গেল বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বসেছিল
‘দ্য গ্রেটেস্ট
শো অন আর্থ’ ফুটবল বিশ্বকাপের
জমজমাট আসর। এরই মধ্যে জানা গেছে, পরবর্তী তথা ২০২৬ বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে উত্তর
আমেরিকার তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। এবার আলোচনায় আরও সাত বছর পরের
তথা ২০৩০ বিশ্বকাপ।
২০৩০ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে শতবর্ষী আসর।
এর আয়োজক নির্ধারিত হবে ২০২৪ সালে। টুর্নামেন্টটি আয়োজনে ইতোমধ্যে দরপত্র জমা দিয়েছে
ইউরোপের দেশ স্পেন ও পর্তুগাল এবং লাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনাসহ চার দেশ। এছাড়া ২০৩০
সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছে গ্রিস ও মিসর। তাদের সঙ্গে তৃতীয় দেশ হিসেবে
যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেয় সৌদি আরব।
আরও পড়ুন: ২০০তম ম্যাচ আরও বেশি স্মরণীয় হয়ে থাকল রোনালদোর
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিশ্বকাপ আয়োজনের
দায়িত্ব পেলেও স্টেডিয়াম তৈরি করা থেকে অন্য পরিকাঠামোর খরচ চালানো গ্রিস ও মিসরের
পক্ষে বহন করা কষ্টকর হতে পারে। আর সেখানেই সহযোগী হতে চায় সৌদি। তারা প্রস্তাব দেয়,
দুই দেশে স্টেডিয়াম তৈরি করে দেবে। তার বদলে একটি শর্তও রয়েছে। বিশ্বকাপের ৭০ শতাংশ
খেলা সৌদিতে আয়োজন করতে হবে।
কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে বিশ্বের সব তারকা
ফুটবলারকে নিজেদের ক্লাব ফুটবলে যুক্ত করছে সৌদি আরব। এ তালিকায় যেমন নাম রয়েছে পর্তুগিজ
সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর, তেমনি মরুর বুকে পা পড়েছে বেনজেমা ও কন্তেদেরও।
ফুটবলের তীর্থস্থান ইউরোপ ছেড়ে মরুর দেশে পাড়ি জমানো ফুটবলারদের তালিকা প্রতিনিয়তই
দীর্ঘ হচ্ছে। অবশ্য তারকাদের আকৃষ্ট করতে গিয়ে দেদারসে টাকা ঢালতে হচ্ছে সৌদি ক্লাবগুলোকে।
আরও পড়ুন: কলম্বিয়ার কাছে অঘটনের শিকার জার্মানি
এতদিন শোনা যাচ্ছিল, বিশ্বকাপের আয়োজক
হতে বিশ্ব ফুটবলের মনোযোগ আকর্ষণ করতেই ক্লাব ফুটবলে বিনিয়োগ করছে সৌদি। তবে এবার শোনা
যাচ্ছে, বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার দৌড়ে থাকছে না সৌদি আরব। ঘরোয়া লিগে তারকা ফুটবলারদের
কিনতে কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করাটাই এমন সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লিগের অধিকাংশ ক্লাব রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হওয়ায়, সরকারি কোষাগারেও চাপ বাড়ছে। সৌদি
নাম সরিয়ে নিলে আয়োজক হিসেবে রাস্তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে স্পেন-পর্তুগালের
এদিকে, স্পেন ও পর্তুগালের পাশাপাশি আয়োজক
হওয়ার দৌড়ে আছে আর্জেন্টিনাসহ লাতিন চার দেশ। ১৯৩০ সালে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক
ছিল লাতিন দেশ উরুগুয়ে। এছাড়া ১৯৬২ সালে চিলি ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল আর্জেন্টিনা।
আর তাই শতবর্ষ পূর্তির আসরটির আয়োজক হতে চায় তারা।