আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সপরিবারে এমপি জাফর দুদকে হাজির হবেন আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দিতে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে হাজির হচ্ছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম ও তার পরিবার। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছে সংসদ সদস্য জাফর আলমের ছেলে তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী তুহিন। পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন- জাফর আলমের স্ত্রী শাহেদা বেগম, মেয়ে তানিয়া আফরিন ও ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন।

এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর তাদের দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম থাকায় সেদিন তারা উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে ৩ সেপ্টেম্বর দুদকে চিঠি দিয়েই সাংসদ সদস্য জাফর বিষয়টি জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনেই তারা ২০ সেপ্টেম্বর দুদক কার্যালয়ে আসবেন বলে জানিয়েছিলেন।

দুদক সূত্র জানায়, সংসদ সদস্য জাফর আলমের ক্ষমতা ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে তার স্ত্রী শাহেদা বেগম সরকারি জমি, চিংড়ির ঘের, জলমহাল দখল, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ অভিযোগ তদন্তের জন্য সংসদ সদস্য জাফর আলম ও তার স্ত্রী-সন্তানদের দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। তবে শাহেদা বেগমের দাবি, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে দুদকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।

সংসদ সদস্য জাফর আলমের ছেলে তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী তুহিন বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাদের ঘায়েল করতেই দুদকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই আমরা সব কাগজপত্র নিয়ে মঙ্গলবার দুদকের জেলা কার্যালয়ে যাবো।

স্ত্রীর সম্পদের অনুসন্ধানকে চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর চকরিয়া পৌরসভার আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল ছিল। এ কারণে আমি ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুদকে সময় নিয়েছিলাম। আমরা আজ দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ বিষয়ে দুদকের সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর লিখিত আবেদন করে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদ সদস্য সময় নিয়েছিলেন। আশা করছি যথা সময়েই দুদকের জেলা কার্যালয়ে সংসদ সদস্য জাফর আলম ও তিন সদস্য হাজির হবেন।


আরও খবর



ড. ইউনূসের দণ্ড স্থগিতের আদেশ বাতিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের দণ্ড (কনভিকশন) স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৮ মার্চ) এ রায় দেন। গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০২১ সালে মামলা করেছিল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ মামলার রায় দেন।

রায়ে ড. ইউনূস, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেন বিচারক। তাদের প্রত্যেককে শ্রম আইনের ৩০৩ ও ৩০৭ ধারায় ৬ মাসের কারাদণ্ডের সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে সেদিন তাদের জেলে যেতে হয়নি। রায় ঘোষণার পর পরই জামিন আবেদন করা হলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার শর্তে তাদের এক মাসের জামিন দেন বিচারক। গত ৩১ জানুয়ারি এ জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন ড. ইউনূসসহ দণ্ডিতরা।

গত ২৮ জানুয়ারি ইউনূসসহ দণ্ডিতদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তাদের জামিন দেন। সেই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দণ্ড স্থগিতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

এ আবেদনে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শুনানির পর রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ড স্থগিতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চূড়ান্ত শুনানির পর রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিলেন উচ্চ আদালত।

আদালতে রুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার মানে হচ্ছে, তৃতীয় শ্রম আদালতের দণ্ড স্থগিত করে গত ২৮ জানুয়ারি দেওয়া শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ বাতিল করা হয়েছে।’

আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রায়ে হাইকোর্ট চারটি নির্দেশনা দিয়েছেন- এক. তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া দণ্ড (কনভিটশন) চলমান থাকবে। দুই. আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাজা (৬ মাসের কারাদণ্ড) স্থগিত থাকবে। তিন. শ্রম আদালতের দেওয়া ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও স্থগিত থাকবে। চার. যত দ্রুত সম্ভব আপিল নিষ্পত্তি করবেন আপিল ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডিতরা দেশের বাইরে গেলে সংশ্লিষ্ট আদালতকে জানাতে হবে।’

গত ১১ মার্চ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন ড. ইউনূস। এখন তিনি বিদেশে আছেন বলে জানান এ আইনজীবী।


