আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

সংকটে সীমাবদ্ধ বাগেরহাটের পর্যটন শিল্প

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যের দুটিই বাগেরহাটে। একটি পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, অন্যটি মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ। দর্শনার্থীরা ইচ্ছে করলেই একদিনে ইনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ঘুরে দেখতে পারেন। এর সঙ্গে এ জেলায় অন্তত ৫০টি প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে। যা সব সময় দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে  থাকে। এতসব সম্ভাবনা থাকার পরও পর্যটকবান্ধব পরিবেশ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, খাবার ও আবাসিক হোটেল, ট্যুরিস্ট বাস না থাকায় জেলায় পর্যটন শিল্পের তেমন বিকাশ ঘটেনি। এক কথায় নানা সংকটে এ জেলার পর্যটন শিল্প সম্মৃদ্ধ হয়নি।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগও ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, সুন্দরবন, ষাটগম্বুজ মসজিদসহ বিভিন্ন প্রাচীন স্থাপনা কেন্দ্র করে জেলাকে পর্যটনবান্ধব করে গড়ে তুলতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ কেন্দ্রিক ট্যুরিস্ট গাইড হাফিজুর রহমান বলেন, বাগেরহাট এমন একটি জেলা, যেখানে ঘুরলে প্রকৃতি-প্রাচীন স্থাপনা, নদী-খাল-বিল, সমুদ্রবন্দর সব কিছু পাওয়া যায়। এরপরও আমাদের জেলায় ট্যুরিস্ট বাস, আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেলের ব্যাপক সংকট রয়েছে। অনেক সময় বিদেশি এবং উচ্চবিত্ত মানুষ বাগেরহাট ভ্রমণে আসে, কিন্তু তাদের চাহিদা অনুযায়ী আবাসিক ব্যবস্থা না থাকায় তারা খুলনা চলে যায়। এটা আমাদের সীমাবদ্ধতা বোঝায়। 

ষাটগম্বুজ-সুন্দরবন ট্যুরিজম ট্যুর অপারেটরের পরিচালক মীর ফজলে সাঈদ ডাবলু বলেন, জেলায় ষাটগম্বুজ, সুন্দরবনসহ অনেক পর্যটন স্পট থাকলেও সুযোগ-সুবিধা খুবই কম। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের অভাবে পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয়দের আচার-ব্যবহারের ঘাটতি রয়েছে। এজন্য ষাটগম্বুজ, মোংলাসহ বিভিন্ন স্থানের হোটেল-রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ও ট্যুরিস্ট গাইডদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায়  বাগেরহাটের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। ফলে এখন দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে বাগেরহাটে অনেক সহজে আসা যায়। এরপরও জেলায় দেশি দর্শনার্থী এলেও, বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা অনেক কম। কারণ পর্যটন সম্ভাবনাময় আমাদের এ জেলায় একটি বিমানবন্দর নেই। ষাটগম্বুজ ও সুন্দরবনের জন্য আলাদা কোনো ওয়েবসাইটও নেই। যার কারণে বিদেশিরা ইচ্ছে করলেও সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ সংশ্লিষ্ট তথ্য জানতে পারে না। এর জন্য সরকারি উদ্যোগে সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজের জন্য ওয়েবসাইট তৈরির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার ও বিলবোর্ড স্থাপন করতে হবে। সেই সঙ্গে এক নজরে বাগেরহাটের দর্শনীয় স্থাপনার বর্ণনা, যাতায়াত ব্যবস্থা, খাবার ও থাকার হোটেলের নম্বর লিখে প্রচার করা প্রয়োজন।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাগেরহাটের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ বলেন, ষাটগম্বুজ সংলগ্ন মসজিদ সংলগ্ন ঘোড়াদিঘিকে নান্দনিক করতে ওয়াক ওয়ে তৈরি করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ষাটগম্বুজের সামনের বিশ্রামাগার নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ বিশ্রামাগার চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। তবে বেসরকারিভাবে স্থানীয় উদ্যোক্তারা যদি বাগেরহাটে হোটেল-মোটেল নির্মাণ করে, তাহলে উদ্যোক্তারা যেমন লাভবান হবে, তেমনি স্থানীয়রাও লাভবান হবে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সুন্দরবনে বিদ্যমান পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আধুনিক ও দর্শনার্থীবান্ধব করা হচ্ছে। এছাড়া খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কালাবগী এবং শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক এলাকায় নতুন করে চারটি ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র করা হচ্ছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, জেলার প্রত্যেকটি পর্যটন কেন্দ্রের শোভা বর্ধন, আবাসন ব্যবস্থা, মানসম্মত খাবার, বিপণন কেন্দ্র, সহজ যাতায়াত, সার্বিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এসব বাস্তবায়ন হলে অচিরেই বাগেরহাটের পর্যটন শিল্প আরও বিকশিত হবে।

