আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শ্রীমঙ্গলে পাগলা কুকুরের কামড়ে ২০ জন হাসপাতালে

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি পাগলা কুকুর একদিনে শহরে ২০ জন মানুষকে কামড় দিয়েছে। কুকুরের কামড় খেয়ে সবাই শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে উপজেলার  বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রীমঙ্গল শহরে মানুষকে এই পাগলা কুকুর কামড় দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রানিসম্পদ অফিস। এদিকে ওই পাগল কুকুরকে আটক করতে রাতেই উপজেলা প্রানীসম্পদ ও স্বাস্থ বিভাগ শহরে অভিযান করছে । কুকুর থেকে সাবধান থাকতে শহরে  মাইকিং করা হচ্ছে।

রাত ৭টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে চিকিৎসা নেয়া ২০ জন হলেন, খাইছড়া চা বাগানের লক্ষী তাতী (৮) ভাড়াউড়া চা বাগানের রাত্রী উন্নেসা (২৮), উত্তরসুর এলাকার রিহাব মিয়া (১৪), মিশন রোড এলাকার বিজয় দেবনাথ(১০),  মুসলিম বাগ এলাকার আল আমিন (১২),  সাগরদিঘি রোডের তৃষনা ঋষি (৭),  মাস্টার পাড়ার আদিত্য দেব (৭), মিশন রোড এলাকার রিহান (৬), রাজু (২৫), আব্দুর রহমান (২৫), লালবাগ এলাকার আব্দুল আল শরীফ (৬), পশিম ভাড়াউড়ার সিয়াম( ১২), সবুজ বাগের শ্রাবন (৬), গোলগাও এলাকার মোফাজ্জল (১৩), লাহার পুর এলাকার খোকন দেব নাথ (৫০), রাধানগরের স্বপনা বেগম (৪০),পশ্চিম ভাড়াউড়ার ইদ্রিস মিয়া (২৫), রুপসপুরের শুভাস সুত্রধর (৫০), গদারবাজারের

নশাই মিয়া (৪৫), কালিঘাট রোডের রবেল দাশ (২৭)।  চিকিৎসা নেয়া ব্যাক্তিরা জানান, রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময়ই হঠাৎ করেই একটি কুকুর মানুষকে কামড় দিচ্ছে।  ওই কুকুরের মুখ দিয়ে লালা ঝরছিলো।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রেদোয়ান আহসান উল্লাহ বলেন, কুকুরের কামড়ে একদিনে অনেক রোগী আসছেন। আমরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। আগামীকাল প্রত্যেককে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে বিনামূল্যে জলাতঙ্ক রোধে টিকা দেয়া হবে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কর্ণ চন্দ্র মল্লিক বলেন, একটি কুকুরই সবাইকে কামড় দিচ্ছে। আমরা কুকুরটিকে ধরার চেষ্টা করছি। সম্ভবত কুকুরটি পাগল হয়ে গেছে। সবাইকে সাবধানে থাকার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: কুকুরের কামড়

আরও খবর



রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী তিন দিন ধরে চলবে এই ভোটগ্রহণ। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন। দেশের সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ইউক্রেন এই নির্বাচনকে প্রহসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের ভোট কেন্দ্রগুলোতে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হয়েছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ভোট কেন্দ্র খোলা হবে। আগামী রবিবার শুক্রবার (১৭ মার্চ) পর্যন্ত তিন দিন ধরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে জয়ী হলে পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি এবং সেক্ষেত্রে তার ক্ষমতার মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়বে।

সেই সঙ্গে রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রেসিডেন্ট পদে থাকার রেকর্ডটিও তার হয়ে যাবে। বর্তমানে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার রেকর্ডের মালিক জোসেফ স্তালিন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ। সাবেক সোভিয়েত আমলে দু’জনেই ২৪ বছর করে ক্ষমতায় ছিলেন। ৭১ বছর বয়সী পুতিন যদি ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন, তাহলে তার ক্ষমতার মোট মেয়াদকাল পৌঁছাবে ৩০ বছরে।

এবারের নির্বাচনে পুতিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বেশ কয়েজন প্রার্থী। তারা হচ্ছেন- ডানপন্থি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপিআর) প্রধান লিওনিড স্লুটস্কি, কমিউনিস্ট প্রার্থী নিকোলে খারিতোনভ এবং উদার মধ্যপন্থি নিউ পিপলের প্রতিনিধিত্বকারী ভ্লাদিস্লাভ দাভানকভ।

