আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

লোকসভায় ফিরলেন রাহুল গান্ধী

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দণ্ড বাতিল হওয়ার পর লোকসভার সদস্য পদও ফিরে পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে এ পদ ফিরিয়ে দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এর আগে শুক্রবারই তার শাস্তি স্থগিত করেন সুপ্রিমকোর্ট। ফলে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন বিরোধীরা, সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন রাহুল গান্ধী।

জানা গেছে, কেরালার ওয়েনাড়ের সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধীকে মোদি পদবি অবমাননা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন সুরাতের আদালত। তাকে দুই বছরের কারাদণ্ডও দিয়েছিলেন সুরাত আদালতের বিচারক। ওই শাস্তির জন্যই রাহুলের সংসদ সদস্য পদ খারিজ হয়ে যায়। এমনকি রাহুলের আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভোটে দাঁড়ানো নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার সুরাত আদালতের দেওয়া সেই শাস্তির নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেন সুপ্রিমকোর্ট।

আরও পড়ুন>> মূত্রপানে বাধ্য হলো দুই শিশু, মলদ্বারে ঘষা হলো কাঁচামরিচ

এদিকে রাহুল গান্ধীকে দেওয়া ওই মামলার শাস্তি এবং বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন দেশের শীর্ষ আদালত। শুক্রবারই রাহুলকে তার সংসদ সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য লোকসভায় আর্জিও পেশ করে কংগ্রেস। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য পদ ফিরে পান রাহুল। পরে সোমবার লোকসভার অধিবেশন বসলে রাহুলের সংসদ সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে লোকসভার স্পিকারের সচিবালয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্যের জন্য গত ২৩ মার্চ রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন সুরাত আদালত। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২৪ মার্চ রাহুলের সংসদ সদস্য পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।


আরও খবর



প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক চলছে। জাতীয় সংসদ ভবনে এ বৈঠক বসেছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বেলা ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শুরু হওয়া এই বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হবে।

মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর এই প্রস্তাবে সই করবেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটিই হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট।

আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে এবার বাজেটে খরচের লাগাম টানা হচ্ছে। প্রতি বছর গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ আকার বাড়ানো হলেও এবার মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ বাড়িয়ে বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

গত জুনে চলতি অর্থবছরের জন্য যে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল তার থেকে এই বাজেট মাত্র ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। আগামী বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণের অঙ্ক বাড়ানো হচ্ছে।


আরও খবর



কুষ্টিয়ার চার উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ায় ২য় ধাপে চারটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চুড়ান্ত ফলাফলে দোয়াত কলম প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আব্দুল হালিম ৭১৫১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে ২৫৩৪০ ভোট পেয়েছেন।

কুমারখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চূড়ান্ত ফলাফলে আনারস প্রতীকে ৬০৯১০ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মোর্শেদ পিটার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২২৭০ ভোট।

দৌলতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে ৯৭২৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ভাই।

এছাড়াও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ভেড়ামারা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল।

এর আগে সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে কুষ্টিয়ায় চার উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে চলে বিকালে ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা জোরদার করে প্রশাসন।

কুষ্টিয়ার চারটি উপজেলায় ৪৪টি ইউনিয়নের ৪১৯টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা ছিল ৩০৬০। মোট ভোটার ১১ লক্ষ ৩২ হাজার ১৩৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৬৪ জন এবং মহিলা ভোটার ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৬৬জন।

নির্বাচনে জেলার ৪ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন অংশগ্রহণ করে।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যায় অভিযুক্তদের ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে ডিবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ আদালতে তোলা হবে। আদালতে তুলে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন আমানুল্লাহ ওরফের শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।

শুক্রবার (২৪ মে) ডিবির ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এমপি আনার হত্যায় জড়িত গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ আদালতে তোলা হবে। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। যে পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়া যাবে, সে পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের পশ্চিবঙ্গে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় তার পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরের দিন, ১৩ মে চিকিৎসক দেখাতে হবে জানিয়ে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন আনার। সন্ধ্যায় ফিরবেন বলেও জানান তিনি। পরে বিধান পার্কের কাছে কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন তিনি।

চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় আজিম তার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন এবং সেখানে পৌঁছে তাকে ফোন করবেন। পরে তার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন জানিয়ে বন্ধু গোপালকে ফোন না দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছিলেন।

গত ১৫ মে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তায় এমপি আনার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি পৌঁছেছেন এবং ভিআইপিদের সঙ্গে আছেন। তাকে ফোন করার দরকার নেই। একই বার্তা পাঠান বাংলাদেশে তার ব্যক্তিগত সহকারী রউফের কাছেও।

১৭ মে আনারের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গোপালকে ফোন করেন। ওই সময় তারা গোপালকে জানান, তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দিনই ঢাকায় থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর থেকে এমপি আনারের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

২০ মে এমপি আনারের খোঁজ করতে গিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে। তারা জানতে পারে, কলকাতায় বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার মোবাইলের লোকেশন একবার পাওয়া গিয়েছিল সেখানকার নিউমার্কেট এলাকায়। এরপর ১৭ মে তার ফোন কিছুক্ষণের জন্য সচল ছিল বিহারে।

পরে বুধবার (২২ মে) ভারতের এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের একটি ফ্লাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে। এনডিটিভি বলে, ১২ মে কলকাতায় আসার পর নিখোঁজ হওয়া এমপি আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরুর পর বুধবার সকালে তার খুনের ব্যাপারে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