আরও খবর



আরও একদিন বন্ধ থাকবে পোস্তগোলা সেতু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে প্রবেশে গুরুত্বপূর্ণ পোস্তগোলা সেতু। চলমান সংস্কার কাজের শেষ দিন শুক্রবার (৮ মার্চ)। যার কারণে বন্ধ থাকবে সেতুতে গাড়ি চলাচল। তবে পরদিন শনিবার (৯ মার্চ) থেকেই সেতুতে সব ধরনের যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সড়ক ও জনপথ বিভাগের কেরানীগঞ্জ সড়ক সার্কেলের উপসহকারী প্রকৌশলী চৌধুরী সাজ্জাদ আরেফিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, পোস্তগোলা সেতুতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। পর দিন সংস্কার কাজ শেষে সেতুটি সব ধরনের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন>> কমলো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম, প্রজ্ঞাপন জারি

গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পোস্তগোলা সেতুর সংস্কারের অংশ হিসেবে রেট্রোফিটিং ও দুটি গার্ডার মেরামত শুরু হয়েছে। এই সংস্কার কাজ শেষ হচ্ছে ৮ মার্চ (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টার পর।

এদিকে, গত ১৫ দিনে সেতুটির সংস্কার কাজ চলায় বিকল্প পথ হিসেবে চাপ বাড়ে বাবুবাজার ব্রিজে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। তবে আগামী শনিবার থেকে এ ভোগান্তি দূর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



আমি নির্বাচনে হারলে মার্কিন গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে : ট্রাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সময় যতই এগিয়ে চলেছে, বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তাপও বাড়ছে সমানতালে। চার বছর আগের মতো এবারের নির্বাচনেও দেখা মিলবে বাইডেন ও ট্রাম্পের দ্বৈরথ।

আর তাই গত নির্বাচনের পরাজয়ের ক্ষত থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়াচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, সামনের নির্বাচনে তিনি হারলে মার্কিন গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে।

এমনকি তিনি না জিতলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রোববার (১৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, তিনি যদি আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী না হন তবে এর অর্থ হবে আমেরিকান গণতন্ত্রের সম্ভাব্য সমাপ্তি বা অবসান। রিপাবলিকান পার্টির এই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ওহিওতে সমর্থকদের সাথে কথা বলার সময় ২০২০ সালের নির্বাচন নিয়ে তার ভিত্তিহীন দাবিরও পুনরাবৃত্তি করেন।

তিনি দাবি করেন, ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ২০২০ সালের নির্বাচনে তার পরাজয় ছিল নির্বাচনী জালিয়াতির ফলাফল।

রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার আউটডোরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেন, তিনি যদি আগামী ৫ নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী না হন তবে আমেরিকান গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে। ট্রাম্প বলেন, আমরা যদি এই নির্বাচনে না জিততে পারি, আমি মনে করি না যে আপনারা এই দেশে আর কোনও নির্বাচন পাবেন।

জর্জিয়ায় ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করার দায়ে ট্রাম্প বর্তমানে ফৌজদারি অভিযোগের অধীনে রয়েছেন। আর এর মধ্যেই চলতি সপ্তাহে রিপাবলিকান মনোনয়ন পাওয়ার জন্য যথেষ্ট সমর্থন পেয়ে গেছেন তিনি।

ট্রাম্প এদিন ডেটনে তার সমর্থকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই মন্তব্যটি করেন যারা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে দাঙ্গা ও হামলার জন্য কারাগারে রয়েছেন। সেদিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল।

একপর্যায়ে ক্যাপিটল ভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ও মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা। হামলাকারীদের অনেকেই ছিল সশস্ত্র। ভেতরে ঢুকে সিনেট হলে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় তারা। শুধু তা-ই নয়, তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার কার্যালয়ও তছনছ করে তারা। হামলা-সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন পাঁচজন। সেই ঘটনায়ই ট্রাম্পের অনেক সমর্থক কারাগারে রয়েছেন। তবে ট্রাম্প তাদেরকে স্যালুট জানান এবং তাদের দেশপ্রেমিক এবং জিম্মি বলেও আখ্যায়িত করেন।