৬৫০ বছর আগে বিখ্যাত মুসলিম শাসক খানজাহান (রহ.) এর আমলে বাগেরহাটে ষাটগম্বুজসহ নানা প্রাচীন স্থাপনা নির্মিত হয়। এসব স্থাপনার স্থাপত্যরীতি ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৮৫ সালে বাগেরহাটকে ঐতিহাসিক মসজিদের শহর হিসেবে ৩২১তম বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে ইউনেস্কো। এ তালিকায় বাগেরহাটের ১৭টি স্থাপনা স্থান পায়। চলতি বছরের প্রথম দিকে বিশ্বের ২৫টি হারিয়ে যাওয়া শহর ও বিপন্ন ঐতিহ্যবাহী শহর হিসেবে বাগেরহাটকে তালিকাভুক্ত করে বিশ্বখ্যাত  ফোর্বস সাময়িকী। এছাড়া বাগেরহাটের মঠ, মোরেলগঞ্জে রয়েছে ব্রিটিশ শাসকদের স্মৃতি বিজড়িত কুঠিবাড়ি, কচুয়ায় রয়েছে ৬০০ বছরের পুরোনো কালিবাড়ি। এর বাইরে সম্প্রতি বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় আরও ১৬৩টি প্রত্নস্থান (সাইট) শনাক্ত করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। তবে ষাটগম্বুজ মসজিদ ছাড়া জেলা শহরের মধ্যে থাকা অন্যান্য স্থাপনা অযত্ন আর অবহেলায় রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হলেও বিচরণ করছে গরু-ছাগল। দেয়ালে-দেয়ালে শুকানো হয় স্থানীয়দের কাপড়, কয়েকটি স্থাপনার দেয়ালও ধসে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রাচীন এসব স্থাপনা।

অন্যদিকে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল ও মায়াবী হরিণ, কিং-কোবরা, বানর, গুঁইসাপসহ প্রায় ১০০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী ও সরীসৃপ, আট প্রজাতির উভচরসহ ৩২০ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। সুন্দরী, পশুর, গেওয়া, গরান, কেওড়া, গোলপাতাসহ ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে এ বনে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নদী ও খালে রয়েছে বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতীসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন, লবণ পানির প্রজাতির কুমির, রুপালি ইলিশ, চিংড়ি, রূপচাঁদা, কোরালসহ ৪০০  প্রজাতির মাছ এবং শিলা কাঁকড়া। আধুনিক ব্যবস্থাপনার অভাবে কাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থী টানতে ব্যর্থ বন বিভাগ। 

নিউজ ট্যাগ: ষাটগম্বুজ মসজিদ

আরও খবর



বিনা টিকিটে কেউ রেল ভ্রমণ করতে পারবে না: রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের ট্রেনে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশন সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

জিল্লুল হাকিম বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরে যাত্রীরা ট্রেনে করে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারবেন। এবার ঈদে সব টিকিট অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে, যারা অনলাইনে টিকেট নিতে পারেননি তাদের জন্য স্ট্যান্ডিং টিকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিনা টিকিটে কেউ রেল ভ্রমণ করতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, টিকিট তদারকি করতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সতর্ক ও তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন গন্তব্যে যাতে সময় মতো ট্রেন চলাচল করে সে জন্যও আগে থেকেই নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফিরতি যাত্রাও যাতে নিরাপদ ও আরামদায়ক হয় সে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ট্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা স্টেশনসহ প্রায় প্রতিটি পয়েন্টেই নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, রেলের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে। ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য ২০০ বগি কেনার অনুমোদন পাওয়া গেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো কেনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুল হাকিম বলেন, রেলের দুর্নীতি কমানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি সামনে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে। কমলাপুর স্টেশনে মাল্টিপল হাব নির্মাণ করা হবে। এর কার্যক্রম শুরু হলে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা থাকবে না।

