রাজশাহীতে স্যালাইন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে
চার নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সিজারিয়ান অপারেশনের আগে রাজশাহী
ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের এ স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। এরপর দ্রুত সময়ের
মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
স্যালাইন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়া আরও
দুই নারী এখনো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন। এদিকে, মৃত্যুর ঘটনা
ধামাচাপা দিতে মারা যাওয়া নারীদের মধ্যে দু-একজনের স্বজনদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ‘ম্যানেজ’ করেছে বলে অভিযোগ
উঠেছে
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি
সিজারিয়ান অপারেশনের আগে ‘আইভি স্যালাইন’ দেওয়ার পর ছয়
নারীর একই রকমের শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। অপারেশনের পরে ধীরে ধীরে তাদের শারীরিক অবস্থার
অবনতি হতে থাকে। কমে যায় কিডনির কার্যক্ষমতা, হার্টে দেখা দেয় ব্লক। এতে চার নারীর
মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে আরও দুইজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে সূত্রটি মৃত নারীদের
নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে হাসপাতালের
ইনচার্জ ইলিয়াস হোসেনকে তার কক্ষে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,
‘ঘটনা তদন্তে কমিটি
হয়েছে। তারা কাজ করছেন।’
বেসরকারি এই হাসপাতালটির ডেপুটি ডাইরেক্টর
ডা. সুজন আল হাসান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি ওই স্যালাইন পরীক্ষার
জন্য ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো.
ফারুক বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ঘটনাটা শুনলাম, সেটাও অন্য মাধ্যমে। হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি। আমরা সব তথ্য চেয়েছি হাসপাতাল থেকে। বিষয়টি তদন্ত করে
দেখব। হাসপাতালের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য
পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবির বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগকে
ঘটনাটি না জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্যায় করেছে। এটা খুবই স্পর্শকাতর ব্যাপার। আমাদের
জানানো উচিত ছিল। আমরা জানতে পারলে আমাদের মতো করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারতাম।
তারা কেন আমাদের কাছে এটা লুকিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।’