আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শ্রীপুরে দুর্বৃত্তের ছুড়া পেট্রোলে দোকানে আগুন, দগ্ধ যুবকের মৃত্যু!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি :

গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বাক বিতন্ডায় দোকানে হামলা এবং দোকান মালিকের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনার টানা চারদিন ঢাকা বারডেম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ শরীর নিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যবরণ করলেন দগ্ধ আরিফ হোসেন (৩০)।

সোমবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরিফের।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন।

নিহত আরিফ হোসেন (৩০) শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় বিবিএস কেবলসে চাকুরির পাশাপাশি বিবিএস কোম্পানির সামনে ব্যবসা করতো।

এ ঘটনায় মো. তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা হলো, উপজেলার গোদারচালা গ্রামের ফালু সরকারের ছেলে তেলিহাটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তোফাজ্জল সরকার, মোফাজ্জল সরকার এবং তাইজু সরকার।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার(২২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে তেলিহাটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তোফাজ্জল সরকার একটি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম নিয়ে দোকানদার সাখাওয়াতের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে দোকানদারের বাবা জজ মিয়াকে মারধর করে। এর আধা ঘণ্টা পরে তেলিহাটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তোফাজ্জল সরকার তার লোকজন নিয়ে ওই দোকানে ভাঙচুর করে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে শ্রীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। এসময় হামলাকারীরা ভাংচুর এবং লুটপাট করে ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং  প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মালামালের ক্ষতি সাধন করে।

এ ঘটনায় আহত ছয়জনের মধ্যে আরিফ, সজিব ও রুবেল নামের তিনজনের শরীর পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। যার মধ্যে আরিফের অবস্থা আশংকাজনক।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



মেঘনায় ট্রলারডুবি: চারজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মাঝামাঝি এলাকায় মেঘনা নদীতে ট্রলার উল্টে হতাহতের ঘটনায় আজ শনিবার সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এ ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া আট জনের মধ্যে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

দুপুর ১টার সময় এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল সোয়া ৮টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক এনামুল হক জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে তিনজন এবং ভৈরব থেকে একজন ডুবুরি উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ডুবুরি দলের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আশুগঞ্জ-ভৈরব রেলসেতুর তিন নম্বর পিলারের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গতকাল এতে সুবর্ণা নামের একজন নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার পর ১২ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও আট জন নিখোঁজ হন। তাদের মধ্যে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩২), তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২৫), শিশু কন্যা মাহমুদা (৭) ও ছেলে রাইসুলসহ (৫) আরও চার জন রয়েছেন।

ভৈরব থেকে প্রায় ২০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ডিজেল ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর এলাকায় যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।


আরও খবর



আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্খা মুছে দেয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এই অভিযানের নির্দেশ নামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনও লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়।

অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কিভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি। পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তাঁর কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হলো আরও ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। এরপর সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের উইটনেস টু সারেন্ডার গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ রাত ১১ থেকে ১১টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ব্ল্যাক আউট পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দেবেন। এদিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।

সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। এছাড়াও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।


আরও খবর



মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের জন্য প্রস্তুত দশ গাড়ি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হতে যাচ্ছে। শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় নতুন সদস্যরা বঙ্গভবনে শপথ নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরকারপ্রধানের যে কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মন্ত্রিসভার নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।

নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মন্ত্রিসভার পরিধি বাড়বে কি না এটি প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন। তবে সময়মতো কিছু, যেমন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়; এগুলোয় কোনো-না কোনো সময় মন্ত্রী আসবেন। সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের পর নির্বাচিতদের মধ্য থেকে কেউ কেউ মন্ত্রী হতে পারেন এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমি এখনই কিছু বলতে পারছি না। আমি যা বলি একবারেই বলব।

তবে সূত্র জানায়, নতুন করে শপথ নিতে যাওয়া মন্ত্রীদের জন্য ১০টি গাড়ি প্রস্তুত করা হচ্ছে।

৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের পর টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ১১ জানুয়ারি। নতুন মন্ত্রিসভায় ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হলেও শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে কোনো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে রাখা হয়। এ ছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো বড় ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে শুধু মন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, সম্প্রসারণ হলে ফাঁকা থাকা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি এই মন্ত্রণালয়গুলোতেও নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের মন্ত্রিসভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে মন্ত্রী থাকলেও নতুন মন্ত্রিসভায় সেটা এখনও ফাঁকা রাখা হয়েছে। এজন্য অনেকেই মনে করছে, এখানেও নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।


আরও খবর



সম্মান নিয়ে রহস্যের বার্তা দিলেন পরীমণি

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

জীবনের সকল বাধা পেরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলেন পরীমণি। শুরু করেন সিনেমার কাজ। ঢালিউডের এই চিত্রনায়িকা ফেসবুকে বেশ সরব। তিনি ব্যক্তিগত কিংবা পেশাগত কাজ সব কিছুরই কিছুটা আভাস দেন সামাজিক মাধ্যমে।

এর আগে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অজস্র লাল-হলুদ ফুলের মাঝে হাসিখুশি লুকে ছেলেকে নিয়ে ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করেন পরী। তারই একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন এই নায়িকা।

ভিডিও প্রকাশ করে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, আই লাভ ইউ মাই ভ্যালেন্টাইন। আমার একটা তুমি আছ, আমার নাড়ি ছেড়া ধন।

এমনকি শবে বরাতের আগের দিন কারও একজনের নিন্দনীয় কর্মকাণ্ডে ক্ষেপে যান নায়িকা। তার পর হঠাৎই ফেসবুকে রহস্যময় একটি স্ট্যাটাস দেন পরী।

তবে ২ মার্চ (শনিবার) পরী আবার হাজির হলেন রহস্যের আর একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে। তিনি লিখেছেন, যেখানে সম্মান নাই সেখানে যেতে নাই। এটাই আসল কথা। তাদের বোধোদয় হোক।

দীর্ঘ বিরতির পর গত বছর ডোডোর গল্প সিনেমার মাধ্যমে পরী ক্যামেরা সামনে দাঁড়ান। সেসময় পরীমণি বলেন, অনেকদিন কাজের বাইরে ছিলাম। নিজের প্রিয় জায়গায় ফেরার জন্য অনেক দিন মুখিয়ে ছিলাম। ভীষণ ভালো লাগছে আবারও লাইট ক্যামেরার দুনিয়ায় আসতে পেরে।

সিনেমা প্রসঙ্গে পরী জানান, দেশের শীর্ষ অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ প্রযোজিত ডোডোর গল্প হতে যাচ্ছে অন্যরকম একটি গল্পের সিনেমা।

এ সিনেমায় পরীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। সরকারি অনুদান প্রাপ্ত ডোডোর গল্পর কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালনায় আছেন কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা রেজা ঘটক।

নিউজ ট্যাগ: পরীমণি

আরও খবর



ইলন মাস্ককে ছাপিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী বেজোস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষ অবস্থান হারিয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ও টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। এই তালিকায় শীর্ষে উঠেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। খবর এনডিটিভির।

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (৪ মার্চ) টেসলার শেয়ারের ৭ দশমিক ২ শতাংশ দরপতন হয়। ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ১৯৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার এবং বেজোসের সম্পদ ২০০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এই হিসাবে এখন আর বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি নন ইলন মাস্ক। ২০২১ সালের পর এই প্রথম বিশ্বের ধনীদের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন জেফ বেজোস।

জানা গেছে, ২০২২ সালের শেষের দিক থেকে ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের শেয়ার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে, অন্যদিকে টেসলা প্রায় ৫০ শতাংশ নিচে নেমেছে।

এর আগে, ২০১৭ সালে মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে ছাড়িয়ে শীর্ষ ধনীর তালিকায় ওঠেন জেফ বেজোস। অবশ্য পরবর্তী সময়ে শীর্ষ ধনীর স্থান হারান তিনি।

৫২ বছর বয়সী ইলন মাস্ক ২০২১ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষ অবস্থান কমবেশি নিজের দখলে রেখেছিলেন। এবার সেই অবস্থানে হানা দিলেন ৬০ বছরের বেজোস।


আরও খবর