আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সপরিবারে ঘুরে আসুন শিমুলতলা থেকে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

ছুটিতে বাড়িতে বসে সময় নষ্ট করার কোনও মানেই হয় না। তাই অনেকেই সপরিবার বেড়িয়ে পড়েন। এ বছর তেমন কোনও পরিকল্পনা থাকলে ঘুরে আসুন ভারতের বিহারের শিমুলতলা থেকে। ভারতের বিহারের একটি ছোট্ট গ্রাম শিমুলতলা। কলকাতা থেকে শিমুলতলার দূরত্ব প্রায় ৩৬৫ কিলোমিটার। শহরের কলরব থেকে নিভৃতে দোল যাপনের এর চেয়ে ভাল জায়গা আর হয় না। এখন অবশ্য সারি সারি শিমুলগাছ নেই। তবে শিমুলতলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিভোর হতে হয়। ছোটখাটো অজস্র জঙ্গল, ইউক্যালিপটাসের সারি, ছোট ছোট পাহাড় আর সবুজের সমারোহে মন ভাল হতে বাধ্য।

পাহাড়, টিলা, শাল, শিমুল, মহুয়ার অরণ্যে ঘেরা শিমুলতলা যেন শান্তির পীঠস্থান। শিশির ভেজা লাল মোরামের পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে সন্ধান পাবেন এক অসীম সৌন্দর্যের। যে সৌন্দর্য চোখে লেগে থাকবে আজীবন। শিমুলতলার মূল আকর্ষণ হল লাট্টু পাহাড়। নলডাঙার রাজবাড়িকে পাশে রেখে মাঠ পেরিয়ে উঠতে হবে এই পাহাড়ে। গাছপালা দিয়ে ঘেরা এই পাহাড়ের মাথায় চড়লে দেখতে পাওয়া যাবে আদিবাসী দেবতাদের স্থান।

শিমুলতলার রেললাইন পেরিয়ে ৬ কিমি দূরে পাহাড় আর অরণ্যের মাঝে মনোরম পরিবেশে হলদিঝোরাও দেখে আসতে পারেন। যাওয়ার পথে পড়বে টেলবা নদীর ধারে সিকেটিয়া আশ্রম, ধীরহারা ঝোরা, যা দেখে মনের মধ্যে উথালপাথাল করতে পারে। শিমুলতলার আবহাওয়া সারা বছরই মনোরম থাকে। বসন্তে তা যেন আরও স্বস্তিদায়ক হয়। শিমুলতলার আশপাশেই রয়েছে বৈদ্যনাথ মন্দির, ত্রিকূট পাহাড়, নওলাখা মন্দির, তপোবন, নবদুর্গা মন্দির, ক্লক টাওয়ার-এর মতো অনেক দর্শনীয় স্থান। সেগুলিও দেখে আসতে ভুলবেন না।

কী ভাবে যাবেন: ভারতের হাওড়া স্টেশন থেকে রাতের ট্রেন মোকামা প্যাসেঞ্জারে করে যেতে পারেন শিমুলতলা। এ ছাড়া হাওড়া থেকে দিল্লি জনতা এক্সপ্রেসে চেপেও যেতে পারেন।

কোথায় থাকবেন: শিমুলতলা স্টেশনে নেমেই চোখে পড়বে বড় বাসস্ট্যান্ড আর বাজার। সেই বরাবর প্রচুর বাংলো বাড়ি রয়েছে। আধুনিক মানের বিভিন্ন হোটেলও পেয়ে যাবেন। হোটেলে থাকলে আলাদা করে খাবারের ব্যবস্থা করার ঝক্কি নেই। বাংলোতে থাকলে নিজেরা রান্না করতে পারেন কিংবা ঘুরতে গিয়ে হেঁশেলে ঢুকতে না চাইলে এক জন রাঁধুনিও রাখতে পারেন।

নিউজ ট্যাগ: শিমুলতলা

আরও খবর
সময় এখন ক্যাম্পিংয়ের

বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩




রোজার নিয়ত যেভাবে করবেন

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

মুমিন জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার রমজান। আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্ম উন্নয়নের চেতনায় জীবনের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের জন্য করুণাময় আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের অফুরান ভান্ডার নিয়ে আসে রমজান।  প্রিয় নবি (সা.) এ মাসকে শাহরুন আজিম মহান সম্মানিত মাস এবং শাহরুম মোবারক বরকতময় মাস নামে আখ্যায়িত করেছেন।

কোনো আমল-ইবাদত বা কোনো কাজ সম্পাদন করার ইচ্ছা বা সংকল্প করাকে নিয়ত বলে। ইসলামি শরিয়তে নিয়তের গুরুত্ব অপরিসীম।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তির আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। (বুখারি, ১) কোনো ব্যক্তির আমল আল্লাহর কাছে ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয় না, যতক্ষণ পর্যন্ত তার নিয়ত সঠিক হয় না। সুতরাং পবিত্র রমজানের রোজা রাখার ক্ষেত্রেও নিয়ত একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

রোজার নিয়ত কীভাবে করব?

