আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সপ্তমীর নবপত্রিকায় কার রূপ?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শারদ সকালের সপ্তমী। স্কুলের পড়ায় মনে নেই।মুখস্ত হচ্ছে না নামতা। তবে মণ্ডপে দুর্গাঠাকুরের চারপাশে কে কে দাঁড়িয়ে আছে, সেটা আর কষ্ট করে মুখস্থ করতে হয়নি। এমনিতেই মুখস্থ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে মনের মধ্যে।

এদিকে মণ্ডপের ঢাকঢোলে, ভাণ্ড সানাইয়ে মুখর বাংলাভূমি। মুখর আমাদের চারপাশ। মুখর বাঙালির মন।

সাথে ধুপের গন্ধে শিশিরভেজা সকালটা হয়ে উঠছে স্নিগ্ধ আর মায়াময় উৎসবের। চণ্ডীপাঠ শুনতে শুনতে শৈশবে যে ছবিটা মনে দাঁড়িয়ে যায় সেই ছবিটি আর কোনোদিন বদলে যায়নি।

২.সিংহের পিঠে চড়ে দেবী মহিষের রূপধারণ করা এক অসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন।

এখন এই ছবিটি আরো স্পষ্ট। আকাশের তারার মধ্যে মহিষাসুর বধের দৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দেখেছেন, রক্তবর্ণ বৃষের চোখ। মুখোমুখি এক বিশাল আকারের সিংহ আর এক নারীমূর্তি। যার হাতের কাছাকাছি নানা অস্ত্র।

বিজ্ঞান খুঁজে পেয়েছে, পুরাণের কথাগুলো নিছক গল্প নয়। সেই যুগের চিন্তাধারার সাথে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দেখেছেন, সিংহ আর মহিষদলের তারামণ্ডলী, যা দেখেই প্রাচীনকাল থেকে নানারূপে কল্পনা করা হয়েছে।

খ্রিস্টপূর্বাব্দ তিনশ সময় নাগাদ সুমেরু অঞ্চলের সিলমোহর ও একটি পাত্রের গায়ে যে ছবিটি বেশি দেখা যায়, সেটা একটি সিংহের হাতে একটি মহিষের মৃত্যু। সন্ধ্যার আকাশে শেষবারের মতো তাকালে দেখা যায়, সিংহ তারামণ্ডলী। মনে হবে এই সিংহটিই বৃষটিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। মোট কথা, তারামণ্ডলীর সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে দেখা যাবে, সিংহের ওপর বসে দুর্গা মহিষাসুর বধের ছবিটি।

তারামণ্ডলী থেকে এই এক অসম্ভব রূপকল্পনা!

বাঙালির দশভূজার সঙ্গে মিল পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কন্যা, সিংহ, বৃষসহ নক্ষত্রমণ্ডলীর মধ্যেই দেবী দুর্গা মহিষাসুরমর্দিনী রূপের প্রতিচ্ছবি। কৃষিভিত্তিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো চিহ্নিত করাই ছিল পুরাণের প্রথম প্রেরণা।

৩. প্রাণে আনন্দ জেগে ওঠা সকালে পুরোহিত মহাশয় চলেছেন নদীর ঘাটে। কাঁধে নবপত্রিকা। নদী বা জলাশয়ে দেবীর প্রতীকরূপে নবপত্রিকাকে স্নান করাবেন।

এই নবপত্রিকা নামটা শুনেলেই মনে মায়া জেগে ওঠে। দুর্গাপূজা মহারম্ভের দিন, মানে সপ্তমীতে প্রকৃতির বৃক্ষ-লতার সাথে দেবী দুর্গা একাত্ম হবেন আজ। সেজন্যই নবপত্রিকা দিয়ে মহারম্ভ, যা ভেজিটেশন ডিইটি হিসেবে দেবীর প্রায়রিটি হয়ে দাঁড়ায়।

সপ্তমী হলো দুর্গাদেবীর সঙ্গে শস্যদেবীকে মিলিয়ে নেবার সচেতন প্রচেষ্টা।

তাই, নদী বা জলাশয়ে নবপত্রিকাকে স্নানের ভেতর দিয়ে দেবীকে জাগ্রত করা হয়। যার ভেতর দিয়ে অবশেষ রচনা হয়ে যায় ষষ্ঠী আর বোধনের।

