আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সন্তান বড় হয়ে দোষারোপ করবেই: টুইঙ্কেল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মনের কথা প্রকাশ্যে জাহির করতে কোনো দিনই কুণ্ঠাবোধ করেন না টুইঙ্কেল খান্না। অভিনয় কেরিয়ারকে দুই দশক আগেই চিরতরে বিদায় জানিয়েছেন শাহরুখ-আমিরদের এই সহ-অভিনেত্রী। অক্ষয় কুমারের সহধর্মিণী হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন সফল লেখিকা। মেয়ে নিতারার সঙ্গে ছুটি কাটানোর ছবি পোস্ট করে মাতৃত্ব নিয়ে অকপটে নানা কথা স্বীকার করে নিলেন টুইঙ্কেল। সাবেক অভিনেত্রীকে বলতে শোনা গেল, ছেলেমেয়েদের জন্য সবটা উজাড় করে দিলেও দিনের শেষে তারা মা-কে দোষারোপ করতে ছাড়ে না।

আপাতত গোল্ডস স্মিথ ইউনিভার্স অব লন্ডন থেকে ফিকশন রাইটিংয়ে মাস্টার ডিগ্রি নিয়ে পড়াশোনা করছেন টুইঙ্কেল। ভিডিওর শুরুতেই বললেন, মাতৃত্বের আনন্দ-এর কথা। ট্রেন স্টেশনে দেখা মিলল অক্ষয় পত্নীর। এরপর ধীরে ধীরে মা-মেয়ের একান্ত দিনযাপনের টুকরো ঝলক উঠে এল। এরপর টুইঙ্কেল লিখলেন, ক্লান্তিকর ট্রিপে সন্তানদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে আসা, যদিও মনে মনে একটা সলো-ট্রিপের ইচ্ছে পুষে রাখা, উন্মাদের মতো তাদের পিছু ধাওয়া করা যদি তারা অন্য প্ল্যাটফর্মে দৌড়ে যায়, যেন তুমি দিগ্বিদিকশূন্য ম্যারাথন রানার।

এরপর টুইঙ্কেল আরও লেখেন, সন্তানদের মনের কথা নিমেষে বুঝতে পারার মধ্যেও একটা প্রশান্তি আসবে। পৃথিবীর বিস্ময়কর জিনিসগুলো তাদের সামনে মেলে ধরার মধ্যে একটা ভালো লাগা থাকবে। দুই সন্তানের মা-এর উপলব্ধি, আপনি চেষ্টা করবেন বিরক্ত না হতে, যেহেতু আপনি হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় তাদের বাথরুম ব্যবহার করতে বলেছিলেন। এখন খোলা মাঠে তারা বলবে আপনাকে টয়লেট খুঁজে দিতে কিন্তু সন্তানদের খুশির কথাটা নিজের আগে ভাববে মায়েরা।

এই ভিডিও শেয়ার করে টুইঙ্কেল দীর্ঘ বিবরণীতে লেখেন, আপনি যা খুশি করে নিন, যখন সন্তানরা বড় হয়ে যাবে তখন আপনাকে দোষারোপ করবেই। আমরা শুধু আশা করতে পারি যে ওরা উপলব্ধি করবে, খুব কম মা-ই ভয়ঙ্কর রকমের খারাপ হয়। হোম অ্যালোনে যে মা ছিল- যে ছুটিতে যাওয়ার আগে নিজের সন্তানকে বাড়িতে ভুলে চলে যায়, একবার নয়, ছবির সিকুয়েলেও। সে কিন্তু শয়তান নয়, একটু বেশি উত্তেজিত। মায়েরা হয়তো পারফেক্ট (নিঁখুত) হয় না, কিন্তু আমরা সবাই চেষ্টা করি নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে, আমাদের খুব খারাপ দিনেও।

টুইঙ্কলের এই পোস্টে প্রশংসার বন্যা। মায়েরা একেবারে সহমত, মিসেস ফানিবোনসের এই ভাবনার সঙ্গে। ১৯৯৫ সালে বরসাত ছবির সঙ্গে অভিনয় সফর শুরু করেছিলেন রাজেশ খান্না ও ডিম্পল কাপাডিয়ার বড় মেয়ে টুইঙ্কেল । পরবর্তী সময়ে বাদশা, জোরু কা গুলাম, ইন্টারন্যাশন্যাল খিলাড়ির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন টুইঙ্কেল । ২০০১ সালে অভিনয় কেরিয়ারে ইতি টানেন অভিনেত্রী। ওই বছর অক্ষয় কুমারের সঙ্গে সাত পাক ঘোরেন তিনি। দুই সন্তান আরভ-নিতারাকে নিয়ে সুখী গৃহকোণ এই তারকা দম্পতির।