নিয়ত এটি আরবি শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ হলো মনে মনে ইচ্ছা করা। অতএব কেউ যদি সূর্যাস্তের পরবর্তী কোনো একসময়ে মনে মনে এই ইচ্ছা করে যে, আমি আগামীকাল রমজানের রোজা রাখব, তা হলে তার নিয়ত সংঘটিত হয়ে যাবে। নিয়ত সহিহ হওয়ার জন্য মুখে উচ্চারণ করা শর্ত নয়। তবে তা উত্তম। (ফাতাওয়া আলমগিরি-১/১৯৫)

রোজার নিয়ত কখন করব?

সূর্যাস্তের পর থেকে পূর্ব অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্তের মধ্যবর্তী সময়ের আগ পর্যন্ত রমজানের রোজার নিয়ত করার অবকাশ আছে। তবে সুবহে সাদিকের আগেই নিয়ত করে নেওয়া উত্তম। (বাদায়েউস সানায়ে- ২/২২৯; আল বাহরুর রায়েক-২/২৫৯)

রোজার নিয়তের জন্য মুখ দিয়ে নির্ধারিত শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ করা জরুরি নয়। বরং অন্তরের ইচ্ছাই যথেষ্ট। এমনকি রোজার জন্য সেহরি খাওয়াটাও নিয়তের স্থলাভিষিক্ত। কিছু লোক আরবিতে রোজার নিয়ত করাকে আবশ্যকীয় মনে করে থাকেন অথচ তা সঠিক নয় (জাওয়াহিরুল ফিক্হ ১/৩৭৮)। তবে আরবি নিয়ত করলে অসুবিধা নেই।

প্রত্যেক রোজার জন্য ভিন্ন ভিন্ন নিয়ত করা জরুরি (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ১/১৯৫)। অর্ধ দিনের আগে নিয়ত করলে রোজা বিশুদ্ধ হয়ে যাবে (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ১/১৯৫)।

আরবিতে : নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আনতাস সামিউল আলিম।

বাংলায় : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব, তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

নিয়ত সম্পর্কিত জরুরি কিছু মাসয়ালা সবার জেনে রাখা উচিতরমজানের প্রতিদিনই রোজার নিয়ত করতে হবে। এক দিনের নিয়ত পুরো রমজানের রোজার জন্য যথেষ্ট হবে না। (ইলমুল ফিকাহ, ৩/১৮)

রমজানুল মোবারকে মনে মনে শুধু এটুকু ভাবলেই নিয়ত হয়ে যাবে, আমি আজ রোজা রাখব। (বেহেশতি জেওর, ৩/৩)।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




ড. ইউনূসসহ চার কর্মকর্তার বিষয়ে রুল শুনানি শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও অধিদপ্তরের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় ও আদেশ স্থগিত প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। এ বিষয়টি আগামী রোববার (১০ মার্চ) পর্যন্ত মুলতবি করে ওইদিন পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বুধবার (৬ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।

তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের গত ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন (ক্রিমিনাল রিভিশন) করেন মামলার বাদী।

মামলার বাদী কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শকের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা ওই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গত ১ জানুয়ারি রায় দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল সেদিন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় গত ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। অন্য তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

এ অবস্থায় তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মামলার বাদী। আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন, যার ওপর আজ শুনানি হয়।

বিভিন্ন নজির তুলে ধরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে বলেন, রায়ে দুটি দিক থাকে একটি সাজা ও অন্যটি দণ্ড। আপিল ট্রাইব্যুনাল দুটিই স্থগিত করে দিয়েছেন। কনভিকশন (দোষী সাব্যস্তকরণ) স্থগিত হয় না। অনেক সময় দণ্ড স্থগিত হয়। তবে কারণ উল্লেখ করতে হয়। এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। আপিল ট্রাইব্যুনাল পুরো রায় স্থগিত করতে পারেন না। এটি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ও ফৌজদারি কার্যবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপির সংখ্যা বেড়ে ১৭৯

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ ঘিরে আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা। সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজিপির মোট ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে এখন পর্যন্ত মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ (বিজিপি) ৩৩০ জন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

গত বছরের অক্টোবর থেকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যৌথ হামলা শুরু করে বিদ্রোহীদের জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। তাদের হামলার মুখে রাখাইনের অনেক জায়গা থেকে পালিয়ে গেছে জান্তার সদস্যরা।

রাখাইনভিত্তিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ জানিয়েছে, যে কোনো সময় পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে।


আরও খবর



বাউফলে বড় ভাইয়ের গুলিতে ছোট ভাই নিহত!

