আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সোয়ারীঘাটে জুতার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর সোয়ারীঘাট এলাকায় একটি জুতার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অন্তত পাঁচজন মারা গেছেন।

শুক্রবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে সোয়ারীঘাট এলাকার একটি জুতার কারখানায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা কাজ করে রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে এখনো উদ্ধার কাজ চলছে।

ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ বলেন, কারখানাটিতে মূলত জুতার সোল তৈরি হতো। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডে কারখানাটিতে প্রচুর ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। ‌ধারণা করা হচ্ছে, নিহত পাঁচজন প্রচুর ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। নিহতরা কারখানাটির শ্রমিক ছিলেন বলে এখন পর্যন্ত জানা গেছে।

এ বিষয়ে চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল কাইউম বলেন, এ ঘটনায় পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আর কেউ হতাহত হয়নি। নিহতদের নাম পরিচয় এখনো যানা যায়নি। 


আরও খবর
কপালের বলিরেখা দূর করার উপায়!

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অভিযানেও স্বস্তি ফেরেনি চালের বাজারে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪




লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ নিহত ৫

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লেবাননের একটি সীমান্তবর্তী গ্রামে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। দক্ষিণ লেবাননের একটি বাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী এই বিমান হামলা চালায়। পাঁচ লেবানিজ নিহত হওয়া ছাড়াও এ ঘটনায় একই পরিবারের সদস্যসহ ৯ জনের বেশি আহত হয়েছে। রবিবার (১০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের একটি বাড়িতে ইসরায়েল বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ৯ জন।

লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, খিরবেত সেলম এলাকায় একটি বাড়িতে চালানো ওই হামলায় একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক দম্পতি ও তাদের দুই সন্তান এবং অন্য একজন ব্যক্তি রয়েছেন। নিহত ওই মা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।’

হামলায় বাড়িটি ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে সীমান্তে ধীরে ধীরে যুদ্ধ বেড়েছে এবং লেবাননে কয়েক ডজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াইয়ে লেবাননের ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর আরও ৩ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত শুক্রবার ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে তিনজন যোদ্ধা মারা যাওয়ার কথা ঘোষণা করার পর হিজবুল্লাহ এখন আরও তিনজন নিহতের কথা নিশ্চিত করেছে, যারা একই পরিবারের সদস্য বলে মনে হচ্ছে।

শক্তিশালী এই সশস্ত্রগোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালে জন্মগ্রহণকারী হাসান জাফর মারজি, ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণকারী আলী জাফর মারজি এবং ১৯৬৮ সালে জন্মগ্রহণকারী জাফর আলী মারজি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। তারা সবাই দক্ষিণ লেবাননের ব্লিদা শহরের বাসিন্দা ছিলেন।

সবশেষ এই প্রাণহানির ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত লড়াইয়ে হিজবুল্লাহর সদস্যদের মৃতের সংখ্যা ২৩৯ জনে পৌঁছাল। এছাড়া শনিবার ইসরায়েলি বিভিন্ন অবস্থানে নয়টি হামলা চালানোর দাবিও করেছে হিজবুল্লাহ।

প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধে গত অক্টোবর থেকেই ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সংঘাতে ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী এই গোষ্ঠীটির দুই শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে প্রায় ৫০ জন বেসামরিক নাগরিকেরও প্রাণহানি ঘটেছে। আর হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক ডজনেরও বেশি সদস্য এবং পাঁচ বেসামরিক নিহত হয়েছেন।


আরও খবর



তুরস্কের উপকূলে অভিবাসী নৌকা ডুবি, ৭ শিশুসহ নিহত ২২

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তুরস্কের এজিয়ান সাগরের গোকসিয়াদা দ্বীপের কাছে নৌকা ডুবিতে ৭ শিশুসহ ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে জানায়, তুরস্কের কোস্টগার্ড ২২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। যার মধ্যে ৭ জন শিশু রয়েছে। নিহত ২২ জন কোন দেশের নাগরিক তা প্রকাশ করা হয়নি। খবর আল জাজিরা

