আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

সৌদি থেকে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সৌদি আরব সফর শেষে শনিবার (২৭ মে) দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। শনিবার দিবাগত রাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, এই সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান রয়াল সৌদি ল্যান্ড ফোর্সেস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফাদ বিন আব্দুল্লাহ আল-মোতাইর, রয়াল সৌদি আর্মড ফোর্সেসের চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে তারা দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে আর্মড ফোর্সেস স্টাফ কলেজ পরিদর্শন এবং পবিত্র ওমরাহ পালন করেন। 

আইএসপিআর জানিয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদের এই সফরের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা করা যায়।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং সেখানে থাকা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এদিন সকালে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সের্গেই ল্যাভরভ।

আরও পড়ুন>> ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম ঢাকা সফর।

এদিকে আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার বিকেলেই ঢাকা ছাড়বেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আরও খবর



হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী জেরিন হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী মদিনাতুল কুবরা জেরিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সুদীপ্ত রায় এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জাকির হোসেন ও নুর হোসেন নামে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

রায় প্রদানকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাকির হোসেন (২৫) আদলতে উপস্থিত ছিল। সে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল গ্রামের দিদার হোসেনের পুত্র। অন্য আসামি নুর আলম (২২) একই উপজেলার পাটলি গ্রামের আব্দুল হাইয়ের পুত্র। রায় ঘোষণা পর জাকির হোসেনকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারী সকাল ৮টায় নূর আলম নামে একজনের অটোরিক্সার উঠে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল গ্রামের আব্দুল হাইয়ের কন্যা মদিনাতুল কুবরা জেরিন। এর আগেই অটোরিক্সাতে ছিলেন জাকির ও তার সহযোগী। অটোরিক্সাটি জেরিনের স্কুল পেরিয়ে গেলেও তাকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছিল না। জেরিন নামার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয় অপহরণকারীদের। এক পর্যায়ে সে অটোরিক্সা থেকে লাফ দিলে পরে গেলে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ জানুয়ারী সকালে মারা যায় জেরিন।

ওইদিন রাতেই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন জেরিনের বাবা। এ ঘটনায় নুর হোসেন ও জাকিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে ১৬৪ ধারায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয় তারা। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সিএনজি অটোরিকশা থেকে ফেলে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয় জেরিনকে।

পরে এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ সদর থানার তৎকালীন ওসি মাসুক আলী ২০২১ সালের ১৮ মার্চ জাকির ও নুর হোসেন ও রুবেল মিয়া নামে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। রুবেল অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় অন্য আদালতে তার বিচার কার্যক্রম চলছে।

মামলায় ২৩ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক অপহরণ এর অপরাধে উভয় আসামিকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং হত্যার অপরাধে উভয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।


আরও খবর



মরক্কোয় থামছে না মৃত্যুর মিছিল, নিহত বেড়ে ২১২২

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে গত শুক্রবার রাতে আঘাত হানা ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আজ সোমবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ১২২ জনে দাঁড়িয়েছে। সেইসঙ্গে আহতের সংখ্যাও দুই হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে। খবর আল জাজিরার।

আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, মারাকেশ শহর ছাড়াও দক্ষিণের কিছু শহরে বেশি মানুষ মারা গেছে। সেইসঙ্গে দেশটির কর্তৃপক্ষ তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। 

আরও পড়ুন>> ৩০ দিন পর বাধার মুখে পড়বে ইউক্রেনের পাল্টা হামলা: মার্কিন সেনাপ্রধান

নিখোঁজদের উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে। মারাকেশে ছুটি কাটাতে যাওয়া ব্রিটিশ নাগরিক আযা লেমার বলেন, ভূমিকম্পের প্রথম ধাক্কাটি যখন অনুভূত হয়, তখন শহরের রাস্তায় আমি হাঁটছিলাম। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম শহরে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি অনুভব করছিলাম যে মাটি কাঁপছিল। দেখতে পাচ্ছিলাম যে রাস্তার পাথর সরে যাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ড আগে পার করে আসা একটি বাড়িকে দেখছিলাম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে। ভূমিকম্পের সময় মারাকেশ থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরের বন্দর নগর কাসাব্লাঙ্কাতেও কম্পন অনুভূত হয়।