তবে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযানের বিরোধিতা করার কারণে দুই রুশ প্রার্থীকে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা হলেন- বরিস নাদেজদিন এবং ইয়েকাতেরিনা দান্তসোভা।

এদিকে নির্বাচনে সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই ফলাফল আগামী বছরগুলোতে দেশের উন্নয়নকে বাস্তবে রূপ দেবে।’

পুতিন আরও বলেছেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা প্রয়োজন। প্রতিটি ভোট মূল্যবান এবং তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের ক্ষমতার একমাত্র উৎস হল জনগণ, যেমনটি রাশিয়ান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’


আরও খবর



যানজট কমাতে পে-পার্কিং চালু করছে চসিক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

যানজট কমাতে নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে পে-পার্কিং চালু করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে চসিক সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে পে-পার্কিং চালুর জন্য সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও বি-ট্র্যাক সলিউশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম তানভীর সিদ্দিকী।

৭ মার্চ থেকে চসিকের নির্ধারিত স্থানে পে-পার্কিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করবে বি-ট্র্যাক সলিউশন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে পে-পার্কিং চালু করতে পারবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

যানজট কমাতে নগরীর প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পে-পার্কিং-এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, দীর্ঘদিন যাবত নগরীতে যে যানজট লেগে আছে তা নিরসনের জন্য চসিক ও সিএমপি ট্র্যাফিক বিভাগকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে আপাতত আগ্রাবাদ এলাকায় পে-পার্কিং এর পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বি-ট্র্যাক সলিউশন এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তি সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হলে পরবর্তীতে আরও পে-পার্কিং প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

'নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় ফুটপাতকে অবৈধ দখল মুক্ত করে ঐখানে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। নগরবাসী যাতে ফুটপাতে অবাধে ও নিরাপদভাবে চলতে পারে সেজন্য চসিক কঠোরভাবে নজরদারি করছে। ঠিক অনুরূপভাবে নগরীর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধে পে-পার্কিং এর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।'

নগরীকে নান্দনিক, যানজট মুক্ত ও পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তর করতে মেয়র সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহীন-উল-ইসলাম চৌধুরী, মো. ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী মো. শাফকাত বিন আমিন এবং বি-ট্র্যাক সলিউশন এর প্রকল্প প্রধান ও বি-ট্র্যাক সলিউশন এর প্রকল্প প্রধান সাফায়েত আবদুল্লাহ, হেড অব সেলস সিরাজ উদ্দিন, ডেপুটি ম্যানেজার মো. শাহ ফারুক ও জুনিয়র এক্সিকিউটিভ সরোয়ার হোসেন চৌধুরীসহ চসিকের কর্মকর্তারা।


আরও খবর



লন্ডনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন বাংলাদেশি নাট্যনির্মাতা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

লন্ডনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন প্রবাসী বাংলাদেশি নাট্যনির্মাতা জিএম ফুরুখ। আরেক লন্ডন প্রবাসী জনপ্রিয় অভিনেতা স্বাধীন খসরু ফুরুখের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জিএম ফুরুখের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে অভিনেতা স্বাধীন খসরু লিখেছেন, প্রতিনিয়ত যত না জন্ম সংবাদ পাই তার থেকে অনেক বেশি পাই মৃত্যু সংবাদ! প্রিয় ছোট ভাই নাট্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জিএম ফুরুখ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে রয়েল লন্ডন হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রায় চার ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করার পরও বাঁচানো যায়নি।’

অভিনেতা আরও জানান, অন্য একটি গাড়ি চাপা দেওয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান জিএম ফুরুখ।

সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন লন্ডন প্রবাসী ফুরুখ। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ লন্ডনে বসবাস করছিলেন। সেখানে বেশ কিছু স্থানীয় নাটকও নির্মাণ করেছেন। তবে তার নির্মাণে সিলেটি আঞ্চলিক ভাষার কয়েকটি নাটক ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। স্বপ্নের বিলাত’, রেড পাসপোর্ট’, ‘পার্টনার’, ভীমরতি’, ঘাম’, স্বপ্ন ডাকাত’, ব্রাদার্স হাউস’, হরেক রকম ভালোবাসা’সহ বেশ কিছু নাটক নির্মাণ করেছিলেন তিনি।