রয়টার্স বলছে, সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট দেশের অবস্থা সম্পর্কে তার বক্তৃতায় ক্রমবর্ধমানভাবে ডাইস্টোপিয়ান (এমন কল্পিত রাষ্ট্র বা সমাজ যেখানে ব্যাপক যন্ত্রণা ও কষ্ট বা অবিচার আছে) ব্যবহার করছেন।

আমদানি করা গাড়ির ওপর শুল্ক বসানো এবং মার্কিন অটো শিল্পের জন্য বিদেশি প্রতিযোগিতার বিষয়ে নিজের বক্তৃতার একটি অংশের মাঝখানে ট্রাম্প ঘোষণা করেন: আমি যদি নির্বাচিত না হই, তবে এটি পুরো দেশের জন্য রক্তগঙ্গা হতে চলেছে।

এদিকে মার্কিন অটো শিল্প এবং অর্থনীতি সম্পর্কে আলোচনার মধ্যে ট্রাম্পের রক্তগঙ্গা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রচারণার মুখপাত্র জেমস সিঙ্গার ট্রাম্পের চরমপন্থা, প্রতিশোধের প্রতি তার তৃষ্ণা এবং তার রাজনৈতিক সহিংসতার হুমকির নিন্দা করেন।

ট্রাম্প কৃষ্ণাঙ্গ এবং হিস্পানিকদের (লাতিন আমেরিকান বংশোদ্ভূত এবং বিশেষ করে কিউবান, মেক্সিকান বা পুয়ের্তোরিকান বংশোদ্ভূত ব্যক্তি যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন) কাছেও আবেদন করেছেন।

তার মতে, এই ভোটাররা নভেম্বরের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করবে।

নিউজ ট্যাগ: ডোনাল্ড ট্রাম্প

আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় জমি ব্যবসায়ী সাধন মিয়া হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন ও দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দুই জনকে একলাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতে বিচারক আক্তারুজ্জামান ভূইয়া এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৪ সালের ১৭ জুন নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও থানার আলোচিত জমি ব্যবসায়ী সাধন হত্যা মামলায় এক জনের যাবজ্জীবন ও দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৬ জুন রাতে সোনারগাঁওয়ের সাধনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে সাধনের পরিবারের পক্ষ থেকে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।


আরও খবর



দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় অদম্য নারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নারী নির্যাতন, লিঙ্গ বৈষম্য, বাল্যবিবাহ ও স্বাস্থ্যসেবার সংকট এবং কর্মে প্রবেশ, নিরাপত্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো অধিকার প্রতিষ্ঠার অভাব থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। এই অগ্রগতি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রশংসিত হচ্ছে। গত দেড় দশকে বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণের হার ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিগুণ। এটি দেশের অর্থনীতিতে বড় আশা দেখাচ্ছে। দেশের রাজনীতি, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসন, শিক্ষা, খেলাধুলা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে সর্বক্ষেত্রে নারীরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করছে। দিন দিন তাদের সংখ্যা বাড়ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীর উন্নয়নের পাশাপাশি বৈষম্য দুরীকরণে এখন নজর দেওয়ার সময় এসেছে।

বাংলাদেশে নারীর এই অগ্রগতির মধ্যেই শুক্রবার (০৮ মার্চ) পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হলো নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ, এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ। আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নারী দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বিশ্বব্যাংকের মতে, যেসব দেশে শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের হার বেশি হয়, সেসব দেশের অর্থনীতির আরও শক্তিশালী হওয়ার প্রবণতায় থাকে। এর কারণ হলো যখন নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করা হয়, তখন তারা অর্থনীতিতে অবদান সম্পূর্ণভাবে রাখতে পারেন। এর মধ্য দিয়ে অর্থনীতিতে উৎপাদনশীলতা, উদ্ভাবন ও প্রতিযোগিতাকে ত্বরান্বিত করে। ফলে শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি একটি দেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমিক রাখে।

