আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

সঙ্গী ছাড়াই গর্ভবতী চিড়িয়াখানার কুমির

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কোস্টারিকার একটি চিড়িয়াখানায় একটি কুমিরের পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই গর্ভবতী হওয়ার ঘটনা সনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুমিরটি একটি ভ্রূণ তৈরি করেছে যেটির তার সাথে জিনগত মিল ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

পাখি, মাছ এবং অন্যান্য সরীসৃপ প্রজাতির মধ্যে তথাকথিত কুমারী জন্ম এর ঘটনার কথা শোনা গেছে, তবে কুমিরের মধ্যে এমন ঘটনা আগে কখনও দেখা যায়নি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশিষ্ট্যটি একটি বিবর্তনীয় পূর্বপুরুষ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া হতে পারে। ফলে ডাইনোসররাও স্ব-প্রজনন করতে সক্ষম হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পার্ক রেপ্টিলানিয়ায় ১৮ বছর বয়সী নারী আমেরিকান কুমিরটি ডিম পাড়ে। ভিতরের ভ্রূণটি সম্পূর্ণরূপে গঠিত হলেও, সেটি মৃত হওয়ায় শেষমেশ ডিম ফোটেনি। সেই কুমিরটিকে দুই বছর বয়স থেকে অন্যান্য কুমির থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। এই কারণে, পার্কের বৈজ্ঞানিক দল ভার্জিনিয়া পলিটেকনিকের একটি মার্কিন দলের সাথে যোগাযোগ করে যারা কুমারী জন্ম বা পার্থেনোজেনেসিসে বিশেষজ্ঞ। তারা ভ্রূণটি বিশ্লেষণ করে দেখেন যে জেনেটিকভাবে মায়ের সাথে এটির ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশের বেশি মিল রয়েছে, যা নিশ্চিত করে যে এর কোন পিতা নেই।

রয়্যাল সোসাইটি জার্নাল বায়োলজি লেটার্স-এ গবেষকরা বলেছেন, কুমিরের মধ্যে কুমারী জন্ম বেশি হতে পারে এবং এটি এখন পর্যন্ত অলক্ষিত রয়েছে কারণ লোকেরা এগুলোর উদাহরণ খুঁজছে না।

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণাপত্রে বলেছেন, বন্দী সরীসৃপদের জন্য সঙ্গীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্নতার সময়কালে ডিম দেয়া অস্বাভাবিক নয়, এগুলো সাধারণত অকার্যকর এবং বাতিল বলে বিবেচিত হবে। এই ফলাফলগুলো তাই পরামর্শ দেয় যে, যখন পুরুষ অনুপস্থিত থাকে তখন ডিমগুলো সম্ভাব্য কার্যকারিতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা উচিত।

অধিকন্তু, সম্ভাব্য সঙ্গীর উপস্থিতিতে (কুমারী জন্ম) ঘটতে পারে, পুরুষের সাথে সহবাস করা মহিলাদের মধ্যে প্রজনন ঘটলে এর উদাহরণগুলো অলক্ষ্যে থেকে যেতে পারে। বিভিন্ন প্রজাতিতে কেনও পার্থেনোজেনেসিস ঘটে তা স্পষ্ট নয়, তবে বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে এখন এ ধরণের ঘটনা প্রায়শই দেখা যাচ্ছে, সম্ভবত গবেষকরা এখন এটি খুঁজছেন বলে। একটি তত্ত্ব বলে, যখন একটি প্রজাতির সদস্যের সংখ্যা হ্রাস পায় এবং তারা বিলুপ্তির পথে চলে যায় তখন তাদের মধ্যে পার্থেনোজেনেসিস হতে পারে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই নতুন প্রমাণটি কুমিরের বিলুপ্ত আত্মীয়, বিশেষ করে ডাইনোসরের সম্ভাব্য প্রজনন ক্ষমতা সম্পর্কে লোভনীয় অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

নিউজ ট্যাগ: চিড়িয়াখানা

আরও খবর



ইসি থেকে এনআইডি স্বরাষ্ট্রে নিতে বিল পাস

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন সেবা নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে সংসদে বিল পাস করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন-২০২৩ নামে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর বিরোধী দলীয় সদস্যদের জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নিষ্পত্তি করেন স্পিকার। গত ৪ সেপ্টেম্বর সংসদে বিলটি উত্থাপন করা হয়।