আরও খবর



হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে কুমিল্লার বাগিচাগাওয়ের বাসা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আত্মহত্যার আগে ফাইরুজ তাঁর এক সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে অবন্তিকা অভিযোগ করেন, তাঁর সহপাঠী আম্মান তাঁকে অফলাইন ও অনলাইনে বিভিন্ন সময় হুমকি দিতেন। এ ব্যাপারে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম তাঁকে নানাভাবে বহিষ্কারের ভয় দেখান।

ফাইরুজের মা তাহমিনা শবনমের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বার বার জানিয়েও হয়রানির বিচার পাননি তারা। এ কারণেই তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

আরও পড়ুন :ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

অবন্তিকা কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। অবন্তিকার বাবা জামাল উদ্দিন কুমিল্লা সরকারি কলেজের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর আগেও মেয়ে অবন্তিকার হয়রানি নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে।

অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম অভিযোগ করে বলেন, মানসিকভাবে হয়রানি করে অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বার বার জানিয়েও কোনো ফল পাননি তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকিকে মেয়ের আত্মহননের জন্য দায়ী করে তাহমিনা শবনম বলেন, অবন্তিকার বাবা জামাল উদ্দিন জীবিত থাকা অবস্থায় মেয়ের বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েও কোনো ফল পাননি। জামাল উদ্দিনের মৃত্যুর এক বছরের বেশি সময় পর সেই একই কারণে মেয়ে অবন্তিকা আত্মহত্যা করেছে।

আরও পড়ুন :আন্দোলনে উত্তাল জবি, উপাচার্যের কাছে যেসব দাবি

অবন্তিকার ভাই জারিফ যাওয়াদ অপূর্ব বলেন, অবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়রানির বিষয়টি নিয়ে মানসিকভাবে অস্বস্তিতে কাটাতো। এসব বিষয়ে বাবা ও মাকে সে সবসময়ই জানিয়েছে। কিন্তু সে আত্মহত্যা করবে বিষয়টি একেবারেই ভাবা যায়নি।

অবন্তিকার কুমিল্লার বন্ধুরা জানান, মেধাবী অবন্তিকা মানসিকভাবে শক্ত ছিলেন। তাঁর এই আত্মহত্যার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তিও দাবি করেন তারা।

অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁর সহপাঠীরাও দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।


আরও খবর



সপরিবারে জাপানে ভূমিকম্পের কবলে রাজামৌলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

জাপানে ভূমিকম্পের কবলে পড়লেন আরআরআর পরিচালক এস এস রাজামৌলি। ভূমিকম্পের বিষয়ে জাপানিরা মানসিকভাবে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকলেও রাজামৌলির কাছে বিষয়টি নতুন। বর্তমানে সপরিবারে জাপানে অবস্থান করছেন জনপ্রিয় দক্ষিণী নির্মাতা রাজামৌলি।

পুরো বিষয়টির ওপরে আলোকপাত করেছেন পরিচালকের ছেলে এসএস কার্তিকেয়। এক্স-এ একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে তার হাতের স্মার্ট ঘড়ির ডায়ালে ভূমিকম্পের সতর্কবাণী ফুটে উঠেছে।

ছবিটির সঙ্গে কার্তিকেয় লেখেন, ২৮ তলায় ছিলাম এবং ধীরে ধীরে মাটি দুলতে শুরু করল। ওটা যে ভূমিকম্প সেটা বুঝতে কিছুটা সময় লেগেছে। ভয় পাওয়ার আগেই দেখলাম জাপানিদের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই, যেন বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

কার্তিকেয়র বক্তব্য নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তরা তাদের জন্য সমাজমাধ্যমে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। আবার রাজামৌলি সুরক্ষিত আছেন জেনেও কেউ কেউ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

এই মুহূর্তে জাপানে রয়েছেন এসএস রাজামৌলি। সম্প্রতি সে দেশে তার সিনেমা আরআরআর-এর বিশেষ প্রদর্শনের আয়োজিত হয়। সিনেমার প্রদর্শনে নিজের পরিবারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক।


আরও খবর