আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

শৈত্যপ্রবাহে তিন জেলায় প্রাথমিকের পাঠদান বন্ধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা। 

কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরে ১০ দিন ধরে টানা শৈত্যপ্রবাহ চলছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার অনুমতি দেয়। এর প্রেক্ষিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিন জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা। 

আরও পড়ুন>> শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে তেঁতুলিয়া

দিনাজপুরে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ও ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলায় জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে রোদের তেমন একটা তাপ নেই।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, স্কুল খোলা রাখা হয়েছে। শিক্ষকরা স্কুলে যাবেন। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণিতে পাঠদান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চগড়ের সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুজজামান জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শুধুমাত্র শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> নীলফামারীতে নয় দিন পর উঁকি দিল সূর্য

কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি বাড়লে, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নেব।


আরও খবর



পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাচনী প্রচারণায় হট্টগোল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাদশা (২৫) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার ভায়না কালির মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব (প্রতীক মোটরসাইকেল), অন্যজন হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন (প্রতীক আনারস)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকরা ভায়না কালির মোড়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যায়। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক ও ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের ভাতিজা আব্দুল আওয়ালকে কথা কাটাকাটির জেরে কিল-ঘুষি মারে। তখন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা আবার লোকজন নিয়ে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় পুলিশ। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনের কথা কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়। পরে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় বাদশা নামের এক যুবক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আহত বাদশাকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাদশা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের সমর্থক বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে হট্টগোল নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করলে পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু পুলিশের ওপর চড়াও হওয়াটা দুঃখজনক। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন সারা উপজেলায় আমার লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্চে। আজকের ঘটনা তারই অংশ। তারা পুলিশকেও মানছে না।

এ বিষয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, আমার এক সমর্থককে মারধর করে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন। এ নিয়ে আমার লোকজন জড়ো হলে আমিন চেয়ারম্যানের লোকজন গুলি করে। পুলিশ গুলি করেনি। এ ঘটনায় তার সমর্থক কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



এবার কুকি-চিনের সহযোগী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) লাল লিয়ান সিয়াম বম নামে এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে রুমার বেথেল পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। লাল লিয়ান জেলার সদর ইউনিয়নে ০৪ নং ওয়ার্ডের বেথেল পাড়ার মৃত থন আলহ বমের ছেলে।বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রায়হান কাজেনী বলেন, আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে রুমার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ার ও কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৫ সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।

সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রত্যেকটি জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন।

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল কেএনএফ রুমার সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে এবং পুলিশ ও আনসার সদস্যের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং এরপর দিন থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ২০২২ সালে সশস্ত্র সংগঠন হিসেবে পাহাড়ে আত্মপ্রকাশ করে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার খবর প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, মিল্টন সমাদ্দার নামক এক ব্যক্তি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারনামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়।

মানুষের অসহায়ত্ব তুলে ধরে তাদের জন্য বিত্তবানদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। তার আবেদনে সাড়াও মেলে প্রচুর। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ১৬টির বেশি নম্বর এবং তিনটি ব্যাংক হিসাবে প্রতি মাসে প্রায় কোটি টাকা জমা হয়। এর বাইরে অনেকেই তার প্রতিষ্ঠানে সরাসরি অনুদান দিয়ে আসেন। মানবিক কাজের জন্য এখন পর্যন্ত তিনটি রাষ্ট্রীয় পুরস্কারও পেয়েছেন মিল্টন সমাদ্দার।


আরও খবর



ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১০ দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম আবার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

আজ বৃহস্পতিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষর করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ দাম আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে কার্যকর হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮ হাজার ৮০১ টাকা।

এর আগে গত ৮ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এতে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম হয় ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

গত ৬ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের ৯৪ হাজার ৭৭০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকা।


আরও খবর



গরমে গ্লুকোজ পানি পান করা কি ভালো না ক্ষতিকর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তাপদাহের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। একদিকে গরমের তীব্রতা অসহ্য, আরেক দিকে প্রচুর ঘাম। আর ঘামের কারণেই পানিশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে তৃষ্ণার কারণে এই সময়ে কম-বেশি সবাই শরীর ঠান্ডা থাকে এমন পানীয় পান করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্লুকোজ পানি পান।

তীব্র গরমে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময়ে বেশি বেশি পানি পান এবং স্যালাইন পানি পানের প্রয়োজন হয়। এ জন্য কেউ বিকল্প হিসেবে গ্লুকোজ পানি পান করেন। গ্লুকোজ পানি উপকারী। কিন্তু কেউ কেউ গ্লুকোজ পানি অনেক বেশি পান করেন। তবে গ্লুকোজ পানি বেশি পরিমাণে পান করা ঠিক কিনা- এ প্রশ্ন অনেকের। এবার তাহলে এই চিকিৎসকের ভাষ্যমতে গ্লুকোজ পানি পানের বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

গ্লুকোজ পানি পান করা উচিত কি: বাজারে সচরাচর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্লুকোজ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, গরমের সময় এ ধরনের গ্লুকোজ পানি শরীরকে সুস্থ রাখে বিভিন্নভাবে। এই গ্লুকোজ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে, লবণের ঘাটতি মেটায় ও শরীরে শক্তি সরবরাহ করে- এমন বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই তা নেন।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, এ জাতীয় এনার্জি ড্রিংক শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য শরীরের জন্য গ্লুকোজ পানি উপকারী। যেমন, গরমের সময় যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে গ্লুকোজ পানি পান করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এ জাতীয় গ্লুকোজ পানিতে বিদ্যমান পাউডারে চিনি বা শর্করা থাকে। যা দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও বাড়ায়। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গ্লুকোজ পানি ভালো নয়। আর এ ধরনের শর্করা পরবর্তীতে চর্বিতে রূপ নেয়। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তাদের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর গ্লুকোজ।

এছাড়া একজন সুস্থ মানুষ যদি নিয়মিত গ্লুকোজ পানি পান করেন, তাহলে পেটে মেদ জমে এবং মোটা হয়ে যায়। শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ পানি পানে দাঁতেরও ক্ষয় হয়। সেই সঙ্গে সুগার হার্টের রোগ, ডিমেনশিয়ার মতো জটিল রোগের জন্যও গ্লুকোজ ক্ষতিকর বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এ জন্য খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এ ধরনের গ্লুকোজ পানি পান না করাই উচিত।

বিকল্প উপায় ও করণীয়: গরমে পানি পান করা হচ্ছে ভালো উপায়। এ জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানে গরমে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা রোধ করা যায়। পাশাপাশি স্যালাইন ও ডাবের পানি পান করা যেতে পারে। দুটি পানীয়তেই প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ রয়েছে। যা শরীরে দরকারি লবণের ঘাটতি মিটিয়ে থাকে। এছাড়া রকমারি ফলের জুস খেতে পারেন। তবে সেটি ঘরোয়াভাবে তৈরি হলে উত্তম।


আরও খবর