শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে ছোট গরু ‘টুনটুনি’ কে দেখতে উৎসুক জনতার ভীর লক্ষ্য করার মতো। খর্বাকতির এ গরুটির নাম রাখা হয়েছে টুনটুনি। দেখতে স্বাভাবিক বাছুরের চেয়ে ছোট। বয়স ১৪ মাস, ওজন ২৩ কেজি, উচ্চতা ২২ ইঞ্চি। দুরন্তপনা ও অন্য সব গরুর চেয়ে ছোট বলে তার মালিক আদর করে নাম রেখেছেন ‘টুনটুনি’। স্থানীয়দের আশা, সাভারের রানির রেকর্ড ভেঙে জীবিত হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু টুনটুনি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় স্থান করে নেবে শিগগির।
ছোট একটা গরু টুনটুনিকে দেখতে উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের হায়াতখারচালা গ্রামের আড়ালিয়া ভিটার কৃষক আবুল কাশেমের বাড়িতে প্রতিদিন শত শত মানুষর আনাগোণা ক্রমশ বাড়ছে। দেশীয় জাতের গরুর একটি খর্বাকতির বাছুর দেখতে এ কৃষকের বাড়িতে হাজারো উৎসুক জনতার ভীর । টুনটুনি নামক খর্বাকতির বাছুরটি হায়াতখারচালা গ্রামের কৃষক আবুল কাশেমের (৪৫) বাড়িতে গত বছরের জুলাই মাসে টুনটুনির জন্ম। রানির উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি। টুনটুনির উচ্চতা ২২ ইঞ্চি। রানির চেয়ে ৩ কেজি ওজন কম টুনটুনির। রানির আগে ২০১৪ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে নাম লিখিয়েছিল ভারতের কেরালা রাজ্যের মানিকিয়াম নামের একটি গরু। এটির উচ্চতা ছিল ২৪ দশমিক শূন্য ৭ ইঞ্চি।
অদ্ভুত শারীরিক গড়ন আর চঞ্চল স্বভাবের কারণে পরিবারের সব সদস্যের কাছে টুনটুনি বেশ পছন্দের। কাশেমের স্ত্রী জরিনা বেগম বলেন, জন্মের সময় অনেকটা খরগোশের মতো ছিল। জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি দ্রুত হাঁটতে শুরু করে। এত ছোট আকৃতির বাছুর তাঁরা আর কখনো দেখেননি।
আবুল কাশেম বলেন, এই বাছুরকে জন্ম দেওয়া গাভিটি এর আগে আটটি বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। আগের সবগুলো বাছুরের শারীরিক গড়ন স্বাভাবিক ছিল। এই বাছুরের শারীরিক গড়ন ছোট হওয়ায় এটি মায়ের দুধ পান করতে পারত না। তখন এটিকে কোলে নিয়ে গাভির পেটের নিচে ধরে বসে থাকতে হতো।
শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান পলাশ বলেন, ‘এই বয়সে একটি দেশি বাছুরের ওজন অন্তত ১০০ কেজি হয়। জন্মের সময় দেশি বাছুরের ওজন ২০ থেকে ২২ কেজি হয়। সে তুলনায় এটির ওজন অনেক কম। আমরা বাছুরটির বিষয়ে সরাসরি খোঁজ নিয়েছি। এটি রেকর্ড গড়ার মতো, আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।