বাংলাদেশের শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২ বলছে, দেশের শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের হার এখন ৪৩ শতাংশ। ২০০৬ সালের জরিপে এ হার ছিল ২৯ শতাংশ এবং ২০১৭ সালের জরিপে এ হার ছিল ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ গত ১৬ বছরে এ হার ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অথচ ভারতে এই হার মাত্র ২০ শতাংশ আর পাকিস্তানে ২২ শতাংশ।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম উৎস তৈরি পোশাক খাতের যে চল্লিশ লাখের অধিক শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে, তার ৮০ শতাংশের বেশি নারী। ২০২২ সালে উচ্চশিক্ষায় (টারশিয়ারি) নারীদের ভর্তির হার ১৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রীদের ভাগ ৪৫ দশমিক শূন্য ৩ (২০২২) শতাংশ। এছাড়া প্রাথমিকে ছাত্রীসংখ্যা ১০৪-এর বিপরীতে ছাত্রসংখ্যা ১০০ এবং মাধ্যমিকে ১১৪ ছাত্রীসংখ্যার বিপরীতে ছাত্র ১০০। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষকের অনুপাত সরকারি ক্ষেত্রে ৬৪ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে ৬৬ দশমিক ০৩ শতাংশ। মনে করা হয়, বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নে নারী শিক্ষার প্রসার বড় ভূমিকা রেখেছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনা ও কর্মসূচির বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে সরকারের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা কৌশলে নারী উন্নয়নের বিষয়কে মূল ধারায় নিয়ে আসা হয়েছে।

দেশে নারীর উন্নয়নে গত তিন দশকে সরকার বিশাল ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে। এর মধ্যে ৯০ দশকে শুরু হওয়া প্রাথমিকে উপবৃত্তি চালুর পর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের উপবৃত্তি চালু করা হয়। নারী শিক্ষকদের জন্য প্রণোদনা উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। বর্তমান সরকার টানা কয়েক মেয়াদে নারীদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নারী-স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, বিনামূল্যে মাতৃ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং গর্ভনিরোধক ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা বিতরণ বিস্তৃত করেছে। এ ছাড়া নারীদের কর্মসংস্থানের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে শুধু নারীদের জন্য শিল্পপার্ক স্থাপন এবং নারীদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান। জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বাড়িয়ে রাজনৈতিক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা হয়েছে। নারী উদ্যোক্তাদের উন্নীত করার জন্য তহবিল প্রতিষ্ঠা, তাদের জন্য ঋণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান এবং নারী-নেতৃত্বাধীন ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগের উন্নয়নসহ বেশ কিছু উদ্যোগ চালু করেছে। নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য বেশ কিছু আইনি সংস্কার করেছে, যার মধ্যে রয়েছে গার্হস্থ্য সহিংসতা, যৌন হয়রানি এবং অ্যাসিড হামলা প্রতিরোধে আইন প্রবর্তন। নারীর প্রতি সহিংসতা-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত বিচারের জন্য সরকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনালও গঠন করেছে।

এ বিষয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) সম্প্রতি সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ও উন্নয়ন অনেক এগিয়েছে। স্কুলে মেয়েদের ভর্তির হার বেড়েছে এবং ঝরে পড়ার হার কমেছে। উচ্চ শিক্ষায়ও মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রাজনীতি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং বেসরকারি চাকরি- সব ক্ষেত্রেই নারীরা এগিয়েছে।

নারীর উন্নয়ন বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, আমরা সাধারণত নারীর উন্নয়ন ও বৈষম্যকে এক করে ফেলি। তবে মনে রাখতে হবে, নারীর উন্নয়ন হলেই সব ঠিক হয়ে গেল না। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে নারীর বৈষম্য রয়েছে কোন কোন জায়গায়। এগুলো নিয়ে গবেষণা করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা দরকার।

প্রসঙ্গত, ১৯১৪ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে নারী দিবস পালন শুরু হয়। ১৯৭৫ সালে দিনটিকে নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। নারী দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হলো নারী ও পুরুষের সমঅধিকার আদায়। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাদের কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে মহিলাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য অর্জনের উৎসব হিসেবেই পালন করা হয়।


আরও খবর