আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সন্ধ্যানদীর ভাঙ্গনে ইন্দুরহাট ফেরিঘাটের গ্যাংওয়েসহ তিনটি দোকান নদীতে বিলীন

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

স্বরূপকাঠিতে সোমবার আনুমানিক দিবাগত রাত ৪টার দিকে সন্ধ্যানদীর আকস্মিক ভাঙ্গনে নদীর পশ্চিম পাড়ের ইন্দুরহাট ফেরিঘাটের ফেরি ওঠা নামার গ্যাংওয়ে নদীতে তলিয়ে যায়। এ সময় ঘাট সংলগ্ন তিনটি দোকানও মালামালসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

গ্যাংওয়ে নদীতে ডুবে যাওয়ায় সোমবার সকাল থেকেই স্বরূপকাঠি-ইন্দুরহাট ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলসহ জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আকষ্মিক নদী ভাঙ্গনে দোকান পাট হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তেল ও মবিলের দোকানদার হাসিব, চায়ের দোকানদার নুরুন্নাহার ও কামাল নামে তিন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

ভাঙ্গন সংলগ্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ছোট বড় অনেক ফাটল। সন্ধ্যানদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নদীর পশ্চিম পাড়ের দক্ষিণ কৌরিখাড়া, পূর্ব সোহাগদল, গনমান গ্রামের বসতঘর, বাগানবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ন জনপদ।

বছরখানেক আগে পূর্ব সোহাগদল গ্রামের নুর খানের বসতঘরসহ বাগানবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তার পূর্বে দক্ষিণ কৌরিখাড়া মো. শহীদুল ইসলাম, মো. সেলিম হোসেন ও মো. আলমগীর হোসেনের বসতঘরসহ বাগানবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

একে একে সন্ধ্যার অতল গহ্বরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসত ঘর, বাগানবাড়িসহ ফসলি জমি। নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে ছিন্ন মূলে পরিণত হয়েছে অনেক পরিবার। সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে দক্ষিণ কৌরিখাড়া ও গনমান গ্রামটি প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বিলীন হয়ে গেছে।

ভিটেমাটি হারিয়ে অনেক পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় অনেক পরিবার এখনও তাদের শেষ আশ্রয়স্থল বসতভিটায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে।

স্বরূপকাঠি-পিরোজপুর সড়কের কামারকাঠি নামক স্থানে নদী ভাঙ্গনের ফলে চরম ঝুঁকির মধ্যে যানবাহন চলাচল করছে। প্রায় ৩ যুগ থেকে সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে উপজেলার, উত্তর কৌরিখাড়া, দক্ষিণ কৌরিখাড়া, ছারছীনা, শান্তিহার, কুনিয়ারী জলাবাড়ী, পূর্ব সোহাগদল, গনমান, মুনিনাগ, কামারকাঠি, ব্যাসকাঠি, সেহাংগল এলাকার অনেকের বসতভিটে, হাজার হাজার একর ফসলি জমি সহ বিস্তীর্ন জনপদ সর্বনাশা সন্ধ্যা গ্রাস করে নিয়েছে।

ফেরি চালক মো. আরিফুল ইসলাম মৃধা জানান সন্ধ্যানদীর আকস্মিক ভাংগনে ইন্দুরহাট পাড়ের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ক্রেন এনে গ্যাংওয়ে তুলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করতে করার কাজ চলছে।

নদী ভাঙ্গনের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবি) পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মাওলা মো. মেহেদী হাসান জানান সন্ধ্যানদীর ভাঙ্গনের কথা শুনেছি। পরিদর্শন পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, নামল শীত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত থেকেই এই বৃষ্টি শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে তা ধীরে বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে ছিল ঠান্ডা বাতাস, এতে তাপমাত্রা কমে শীত পড়তে শুরু করে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে বাইরে বের হওয়া মানুষ। অনেকেই ছাতা নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্ধ্র প্রদেশ ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমানে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও কাছাকাছি দক্ষিণ উড়িষ্যা এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

ফলে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। 

আরও পড়ুন>> সকাল ৯টার মধ্যে যেসব জেলায় তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা

এ ছাড়া সারাদেশে রাতের সামান্য হ্রাস পেতে পারে ও দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমে আসবে। শীতের আমেজও পাওয়া যাবে।

এদিকে বুধবার সামুদ্রিক আবহাওয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাফেরা করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



বাণিজ্যিকভাবে বস্তা পদ্ধতিতে মেহেরপুরে আদা চাষ শুরু হয়েছে

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ শুরু হয়েছে। বাড়ির আশেপাশে পরিত্যাক্ত জমিতে আদা চাষ করে আশার আলো দেখছেন মেহেরপুরের আদা চাষিরা। কৃষি প্রযুক্তির এই আধুনিকায়নে কৃষকের প্রতি ইঞ্চি জায়গা ব্যবহারে এই পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে চাষীরা।

কৃষি অফিসের উদ্যোগে পরিত্যাক্ত প্রতি ইঞ্চি জায়গা চাষের আওতায় আনতে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ শুরু হয়েছে। সেই লক্ষে পরীক্ষামূলক মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে দুজন চাষী তাদের বাড়ির পাশে পরিত্যাক্ত জায়গায় ৮০০টি বস্তায় চাষ আদা করেছে।

চাষীরা জানায় কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমে একটি বস্তায় ৩ ঝুড়ি মাটি, ১ ঝুড়ি বালি, ১ ঝুড়ি গোবর সার ও ২৫ গ্রাম দানাদার কীটনাশক মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে বস্তায় ভরে তিন টুকরো অঙ্কুরিত আদা পুঁতে দিয়ে এই চাষ করা হয়েছে। এতে বস্তা প্রতি খরচ হয়েছে ২০-২৫ টাকা। ইতোমধ্যে আদার গুটি নিতে শুরু হয়েছে । চাষীরা আশা করছে ভাল লাভের।

