আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াবে যোগ ব্যায়াম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গগুলো ঘিরে থাকে মাংসপেশি। সেগুলি আদপে স্পঞ্জের মতো। শরীর যদি অত্যাধিক স্ট্রেসে থাকে, মাংসপেশিগুলিও তাই শুষে নেবে। তাই মাঝে মাঝে স্ট্রেচ করা প্রয়োজন। তবেই আপনার শরীর আরও নমনীয় হবে। আর চাই রক্তনালীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন। যাতে শরীর সুস্থ থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়বে। এই দুটি কাজেই সাহায্য করতে পারে যোগা এবং প্রাণায়াম। কোন আসনগুলি করলে এই উপকারিতা পাবেন, জেনে নিন।

শিশুআসন

পা পিছন দিকে মুড়ে গোঁড়ালির উপর ভর দিয়ে বসুন। সামনে ঝুঁকে কপাল মাটিতে ঠেকান। হাত দুটো মাটিতে রাখুন শরীর বরাবর। তালু উপর দিকে থাকবে। উরুর উপর বুকের ভার দিন আলতো ভাবে। এভাবে কিছুক্ষণ থেকে আবার উঠে পড়ুন ধীরে ধীরে।

ভুজাঙ্গাসন

পেটের উপর ভর দিয়ে শুয়ে পড়ুন। কপাল মাটিতে ঠেকবে। পায়ের আঙুল থাকবে বাইরের দিকে। গোঁড়ালি দুটো কাছাকাছি রাখুন। ধীরে ধীরে হাত তুলুন। তালু মাটিতে রাখুন কাঁধ বরাবর। কনুই শরীরের কাছাকাছি থাকবে। একটা বড় নিঃশ্বাস নিয়ে নাভি মাটিতে রেখে শরীরের উপর অংশ তুলুন। দুই তালুতে সমান ভার দিয়ে উপরে অংশের শরীরের ভার সামলে নিন। স্বাভাবিক ভাবে নিঃশ্বাস নিতে নিতে শরীর পিছনে দিকে বেকিয়ে দিন। যাতে শিরদাঁড়ার এক্সারসাইজ হয়। নিঃশ্বাস ছাড়া কালীন আবার শুয়ে পড়ুন। হাত সোজা হচ্ছে কিনা এবং পা মাটিতেই থাকছে কিনা এগুলি খেয়াল করতে হবে।

ধনুরাসন

পেটের উপর ভর দিয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত থাকবে শরীরের দুপাশে এবং দুপায়ের মধ্যে দূরত্ব থাকবে। হাঁটু মুড়ে গোড়ালি দুটো ধরুন। বড় নিঃশ্বাস টেনে শরীর উচু করুন, গোড়ালিও উচু করুন। সামনাসামনি দেখার চেষ্টা করুন। শরীরের আকার ধনুকের মতো হবে। এ ভাবে কিছুক্ষণ ধরে রেখে নিঃশ্বাস নিন। ধীরে ধীরে শরীর শুরুর মতো করে নিন। লম্বা লম্বা নিঃশ্বাস নেবেন। একদম শেষে রিল্যাক্স করুন।

নিউজ ট্যাগ: যোগ ব্যায়াম

আরও খবর



স্ত্রীর বিচ্ছেদের হুমকিতে মুখ খুললেন ইমরান হাশমি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের সিরিয়াল কিসার’ ইমরান হাশমি। ২০০৬ সাল থেকে পারভিন সাহানির সঙ্গে সুখী দাম্পত্যজীবন উপভোগ করছেন। তাদের সংসারে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। প্রায় ১৭ বছরের দাম্পত্যজীবন তাদের। বিতর্ক হলেও এতগুলো বছর ধরে সুখেই সংসার করছিলেন তারা। কিন্তু হঠাৎই ইমরান জানালেন স্ত্রী নাকি হুমকি দিচ্ছেন বিবাহবিচ্ছেদের।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, তার স্ত্রী নাকি প্রায় দিনই বিয়ে ভাঙার হুমকি দেন। কারণটাও নিজেই জানিয়েছেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইমরান হাশমি বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। সে ক্রমাগত হুমকি দিলেও এখনো যায়নি।’

মূলত অভিনেতার খাদ্যাভাসের কারণেই এই হুমকি দেন স্ত্রী। ইমরান জানান, আমি গত দুই বছর ধরে যে ডায়েট অনুসরণ করি, আমি যা খাই- সে তা পছন্দ করে না। আমার সালাদে রয়েছে অ্যাভোকাডো, লেটুস পাতা ইত্যাদি। কিমা এবং মিষ্টি আলু আমার দুপুর ও রাতের খাবার।’

