুমিল্লা নগরীর সালাউদ্দিন মোড়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেখে বের হলে বৃষ্টির পানিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে তিনি মারা যান। কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কক্সবাজারে দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে অন্তত ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি। এসব এলাকার আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়ক পানিতে ডুবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া পানিতে ভেসে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- রামু উপজেলার সাচিং মারমা (২৬) ও আমজাদ হোছন (২২)।

এদিকে ঈদগাঁও, চকরিয়া-পেকুয়া আর রামুতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন এসব উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ।

রামু উপজেলার গর্জনিয়ার ক্যাজরবিল, ডেঙ্গারচর, পশ্চিম বোমাংখিল, জুমপাড়া, পাতালবরপাড়া, রাজঘাট, জাউচপাড়া, মরিচ্যাচার, জুমছড়ি, পূর্বজুমছড়ি, মইন্যাকাটা, পূর্ববোমাংখিল, বোমাংখিল ও মাঝিরকাটার একাংশের বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। রামুতে ঢলের পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

ঈঁদগাও উপজেলার ইসলামাবাদ, পোকখালী ও ইসলামপুর এলাকার মানুষও পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ভেসে গেছে মাছের ঘের, গবাদিপশুর খামার।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম ও শুকনো খাবার দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ডুবে সুবর্ণা আক্তার নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. ইউনূস, সম্পাদক মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং মুগ্ধর জমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সেক্রেটারি (সম্পাদক) করে সাত সদস্যের জুলাই জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাত সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এটার নিবন্ধন করা হয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই ফাউন্ডেশনের সভাপতি। আর সেক্রেটারি (সম্পাদক) হচ্ছেন মীর মাহবুবুর রহমান, তিনি শহীদ মুগ্ধর জমজ ভাই।

জুলাই হত্যার শহীদদের স্মরণে স্মরণসভাটি ১৪ তারিখে হবে না জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, তারিখ পরে ঠিক হবে। স্মরণসভার বাজেট নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ৫ কোটি টাকা যেটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সারাদেশ থেকে সেটা শহীদদের পরিবারের থাকা-খাওয়ার খরচের মধ্যে রাখা হয়েছে।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনর কোষাধ্যক্ষ কাজী হচ্ছেন ওয়াকার আহমেদ। দক্ষতার জন্য তাকে এই কাজে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়। উপদেষ্টাদের মধ্যে আছেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, নূরজাহান বেগম ও শারমিন মুর্শিদ। এতে আরও ১৪ জন সাধারণ সদস্য যুক্ত হবেন।


আরও খবর



ছয় জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের ৬ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম সিলেট জেলার উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়ার অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের সব বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। ঝড়বৃষ্টির এ প্রবণতা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।


আরও খবর
উত্তাল সাগর, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