ঢাকা স্টেশন পরিদর্শন এবং মতবিনিময়কালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর এবং ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৪ বিভাগে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগের ওপর দিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। এসব এলাকায় আগামী দুই-তিন দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। তাই এসব এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে সংস্থাটি।

বুধবার (৩ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সতকর্বাতা জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ আজ (৩ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং আরো বিস্তার লাভ করতে পারে।

জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা যদি ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর অতি তীব্র হয় ৪২ ডিগ্রি বা এর বেশি হলে।

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বরদী ও চুয়াডাঙ্গায় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় রেকর্ড করা হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



ধর্মব্যবসায়ী ট্রাম্প: বিক্রি করছেন বাইবেল

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ধার্মিক হিসেবে পরিচিত না হলেও নির্বাচনকে সামনে রেখে ধর্মকে প্রচারের হাতিয়ার বানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিক্রি করছেন ধর্মগ্রন্থ বাইবেলও। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে দ্য স্ট্রেইট টাইমস।

এপি জানায়, এই বাইবেল যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংযুক্ত রয়েছে। ৬০ ডলারে বিক্রি করা হচ্ছে গ্রন্থটি। ট্রাম্প দাবি করেছেন, বাইবেল তার প্রিয় বই’।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আদালতের করা জরিমানার টাকা যোগাড় করতে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। সোমবার নিউইয়র্কের আপিল আদালতের বিচারক ৪৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বদলে আপাতত সাড়ে ১৭ কোটি ডলার অর্থ বা সমমানের বন্ড দেয়ার নির্দেশ দেন ট্রাম্পকে। আর এর জন্য তাকে ১০ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি ভিডিও পোস্ট করে সবাইকে বাইবেল কেনার আহ্বান জানান তিনি। ট্রাম্প লেখেন, পবিত্র সপ্তাহ শুভ হোক! আসুন আমরা আবারও প্রার্থনায় মনোযোগী হই। গুড ফ্রাইডে ও ইস্টারের আগে আমি আপনাদের সবাইকে গড ব্লেস দ্য ইউএসএ বাইবেলের একটি করে কপি সংগ্রহ করার জন্য উৎসাহিত করছি।’


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচন: দুই প্যানেলে লড়বেন যারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আগামী ১৯ এপ্রিল বিএফডিসিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। ঈদের পর নির্বাচনের শেষ সময়ে প্রচার-প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে এফডিসি।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলে আছেন মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। আরেক প্যানেলে আছেন সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

নির্বাচনে লড়ছেন যারা

মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলে প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান, সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন- সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

মিশা-ডিপজল পরিষদে সহ-সভাপতি মাসুম পারভেজ রুবেল, সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।


আরও খবর
এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোয়াদ (১৯) নামে ওই শিক্ষার্থী ঢাবির দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা পৌনে ২টার দিকে ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিং পুলে এই ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা ২টায় মৃত ঘোষণা করেন।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠী মো. সোহাগ জানান, দুপুরে ঢাবির অনেক শিক্ষার্থী সুইমিং পুলে গোসল করছিল। সেখানে সাঁতার কেটে একপাশ থেকে অন্যপাশে যাচ্ছিল অনেকে। তখন তারা দেখতে পান সোয়াদকে ঘিরে আছে সবাই। এগিয়ে গেলে জানতে পারেন, পুলের পানিতে ডুবে গিয়েছিল সে।

সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে তারা নিজেরাই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোয়াদের মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

সোয়াদের বাড়ি বগুড়া জেলায়। দর্শন বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র সে। থাকতো হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলে। তার সাঁতার জানা ছিল বলে জানান সহপাঠীরা। তবে কীভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে তা জানাতে পারেনি।

ঢাবির শিক্ষার্থী মোল্লা তৈমুর রহমান জানান, সোয়াদ তার জুনিয়র। সুইমিং পুলে গোসল করার সময় যখন পাড়ে ভিড় দেখেন। তখন সহপাঠীরাই তার পেট চাপাচাপি করে পানি বের করার চেষ্টা করছিল। ওখানকার কোনো স্টাফ বা কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সাহায্য করেনি।

তিনি বলেন, সোয়াদের ব্যাচমেটদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, তার শ্বাসকষ্টজনতি সমস্যা ছিল। যে কারণে সাঁতার জানা সত্ত্বেও গোসল করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারে সে।


আরও খবর