ইমরানের কথায়, আসলে পুরো পরিবার থেকে আমার খাদ্যাভাস একেবারে আলাদা। কারণ, আমি শরীর স্বাস্থ্যের জন্যে দু’বছরে একবার খাদ্যাভাসের বদল করি। সেই দু’বছর আমার মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজের কোনও নড়চড় হয়নি। সেটা ওর জন্য বিরক্তির বিষয়।’


আরও খবর



রমজান সামনে রেখে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে বরিশালে আরেক দফায় বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। মাছ-মাংসের দামও আকাশচুম্বী। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ ক্রেতাদের।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা। যা কিছুদিন আগেও ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। একইভাবে ৮০ টাকা কেজি দরের মসুর ডাল ১১০ টাকা, ৭৮ টাকার খেসারি ডাল ১১০ টাকা, ৭৫ টাকার ছোলা বুট ১০০ টাকা, ১৯০ টাকার রসুন ২০০ টাকা, ১৬০ টাকার আদা ২২০ টাকা, ১৩৫ টাকার এলসি চিনি ১৪৫ টাকা, মুগ ডাল ১৬০ টাকা, চিড়া ৭০ টাকা, আখের গুড় প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং সয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকায়।

নগরীর আলেকান্দার মুদি দোকানি জহুর কাজী বলেন, রমজান উপলক্ষে সব মালের দাম বাড়তি। পাইকরি বাজার থেকে তারা যে দামে পণ্য কেনেন তার চেয়ে সামান্য লাভে বিক্রি করেন। দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।

নগরীর সাগরদী বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ইসলাম ব্রাদার্সের মো. সাদী জানান, রমজানকে সামনে রেখে ডালজাতীয় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। ভারতীয় পিঁয়াজ না আসায় দেশীয় পিঁয়াজের বাজারও চড়া। তিনি বলেন, ডলার সংকটের কারণে বড় আমদানিকারকরা নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছেন না। যে পণ্য মজুদ আছে তার চেয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেশি। এ কারণে বাজার দর বাড়তি। রমজানের আগে কোনো পণ্যের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে ধারণা করছেন তারা।

নিত্যপণ্যের পাশাপাশি মাছ-মাংসের দামও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি আড়াই শ টাকা এবং গরুর মাংস সাড়ে ৭শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি চিংড়ি ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০, বেলে মাছ ৬০০ থেকে ৮০০, দেশীয় রুই-কাতলা ৪০০, নদীর পাঙ্গাস ৮০০ থেকে ৮৫০, কোরাল ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। নগরীর পোর্ট রোড বাজারে ১ কেজি সাইজের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার টাকায়। রপ্তানিযোগ্য এলসি সাইজ প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে। রমজানে মাছের দাম আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন নগরীর পোর্ট রোড বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবদুল হালিম।

রমজান মাস শুরু না হতেই বগুড়ায় খেজুরের দাম বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। রমজান শুরু হলে দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা। এদিকে আমদানিকারক ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক ও করহার বৃদ্ধি, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে এ বছর খেজুরের দাম বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে খেজুরের বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বগুড়ায় খেজুরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে তিউনেশিয়ার খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা। যা গত বছর বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়। মাশরুপ খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। যা গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। গত বছর দাবাস খেজুর বিক্রি হয়েছিল ৩৫০ টাকা কেজি। কিন্তু এ বছর দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। এ ছাড়াও ফরিদা খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা, রেজিস ৩৫০ টাকা, জাহেদি ২৪০ টাকা, খালাস ৩৬০ টাকা, ব্লাকবড়ি ৬৫০ টাকা ও ইরাকি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে ইরাকি খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর ছিল ১০০ টাকা। দুবাইয়ের ইরাকি জাহেদি জাতের খেজুর ১০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা। দাবাস ও লুলু জাতের খেজুর ১০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ২ হাজার ৪০০ টাকা।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ঈদে ট্রেন যাত্রার চতুর্থ দিনের টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ট্রেনের ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনের টিকিট বিক্রি শুরেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টায় অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়েছে আগামী ৬ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট।

আগামী ১০ এপ্রিলকে ঈদের দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনে যাত্রা শুরু হবে।

আজ সকাল ৮টা থেকে বিক্রি হচ্ছে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট এবং দুপুর ২টা থেকে বিক্রি হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে বর্হিগামী টিকিট সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেওয়া কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আরও জানা যায়, আগের ঈদগুলোতে পাঁচ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে রোববার (২৪ মার্চ)। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট এবার অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।