আরও খবর



বরগুনায় প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনা প্রেসক্লাবে ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশ ও মানববন্ধনে বরগুনার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বরগুনা প্রেসক্লাব, জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, জেলা অনলাইন সাংবাদিক ফোরাম, জেলা প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিক ফোরাম, জেলা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম, জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তফা কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আলহাজ আব্দুর রশিদ মিয়া, বরগুনা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এম মজিবুল হক কিসলু, অ্যাডভোকেট সঞ্জীব কুমার দাস, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার প্রমুখ।

সমাবেশ ও মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বরগুনায় অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। তাদের এসব অপকর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় বরগুনা প্রেসক্লাবের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তারা এ হামলা চালায়। বক্তারা এই হামলার সাথে জড়িত আসামিদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবের অধিকাংশ সদস্য যখন শিক্ষা সফর উপলক্ষে কলকাতা প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করছিলেন। তখন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি কুচক্রী দল বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলা চালায়। এসময় তারা প্রেসক্লাব দখলে নেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে বরগুনা প্রেসক্লাবে পৌঁছালে প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজসহ একাধিক সদস্যকে লাঞ্ছিত করে হামলাকারীরা। বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মাসুদ তালুকদার, বরগুনা প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কৃত সদস্য মুশফিকুল ইসলাম আরিফ এবং হারুন অর রশীদ রিংকুর নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় ২৯ ফেব্রুয়ারি দ্রুত বিচার আইনে ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়। বরগুনা প্রেসক্লাবের পক্ষে মামলা (নং ১৮/২৪) দায়ের করেন সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার।


আরও খবর



আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলা: নিহত ৮

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তালেবান সরকার দাবি করেছে, আফগান ভূখণ্ডে দুটি বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাঁচ নারী ও তিন শিশুসহ মোট আটজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালেবানের একজন মুখপাত্র। একই সঙ্গে এই হামলাকে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ্য করেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

সোমবার (১৮ মার্চ) তালেবান প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত কাউকে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করার অনুমতি দেয় না।’

তিনি আরও বলেন, এ হামলায় পূর্ব সীমান্ত প্রদেশ খোস্ত ও পাকতিকায় পাঁচ নারী ও তিন শিশু নিহত হয়েছে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং পররাষ্ট্র দপ্তর অবিলম্বে হামলার বিষয়ে মন্তব্য করার অনুরোধে সাড়া দেয়নি। তবে গত শনিবার অজানা জঙ্গিরা পাকিস্তানের একটি সামরিক ঘাটিতে হামলা চালিয়ে সাত নিরাপত্তা বাহিনীকে হত্যা প্রতিবাদেই এই হামলা চালিয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

রয়টার্স বলছে, যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার কারণ কী তা স্পষ্ট নয়, পাকিস্তান সরকার এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই ধরনের হামলা বেড়েছে, যার অনেকগুলো পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) দাবি করেছে এবং আফগান ভূখণ্ড থেকেই হামলা শুরু হয়েছে। তবে আফগান তালেবানরা আফগান ভূখণ্ড জঙ্গিদের ব্যবহার করার অনুমতি অস্বীকার করেছে।

এই মুখপাত্র মুজাহিদ বিবৃতিতে আরও বলেছেন, পাকিস্তানের নিজের ভূখণ্ডে নিয়ন্ত্রণের অভাব, অক্ষমতা এবং সমস্যার জন্য আফগানিস্তানকে দোষারোপ করা উচিত নয়।’

তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই ধরনের ঘটনার খুব খারাপ পরিণতি হতে পারে যা পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।’


আরও খবর



একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রায় ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।

তিনি জানান, নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর একনেকের দ্বিতীয় সভা এটি। সভায় ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি অল্প ব্যয় করলে যে প্রকল্পগুলো শেষ করা যাবে সেগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখাতে ও সোলার ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন।