বিলের বিধান অনুযায়ী, আগামীতে জন্মের পর একটি স্বতন্ত্র আইডি নম্বর পাবেন দেশের সব নাগরিক। এ সংক্রান্ত কাজের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে একটি পৃথক নিবন্ধকের কার্যালয় স্থাপন ও পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। বিলে এনআইডি সংক্রান্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, একজন নাগরিককে নিবন্ধক কর্তৃক কেবল একটি জাতীয় পরিচিতি নম্বর দেওয়া হবে, যাহা ওই নাগরিকের একক পরিচিতি নম্বর হিসেবে সর্বত্র ব্যবহৃত হইবে। এর অধীন প্রদত্ত জাতীয় পরিচিতি নম্বরের ভিত্তিতে একজন নাগরিককে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় তথ্য-সংবলিত একটি জাতীয়পরিচয় নিবন্ধন রেজিস্ট্রার থাকবে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিক নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তসাপেক্ষে, জাতীয় পরিচয়পত্র ও জাতীয় পরিচিতি নম্বর পাওয়ার অধিকারী হবেন। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একজন নিবন্ধক থাকবে। নিবন্ধক সরকারের মাধ্যমে নিযুক্ত হবে এবং তাহার চাকরির শর্তাদি সরকার নির্ধারিত হবে। নিবন্ধক জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ, বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক সব দায়িত্ব পালন করবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য-উপাত্তের সংশোধনের প্রয়োজন হলে নাগরিকরা আবেদনের ভিত্তিতে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফি দিয়ে সংশোধন করতে হবে।

বিলে অপরাধ ও শাস্তির বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো মিথ্যা তথ্য দিলে বা তথ্য গোপন করলে তিনি এ আইনের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন। এ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া কোনো নাগরিক জ্ঞাতসারে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিলে তিনি এ আইনের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং এ অপরাধের জন্য এক বছর, অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

তথ্য-উপাত্ত বিকৃত বা বিনষ্ট সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে বিলে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মচারী অথবা এ আইন দ্বারা বা এর অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ, বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনরত কোনো ব্যক্তি ইচ্ছা করে নিবন্ধকের কাছে সংরক্ষিত জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কোনো তথ্য-উপাত্ত বিকৃত বা বিনষ্ট করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং এ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করলে বা জাল পরিচয়পত্র বহন করলে একই শাস্তি পাবেন।

বিলে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি তথ্য-উপাত্তে অননুমোদিত প্রবেশ করলে বা বেআইনিভাবে তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করলে তিনি এ আইনের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং এ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। নিবন্ধন কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মচারী বা প্রতিনিধির এ অপরাধের জন্য একই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাধ্যমে পরিচালনা ও এ সংক্রান্ত সেবাটি জনগণের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আইনটি সংশোধন করা প্রয়োজন। এ আইনটি নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে নাগরিকের নিবন্ধিত হওয়ার এবং তার ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় পরিচয়পত্র

আরও খবর



কূটনৈতিক সফলতা নিয়ে বিএনপি অপপ্রচারে লিপ্ত: কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সফর, ব্রিকস সম্মেলন এবং জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের অসাধারণ কূটনৈতিক সফলতা নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্লজ্জ মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা ও মিথ্যাচারের মধ্য দিয়ে বিএনপি বাংলাদেশকে সমগ্র বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার এক গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশলতার কারণে বিএনপির সে চক্রান্ত ব্যর্থতা হওয়ায় এখন তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলন এবং ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য অনন্য গৌরব ও মর্যাদা বয়ে এনেছেন। এ সম্মেলনগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরব উপস্থিতি বিশ্বনেতৃবৃন্দের বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বসভায় সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান এবং সুদক্ষ নেতৃত্বের স্বীকৃতি প্রতীয়মান হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রনায়করা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ এবং অসাধারণ অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বনেতৃবৃন্দ যখন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুপ্রসারিত করছে, ঠিক তখন বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নানামুখী অপপ্রচার চালাচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও কর্মপরিকল্পনায় বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। একের পর এক বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ সফলভাবে বাস্তবায়িত সব মেগাপ্রকল্পের সুবিধা ভোগ করছে জনগণ। জনগণের স্বপ্নের এসব প্রকল্পেও বিএনপির গাত্রদাহ! একটি রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হলে, কতটা নীতি বিবর্জিত হলে, কতটা হীন মানসিকতায় আচ্ছন্ন হলে জনগণের ভাগ্য বদলের এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় অন্তর্জালায় ভুগতে পারে?