আমঝুপি গ্রামের আদা চাষী জানান, আমার বাগানে দুই কাঠা জমি পড়ে ছিল কৃষি অফিসের পরামর্শে ৩০০ বস্তায় আদা চাষ করি। এ চাষে বেশি খরচ হয়নি মাত্র পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এতে যে আদা হবে বাজারে সর্ব নিম্ন দামো পায় তাও ৩০ হাজার টাকা আসবে।  

মেহেরপুর সদর উপজেলার আদা চাষী জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে আদা চাষ করে প্রতি বস্তায় এক কেজি করেও ফলন পাওয়া যায়। তবে বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হলেও চাষীরা ভাল লাভবান হবে। আমার এ আদা চাষ অনেকে দেখতে আসছে আমি আশা করি এবার আমার দেখাদেখি অনেকেই করতে উদ্ধবো হবে।

মেহেরপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আশরাফুল ইসলাম জানান, পতীত জমির সৎ ব্যবহারের অনেক গুলো উপাদান আছে তার মধে সব থেকে ভালো চাষ আদা চাষ। একদিকে পতীত জমি অন্যদিকে ছায়াযুক্ত পতীত জমি যেখানে কোন আবাদ হয়না এমন এক জায়গায় এই জায়গা গুলো আবাদের আওতায় আনতে। আমরা কৃষি বিভাগ চাচ্ছি যে বাড়ির পতীত জমিতে আবাদ করতে পারি তারই একটি উদাহরণ আদা চাষ। আগামিতে কিভাবে লাভবান হতে পারি সেই সম্পর্কে তাদের আমরা পরামর্শ দিচ্ছি।


আরও খবর



জাবিতে প্রজাপতি মেলা ২৪ নভেম্বর

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

'উড়লে আকাশে প্রজাপ্রতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি' এই স্লোগান নিয়ে আগামী ২৪ নভেম্বর শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে প্রজাপ্রতি মেলা-২০২৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার আয়োজনে দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে মেলার আহ্বায়ক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন এ কথা জানান।

এবারের মেলায় থাকবে শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি হাট দর্শন, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড্ডয়ন, অরিগামি প্রজাপতি, বারোয়ারি বিতর্ক, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীও থাকছে এ মেলায়।

প্রজাপতি বিষয়ক গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলামকে বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ জহির রায়হানকে বাটারফ্লাই ইয়াং ইনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান করা হবে। এছাড়াও প্রথমবারের মত তিন জন সাংবাদিককে বাটারফ্লাই মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রজাপতি প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পতঙ্গটির ১১০ প্রজাতি পাওয়া গেলেও বর্তমানে ৫৭ প্রজাতির পাওয়া যায়। সারাদেশের এক-চতুর্থাংশ প্রজাপতি পাওয়া যেত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে বিগত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিক পরিমানে গাছ ও বংশবিস্তারের অনুকূল ঝোপঝাড় কেটে ফেলার ফলে এখন তার পরিমাণ অস্বাভাবিক ভাবে কমে গিয়েছে। তাই সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারো প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রজাপতি সংরক্ষণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়। এবার ১৩ তম প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।


আরও খবর



ভারত মহাসাগরে ইসরায়েলি জাহাজে হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারত মহাসাগরে ইসরায়েলের একটি মালবাহী জাহাজে হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে লেবাননের আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল। এ ছাড়া বার্তাসংস্থা এএফপিও জানিয়েছে, ভারত সাগরে ইসরায়েলের মালিকানাধীন পণ্যবাহী একটি জাহাজে গত শুক্রবার ড্রোন হামলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সন্দেহ ইরানের বিপ্লবী গার্ড হামলাটি চালিয়েছে। গতকাল শনিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিশেষ সূত্রের বরাত দিয়ে আল-মায়াদিন বলেছে, ভারত মহাসাগরের উত্তরে মাকরান সাগরে হামলার শিকার হওয়ার পরপরই জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, জাহাজে হামলার ঘটনাটি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল। এ কারণেই দুই দিন পর খবরটি প্রকাশ পেল।

আরও পড়ুন>> যুদ্ধবিরতির মধ্যে পশ্চিম তীরে ৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

মার্কিন ওই কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার ইসরায়েলের একটি বেসামরিক জাহাজে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড (আইআরজিসি) শাহেদ-১৩৬ ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালায়। এতে ওই জাহাজের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি।

এর আগে লোহিত সাগর থেকে ইসরায়েলের একটি জাহাজকে আটক করে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী। তারা ওই জাহাজটি এখন ইয়েমেনের বন্দরে নিয়ে গেছে। ওই জাহাজটি আটক হয়ে যাওয়ার খবরও প্রকাশে গড়িমসি করেছিল ইসরায়েল।


আরও খবর



নবাবগঞ্জে অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক বৃদ্ধার (৭০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের রাহুতহাটি এলাকায় পুকুর থেকে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে রাহুতহাটি এলাকা থেকে ফোনে একজন থানায় খবর দিয়ে জানায়- একটি লাশ পুকুরে ভাসছে। খবর পেয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহতের পরনে শাড়ি ও কালো রঙের সোয়েটার ছিল।

নবাবগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আশফাক রাজীব হাসান দৈনিক আজকের দর্পণকে বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে এখন পর্যন্ত লাশটির পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি এবং স্থানীয়দেরও কোনো অভিযোগ না থাকায় বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।


আরও খবর