কাসাব্লাঙ্কা শহরের একজন বাসিন্দা লা মাতিন সাক্ষাৎকারে বলেন, ওই সময় আমি ঘুমাচ্ছিলাম। আমার অ্যাপার্টমেন্টের দরজা কেঁপে ওঠে। আমি ভেবেছিলাম চোর এসেছে। এর কিছু মুহূর্তেই শুনি প্রতিবেশীরা চিৎকার করছে। এরপর আমরা বের হয়ে আসি বাড়ি থেকে। এখন অনেক মানুষই মানুষ খোলা জায়গায় থাকছে। সবাই ভয় পাচ্ছে আরও একটি কম্পনের। পাশাপাশি চোর-ডাকাতের আতঙ্কও রয়েছে।

মরক্কোর গত শুক্রবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল অ্যাটলাস পর্বতমালার মধ্যে। ওই অঞ্চলে এমন অনেক দুর্গম গ্রাম রয়েছে যেখানে পৌঁছানো যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। তাই এই ভূমিকম্পের আসল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কী, তা নিশ্চিতভাবে জানতে বেশ কয়েকদিন লেগে যাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল রোববারও দেশটিতে ৪ দশমিক ৫ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> নেদারল্যান্ডসে ২৪০০ জলবায়ু কর্মী আটক

আব্দেলহাক আল আমরানি সংবাদসংস্থা এএফপিকে বলেন, মানুষ ভীত ও আতঙ্কগ্রস্ত। শিশুরা কাঁদছে ও তাদের অভিভাবকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।


আরও খবর



থানায় পাঠানো হলো তারেক-জোবায়দার সাজা পরোয়ানা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সম্প্রতি এ রায় হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ১০ আগস্ট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের আদালত থেকে রাজধানীর ভাষানটেক থানার ৬, শহীদ মইনুল রোডের বাড়ির ঠিকানায় তারেক-জোবায়দার পরোয়ানা থেকে পাঠানো হয়। এ পরোয়ানা তামিলের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট থানার।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে জারি করা সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা ভাষানটেক থানায় পাঠানো হয়েছে। এ পরোয়ানা তামিলের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট থানার।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তাদার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আদালত থেকে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে জারি করা সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করে তা তামিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়েছি।

এর আগে গত বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানের তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। এছাড়া দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় জোবায়দা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তারেক রহমানকে তিন কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাস সাজা ভোগ করতে হবে।

অন্যদিকে, জোবায়দা রহমানকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস সাজা ভোগ করতে হবে। একই সঙ্গে তারেক-জোবায়দা দম্পতির অপ্রদর্শিত সম্পদ হিসেবে দুই কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে চার মামলায় তারেক রহমানের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা চলমান। তবে, জোবায়দার এটি প্রথম ও একমাত্র মামলার রায় বলে জানান বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

মুদ্রা পাচারের মামলায় ২০১৩ সালে তারেক রহমানকে প্রথমে খালাস দেন ঢাকার আদালত। তবে, তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের পর হাইকোর্টের রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। তার পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেককে কারাদণ্ড দেন আদালত।

এ মামলায় খালেদা জিয়ার হয় পাঁচ বছর কারাদণ্ড, তারেকের হয় ১০ বছর। পরে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলার রায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলার প্রতিটিতে কয়েকটি ধারায় তাকে তিনবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি বিস্ফোরক আইনের আরেকটি ধারায় তার কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় ২০ বছর। তবে সবগুলো সাজা একসঙ্গে কার্যকরের উল্লেখ থাকায় তারেককে যাবজ্জীবন সাজা খাটার বিষয়টি রায়ে উল্লেখ করা হয়।

সবশেষ ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে নড়াইলে দায়ের হওয়া মানহানি মামলায় তারেক রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে তারেক-জোবায়দার মামলার রায় ঘোষণার জন্য বুধবার (২ আগস্ট) দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৪২ জন সাক্ষ্য দেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা। এতে তাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া মামলায় আসামি করা হয় তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে।

এরপর ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। এ মামলা থেকে সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল তারেকের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আর জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে তারেক রহমানকে সহযোগিতার অভিযোগে ১০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।

নিউজ ট্যাগ: তারেক-জোবায়দা

আরও খবর



১'শ তিন বারের মতো পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১০৩ বারের মতো পেছাল। আগামী ১৫ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আদালতের শেরে বাংলা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর বিষয়টি জানিয়েছেন।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আট জন। অন্য আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘসময় পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।


আরও খবর