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

বাউফলে বড় ভাইয়ের অবৈধ পিস্তলের গুলিতে প্রতিবন্ধী ছোট ভাই সাব্বির হোসেন (১৬) নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত বড় ভাই মোঃ সজিব হোসেনকে (২১) আজ সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে আটক করেছে এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রান্না ঘরের রাখা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে একটি  পিস্তল উদ্ধার করে। তার বাবার নাম বাবুল সরদার।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের সূর্যমনি গ্রামের বাবুল সরদারের বড় ছেলে বাউফল নবারুন সার্ভে ইনস্টিটিউটের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র সজিব একটি পুরানো জংয়ে ধরা পিস্তল নিয়ে নাড়াঁচাড়া করতে গিয়ে হঠাৎ ট্রিগারে চাপ পরে একটি গুলি তার প্রতিবন্ধী ছোট ভাই সাব্বিরের কপালের বাম পাশে চোখের উপরে গিয়ে বিদ্ধ হয়। এরপর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরিবারের লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য সাব্বির বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে বলে প্রচার করেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরজাহান বলেন, সাব্বরিকে আহত অবস্থায় জরুরী বিভাগে অনার পর তার কপালে বাম চোখের উপরে একটি ছিদ্র দিয়ে রক্ত বেড় হতে দেখি। তখন রোগীর অবস্থা আশংকাজনক ছিল। ওই সময় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে  বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করি।

নিহত সাব্বিরের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্বজন বলেন, ওই দিন বিকালে দিকে সাব্বিরকে নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর পর। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক গুলিবিদ্ধর বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসাপাতালে রেফার করেন। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হলে রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।

এ ব্যাপারে সূর্যমনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়র হোনে বাচ্চুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি। ঘটনাটি আমি জেনেছি। খুবই বেদনাদায়ক। আমি চাই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসুক। সজিব কোথা থেকে কিভাবে এ অস্ত্র পেলে তাও পুলিশের খতিয়ে দেখবেন বলে আশা করছি। 

এ ব্যাপারে বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত)  আতিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত সাব্বিরের বড় ভাই সজিবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিস্তারিত পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে। নিহত সাব্বিরের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



জামালপুরে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের একটি রিসোর্ট সেন্টারে মাদকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে গিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের তালাশ টিমের সিনিয়র সাংবাদিক নাজমুল সাঈদ ও সিনিয়র চিত্রগ্রাহক কাজী মোহাম্মদ ইসমাইলকে নির্যাতনের ঘটনাসহ দেশব্যাপি সাংবাদিক নির্যাতন, নিপিড়ন, জেল, জুলুম, হামলা ও মামলার ঘটনার প্রতিবাদে জামালপুরে প্রতিবাদ সভা করেছেন প্রেসক্লাব জামালপুর ও জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক।

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে প্রেসক্লাব জামালপুর ও জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের যৌথ আয়োজনে পৌর শহরের শহীদ হারুন সড়কে সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেসক্লাব জামালপুরের সভাপতি ও দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক আজিজুর রহমান ডলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম, প্রেসক্লাব জামালপুরের সহ-সভাপতি সাঈদ পারভেজ তুহিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইমুম সাব্বির শোভন, প্রেসক্লাব জামালপুরের সদস্য আব্দুল আজিজ, আরিফুজ্জামান আকন্দ, খাদেমুল বাবুল।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন- প্রেসক্লাব জামালপুরের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয় সম্পাদক দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ময়না আকন্দ, সুমন মাহমুদ, সাকিব আল হাসান নাহিদ।

এ সময় বক্তারা কক্সবাজারে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের তালাশ টিমের সিনিয়র সাংবাদিক নাজমুল সাঈদ ও সিনিয়র চিত্রগ্রাহক কাজী মোহাম্মদ ইসমাইলকে নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

এছাড়া শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার সাংবাদিক রানাকে ভ্রাম্যমান আদালতের ছয় মাসের জেল ও লালমনিরহাট জেলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাংবাদিকদের আটক রাখার ঘটনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিক নির্যাতন, নিপীড়ন, জেল-জুলুম, হামলা-মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তরা।

এ সময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর