১৪ বছর বয়স থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসারের ঘানি টেনেও জিপিএ-৪ পেয়েছে রামিম শেখ। এ বছর মাটিভাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের মানবিক শাখা থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
নাজিরপুর উপজেলার হোগলাবুনিয়ার গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ও রেহেনা বেগম এর ছোট পুত্র রামিম শেখ। মা গৃহিনী হয়লেও বাবা কৃষি কাজ করে কিছুটা সংসারের খরচ জোগান দেয়।
রামিমের জীবন-সংগ্রামের মধ্যে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মা রেহেনা বেগম বলেন, আমার ছোট ছেলে রামিম কঠোর পরিশ্রমী, এইচএসসি পরীক্ষার আগের দিন এবং পরীক্ষার মধ্যেও রাজমিস্ত্রির কাজ করে টাকা উপার্জন করতে হত। যখন রামিম হাইস্কুলে পড়াশোনা শুরু করে তখন থেকেই লেখাপড়ার চাইতে সংসারের কাজ এবং রোজগারের জন্য ওকে সময় দিতে হতো বেশি। তারপরও পড়াশোনার হাল ছাড়েনি সে, ভাল ফলাফল করেছে এতে আমি অনেক খুশি।
রামিম শেখ বলেন, আমার এ সাফল্যের পেছনে মা ও বাবার অবদান স্মরণীয়। জীবনে তাদের কথা ভুলবো না। আমি ভবিষ্যতে বিসিএস ক্যাডার হয়ে দেশ ও জনগনের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।