গর্ভনর ইলহামি আকতাস তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, তুর্কি কোস্টগার্ড কানাতালে প্রদেশের ইসেবাত শহরের উপকূল থেকে দুজনকে উদ্ধার করেছে এবং দুজন নিজ থেকে উপকূলে আসতে পেরেছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। গোকসিয়াদার কাছে কাবাটেপেতে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষমান রয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে, উদ্ধার কাজে একটি প্লেন, দুটি হেলিকপ্টার, একটি ড্রোন, ১৮টি নৌকা এবং ৫০২ জন উদ্ধারকর্মী অংশ নিয়েছেন।

তুরস্কের কোস্টগার্ড বলছে, সপ্তাহের শুরু থেকে তারা অবৈধভাবে গ্রীসে যাওয়ার পথে শতাধিক মানুষকে বাঁধা দিয়েছে। যার মধ্যে শিশুরাও ছিল।

অবৈধ অভিবাসী বোঝাই নৌকা ঠেলে দেওয়ায় এথেন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তুরস্ক।

গত বছরের ডিসেম্বরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোয়ান এথেন্সে ভ্রমণ করেন। এ ভ্রমণে গ্রীসের সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে দুই দেশ সমস্যা নিরসনে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

অনেক অভিবাসী তুরস্কে থেকে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এজন্য তারা গ্রীসকে বেছে নিচ্ছে। তবে সমুদ্র পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে।


আরও খবর



মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু ভারতের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্যাপক কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর অবশেষে মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত। গত ১০ মার্চ ২৫ জন সেনাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, বাকিদেরও মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগেই ফিরিয়ে আনা হবে।

মালদ্বীপভিত্তিক দৈনিক মিহারুর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের সম্মতির ভিত্তিতে দেশটিতে ৮৯ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন করেছিল ভারত। এই সেনা মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারত মহাসাগরে চীনের তৎপরতার ওপর নজরদারি করা।

তবে তার পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচি, মালদ্বীপের জনবসতিপূর্ন দ্বিপগুলোতে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজও করতেন ভারতীয় সেনারা।

কিন্তু ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতিকে মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলেন দেশটির অন্যতম নেতা ও চীনপন্থী রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ মুইজ্জু। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মালদ্বীপ থেকে নিজ সেনা সদস্যদের ফিরিতে নিতে ভারতকে আহ্বানও জানান তিনি।

সেই সঙ্গে সময়সীমা বেঁধে দেন যে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ভারতকে তার সেনাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। পরে নয়াদিল্লির সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই সময়সীমা ১০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করেন তিনি।

মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কৌশলগত দিক থেকে নয়াদিল্লির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল মালদ্বীপ। তবে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে একদিকে এই সম্পর্কে শীতলতা এসেছে, অন্যদিকে বেড়েছে এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির সম্ভাবনা।

গত জানুয়ারিতে চীন সফরে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ মুইজ্জু। সেখানে বেইজিংয়ের সঙ্গে মালদ্বীপের অবকাঠামো, জ্বালানি, সমুদ্র গবেষণা ও কৃষি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষ করে এসেছেন তিনি।

অন্যদিকে ভারত গত মাসে ঘোষণা দিয়েছে এখন থেকে নিজেদের লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চলে নৌবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করবে দেশটি। মালদ্বীপ থেকে লাক্ষাদ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার।


আরও খবর



রাবির ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় বি ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত এ ইউনিটের পাসের হার ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ ।

বুধবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টার থেকে ফলাফল প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, বি ইউনিটের বাণিজ্য শাখায় আবেদনকারীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৬২৫ জন। পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ১৪ হাজার ৩৬১ জন। পাস করেছে সাত হাজার ৭৭ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছে আট হাজার ৩৫৯ জন। ত্রুটিযুক্ত ওএমআর ১৮ জনের। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রথম স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীর নম্বর ৮৬.৫০।

বি ইউনিটের বিজ্ঞান শাখায় ১১ হাজার ৩৯২ জন আবেদনকারীর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ৯ হাজার ৫২০ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছে এক হাজার ৩০০ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছে আট হাজার ১৮৯ জন। ত্রুটিযুক্ত ওএমআর ২৮ জনের। পাসের হার ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রথম স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীর নম্বর ৭২।

এই ইউনিটের মানবিক শাখায় ৭ হাজার ৫২৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন সাত হাজার ১৭ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছে এক হাজার ২৫৭ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছে পাঁচ হাজার ৭৪৩ জন। ত্রুটিযুক্ত ওএমআর ১৭ জনের। পাসের হার ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রথম স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীর নম্বর।

উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ তিন শিফটে বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৫১৫টি সিটের বিপরীতে তিন শিফটে ৩৪ হাজার ৫৪১জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছিলেন। আসনপ্রতি লড়াই হয়েছে ৬৭ জনের। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (admission.ru.ac.bd) থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।


আরও খবর



বিজিপি প্রত্যাবাসন: ফাইল আটকে আছে মিয়ানমার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ সদস্যকে ফেরত পাঠাতে প্রায় সব প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশের। মিয়ানমারও তাদের ফেরত নিতে চায়। তবে কবে নাগাদ তাদের ফেরত নেওয়া হবে, তা এখনো জানায়নি দেশটি। আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া সংক্রান্ত ফাইল মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আটকে আছে বলে তথ্য মিলছে।

ঢাকা ও নেপিডোর কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্যকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নেপিডোর দিক থেকে ঢাকাকে জানানো হয়েছে, বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়ার ফাইল এখনো ক্লিয়ার করতে পারেননি কর্মকর্তারা। কেননা, কর্মকর্তা পর্যায়ে সব কাজ শেষ হলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এ সংক্রান্ত ফাইল আটকে আছে। তবে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াইয়ের জেরে গত সপ্তাহে দুই দফায় ১৭৭ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এসব বিজিপি সদস্য বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন।

৯ দিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করা মিয়ানমারের সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত পাঠাতে চায় ঢাকা। এ নিয়ে প্রস্তুতিও রয়েছে ঢাকার। মিয়ানমারের দিক থেকে সবুজ সংকেত পেলে তাদের (বিজিপি) ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারিতে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, বিজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ সদস্যকে যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এবারো সেই প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করতে চায় বাংলাদেশ।

ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো, মিয়ানমার ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

এদিকে, কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় মিয়ানমার সীমান্তে দুইশর বেশি বিজিপি সদস্য অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে দেশের গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জানান, সীমান্তে শ’খানেকের বেশি বিজিপি সদস্য অবস্থান করছে। তারা এখন অবধি বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি চায়নি। আর আমরাও চাই না তারা বাংলাদেশে আসুক।

তাহলে কি নতুন করে আর কোনো বিজিপি সদস্যকে নেবে না বাংলাদেশ– এমন প্রশ্নে এই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় হয়ত তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে। যদি তারা ঢুকেও আমরা তাদের যত দ্রুত সম্ভব ফেরত পাঠাব। আগের মতো এদেরও ফেরত পাঠানো হবে।

চলমান পরিস্থিতিতে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে ডেকে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না– জানতে চাইলে অন্য এক কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাকে সব বিষয়ে জানানো হয়। রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তো কোনো লাভ হচ্ছে না।

সাময়িক আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। চলমান ওই সংঘর্ষে প্রায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে গত দেড় মাসে মিয়ানমারের প্রায় ৫০০ সামরিক বাহিনীর সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র নিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, তারা আশ্রয়ের জন্য সহযোগিতা চায়। আমাদের কাছে সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকার তাদের জিডআর্ম করে এবং তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে। এরপর তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

২০২৩ সালের শেষের দিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে এখন অবধি প্রায় ১ হাজার জান্তা সদস্য (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্য) আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। প্রায় ৫০০ জান্তা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বার্মা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (বিএনআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর বাহিনী এবং গণমাধ্যমের তথ্য মতে, গত বছরের (২০২৩) শেষের দিকে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা প্রায় এক হাজারে পৌঁছেছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা ভাগ করে নেওয়া পাঁচটি প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড, ভারত, বাংলাদেশ ও চীনে সীমান্ত নিয়ে পালিয়ে গেছে জান্তা সৈন্যরা।

বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, এদের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। আর ভারতে আশ্রয় নিয়েছে ৪০০ জনের বেশি। এ ছাড়া অপারেশন ১০২৭’-এর আগে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তীব্র আক্রমণের মধ্যে শত শত জান্তা সৈন্য থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। এসব জান্তা সৈন্যকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা হলেও তাদের প্রসঙ্গে মিলিটারি কাউন্সিল বিস্তারিত তথ্য জানানো থেকে বিরত থাকে।


আরও খবর