আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে নেইমারকে নিয়ে স্বপ্ন
দেখছে ব্রাজিল। কিন্তু বিশ্বকাপ যখন দোরগোড়ায়, তখন নেইমার পড়েছেন বিপাকে। কর জালিয়াতি
ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে পিএসজির এই তারকার নামে। সেক্ষেত্রে বিচারের মুখোমুখি হতে
হচ্ছে নেইমারকে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানা তো বটেই, নেইমারের সামনে চোখ রাঙাচ্ছে
পাঁচ বছরের জেল। আর তাই বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে এ তারকার!
অভিযোগ আছে, ২০১৩ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব
স্যান্তোস ছেড়ে যখন বার্সেলোনায় যোগ দেন নেইমার, তখন বিশাল অঙ্কের কর ফাঁকি দিয়েছিলেন
এই ব্রাজিলিয়ান। সেই অভিযোগেই পরে মামলা ঠুকেছিল ব্রাজিলের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডিআইএস।
ডিআইএসের দাবি, নেইমারের ইমেজ স্বত্বের
৪০ শতাংশের মালিকানা তাদের। ২০০৯ সালে ১৭ বছরের নেইমার যখন স্যান্তোসের উঠতি তারকা
তখন ২০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে নেইমারের স্বত্ব কিনে নেয় তারা। কিন্তু নেইমার এখন তা অস্বীকার
করায় মামলা ঠুকে দেন তারা। এ মামলায় নেইমারসহ দোষীদের ৫ বছরের জেল আর ১৪৪ কোটি টাকা
জরিমানা দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
কর জালিয়াতির মামলায় নেইমারই একমাত্র আসামি
নন। এই ব্রাজিলিয়ানের চুক্তির সঙ্গে যুক্ত থাকা নেইমারের বাবা-মা, বার্সেলোনার সাবেক
দুই সভাপতি স্যান্দ্রো রোসেল ও হোসে মারিয়া বার্তেমিউ এবং বার্সেলোনা ও স্যান্তোসের
তৎকালীন কোচকেও দায়ী করা হয়েছে।
ডিআইএসের আইনজীবী পাওলো নাসের সংবাদমাধ্যমকে
বলেন, নেইমারকে সর্বোচ্চ দাম হাঁকা ক্লাবের কাছে বিক্রি করা হয়নি। তাকে এর চেয়েও বেশি
দামে কিনতে আগ্রহী ক্লাবও ছিল।
যদিও তাদের এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন নেইমারের
আইনজীবী। ব্রাজিলিয়ান তারকা ও তার পরিবারের হয়ে এ মামলায় লড়বেন আইনজীবী বেকার ম্যাকেঞ্জি।
তার দাবি, সর্বোচ্চ দাম দিতে চাওয়া ক্লাবের কাছেই বিক্রি করতে হবে, এই নিয়ম ফুটবলের
দলবদলে খাটে না। কারণ, এখানে খেলোয়াড়ের ইচ্ছা-অনিচ্ছাও জড়িত। খেলোয়াড় কোনো পণ্য নয়।
সে একজন ব্যক্তি, নিজ ইচ্ছায় স্বাধীন।
আরও বলা হয়, অন্য ক্লাবগুলোর সঙ্গে দরকষাকষির
বিষয়ে ২০১১ সালেই নেইমারের লিখিত অনুমতি নিয়েছে স্যান্তোস।
মামলার শুনানি শুরু হবে আগামী সোমবার
(১৭ অক্টোবর) বার্সেলোনায়। আদালতের প্রথম দিনের কার্যক্রমে উপস্থিত থাকতে হবে নেইমারকে।
এ মামলার শুনানি দুই সপ্তাহ চলতে পারে। আর তাই বিশ্বকাপের মাসখানেক আগে খেলার চিন্তা
বাদ দিয়ে তাকে দৌড়াতে হবে আদালতে।