আরও খবর



পরিবেশের ওপর বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষতিকর প্রভাব বেশি : গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বৈদ্যুতিক যানবাহন গ্যাস চালিত গাড়ির চেয়ে বেশি দূষণ ছড়াতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্রেক এবং টায়ারগুলো আধুনিক নিষ্কাশন পাইপের তুলনায় ১৮৫০ গুণ বেশি কণা পদার্থ নির্গত করে। ফলে পরিবেশ দূষিত বেশি হয়।

জ্বালানিসাশ্রয়ী হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ি। তেল ব্যবহার না করার কারণে বৈদ্যুতিক গাড়িকে পরিবেশবান্ধব হিসেবেও বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আর তাই বিশ্বের সব বড় বড় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই তৈরি করছে বৈদ্যুতিক গাড়ি। তবে বৈদ্যুতিক গাড়ি বাতাসে বেশি বিষাক্ত কণা নিঃসরণ করে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বৈদ্যুতিক গাড়িতে টেইলপাইপে একধরনের ফিল্টার থাকে, যার ফলে গ্যাসচালিত গাড়ি তুলনামূলক কম ক্ষতিকর কণা বাতাসে নিঃসরণ করে। ব্যাটারির কারণে সাধারণ গ্যাসচালিত গাড়ির তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ওজন প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি হয়। আর তাই সাধারণ গাড়ির তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ির টায়ার ও ব্রেক দ্রুত ক্ষয় হওয়ার কারণে বাতাসে বেশি পরিমাণে ক্ষতিকর কণা নির্গমন করে। এমিশন অ্যানালিটিকস পরিচালিত এ গবেষণার ফলাফল ২০২২ সালে প্রকাশিত হলেও অনেকেরই নজর এড়িয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে গবেষণাটির ফলাফল উল্লেখ করার পর নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি ও গ্যাসচালিত গাড়ি থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া বিষাক্ত কণার পরিমাণ শনাক্তের জন্য নতুন করে গবেষণা শুরু করেছে ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এ বিষয়ে হেশাম রাখা বলেন, বাতাসে বিষাক্ত কণা নির্গমনের ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক গাড়ি ও গ্যাসচালিত গাড়ির মধ্যে পার্থক্য ২০ শতাংশের মতো হতে পারে।


আরও খবর



মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু ভারতের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্যাপক কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর অবশেষে মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত। গত ১০ মার্চ ২৫ জন সেনাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, বাকিদেরও মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগেই ফিরিয়ে আনা হবে।

মালদ্বীপভিত্তিক দৈনিক মিহারুর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের সম্মতির ভিত্তিতে দেশটিতে ৮৯ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন করেছিল ভারত। এই সেনা মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারত মহাসাগরে চীনের তৎপরতার ওপর নজরদারি করা।

তবে তার পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচি, মালদ্বীপের জনবসতিপূর্ন দ্বিপগুলোতে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজও করতেন ভারতীয় সেনারা।

কিন্তু ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতিকে মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলেন দেশটির অন্যতম নেতা ও চীনপন্থী রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ মুইজ্জু। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মালদ্বীপ থেকে নিজ সেনা সদস্যদের ফিরিতে নিতে ভারতকে আহ্বানও জানান তিনি।

সেই সঙ্গে সময়সীমা বেঁধে দেন যে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ভারতকে তার সেনাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। পরে নয়াদিল্লির সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই সময়সীমা ১০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করেন তিনি।

মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কৌশলগত দিক থেকে নয়াদিল্লির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল মালদ্বীপ। তবে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে একদিকে এই সম্পর্কে শীতলতা এসেছে, অন্যদিকে বেড়েছে এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির সম্ভাবনা।

গত জানুয়ারিতে চীন সফরে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ মুইজ্জু। সেখানে বেইজিংয়ের সঙ্গে মালদ্বীপের অবকাঠামো, জ্বালানি, সমুদ্র গবেষণা ও কৃষি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষ করে এসেছেন তিনি।

অন্যদিকে ভারত গত মাসে ঘোষণা দিয়েছে এখন থেকে নিজেদের লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চলে নৌবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করবে দেশটি। মালদ্বীপ থেকে লাক্ষাদ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার।


আরও খবর