আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সৌদিতে এক সপ্তাহে ১৫ হাজার অভিবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদিতে ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রায় ১৫ হাজার অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আবাসন, শ্রম ও নিরাপত্তা আইনের লঙ্ঘনের দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (০৩ মার্চ) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২২ জানুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের অভিযানে ১৪ হাজার ৯৫৫ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আবাসন, শ্রম এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৯ হাজার ৮০ জনকে, সীমান্ত নিরাপত্তা আইনের তিন হাজার ৮৮ জন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দুই হাজার ৭৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সৌদিতে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে ৮৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগে ইয়েমেন ও ইথিওপিয়ার নাগরিক। অভিযানে অবৈধ উপায়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টার অভিযোগে আরও ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অভিযান চলাকালে আবাসন, সীমান্ত এবং কাজের বিধিবিধান লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন, আশ্রয় এবং নিয়োগে জড়িত থাকার দায়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে গ্রেপ্তারকৃত ৫৭ হাজার ৭৮৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া তাদের প্রত্যাবাসনেরও চেষ্টা চলছে।

সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে থেকে ৫২ হাজার ৪০১ জনকে দেশে ফেরাতে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের কূটনৈতিক মিশনে যোগাযোগের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হাজার ২৫৬ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আরও এক হাজার ৭৬৩ জনকে ফেরত পাঠাতে নথিপত্র চূড়ান্ত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করছে। সৌদিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি সরকার এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে আসছে।


আরও খবর



আজ থেকে যেসব ব্যাংকে পাওয়া যাবে নতুন নোট

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারে নতুন নোট ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার (৩১ মার্চ) বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে এটি সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা। গত ২০ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের (ডিসিপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকার বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যালয়ের মাধ্যমে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বিনিময় করা হবে। তবে একই ব্যক্তি একাধিকবার সেটি গ্রহণ করতে পারবেন না। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই নোট বিতরণ করা হবে।

যেখানে পাওয়া যাবে:

জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখায় নতুন নোট মিলবে।

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মেইন ব্র্যাঞ্চ, দিলকুশা, যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা মেইন শাখায় পাওয়া যাবে।

এছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রায়ের বাজার, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিউমার্কেট, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর, এনসিসি ব্যাংকের দিলকুশা, এক্সিম ব্যাংকের মিরপুর, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার, অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর, মিরপুর-১, উত্তরা ব্যাংকের বাবুবাজার, জনতা ব্যাংকের রজনীগন্ধা, ঢাকার কচুক্ষেত করপোরেট, দি সিটি ব্যাংকের মগবাজার, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ইব্রাহীমপুর এবং এনসিসি ব্যাংকের মগবাজার শাখায় ঈদের নতুন নোট পাওয়া যাবে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের উত্তরা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার, দক্ষিণখান, এনসিসি ব্যাংকের মালিবাগ, রূপালী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট, ইসলামী ব্যাংকের খিলগাঁও, সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং, অগ্রণী ব্যাংকের রামপুরা টিভি, ইসলামী ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা, এবি ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী এবং এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা থেকে নতুন নোট নেয়া যাবে।

তাছাড়া ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দক্ষিণ বনশ্রী, এনআরবিসি ব্যাংকের ভুলতা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ব্যাংকের বনশ্রী, ইসলামী ব্যাংকের কাঁচপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ব্যাংকের নন্দীপাড়া, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার, সাভার, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো, প্রাইম ব্যাংকের সাভার, সাভার, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, বসুন্ধরা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা, সোনালী ব্যাংকের মুন্সিগঞ্জ কর্পোরেট, ব্র্যাক ব্যাংকের বনানী এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শ্রীনগর শাখায় মিলবে ঈদের নতুন নোট।


আরও খবর



ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থেকে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে। ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন সম্পর্কে জানা যায়, ঈদুল ফিতরে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (১ ও ৩) চট্টগ্রাম-চাঁদপুর; চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (২ ও ৪) চাঁদপুর-চট্টগ্রাম; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (৫ ও ৬) চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম; দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (৭ ও ৮) ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরে ৫ দিন চালানো হবে।

কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল (৯ ও ১০) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ঈদের আগে (৮ ও ৯) এপ্রিল ও ঈদের পরের দিন থেকে ৩ দিন চলাচল করবে।