এরপর বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, এমপি আনারকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তাকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনজন বাংলাদেশ পুলিশের কাছে আছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসার জন্য আনোয়ারুল আজীম দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ভারতের পুলিশ আমাদের নিশ্চিত করেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে, বুধবার ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এমপি আনার সংসদ ভবন এলাকায় থাকতেন। সেখান থেকে তিনি ভারতে গেছেন। তাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশিদের পরামর্শে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন তার মেয়ে।


আরও খবর



সানভীস বাই তনির শোরুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শোরুম খুলে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। সোমবার (১০ মে) তনির রিট পিটিশনের শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।

এদিন তনির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন ও রবিউল আলম বুদু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও অন্যরা।

এর আগে গত ২১ মে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। তখন তনির শোরুম বন্ধ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করেছিলেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে সানভীস বাই তনির পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত প্রধান শাখায় অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। পরের দিন অধিদপ্তরের দুটি অপরাধের দায়ে ৫০ হাজার ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

লুবনা ইয়াসমিন নামের এক নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায়। লুবনা ইয়াসমিন নামের ওই ক্রেতা সানভীস থেকে একটি পোশাক কিনেছিলেন ৯ ফেব্রুয়ারি। এর ৫৩ দিন পর ৩ এপ্রিল ওই নারী ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন। ফলে তার অভিযোগটি আমলযোগ্য নয় বলে মনে করেন তনির আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন।

অন্যদিকে, রাজু নামের এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে রাজু নামে আসলে কেউ অভিযোগ করেননি বলে দাবি করেছেন তনি। রাজু নামের কারও অভিযোগের জন্য তনিকে কোনো নোটিশ বা শুনানি করা হয়নি বলেও জানান তনি।

এ ছাড়া লুবানার অভিযোগের শুনানি হয় ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক ইন্দ্রানী রায়ের অধীনে।

অন্যদিকে জব্বার মণ্ডল ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক। ইন্দ্রানীর কাছে শুনানি থাকলেও একই সময় জব্বার মণ্ডল সেখানে গিয়ে ভুয়া অভিযোগে দুই লাখ জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা না দিলে অন্যান্য শোরুম বন্ধ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন বলে রিট পিটিশনে উল্লেখ করেছেন তনি।

এ বিষয়ে রোবাইয়াত ফাতিমা তনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আদালতে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমার শোরুম অবৈধভাবে বন্ধ করেছিল। জরিমানা করার পরও শোরুম বন্ধ করে আমার ক্ষতি করা হয়েছে। এজন্য আদালতে এসেছিলাম।

এ বিষয়ে জব্বার মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, আইন মেনেই সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালত যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সে বিষয়ে অধিদপ্তরের আইনজীবীরা কথা বলবেন।


আরও খবর



রাফায় বিস্ফোরণে নিহত ৮ ইসরায়েলি সেনা

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ৮ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। গত প্রায় দুমাস আগে রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর এই প্রথম সেখানে একসঙ্গে এতজন সেনা নিহতের ঘটনা ঘটল।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) তথ্য অনুসারে, শনিবার ভোর ৫টার দিকে রাফার তেল আল-সুলতান এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের একটি সামরিক সাঁজোয়া গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। নিহত ওই আট সেনা ওই গাড়িতে ছিলেন। সাঁজোয়া গাড়িটির কোনো যাত্রী আর বেঁচে নেই বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

ঠিক কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

এদিকে হামাস দাবি করেছে, তেল আল সুলতানের যেখানে সাঁজোয়া যানটি বিস্ফোরিত হয়েছে, সেখানে মাটির নিচে মাইন পাতা ছিল। বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই মাইনের প্রভাবেই। শুক্র-শনিবারের সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন ১৯ জন ফিলিস্তিনিও।

রাফার সঙ্গে মিসরের সীমান্ত রয়েছে। গত বছর অক্টোবরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর জীবন বাঁচাতে গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় এই সীমান্ত শহরে জড়ো হন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। এ কারণে গত এপ্রিলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যখন রাফায় অভিযান শুরু করতে চান বলে ঘোষণা দেন, সে সময় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল।

তবে সেই আপত্তি উপেক্ষা করে রাফায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। কারণ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, এ শহরটিতে হামাসের শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। গত শুক্রবার রাতে তেল আল সুলতান এলাকায় অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, সেখানে হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েল ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বর্তমানে যে প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, তাকে আরও জটিল করতে পারে এই ৮ ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু।

কারণ গাজা অভিযান নিয়ে ইসরায়েলে দ্বিধা-বিভক্তি দিন দিন প্রকট হচ্ছে। গত সপ্তাহে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন সভার অন্যতম সদস্য এবং সাবেক সেনা অধিনায়ক জেনারেল বেনি গান্টজ। তার অভিযোগ, গাজা ইস্যুতে নেতানিয়াহুর কোনো স্পষ্ট ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই।

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি জরিপের ফলাফল যদিও বলছে যে হামাসকে পুরোপুরি অকার্যকর করতে গত আট মাস ধরে যে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী তার প্রতি দৃঢ় সমর্থন রয়েছে সাধারণ ইসরায়েলিদের। তবে গত কয়েক মাস ধরে প্রতি সপ্তাহের শনিবার ইসরায়েলের প্রধান শহর তেল আবিবে বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের দাবি হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের ফেরত আনতে অনতিবিলম্বে গোষ্ঠীটির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে ইসরায়েলের সরকারকে।

তবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে পরাজিত করেই জিম্মিদের উদ্ধার করতে হবে এবং এই মুহূর্তে এই অভিযান থামানোর কোনো সুযোগ নেই।


আরও খবর