পাওনা টাকা চাওয়ায়
ফরিদপুরে সৌদি প্রবাসী সাবিনা বেগম (৪৫) কে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার
করেছে পুলিশ। বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি)
সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন-
জেলার আলফাডাঙ্গা পৌরসভা নওয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ডিস ব্যবসায়ী সোহেল খান ওরফে লিটন
(৫০) ও সাবিনার সাবেক স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী নার্গিস বেগম (৪২)।
এর আগে মঙ্গলবার
(৩১ জানুয়ারি) রাতে সাবিনা বেগম বাদী হয়ে সোহেল ও নার্গিসকে আসামি করে মামলাটি দায়ের
করেন।
আলফডাঙ্গা থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু তাহের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বাদীর
অভিযোগের ভিত্তিতে এসিড দমন আইনে দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে আসামিদের গ্রেফতার
করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গত ২৬ জানুয়ারি
সন্ধ্যায় সাতবাড়িয়া গ্রামে ওই এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন
ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা চলছে আহত সাবিনা বেগমের।
মামলার এজাহার
সূত্রে জানা যায়, ধর্ম ভাই হওয়ার সুবাদে ব্যবসার কথা বলে সাবিনার কাছ থেকে ২০১৬ সালে
১৩ লাখ টাকা ধার নেন সোহেল খান ওরফে লিটন। প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা লাভ দেওয়ার কথা
থাকলেও কিছু দিন পর লিটন তা বন্ধ করে দেন। সাবিনা বেগম ২০১৭ সালে চাকরি নিয়ে সৌদি আরব
চলে যান। ছয় বছর থাকার পর ছুটিতে দেশে ফিরে লিটনের কাছে টাকা চান সাবিনা। লিটন টাকা
না দিয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়। সাবিনার ক্ষতি করতে তার সাবেক স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী
নার্গিস বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায়
সাবিনা বেগম সাতবাড়িয়া গ্রামে তার অসুস্থ মামাকে দেখতে আসেন। ফেরার পথে বাবু ভূইয়ার
বাড়ির পাশে কলার ঝোঁপের আড়ালে ওৎ পেতে থাকা আসামিরা পেছন থেকে তাকে এসিড ছুঁড়ে পালিয়ে
যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা
বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ মোল্যার স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, সন্ধ্যার পর সাবিনার চিৎকার
করে এসে বলেন তাকে এসিড মারা হয়েছে। আমরা তার ক্ষতস্থানে পানি ঢালি। তারপর তার বাড়ির
লোকজন এসে তাকে নিয়ে যায়। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা বলতে পারব না।
অভিযুক্ত নার্গিস
বেগম বলেন, আমি এসব ঘটনার কিছুই জানি না। আমার
স্বামী রুহুল আমিনের প্রথম স্ত্রী ছিলেন সাবিনা বেগম। আমার বিয়ের আগে তাদের ছাড়াছাড়ি
হয়ে গেছে। আমি কেন এসিড মারতে যাব?