এছাড়া শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১১ ও ১২) ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার; শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১৩ ও ১৪) ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে।

ঈদ স্পেশাল (১৫ ও ১৬) জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে ঈদের আগে ৭-৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৩ দিন এবং ঈদের পরের দিন থেকে ৩ দিন চলাচল করবে।


আরও খবর



সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর নববর্ষ উদ্‌যাপন, যা বলল ডিএমপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছিল তা উপেক্ষা করে নববর্ষ উদ্‌যাপন করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টিকে অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ডিএমপি বলেছে, পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদ্‌যাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে-আশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাঙালি সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের ওপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বারবার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার।

এতে বলা হয়, উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে ,আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি, জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়।

ডিএমপি বলছে, এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এ সব হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদ্‌যাপনে সরকার কর্তৃক বাঙালির এই আয়োজনে বাধাও প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত জিরো টলারেন্স নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারে নাই। বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদ্‌দযাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে।

ডিএমপি বলছে, উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারত্বের সঙ্গে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতার ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলিত হয়ে আনন্দের সঙ্গে এই অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদ্‌যাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সব জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য যেন আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।

এতে বলা হয়, নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও ঊদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা।


আরও খবর



ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দীর্ঘদিন ধরেই দেশে ডলার সংকট চলছে। ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে কিছুটা বাড়লেও আবারো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহ শেষে রিজার্ভ ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার ছিল। হুন্ডি প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমাসহ বিভিন্ন কারণে রিজার্ভ কমেছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর থেকে ডলার সংকট কাটাতে গিয়ে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে কমতে কমতে গত নভেম্বর শেষে রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর আবার বেড়ে ডিসেম্বরে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন হয়। তারপর আবার কমতে কমতে গত মার্চ শেষে ১৯ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর গত সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল।

সাধারণত প্রতি বছর রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স বাড়ে। তবে এবার তার উলটো চিত্র দেখা গেছে। গত মার্চে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই মাস বা আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায় কম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ তে  ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন। ২০২০-২১ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং সব শেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩১ বিলিয়ন ডলার।


আরও খবর



হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরম চরম আকার ধারণ করেছে। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে সারাদেশের হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে জানান মন্ত্রী।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। অনেক জায়গাই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাপদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া জরুরি নয়) এ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ গরমে সবচেয়ে বেশি ভালনারেবল বয়স্ক এবং বাচ্চারা। এবার এমন একটা জলবায়ু পরিবর্তন হলো যে আমরা জীবনে কখনো শুনিনি যে দুবাই বিমানবন্দর পানিতে ডুবে গেছে। আমাদের এগুলো ফেস করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে যখন মেসেজ আসলো (হিট এলার্ট) আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেসেজ দিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কারণ সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বাচ্চা এবং বয়স্করা।

আজ হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনের সঙ্গে মিটিং করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার কয়েকটা নির্দেশনা ছিল তার মধ্যে একটা হলো-বয়স্ক এবং বাচ্চারা প্রয়োজন ছাড়া যেন বাসার বাইরে না যায়। হাসপাতালগুলোতে কোনো কোল্ড কেস এখন ভর্তি করতে না করেছি। কোল্ড কেস অর্থাৎ এক মাস পর অপারেশন করলে অসুবিধা না হয়, সেটা দুই সপ্তাহ পরে করুক। হাসপাতাল খালি রাখার জন্য বলছি যে যদি চাপ হয়, তাহলে বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য যেন ভর্তি করা হয়। এখন কোল্ড কেস কয়েক দিন বন্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওরাল স্যালাইনের কোথাও কোনো ঘাটতি হলে যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রকৃতির সঙ্গেতো আমাদের কারো হাত নেই। এটা আমাদের রেডি রাখতে হবে।

শিশুদের জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল শিশু হাসপাতালে গিয়েছি। শিশু হাসপাতালগুলোকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার জন্যই সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। কোল্ড কেসগুলোকে এখন হাসপাতালে ভর্তি না করতে বলা হয়েছে। শিশুদের ব্যাপারে সারাদেশের চিকিৎসকদের নিয়ে আজ থেকে একটি অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা জানান, মহাখালীতে করোনা চিকিৎসার জন্য ডিএনসিসি হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের জন্য আলাদাভাবে বেড রাখতে বলা হয়েছে।


আরও খবর