উত্তর কোরিয়ার সংবিধানে দেশটিকে পারমাণবিক
শক্তিধর দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি মোকাবিলায় দেশটির নেতা
কিম জং–উন যখন আরও অত্যাধুনিক
পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি নিয়ে তৎপর, তখনই সংবিধান সংশোধনের এ পদক্ষেপ নিল পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পের
ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে তাতে কর্ণপাত করছে না দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র,
দক্ষিণ কোরিয়া ও তাদের মিত্রদের আপত্তির পরও চলতি বছরে রেকর্ডসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা
চালিয়েছে দেশটি।
পিয়ংইয়ংকে পারমাণবিক অস্ত্র থেকে দূরে
রাখতে পশ্চিমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সফল হয়নি। গত বছর কিম জং–উন ঘোষণা দিয়ে
বলেছিলেন, পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হওয়া থেকে উত্তর কোরিয়াকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএনের
খবরে বলা হয়, দেশটির পার্লামেন্টে কিম বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির
নীতিমালা দেশটির একটি মূল আইন হিসেবে স্থায়ী করা হয়েছে। এই আইন উপেক্ষা করার অনুমতি
কারও নেই।
গত মঙ্গল ও বুধবার উত্তর কোরিয়ার পার্লামেন্টে
অধিবেশন বসে। সেখানে কিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের হুমকি মোকাবিলার জন্য উত্তর
কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োজন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে
সম্প্রতি নিরাপত্তা সহায়তা বৃদ্ধিকে ‘সবচেয়ে খারাপ
হুমকি’ বলে উল্লেখ করেন
তিনি।
তবে জাপান বলছে, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক
অস্ত্র প্রকল্প ‘একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’। পিয়ংইয়ংয়ের
সংবিধান সংশোধন নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার জাপানের মন্ত্রিসভার প্রধান সচিব হিরোকাজু মাতসুনো
বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র আধুনিকায়ন জাপান ও আন্তর্জাতিক
সম্প্রদায়কে শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলেছে।