আগামীকাল (১৮
আগস্ট) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন তথা জন্মাষ্টমী।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) মূল শোভাযাত্রা ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে শুরু হয়ে
বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রা চলাকালীন যানজট পরিহারের লক্ষ্যে ওই এলাকায়
চলাচলরত গাড়িচালক বা ব্যবহারকারীদের বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কিছু রুট পরিহারের
জন্য অনুরোধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশ। বুধবার (১৭ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার
মোহা. শফিকুল ইসলামের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এছাড়া শোভাযাত্রার
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোভাযাত্রায় শুরু থেকে মিলিত হতে হবে, কোনোক্রমেই
শোভাযাত্রার মাঝপথ দিয়ে কোনো ব্যক্তি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। নিরাপত্তার
স্বার্থে হ্যান্ডব্যাগ, ট্রলিব্যাগ, বড় কোনো ব্যাগ, পোটলা, দাহ্যপদার্থ, ছুরি, অস্ত্র,
কাঁচি, ক্ষতিকারক তরল, ব্লেড, দিয়াশলাই, গ্যাসলাইট ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে শোভাযাত্রায়
অংশ নেওয়া যাবে না।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে
শোভাযাত্রার রুট
ঢাকেশ্বরী জাতীয়
মন্দির-পলাশী বাজার-জগন্নাথ হল-কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-দোয়েল চত্বর-হাইকোর্ট-বঙ্গবাজার-ঢাকা
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভবন-গোলাপ শাহ মাজার-গুলিস্তান মোড়-নবাবপুর রোড-রায় সাহেববাজার
মোড় হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত। নগরবাসীকে এসব রুট পরিহারের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া শোভাযাত্রার
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য সবাইকে ১০টি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো
হলো—
১. উল্লিখিত জন্মাষ্টমীর
রুটে কোনো ধরনের যানবাহন পার্কিং না করা।
২. রুট এলাকার
আশপাশের সব দোকান শোভাযাত্রা চলাকালীন বন্ধ রাখা।
৩. উচ্চস্বরে
পিএ বা সাউন্ড সিস্টেম বাজানো যাবে না।
৪. শোভাযাত্রা
শুরুর সময় মিলিত হতে হবে, কোনোক্রমেই শোভাযাত্রার মাঝপথ দিয়ে কোনো ব্যক্তি অংশ নিতে
পারবেন না।
৫. নিরাপত্তার
স্বার্থে হ্যান্ডব্যাগ, ট্রলিব্যাগ, বড় ভ্যানিটি ব্যাগ, পোটলা, দাহ্যপদার্থ, ছুরি,
অস্ত্র, কাঁচি, ক্ষতিকারক তরল, ব্লেড, দিয়াশলাই, গ্যাসলাইট ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে শোভাযাত্রায়
অংশ নেওয়া যাবে না।
৬. শোভাযাত্রা
চলাকালীন রুটে কোনো ধরনের ফলমূল ছোড়া যাবে না।
৭. শোভাযাত্রা
চলাকালীন রাস্তায় অহেতুক দাঁড়িয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
৮. সন্দেহজনক
কোনো ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ পুলিশকে জানাতে হবে।
৯. শোভাযাত্রায়
অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে ভলান্টিয়ার (স্বেচ্ছাসেবক) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পরামর্শ
মেনে চলতে হবে।
১০. ব্যারিকেড,
পিকেট ও আর্চওয়ে ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করতে হবে।