একদিকে বিএনপি তাদের চরম ব্যর্থতার অভিঘাতে পর্যুদস্ত। অন্যদিকে শেখ হাসিনার উন্নয়ন অভিযাত্রা ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রমেই হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হচ্ছে বিএনপি। সেজন্য তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করতে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করছে। দেশবাসী ভুলে যায়নি, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ওয়াশিংটন টাইমসে দেশবিরোধী কলাম লিখে পদ্মাসেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছিল। বিএনপি দীর্ঘদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল অথচ তখন তারা উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি। বরং দুর্নীতি ও লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছিল।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সময় ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৬১ হাজার ৫ কোটি টাকা। আর সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজাটের পরিমাণ ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। তাদের সময় যেসব প্রকল্প কল্পনারও বাইরে ছিল শেখ হাসিনা সেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার সততা, নিষ্ঠা ও সুশাসনের কারণেই এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী কল্যাণকর ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের আপামর জনগণ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় আজ ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির কোনো ষড়যন্ত্রই বাঙালি জাতির এ স্বপ্নযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর



দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী অবসরে যাচ্ছেন। কিন্তু সে সময় সুপ্রিমকোর্টে অবকাশকালীন ছুটি থাকায়, গত ৩১ আগস্ট ছিল তার বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শপথগ্রহণের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। টানা ২০ মাস বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার ৬৭ বছর পূর্ণ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। তাই সংবিধান অনুসারে ওইদিন তিনি অবসরে যাবেন।


আরও খবর



নিয়ামতপুরে আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

Image

নওগাঁ নিয়ামতপুরে কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের জাতীয় দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

গত ২২ সে আগস্ট শুক্রবার ছিল আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, গতকাল রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে উপজেলা মডেল প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার নিয়ামতপুর প্রতিনিধি সনজিত কুমার দাস এর সঞ্চালনায় উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় পত্রিকাটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জনাব ফরিদ আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ ইয়ামিন আলী, দৈনিক ভোরের ডাক পেপার এর উপজেলা প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক বর্তমান পেপারের প্রতিনিধি মোঃ আজিজ, দৈনিক মানব কণ্ঠের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আইনুল হক, দৈনিক জনতার অধিকার প্রতিনিধি কাসেদুর রহমান, বদ্বীপ বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোঃ শফিকুল ইসলাম, দৈনিক স্বাধীন বাংলা প্রতিনিধিমোফাজ্জেল হক, ভয়েস অফ নওগ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, নিয়ামতপুর থানা প্রতিনিধি ডিএসবি নাজমুল হক সহ উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নিয়ামতপুর উপজেলা প্রতিনিধি সনজিত কুমার দাস ‘আজকের দর্পণ’ পত্রিকার জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনাসহ আজকের দর্পণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা শ ম রেজাউল করিম এবং পত্রিকাটির সম্পাদক এস.এম নূরে আলম সিদ্দিকীর সুস্থতা ও নেক হায়াত কামনা করেন।

উল্লেখ্য যে, দৈনিক আজকের দর্পণ বাংলাদেশ থেকে এবং বাংলা ভাষায় প্রকাশিত একটি দৈনিক সংবাদপত্র। 


আরও খবর



বাইডেনের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, জানালেন পুতুল

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের নয়াদিল্লি­তে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রগতি ময়দানের ভারত মান্দাপান আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রে তারা হাসিমুখে কিছুক্ষণ কুশল বিনিময় করেন। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার নিজের মোবাইল ফোনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সেলফি তোলেন।

প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে খুবই আন্তরিক পরিবেশে কথা হয়েছে। তারা দ্বিপক্ষীয় বিষয় এবং ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ইতিহাস নিয়ে কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর এবং অটিজম অ্যান্ড নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (টুইটারে) লেখেন, নয়াদিল্লি­তে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে জো বাইডেনের সঙ্গে চমৎকার আলাপ হয়েছে। সমন্বিত জনস্বাস্থ্যের অংশ হিসাবে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার গুরুত্ব এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় স্কুল মনোবিজ্ঞানী নিয়ে আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি।

পুতুল প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে তোলা বেশ কয়েকটি ছবি আপলোড করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনকেও এসব ছবিতে দেখা যায়। একটি ছবিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সেলফি নিতে দেখা যায়।


আরও খবর