৪. নবপত্র বা নবপত্রিকা মানে নয়টি গাছের পাতা।

তবে পূজার নবপত্রিকা নয়টি পাতা নয়, নয়টি উদ্ভিদ। নয়টি উদ্ভিদ দেবীর নয়টি বিশেষ রূপের প্রতীক। আবার নবপত্রিকা নয়জন প্রভাবশালী দেব-দেবীকেও চিহ্নিত করে, বোঝায়। 

কলা, কচু, মানকচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক ও ধান। এই নয়টির মধ্যে প্রধান উদ্ভিদ কলাগাছ, যা ফার্টিলিটি আর ভেজিটেশনের প্রতীক। দেবীর সঙ্গে একাত্মতায় কলা গাছ বাঙালি মায়ের কোটি কোটি সন্তানের মা-প্রতীক হয়ে যান।

অন্য আটটি উদ্ভিদের সঙ্গে কচু। এটা মুখী কচু। ফলন হয় ভাদ্রের শেষে আশ্বিনের শুরুতে। দরিদ্র মানুষের খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যায় কচুতে। আরেকটি মানকচু। বর্ষার পরে শরতের রোদে এটাও সুস্বাদু। ফলের মধ্যে আছে বেল আর দাড়িম্ব।

বেলগাছ ও বেলপাতা শিব ও পার্বতীর প্রিয়তম। স্বয়ং ব্রহ্মা দেবীর বোধন করেছিলেন বেলতলায়।

সেই প্রথা এখনো চলমান। যোগিনীতন্ত্রের কাহিনীতে বলা হয়েছে, নারায়ণের অনেক স্ত্রীর মধ্যে থেকে প্রিয়তমা হওয়ার ইচ্ছায় বেলতলায় শিবের আরাধনা করে শিবের সন্তুষ্টিতে নারায়ণের বক্ষলগ্না হয়েছিলেন লক্ষ্মী। তাই, শিবের অধিষ্ঠান ক্ষেত্র এই বেলতলা। বেলের তিনপত্রের মধ্যে উপপত স্বয়ং শিবরূপে বন্দিত। সেজন্যই শিব বেলপাতার পূজায় খুশি হন। বেলতলা শিবের প্রিয় হওয়ার কারণে শিবজায়া শিবানীরও খুব প্রিয় এই স্থান। তাই, বেলতলায় দেবীদুর্গার বোধন।

আরো একটি কারণ মনে করিয়ে দেব।

বৈদিক যুগে কাঠে কাঠ ঘষে আগুন জ্বালানো হতো, বলা হতো অরণী। শমী ও অশত্থ বৃক্ষের কাঠ ব্যবহার হতো অরণী রূপে। বাংলাভূমিতে শমীকাঠ ছিল অত্যন্ত বিরল। এই কাঠের অভাব পূরণ করে বেল। মানে বেলকাঠে আগুনের অবস্থান। দেবী দুর্গা যেহেতু স্বয়ং অগ্নিস্বরূপা সেজন্য দুর্গা আরাধনায় বেলবৃক্ষের অতি কদর।

পরের ফলটির নাম দাড়িম্ব, মানে ডালিম। আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত ফলন হয়। ফলটি শক্তি ও রক্তবর্ধক। একটা গাছে বহু জন্মায়।

পুষ্পবৃক্ষের মধ্যে আছে জয়ন্তী এবং অশোক। দুটি বৃক্ষই মহৌষধ হিসেবে পরিচিত প্রচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে। জয়ন্তী বৃক্ষের নামটিই তো দেবীর নামে রাখা। দেববৃক্ষ। জয়ন্তীর বীজ বহু ওষুধের উপাদান। শক্তি ও উত্তেজনা বাড়ানোর পাশাপাশি নারীদের রোগ সারাতে জয়ন্তীর বহুগুণের কথা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ধরা আছে।

জয়ন্তীর ফলন হয় আশ্বিনের শেষে।

এবার হলুদের কথা। হরিদ্রা বা হলুদ। কাঁচা বা পাকা হলুদ খুবই দরকারি ভেষজ। সে কারণেই নবপত্রিকার অন্যতম উপকরণ হলুদ। আর, ধান হলো লক্ষ্মীর প্রতীক।

জগতের সকল ওষধি ও উদ্ভিদের মাধ্যমে সকল জীবকে আহার্য ও নিরাময় দান করেন।

নবপত্রিকা তারই প্রতীক বা প্রতিনিধি।

এই অতি দরকারি নয়টি ভেষজ এবং বৃক্ষ ভগবতী দুর্গার নয়টি রূপ। ফল-ফুল অধিষ্ঠাত্রী দুর্গাকে প্রণাম জানানো হয়, নবপত্রিকা বাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ

নবপত্রিকা অনেকের মতে কুলবৃক্ষ নামেও পরিচিত। শক্তানন্দ তরঙ্গিনী গ্রন্থ থেকে জানতে পারি, যোগিনীরা সব সময় এই কুলবৃক্ষে বাস করেন। তন্ত্রশাস্ত্রে তাই একে কল্পবৃক্ষ বলা হয়।

৫. সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে পূজারীদের ভক্তিপূর্ণ চলাচল।

ওদিকে পুরোহিত মহাশয়ের পেছনে হাঁটছেন বাদক দল। ঢাকের শব্দে মিশে যাচ্ছে একদল নারীর শঙ্খ আর উলুধ্বনি। প্রথমে নদীতে শাস্ত্রবিধির স্নান। এরপর চারা কলাগাছের সাথে আটটি সমূল সপত্র উদ্ভিদ একজোড়া বেলসহ শ্বেত অপরাজিতার লতা বেঁধে দেবেন পুরোহিত মহাশয়। এরপর জড়ানো হবে লালপাড়ের সাদা শাড়ি। এমনভাবে জড়ানো হবে, যেন চারা কলাগাছটা ঘোমটা দেওয়া বৌয়ের রূপ ধারণ করে। মানে, নবপত্রিকার হয়ে যাবে কলাবৌ।

৬. নবপত্রিকা স্নানের পর মহাস্নান।

মহাস্নান মহাষ্টমী ও মহানবমীর দিনও মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিমার সামনে একটি আয়না রেখে সেই আয়নায় প্রতিফলিত প্রতিমার প্রতিবিম্বে স্নান করানো হয়।

মহাস্নানে শুদ্ধজল, নদীর জল, শঙ্খজল, গঙ্গাজল, উষ্ণ জল, সুগন্ধি জল, পঞ্চগব্য, কুশ ঘাসে ফোটানো জল, ফুল দিয়ে ফোটানো জল, ফলের জল, মধু-দুধ-নারকেলের জল, আখের রস, তিলের তেল, বিষ্ণু তেল, শিশিরের জল, রাজদ্বারের মাটি, চৌমাথার মাটি, বৃষশৃঙ্গমৃত্তিকা, গজদন্তমৃত্তিকা, বেশ্যাদ্বারমৃত্তিকা, নদীর দুই তীরের মাটি, গঙ্গামাটি, সব তীর্থের মাটি, সাগরের জল, ঔষধি মেশানো জল, বৃষ্টিজল, সরস্বতী নদীর জল, পদ্মের রেণু মেশানো জল ও ঝরনার জলে দুর্গাকে স্নান করানো হয়। এই মহাস্নানের মধ্য দিয়ে সব ধরনের সম্পদের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা চলে।

প্রার্থনা প্রকাশ পায় সর্বভূতে দেবীরই অধিষ্ঠান। আর, মহাস্নানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে বিশ্বসংহতি ও অসাম্প্রদায়িকতার সমন্বয়বার্তায় ফুটে ওঠে সমাজের কল্যাণ।

৭ . নদীর ঘাট থেকে চলে এসেছেন পুরোহিত মহাশয়। এরইমধ্যে পৌঁছে গেছেন মণ্ডপে।

কলাবৌয়ের কপালে তেল-সিঁদুর দিয়ে প্রকট করা হয়েছ এয়োতির চিহ্ন। এবার নবপত্রিকাকে দেবীর ডান দিকে আর গণেশ ঠাকুরের বাম পাশে বসিয়ে দেন কাঠের আসনে।

তখনই গজ-নিমিলিত চোখে গণেশ ঠাকুর ভাবলেন, মায়াবতী মা নিশ্চয়ই আমার জন্যে বৌ খুঁজে এনেছেন। গণেশ ঠাকুরের এই ধারণা স্পষ্ট হয় কলাবৌকে তাঁর বাম দিকে রাখার কারণে। বাম দিকেই স্ত্রীর অবস্থান, বামাবতী

আবেগপ্রবণ বাঙালির কাছে তাই নবপত্রিকার চারাকলাগাছটি হয়ে যায় গণেশ ঠাকুরের বৌ।

তাই হয়তো নাতি-পুতির মুখ দেখার আশায় শঙ্কর-মহাদেব স্ত্রী দুর্গাকে একসময় বলেই ফেললেন, ও গণেশের মা, কলাবৌকে দাগা দিও না। ওর একটি মোচা ফললে পরে, অনেক হবে ছানাপোনা


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্র নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য জানান।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন নাসির উদ্দিন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন।

এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।


আরও খবর



দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্যান্য খেলার পাশাপাশি দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শুধু ফুটবল বলে নয়, আমাদের দেশীয় অনেক খেলা আছে সেসব খেলাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এতে আমাদের কোমলমতিদের মেধা বিকাশের সুযোগ হবে। কারণ খেলাধুলার মধ্য দিয়েই আমাদের ছেলে-মেয়েদের আরও মেধা বিকাশের সুযোগ হবে।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টবঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখনই সরকার এসেছি, তখনই চেষ্টা করেছি ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি আরও বেশি অনুরাগী করে তুলতে। কেননা খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটায়। ডিসিপ্লিন শিখায়, আনুগত্যের শিক্ষা দেয়। সেই সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি।

সরকার প্রধান বলেন, সব ধরনের খেলাধুলার বিকাশে সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছে। যাতে করে প্রত্যেকটি উপজেলাতেই খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবে। সবাই শিক্ষা দীক্ষা খেলাধুলা সবদিক থেকে আরও বেশি উন্নত হবে, সারা বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে আমাদের আজকের এ সোনার ছেলে মেয়েরা। সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন ও আশীর্বাদ রইল।


আরও খবর
আচমকা অবসরে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বা এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন শিল্পীরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ২৭ এর বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, এ হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এর পর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরাও হামলায় অংশ নেন।

তবে ঠিক কী কারণে সাংবাদিকদের ওপর শিল্পীরা হামলা চালান, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

এদিন বিকেলে ২০২৪-২৬ এর শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করে। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এরপর বাকি সদস্যরা মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন।

শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে মিশা-ডিপজল পরিষদ। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। নিকটতম প্রার্থী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। একই পদে ২০৯ ভোট পেয়েছেন নিপুণ আক্তার। মাত্র ১৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন গতবারের এই সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, দাড়িগোঁফ রাখতে পারবেন ব্রিটিশ সেনারাও

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবার দাড়ি রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। ফলে ব্রিটিশ সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের এখন থেকে দাড়ি রাখতে আর বাধা নেই। তবে তাদের দাড়ি ও গোঁফ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুবিন্যস্ত রাখতে হবে। বিষয়টি নিয়মিত নজরদারিও করা হবে। খবর বিবিসির।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এই অনুমতির পরও, কিছু নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানে সেনা এবং কর্মকর্তাদের শেভ করারও প্রয়োজন হতে পারে। এসব পরিস্থিতিতে তাদের শেভ করার নির্দেশ দেয়া হবে। নীতিটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্রিটিশ সেনা নেতৃত্ব আশা করছে, এর মাধ্যমে তারা নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে।

বিবিসি বলছে, যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে সেনাবাহিনীই সবার পরে দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছে। টানা কয়েক বছর বিষয়টি নিয়ে নীতি পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ বাহিনীর এক মুখপাত্র।

এর আগে ডেনমার্ক, জার্মানি এবং বেলজিয়ামের মতো কয়েকটি দেশের সেনাবাহিনী সৈন্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দেয়। নতুন নীতি ঘোষণার আগে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী শিখ, মুসলিম এবং রাস্তাফারিয়ানদের মতো কয়েকটি নির্দিষ্ট ধর্মের সেনাদের দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছিল। যদি তাদের কার্যকারিতা, স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে না- এমন শর্তে দাড়ি রাখার অনুমতি ছিল।


আরও খবর



এবার কুকি-চিনের সহযোগী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) লাল লিয়ান সিয়াম বম নামে এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে রুমার বেথেল পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। লাল লিয়ান জেলার সদর ইউনিয়নে ০৪ নং ওয়ার্ডের বেথেল পাড়ার মৃত থন আলহ বমের ছেলে।বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রায়হান কাজেনী বলেন, আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে রুমার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ার ও কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৫ সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।

সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রত্যেকটি জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন।

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল কেএনএফ রুমার সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে এবং পুলিশ ও আনসার সদস্যের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং এরপর দিন থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ২০২২ সালে সশস্ত্র সংগঠন হিসেবে পাহাড়ে আত্মপ্রকাশ করে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।


আরও খবর