ভয়াবহ অর্থনৈতিক
বিপর্যয়ে পড়া শ্রীলঙ্কায় ওষুধের দাম ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এন্টিবায়োটিক, পেইন কিলার
ও হৃদরোগের ওষুধসহ বহুল ব্যবহৃত ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
তেল-গ্যাস ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পর ওষুধের দাম বাড়ায় সরকারের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া
জানাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দাম বাড়ানো
ছাড়া কোনো বিকল্প তাদের হাতে নেই। খবর বিবিসির।
শ্রীলঙ্কার
গণমাধ্যম বিষয়ক মন্ত্রী নালাকা গোদাহেওয়া বিবিসিকে বলেন, অধিকাংশ ওষুধ বেসরকারিভাবে
আমদানি করা হচ্ছে। আর সম্প্রতি মুদ্রার মান আরও কমে গেছে। ফলে দাম বাড়ছে ওষুধের। দাম
বাড়ানো না হলে ওষুধের আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ভয়াবহ সংকট দেখা দেবে। সুতরাং, সরকার
নিরূপায়।
এদিকে, ওষুধের
দাম বাড়ায় দেশটির চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজনের চেয়ে
মানুষ কম ওষুধ কিনতে বাধ্য হওয়ার আশংকা রয়েছে।
রুচিরা নামের
কলম্বোর এক ওষুধের দোকানদার বলেন, ডাক্তার পাঁচ দিনের এন্টিবায়োটিক লিখে দিয়েছেন এমন
অনেকেই এসে দুই দিনের ওষুধ চাচ্ছেন। বুঝতে পারছি না (ডোজ কমপ্লিট না করলে) এটি কীভাবে
কাজ করবে। এদিকে, ওষুধ স্বল্পতার কারণে টাকা হলেই জরুরি ওষুধ সব সময় মিলছেও না।
শ্রীলঙ্কা চেম্বার
অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট আজম জোয়ার্দার বিবিসিকে বলেন,
এমন বাজে পরিস্থিতিতে আমরা আগে কখনোই পড়িনি। ওষুধের দাম বৃদ্ধি এই খারাপ পরিস্থিতিকে
আরও জঘন্য করে তুলবে।
ঋণ প্রোগ্রামের আওতায় ভারত ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কাকে ওষুধ সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এটি বিলম্বিত হচ্ছে। ওষুধসহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে ঋণ সহায়তার জন্য বিশ্বব্যাংক ও অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ইতোমধ্যে বলেছে দেশটি। এসব সহায়তা এলে ওষুধের দাম কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী নালাকা গোদাহেওয়া।