ট্রেনের ঈদযাত্রার ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ ও ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬ মার্চ। ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ ও ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ।

এ ছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



নিষিদ্ধ জাল উৎপাদন বন্ধের আহ্বান করে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল উৎপাদন বন্ধ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।

সোমবার (১১ মার্চ) চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার মোলহেড এ জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর, চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক জনাব কামরুল হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তিনি বলেন, দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। অথচ অবৈধভাবে জাটকা আহরণের নেপথ্যে কিছু মানুষ কাজ করে থাকে। জাটকা ধরার সাথে জড়িতরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন জাটকা ধরলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যারা কারেন্ট জালসহ অবৈধ জাল ব্যবহার করে জাটকাসহ রেনুপোনা ধরে ফেলে তারা সমাজ ও দেশের শত্রু। দেশের মৎস্য সম্পদের যারা শত্রু তাদের ব্যাপারে কোন তদবীর শোনা হবে না এবং এ ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করা হবে বলে তিনি এ সময় জানান।

মন্ত্রী বলেন, জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ এবং ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তর ১১ মার্চ হতে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪ উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ইলিশ হলো মাছের রাজা, জাটকা ধরলে হবে সাজা

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সর্বসাধারণকে বিশেষ করে জেলে, মৎস্যজীবী সম্প্রদায় ও ইলিশের সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী, আড়তদারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করা এবং ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর ইলিশসহ সকল মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও মৎস্য সম্পদের সাথে জড়িত মৎস্য চাষী, জেলে/মৎস্যজীবী জীবনমান উন্নয়নে বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যার ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৭১ লক্ষ মেট্রিকটনে যা ২০০২-০৩ অর্থবছরে ছিল মাত্র ১.৯৯ লক্ষ মে.টন।

দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১২ ভাগ ইলিশ থেকে আসে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ মৎস্য প্রজাতির উৎপাদন বৃদ্ধি ও এ সম্পদের টেকসই উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, জনবান্ধব এ সরকার জেলে ও মৎস্যজীবীদের উন্নয়নেও বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তরসহ মাঠ প্রশাসন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌপুলিশ, র‌্যাব এবং বিজিবি জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। প্রয়োজনীয় লোকবল, নৌযানসহ প্রয়োজনীয় রশদের স্বল্পতা এবং অভিযানে নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়ন করছেন।

মন্ত্রী বলেন, জাটকা ও মা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মাধ্যমে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসেবে বকনা বাছুর(গরু), ছাগল, ভ্যান বিতরণসহ ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। প্রকল্প মেয়াদে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও উপকূল-মোহনা তীরবর্তী ৩১৭০০টি সুফলভোগী জেলে পরিবারকে বিকল্প কর্মসংস্থানে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণসহ উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে জাটকা নিবিড়ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। জাটকা আহরণ বন্ধে অভিযান জোরদারকরণের পাশাপাশি দেশের সকলকে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। মা ইলিশ সংরক্ষণ ও জাটকা রক্ষার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে এবং ইলিশ সাধারণ মানুষের জন্য আরো সহজলভ্য হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, আর এই সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। দেশের সকল মানুষের হাতের নাগালে ইলিশ মাছ যেমন পৌছে দিতে চাই তেমনি দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন করতে চাই।

এ লক্ষ্যে মা ইলিশ রক্ষা ও জাটকা সংরক্ষণে আপামর জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধকরণের জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া যে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করছেন তার জন্য তিনি গণমাধ্যমকর্মী দের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


আরও খবর



পাবনায় ধানের চাতালে বয়লার বিস্ফোরণ, শিশুসহ নিহত ২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার ফরিদপুরে চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে শিশুসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ধানের চাতালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ফরিদপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও চালকলের মালিক জাহাঙ্গীর আলম (৩৭)। অপরজন চাতালে কর্মরত মহিলা শ্রমিক গোপাল নগর গ্রামের পাখি খাতুনের শিশু সন্তান তারেক হোসেন (৫)।

ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, থানার কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ধানের চাতালে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় চাতালের মালিক জাহাঙ্গীর আলমের শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। চাতালে কর্মরত নারী শ্রমিক পাখি খাতুনের শিশু সন্তান তারেক হোসেনের গায়ে বিস্ফোরণের পর বয়লারের টুকরা পরলে গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।

ওসি হাফিজুর রহমান আরও জানান, এ ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠানো হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর